রোজ় ক্ষীর খেয়েছেন কখনও? ছবি: সংগৃহীত।
ধনতেরাস, রঙ্গোলি কিংবা ধনলক্ষ্মী পুজোর মতো অবাঙালি অনেক রেওয়াজই জায়গা করে নিয়েছে বাঙালি ঘরে। উৎসবের সঙ্গে যেমন জড়িয়ে রয়েছে রীতি, রেওয়াজ, সংস্কৃতি। তেমন জড়িয়ে রয়েছে খাওয়াদাওয়াও। আর পেটপুজোর বিষয়ে সব প্রান্তের বাঙালিই মোটামুটি এক। আর সেই খাবার যদি মিষ্টি হয়, তা হলে তো কথাই নেই। সাধারণত বাঙালিদের যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানে পায়েস খাওয়ারই চল। তবে দিওয়ালিতে একটু অবাঙালি ক্ষীর চেখে দেখলে মন্দ হয় না। পায়েস আর ক্ষীরের স্বাদ ঠিক কতটা আলাদা, তা বুঝতে গেলে রেঁধে ফেলতে হবে। কী ভাবে রাঁধবেন? রইল রেসিপি।
উপকরণ
গোবিন্দভোগ চাল: আধ কাপ
কনডেন্সড মিল্ক: আধ কাপ
ছোট এলাচের গুঁড়ো: আধ চা চামচ
ফুল ফ্যাট দুধ: ১ লিটার
পেস্তাবাদাম কুচি: ২ টেবিল চামচ
রোজ় সিরাপ: ১ চা চামচ
প্রণালী
১) প্রথমে গোবিন্দভোগ চাল ভাল করে ধুয়ে নিন। আধঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন।
২) রান্না আগে হালকা হাতে ভেজানো চাল একটু পিষে নিন। খেয়াল রাখবেন যেন মিহি না হয়ে যায়।
৩) এ বার কড়াইতে দুধ গরম করুন। ঘন হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। কড়াইয়ের তলায় দুধ যেন লেগে না যায়।
৪) পিষে রাখা চাল, দুধের মধ্য দিয়ে দিন। মিনিট দশেক রান্না করুন। তবে দু’মিনিট পর পর নাড়তে হবে। না হলে কড়াইয়ের তলায় চাল লেগে যেতে পারে।
৫) চাল ভাল করে সেদ্ধ হয়ে এলে দিয়ে দিন কনডেন্সড মিল্ক। ভাল করে মিশিয়ে নিন। ক্ষীর সাধারণত পায়েসের চেয়ে ঘন হয়। তাই নাড়তে নাড়তে ঘনত্বের দিকেও নজর রাখতে হবে।
৬) চাল সেদ্ধ হয়ে এলে আঁচ একেবারে ঢিমে করে দিতে হবে। উপর থেকে মিশিয়ে দিতে হবে রোজ় সিরাপ।
৭) একেবারে শেষে উপর থেকে ছড়িয়ে দিন ছোট এলাচের গুঁড়ো এবং পেস্তবাদাম কুচি। ফ্রিজ়ে রেখে পরিবেশন করুন রোজ় ক্ষীর।