পাতে পড়ুক পিৎজ়া বোম। ছবি: সংগৃহীত।
সপ্তাহখানেক পরেই দীপাবলি। বাজারে ইতিমধ্যেই রঙিন আলোর ছড়াছড়ি। কয়েক দিনেই বসে যাবে বাজির বাজারও। তবে মন ভাল নেই খুদের। আগেকার মতো এখন আর চকোলেট বোম ফাটানোর সুযোগ নেই। তারাবাতি আর চরকি, তুবড়িতে সাধ মেটে কই! সাধ না মিটলেও রসনাতৃপ্তি মেটানোর উপায় আছে বইকি। খুদের আক্ষেপ মেটাতে ওদের জন্য বানিয়ে ফেলুন পিৎজ়া বোম। রইল রেসিপি।
উপকরণ:
৫০০ গ্রাম হাড় ছাড়া মুরগির টুকরো
২ টেবিল চামচ টিক্কা মশলা
২ টেবিল চামচ লেবুর রস
৩ টেবিল চামচ টক দই
২ টেবিল চামচ পেঁয়াজ কুচি (চৌকো করে কাটা)
২ টেবিল চামচ ক্যাপসিকাম কুচি (চৌকো করে কাটা)
২ টেবিল চামচ সেদ্ধ কর্ন
আধ কাপ মৎজ়েরেলা চিজ়
১ টেবিল চামচ অরিগ্যানো
১ টেবিল চামচ চিলি ফ্লেক্স
স্বাদ মতো নুন ও গোলমরিচ
পরিমাণ মতো তেল
৩/৪ কাপ জল
২ টেবিল চামচ চিনি
১ টেবিল চামচ ইস্ট
২ কাপ ময়দা
২৫০ গ্রাম বিস্কুটের গুঁড়ো
৩ টি ডিম
প্রণালী:
একটি ফ্রায়িং প্যানে অল্প তেল দিয়ে মুরগির মাংসের টুকরোগুলি দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। তার পর মাংস ভাজা ভাজা হয়ে এলে তাতে একে একে টিক্কা মশলা, নুন, দই দই আর লেবুর রস দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে গ্যাসের আঁচ বাড়িয়ে মিশ্রণটি শুকিয়ে নিন। এ বার একটি পাত্রে মিশ্রণটি ঢেলে তার সঙ্গে একে একে পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম, কর্ন, চিজ়, অরিগ্যানো, চিলিফ্লেক্স দিয়ে মিশিয়ে নিন। এ বার একটি কাপে জল নিয়ে তার সঙ্গে চিনি ও ইস্ট ভাল করে মিশিয়ে ১০ মিনিট ঢেকে রাখুন। এ বার ময়দায় সামান্য তেল আর ইস্টের মিশ্রণ দিয়ে মেখে নিন। আধ ঘণ্টা পর ওই মিশ্রণ থেকে মাঝারি মাপের লেচি কেটে লুচির আকারে বেলে তার মধ্যে মাংসের পুর ভরে দিন। এ বার বলগুলি ডিমের মিশ্রণে ডুবিয়ে বিস্কুটের গুঁড়ো মাখিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নিন। টম্যাটো সস্ ও মেয়োনিজ়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন মুচমুচে পিৎজ়া বোম।