কাসুন্দির গোপনসূত্র। ছবি: ফুডাশিয়াসলি।
পেয়ারা মাখা হোক কিংবা ফিশফ্রাই, কাসুন্দি ছাড়া ঠিক জমে না! হাল আমলে কবাব কিংবা চিকেন ফ্রাইয়ের সস কিংবা মেয়োনিজ়ের পাশেও জায়গা করে নিয়েছে কাসুন্দি। কিন্তু এই জিনিসটি বাড়িতে তৈরি করতে গেলেই তেতো হয়ে যায়। ভূতটা যে আসলে কোথায়, তা কিছুতেই ধরতে পারেন না। অগত্যা সেই দোকানের উপরেই ভরসা করতে হয়। তবে, রাসায়নিক-মুক্ত নির্ভেজাল কাসুন্দি কিন্তু বাড়িতেও তৈরি করা যায়। সেই কাসুন্দি খেতে তো ভাল হবেই, আর তাতে তিতকুটে ভাবও থাকবে না। কী ভাবে বানাবেন, দেখে নিন।
উপকরণ
১ কাপ কালো সর্ষে
১ কাপ সাদা সর্ষে
২ কাপ কাঁচা আম
৮-১০টি কাঁচা লঙ্কা
১ টেবিল চামচ আদা কুচি
আধ কাপ সর্ষের তেল
পরিমাণ মতো নুন
১ টেবিল চামচ মৌরি
আধ চা চামচ গুঁড়ো হলুদ
১ টেবিল চামচ ভিনিগার
এক চিমটে হিং
প্রণালী
প্রথমে আমের খোসা ছাড়িয়ে ছোট টুকরো করে রাখুন। কুসি থাকলে বাদ দিয়ে দিন।
এ বার মিক্সিতে দু’ধরনের সর্ষে এবং মৌরি দিয়ে ভাল করে গুঁড়ো করে নিতে হবে। এই সময়ে কিন্তু জল দেওয়া যাবে না। তা হলেই কাসুন্দি তিতকুটে হয়ে যাবে।
সর্ষে গুঁড়ো হলে গেলে তার মধ্যে কাঁচা আমের টুকরো, আদা এবং কাঁচা লঙ্কা একসঙ্গে দিয়ে বেটে নিন। নুন এবং সামান্য জল দেওয়া যেতে পারে।
সমস্ত উপকরণ ভাল করে বেটে নেওয়ার পর মিক্সির ঢাকনা খুলে তার মধ্যে গুঁড়ো হলুদ এবং ভিনিগার দিয়ে দিন। আরও এক বার ভাল করে বেটে নিন।
এ বার কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করতে দিন। হালকা গরম হতে শুরু করলে তেলের মধ্যে সামান্য হিং দিয়ে দিন।
সামান্য নাড়াচাড়া করে নিয়ে বেটে রাখা আম-সর্ষের মিশ্রণ ওই তেলের মধ্যে দিয়ে দিন। একেবারে ঢিমে আঁচে মিনিট দুয়েক নাড়াচাড়া করুন।
খুব বেশি সময় এই মিশ্রণ আগুনের আঁচে রাখার প্রয়োজন নেই। তা হলে কাসুন্দির স্বাদ-গন্ধ-বর্ণ বদলে যেতে পারে।
নাড়তে নাড়তে খেয়াল করবেন ওই মিশ্রণের আশপাশে আলাদা করে কোনও তেল নেই। সর্ষে বাটার মিশ্রণের সঙ্গে পুরোপুরি তেল মিশে গেলেই বুঝতে পারবেন, কাসুন্দি তৈরি। এ বার পরিষ্কার, কাচের বায়ুরোধী পাত্রের মধ্যে কাসুন্দি ভরে কয়েকটা দিন রোদে দিলেই তা খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।