—প্রতীকী ছবি।
সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিয়ের কার্ড শিল্পে নানা ধরনের পরিবর্তন এসেছে। কখনও কার্ডের রঙে, আবার কখনও লেখার ধরনে। বিয়ের চিঠি খুললেই তার প্রথম পাতায় থাকে পাত্র-পাত্রীর পরিচয়, অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ এবং স্থান। পৃথিবীর প্রায় সর্বত্রই এ ক্ষেত্রে নিয়মটি এক। তবে পাত্র বা পাত্রী কোথায় পড়াশোনা করেছেন, সে সম্পর্কে বিয়ের চিঠিতে কিছু লেখার প্রয়োজন পড়তে পারে, তেমন কথা কস্মিনকালে কেউ ভেবেছিলেন কি? তবে সম্প্রতি তেমনই একটি কার্ড সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
পাত্রের নাম পীযূষ বাজপেয়ী এবং পাত্রী মমতা মিশ্র। দু’জনেই দেশের বিখ্যাত দু’টি প্রতিষ্ঠান থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছেন। এক জন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) মুম্বই এবং অন্য জন আইআইটি দিল্লি থেকে পাশ করেছেন। বিয়ের চিঠিতে পাত্র-পাত্রীর পরিচয়ের পাশে উল্লেখ করা সেই প্রতিষ্ঠান নাম। বিয়ের তেমন চিঠিই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে বিয়ের এই নিমন্ত্রণপত্রটি তাঁদের বন্ধুদের কারসাজি কি না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। কারণ, এই ধরনের প্রতিষ্ঠান দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে। সেখানকার প্রাক্তনীদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে নানা মজার ঘটনার কথা শোনা গিয়েছে আগেও। বিভিন্ন রাজ্যের এই প্রতিষ্ঠান থেকে আসা প্রাক্তনীদের মধ্যে একতা চোখে পড়ার মতো। তাদের মধ্যে এই ধরনের ঠাট্টা-তামাশা চলতে থাকে প্রায়শই।
তবে সমাজমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া মাত্রই বিষয়টি যে শুধু মজার থাকবে না, তা তো জানা কথাই। নীতিপুলিশেরা বিয়ের সেই চিঠি দেখে দু’টি দলে ভাগ হয়ে গিয়েছেন। এক দলের প্রশ্ন, এটি বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র না চাকরির আবেদনপত্র? অন্য দলের বক্তব্য, পুরো বিষয়টিই লোকদেখানো। না হলে বিয়ের কার্ডে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উল্লেখ থাকার কোনও কারণ নেই।