পিৎজা যখন স্বাস্থ্যকর। ছবি : সংগৃহীত।
পিৎজ়া খেতে ভালবাসেন। আবার আপনি স্বাস্থ্যসচেতনও। স্বাদের পিছনে ছুটতে গিয়ে স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ুক, চান না। কারণ পিৎজ়ায় আছে ময়দা। যা প্রকারান্তরে গ্লুটেন। জেনেশুনে শরীরের ক্ষতি কে করতে চায়?
পিৎজাকে রোজের জলখাবার করার পথে আর একটি বাধা হল বাজার চলতি ভাল মানের পিৎজার দাম। পছন্দ মতো টপিংস দিয়ে প্রিয় পিৎজ়া খাওয়া মানে ন্যুনতম ৩০০-৪০০ টাকার ধাক্কা। আম আদমির কাছে তা আর যা-ই হোক নিত্যদিনের টিফিনের খরচ হতে পারে না। কিন্তু তা বলে কি পিৎজ়ার স্বাদ কালেভদ্রে মিলবে? ইচ্ছেমতো নয়? স্বাস্থ্য এবং রেস্ত বাঁচিয়ে পিৎজ়া বানিয়ে নিতে পারেন বাড়িতেই। কিনোয়া দিয়ে তৈরি সেই পিৎজা যেমন হবে গ্লুটেন মুক্ত তেমনই পছন্দের ঘরোয়া ‘টপিং’ দিয়ে খেতেও হবে স্বাদু।
ছবি: সংগৃহীত।
উপকরণ
১ কাপ কিনোয়া
১ কাপ গরম জল
১/৪ কাপ অতিরিক্ত জল মিশ্রণের জন্য
পরিমাণ মতো নুন
চার পাঁচটি চেরি টম্যাটো
১২৫ গ্রাম মোজারেলা চিজ়
দেড় টেবিল চামচ পেস্তো সস
পিৎজ়ার উপরে ছড়ানোর জন্য আরুগুলা হার্বস
রসুন ভেজানো অলিভ অয়েল
ছবি: সংগৃহীত।
প্রণালী
গরম জলে ১৫ মিনিট কিনোয়া ভিজিয়ে রাখুন। এর পরে ভিজনো কিনোয়া একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে তাতে ১/৪ কাপ জল এবং এক চিমটে নুন দিয়ে মসৃণ ভাবে বেটে নিন।
এ বার মিশ্রণটি একটি বেকিংয়ের কাগজে গোল বা চৌকো আকারে ছড়িয়ে তার উপর পছন্দের ‘টপিং’ ছড়িয়ে দিন। চেরি টম্যাটো, মোজ়ারেলা পেস্তো সস দিয়ে প্রি হিটেড অভেনে (১৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বেক করুন ২০-২৫ মিনিট।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
যদি সাধারণ গ্যাসে বানাতে চান, তবে খেয়াল করে তত ক্ষণ গরম করুন, যত ক্ষণ না পিৎজ়ার বেস সোনালি হয়ে আসে এবং চিজ় গলে যায়।
উপরে আরুগুলা আর রসুন ভেজানো অলিভ অয়েল ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
তবে চাইলে আগে পিৎজ়া বেস বানিয়ে নিতে পারেন। পরে ইচ্ছামতো পিৎজা সস, চিজ়, বেঁচে যাওয়া চিকেন বা পছন্দ মতো সব্জি দিয়ে বেক করে নিতে পারেন।