মটন সুখা। ছবি-সংগৃহীত
পাঁঠার মাংস খেতে ভালবাসেন অনেকেই। নেহাতই স্বাস্থ্যের কারণে নিষেধ না থাকলে এ খাবার বাদ দিতে চান না কেউই। সারা সপ্তাহ ব্যস্ততার কারণে হেঁশেলে ঢোকার সময় পান না অনেকে। তবে সপ্তাহান্তে একটু রকমারি পদের স্বাদ না নিলে মন খারাপ হয়ে যায়। বর্ষা ইলিশের মরসুম হলেও ছুটির দিনে স্বাদের বদল ঘটাতে বানিয়ে নিতে পারেন মটন সুখা। রাতের খাবারে রুটি বা পরোটার সঙ্গে বেশ মানাবে। রইল প্রণালী।
উপকরণ:
পাঁঠার মাংস: ৫০০ গ্রাম
পেঁয়াজ কুচি: ১ কাপ
রসুন কুচি: ১ টেবিল চামচ
আদা কুচি: ১ চা চামচ
ধনেপাতা: কুচি আধ কাপ
ছোট এলাচ: ৩টি
লবঙ্গ: ৪টি
দারচিনি টুকরো: ১টি
তেজপাতা: ৩টিনারকেল কুচি: আধ কাপ
হলুদ গুঁড়ো: ২ চা চামচ
জিরে গুঁড়ো: ১ চা চামচ
ধনে গুঁড়ো: ১ চা চামচ
গরম মশলা গুঁড়ো: আধ চা চামচ
নুন: স্বাদ মতো
তেল: পরিমাণ মতো
প্রণালী
একটি বাটিতে দু’চামচ ঘি, হলুদ গুঁড়ো, লাল লঙ্কা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, নুন ও এক টেবিল চামচ নারকল কুচি, আদা-রসুন বাটা মাংসের সঙ্গে মাখিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন।
এ বার কড়াইয়ে তেল গরম করে গোটা গরম মশলা ফোড়ন দিন। গন্ধ বেরোলে পেঁয়াজ কুচি, আদা কুচি, রসুন কুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন।
পেঁয়াজ বাদামি রং ধরতে শুরু করলে কুচনো নারকেল দিয়ে আরও ২-৩ মিনিট নাড়াচাড়া করুন। এর সঙ্গে ধনেপাতা ও সামান্য জল মিশিয়ে নামিয়ে ঠান্ডা করে মিক্সিতে বেটে নিন।
কড়াই নামিয়ে প্রেশার গরম করতে বসান। তাতে ঘি গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন।
পেঁয়াজ সোনালি রং হয়ে এলে ম্যারিনেট করা মাংস দিয়ে কষাতে থাকুন। গন্ধ বেরোলে ৪ কাপ মতো জল দিয়ে প্রেশারের মুখ বন্ধ করে দিন। সিদ্ধ হলে নামিয়ে নিন।
কড়াইতে বাকি ঘি গরম করে এক চামচ নারকেল কুচি, এবং মিক্সিতে বেটে রাখা ওই মিশ্রণটি দিয়ে মিনিট দুয়েক নাড়তে থাকুন। বাটা মশলার গন্ধ কেটে গিয়ে তেল ছেড়ে এলে মাংস দিয়ে দিন।
মাঝারি আঁচে মাংস নাড়তে থাকুন। অল্প জল দিন। নাড়তে নাড়তে জল শুকিয়ে এলে উপর থেকে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। পরোটা বা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন মটন সুখা।