মাছের পুরের সঙ্গে জমে যাবে পাটিসাপটার মেলবন্ধন। ছবি: সংগৃহীত।
শীতকাল মানেই পিঠেপুলি আর পাটিসাপটা। তবে ডায়াবিটিসের জ্বালায় চিনি, গুড় সব বন্ধ। তাই বলে কি আর শীতকালে পিঠেমুখ হবে না? আলবাত হবে! বানিয়ে ফেলুন নোনতা স্বাদের পাটিসাপটা। মাছের পুরের সঙ্গে জমে যাবে পাটিসাপটার মেলবন্ধন। রইল রেসিপির হদিস।
উপকরণ
পুরের জন্য:ভেটকি ফিলে: ৫০০ গ্রাম
আলু সেদ্ধ: ২ টি
পেঁয়াজ কুচি: ১ কাপ
রসুন বাটা: ১ চামচ
আদা বাটা: ১ চা চামচ
গরম মশলা গুঁড়ো: আধ চা চামচ
কাঁচা লঙ্কা কুচি: ২ টো
হলুদ গুঁড়ো: ১/২ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো: ১/২ চা চামচ
চিনি: ১/৪ চা চামচ
নুন: স্বাদ মতো
সাদা তেল: ২ টেবিল চামচ
লেবুর রস: ১ টেবিল চামচ
পাটিসাপটার জন্য:ময়দা: আধ কাপ
সুজি: ১/৪ কাপ
ঘি: ১ টেবিল চামচ
বানিয়ে ফেলুন নোনতা স্বাদের পাটিসাপটা। ছবি: সংগৃহীত।
প্রণালী:
মাছের ফিলেগুলি নুন ও লেবুর রস মাখিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। এর পর একটি প্যানে তেল দিয়ে ভাল করে গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। এ বার আদা ও রসুন বাটা দিয়ে নাড়তে থাকুন। হলুদ গুঁড়ো ও লঙ্কা গুঁড়োও মিশিয়ে কষিয়ে নিন। এ বার ভেটকির ফিলেটাকে ছোট ছোট টুকরো করে প্যানে দিন ও হালকা তেলে খুব ভাল করে নাড়তে থাকুন। এতে এবার গরম মশলা গুঁড়ো, স্বাদ মতো নুন ও চিনি দিন। পুরটা ভাল করে ভাজা ভাজা হয়ে এলে গ্যাস বন্ধ করে ঠান্ডা হতে দিন। এর পর আগে থেকেই সেদ্ধ করে রাখা আলুগুলোকে চটকে নিতে হবে। মাছের পুরের সঙ্গে কাঁচা লঙ্কা মিশিয়ে দিন।
পাটিসাপটার জন্য একটি পাত্রে ময়দা, সুজি, অল্প ঘি, নুন দিয়ে একটা পাতলা মিশ্রণ তৈরি করুন। মিশ্রণটি এমন বানাতে হবে যেন প্যানে দিয়ে ছড়ানো যায়। অনেকটা চালের গুঁড়ো দিয়ে পাটিসাপটা বানানোর মতোই থকথকে করতে হবে এই মিশ্রণ। এ বার একটা গরম ফ্রাইং প্যানে, ঘি ব্রাশ করে, মিশ্রণটি দিয়ে পাটিসাপটার মতো গোল করে ছড়িয়ে দিন। অল্প আঁচে করতে হবে গোটা রান্নাটি। মিশ্রণটি পাটিসাপটার মতো সামান্য ভাজা হয়ে এলেই এর মধ্যে মাছের পুর লম্বা করে মাঝখানে রাখুন ও দু’দিক থেকে রোল করে নিন পাটিসাপটার মতো। খুন্তি দিয়ে উপরটা একটু চেপে প্লেটে নামিয়ে দিন এবং কাসুন্দির সঙ্গে গরমাগরম পরিবেশন করুন।