ফ্রেঞ্চ ফ্রাই’জ। ছবি: সংগৃহীত।
কফিশপে বসে কফিতে চুমুক চুমুক দিতে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাওয়ার আলাদাই মজা। ডোবা তেলে ভেজা লম্বা লম্বা আলুভাজা খেতে মন্দ লাগে না। কিন্তু রেস্তরাঁয় গিয়ে দাম দিয়ে আলুভাজা খাওয়ার বিরোধী অনেকেই। তা ছা়ড়া রেস্তরাঁর মতো ফ্রেঞ্চ ফ্রাই কোনও রকম ঝক্কি ছাড়া চাইলে বা়ড়িতেই অনায়াসে বানিয়ে নেওয়া যায়। সঠিক নিয়ম মেনে বানালে রেস্তরাঁর ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের সঙ্গে স্বাদে কোনও ফারাক হবে না।
১)ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের আকারে আলু কেটে ১৫ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখুন। জলে ভিজিয়ে রাখলে আলুতে থাকা স্টার্চ জলে মিশে যায়। সেই জন্য আলু ভেজানো জলে সাদা ফেনা ভেসে থাকে। আসলে সেগুলিই স্টার্চ। জলে থেকে তুলে ভাল করে ধুয়ে আরও ১০ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখুন।
২) ভাজার আগে আলু একটু ভাপিয়ে নিলে ভাল। সরাসরি ডোবা তেলে ভাজলে শক্ত হয়ে যায়। অল্প ভাপিয়ে নিয়ে ভাজলে একটু বেশি ভাজা হয়ে গেলেও শক্ত হয়ে যাওয়ার ভয় নেই। খেতেও ভাল লাগে।
৩) আলু ভাপিয়ে নেওয়ার পর ফ্রিজে রাখতে হবে। এক থেকে দেড় ঘণ্টা ফ্রিজে রাখলেই হবে। ভাজার অন্তত আধ ঘণ্টা আগে বার করে নিন। তার পর ডোবা তেলে ভাল করে ভেজে নিন।
৪) অনেকেই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরির এই নিয়মটি জানেন না। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই সব সময় দু’বার করে ভাজতে হয়। প্রথমে মাঝারি আঁচে এক বার হালকা করে ভেজে তুলে রাখুন। ঠান্ডা হয়ে এলে বেশি আঁচে আবার ভেজে নিন। একেবারে রেস্তরাঁর মতোই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরি হবে।