আমিষ বিউলি।
বাঙালির রোজের খাওয়ার পাতে ডাল থাকা মাস্ট। কেউ কেউ খাবারের শুরুর পাতে ডাল খেলেও অনেকে ডাল খান একেবারে শেষ পাতে। তবে রোজের পাতলা ডাল-ভাতের বদলে যদি পাতে পড়ে ডালের এক অভিনব পদ, তা হলে কেমন হয়? হয়তো ভাবছেন, ডাল দিয়ে কী-ই বা এমন অভিনব রেসিপি বানানো যায়! আলবাত যায়। ডালের মধ্যে যদি মিশে যায় চিংড়ির স্বাদ, তা হলে বাড়ির খুদেরাও ডাল-ভাত একেবারে চেটেপুটে সাফ করবে।
ডালের এই রান্না কেবল ভাতের সঙ্গেই নয়, রুটি কিংবা পরোটার সঙ্গেও জমবে ভাল। স্বাদবদল করতে বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন এই সহজ রেসিপি।
উপকরণ:
বিউলির ডাল: ১৫০ গ্রাম
কুচো চিংড়ি: ২৫০ গ্রাম
পেঁয়াজ কুচি: ৬ টেবিল চামচ
আদা-রসুন বাটা: ২ টেবিল চামচ
টম্যাটো কুচি: ৬ টেবিল চামচ
কাঁচা লঙ্কা: ৪টি
হলুদ গুঁড়ো: ১ চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো: ১ চামচ
ধনে গুঁড়ো: ২ চামচ
শুকনো লঙ্কা: ২টি
ভাজা মৌরি: ১ টেবিল চামচ
গরম মশলার গুঁড়ো: ১ চা চামচ
সর্ষের তেল: ৩ টেবিল চামচ
নুন-চিনি: স্বাদ মতো
প্রতীকী ছবি।
প্রণালী:
বিউলির ডাল শুকনো কড়াইতে ভেজে নিন। তার পর ভাল করে ধুয়ে নিয়ে নুন, হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এ বার কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করে চিংড়িগুলি ভেজে তুলে নিন। সেই তেলেই মৌরি ও শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি, আদা-রসুন বাটা, কাঁচা লঙ্কা ও টম্যাটো দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। মশলার কাঁচা গন্ধ চলে গেলে তাতে সব রকম গুঁড়ো মশলা দিয়ে আরও কিছু ক্ষণ নাড়াচাড়া করুন। মশলা থেকে তেল ছেড়ে এলে ভেজে রাখা চিংড়িগুলি মিশিয়ে দিন। তার পর সেদ্ধ করে রাখা ডাল দিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করুন। স্বাদ মতো নুন-চিনি দিয়ে কড়াই ঢেকে দিন। মিনিট পনেরো পর ঢাকা খুলে দেখুন। ডাল ঘন হয়ে এলে গরম মশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে গ্যাসের আঁচ বন্ধ করে দিন। গরম ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন নিরামিষ বিউলি!