আনারস চিংড়ি।
বাজারে গেলে বাঙালির থলিতে আর কোনও মাছ থাকুক না কেন, চিংড়ির দেখা প্রায়ই মেলে। এ পার বাংলার মানুষের চিংড়ি মাছ বেশি প্রিয় হলেও ও পারের লোকেদের পাতেও চিংড়ি পরলে মন্দ হয় না! তবে চিংড়ি বাড়িতে এলেই হয় মালাইকারি, আর না হয় সর্ষে বাটা দিয়ে ঝাল হয়! এ বার পাতে পড়ুক ভিন্ন স্বাদের চিংড়ি। বিশেষ দিনের ভূরিভোজ জমে যাবে টক-ঝাল-মিষ্টি চিংড়ির স্বাদে।বাজারে নানা রসাল ফলের সঙ্গে ইতিউতি দেখা দিচ্ছে আনারস। আনারস দিয়ে ডাল থেকে শুরু করে পোলাও, কি-ই না হয়। এ বার সেই ফল আর চিংড়ির মেলবন্ধনে বানিয়ে ফেলুন আনারস চিংড়ি!
উপকরণ:
আনারস: ১টি
চিংড়ি: ৫০০ গ্রাম (মাঝারি মাপের)
ক্যাপসিকাম: ২টি
পেঁয়াজ: ৪টি
সাদা তেল: ২ টেবিল চামচ
আদা: ১ ইঞ্চি
রসুন: ৬-৭টি
ভিনিগার: ১ চা চামচ
গোলমরিচ গুঁড়ো: ১ টেবিল চামচ
নুন: স্বাদ মতো
মধু: ২ চা চামচ
সয়া সস: ২ টেবিল চামচ
কর্নফ্লাওয়ার: ২ চামচ
প্রতীকী ছবি
প্রণালী:
প্রথমে আনারস, পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম ডুমো ডুমো করে কেটে নিন। আদা, রসুন কুচিয়ে রাখুন। চিংড়ির খোসা ছাড়িয়ে সামান্য নুন মাখিয়ে নিন। এ বার ফুটন্ত গরম জলে চিংড়ি দিয়ে দু’-তিন মিনিট রেখেই তুলে নিন। ফ্রাইং প্যানে সাদা তেল গরম করে আদা কুচি ও রসুন কুচি ফোড়ন দিন। আদা-রসুন ভাজা হয়ে এলে আনারস বাটা দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। মিনিট দুয়েক পরে সয়া সস দিন। সামান্য ফুটে উঠলেই একে একে আনারস, পেঁয়াজ ও ক্যাপসিকামের টুকরোগুলি দিয়ে দিন। নাড়তে থাকুন। এর পর ভাপিয়ে রাখা চিংড়ি, নুন, সামান্য ভিনিগার, গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। একটি বাটিতে সামান্য জল নিয়ে কর্নফ্লাওয়ার গুলে নিন। এ বার মিশ্রণটি কড়াইতে ঢেলে দিন। গ্রেভি ঘন হয়ে এলে মধু ছড়িয়ে হালকা নেড়ে চেড়ে নামিয়ে নিন। পরোটা কিংবা ফ্রায়েড রাইসের সঙ্গে পরিবেশন করুন।