ডাল-চিংড়ির যুগলবন্দিতে জমবে দুপুরের ভোজ। ছবি: শাটারস্টক।
রোজের খাবারে ডাল না থাকলে মুখ ভার হয়ে যায় অনেকের। কেউ কেউ খাবারের শুরুর পাতে ডাল খেলেও অনেকেই আবার ডাল খান একেবারে শেষপাতে। তবে রোজকার পাতলা ডাল-ভাতের বদলে যদি বানানো যায় ডালের চচ্চড়ি, তা হলে কেমন হয়? চচ্চড়ি তো সব্জির বা মাছের হয় বলে শুনেছেন। কিন্তু ডালের চচ্চড়ি, সে আবার হয় নাকি! আলবাত হয়। আর ডালের সঙ্গে যদি ঘটে চিংড়ির মেলবন্ধন, তা হলে তো কথাই নেই। চটজলদি বানিয়ে ফেলুন ডাল-চিংড়ির চচ্চড়ি।
ডালের এই রেসিপি কেবল ভাতের সঙ্গেই নয়, রুটি কিংবা পরোটার সঙ্গেও জমবে ভালই। স্বাদ বদল করতে বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন এই সহজ পদ। সামান্য কয়েকটি উপকরণ দিয়েই বানিয়ে ফেলা যায় এই পদটি।
উপকরণ:
ডাল-চিংড়ির চচ্চড়ি। ছবি: শাটারস্টক।
মুসুরির ডাল: ২৫০ গ্রাম
কুচো চিংড়ি: ২০০ গ্রাম
পেঁয়াজ কুচি: ৬ টেবিল চামচ
আদা-রসুন বাটা: ২ টেবিল চামচ
টম্যাটো কুচি: ৬ টেবিল চামচ
কাঁচা লঙ্কা: ৪টি
হলুদ গুঁড়ো: ১ চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো: ১ চামচ
ধনে গুঁড়ো: ২ চামচ
শুকনো লঙ্কা: ২টি
গোটা গরম মশলা: ৫ গ্রাম
গরম মশলার গুঁড়ো: ১ চা চামচ
সর্ষের তেল: ৩ টেবিল চামচ
নুন-চিনি: স্বাদ মতো
ঘি: ১ চামচ
প্রণালী:
কড়াইয়ে সর্ষের তেল গরম করে চিংড়িগুলি ভেজে তুলে নিন। সেই তেলেই গোটা গরমমশলা ও শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি, আদা-রসুন বাটা, কাঁচা লঙ্কা ও টম্যাটো দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। মশলার কাঁচা গন্ধ চলে গেলে তাতে সব রকম গুঁড়ো মশলা দিয়ে আরও কিছু ক্ষণ নাড়াচাড়া করুন। মশলা থেকে তেল ছেড়ে এলে ভেজে রাখা চিংড়িগুলি মিশিয়ে দিন। তার পর ভিজিয়ে রাখা ডাল দিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করুন। স্বাদ মতো নুন-চিনি দিন। এ বার সামান্য জল দিয়ে কড়াই ঢেকে দিন। মিনিট পনেরো পর ঢাকা খুলে দেখুন। ডাল ঘন হয়ে এলে গরম মশলা গুঁড়ো আর ঘি ছড়িয়ে গ্যাসের আঁচ বন্ধ করে দিন। গরম ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন ডাল-চিংড়ির চচ্চড়ি।