চিতল না পেলে মুরগি দিয়েই বানিয়ে ফেলুন মুইঠ্যা। ছবি: শাটারস্টক।
বাজারে গেলে আর কিছু আসুক না আসুক মুরগি আসবেই বাড়িতে। তবে রোজ রোজ মুরগির ঝোল, কষা খেতে খেতে অনেকেই বিরক্ত হন। আবার সপ্তাহান্তে একটু আয়েশ করে মুরগি না খেলে ছুটির দিনটা ঠিক ছুটি বলে মনে হয় না। স্বাদ বদল করতে কী যে রাঁধবেন ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না? মুরগি দিয়ে মুইঠ্যা বানালে কেমন হয়? জেনে নিন, কী ভাবে বানাবেন এই পদ।
উপকরণ:
৫০০ গ্রাম মুরগির কিমা
১ কাপ পেঁয়াজ কুচি
২ টেবিল চামচ আদা বাটা
২ টেবিল চামচ রসুন বাটা
আধ চা গোটা জিরে
১ চা চামচ গরম মশলা
১ টেবিল চামচ লঙ্কা গুঁড়ো
২ টেবিল চামচ ধনে গুঁড়ো
২ চা চামচ কাঁচা লঙ্কা কুচি
২ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি
১ চা চামচ গুঁড়ো হলুদ
স্বাদ মতো নুন ও চিনি
পরিমাণ মতো লবঙ্গ, দারচিনি, এলাচ
আদ চা চামচ জায়ফল গুঁড়ো
১ কাপ টম্যাটো কুচি
পরিমাণ মতো সাদা তেল
১ টেবিল চামচ ঘি
প্রণালী:
১) একটা বড় বাটিতে মুরগির কিমা, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, গরম মশলার গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, কাঁচা লঙ্কা কুচি, ধনেপাতা কুচি, গুঁড়ো হলুদ, নুন এক সঙ্গে মিশিয়ে নিন। হাতের চাপে গোল গোল কোপ্তা তৈরি করে সরিয়ে রাখুন।
২) এ বার ফুটন্ত গরম জলে কোপ্তাগুলি সেদ্ধ করে নিন। তার পর জল ঝরিয়ে ঠান্ডা করে নিন। ফ্রাইং প্যানে তেল গরম করে কোপ্তাগুলি বাদামি করে ভেজে তুলুন। হয়ে গেলে তেল থেকে তুলে টিস্যুতে রেখে অতিরিক্ত তেল শুষে নিন। প্যানে আবার তেল গরম করে জিরে, গোটা গরম মশলা ফোড়ন দিন। ফোড়ন ফুটতে শুরু করলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজতে থাকুন। যতক্ষণ না পেঁয়াজের রং বদলাচ্ছে। এর মধ্যে আদা-রসুন বাটা দিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করে নিন।
৩) এ বার টম্যাটো কুচি, নুন ও সব গুঁড়ো মশলা দিন। নাড়তে থকুন যতক্ষণ না টম্যাটো নরম হয়ে তেল ছাড়ছে। এক কাপ জল দিয়ে ফুটতে শুরু করলে আঁচ কমিয়ে মুইঠ্যাগুলি ছাড়ুন। ১০ মিনিট মৃদু আঁচে রেখে ধনেপাতা কুচি, ঘি আর গুঁড়ো গরম মশলা ছড়িয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিন। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন চিকেন মুইঠ্যা।