দক্ষিণী রন্ধনশৈলীতে রেঁধে দেখবেন নাকি সজনেপাতার ভাত? ছবি: সংগৃহীত।
সজনে ডাঁটা, সজনে ফুল তো খেয়েছেন। কিন্তু সজনেপাতার গুঁড়ো খেয়েছেন কি? অনলাইনে ‘মোরিঙ্গা’ লিখে খোঁজ করলেই মিলবে তার সন্ধান। আসলে এই মোরিঙ্গা হল সজনেপাতার গুঁড়ো।
কেন খাবেন?
সজনেপাতার গুঁড়ো বা মোরিঙ্গায় রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, আয়রন, ভিটামিন বি২, ভিটামিন এ, ম্যাগনেশিয়াম। পুষ্টিগুণের জন্য দিনে দিনে মোরিঙ্গা খাওয়ার চল বাড়ছে। এটি ক্যাপসুল আকারে সাপ্লিমেন্ট হিসাবেও খাওয়া হয়। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর সজনেপাতার গুঁড়ো কোলেস্টেরল কমাতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
তবে কী ভাবে সজনেপাতা খাবেন, তা নিয়ে চিন্তা? তা হলে বরং দক্ষিণী রন্ধনশৈলীতে বানিয়ে ফেলুন সজনেপাতার ভাত।
উপকরণ
২ কাপ ভাত
১ টেবিল চামচ সাদা তেল
৩-৪টি লবঙ্গ
৩-৪ কোয়া রসুন
২-৩টি শুকনো লঙ্কা
সামান্য একটু তেঁতুল
১ চা চামচ গোটা জিরে
১ চা-চামচ গোটা ধনে
২ চা-চামচ ছোলার ডাল
২ চা-চামচ বিউলির ডাল
১ চা-চামচ সাদা তিল
১ কাপ সজনেপাতা
এক চিমটে হলুদ এবং হিং
১ চা-চামচ সর্ষে
স্বাদমতো নুন
৫-৬টি কাজুবাদাম
এক মুঠো চিনেবাদাম
কয়েকটি কারিপাতা
পদ্ধতি
রান্নাটি কয়েকটি ধাপে করতে হবে। প্রথমে তৈরি করে নিতে হবে ‘পোড়ি’। দক্ষিণী রন্ধনশৈলীতে বিভিন্ন মশলার মিশ্রণকে ‘পোড়ি’ বলা হয়।
তেল গরম করে রসুন কুচি, শুকনো লঙ্কা, তেঁতুল দিয়ে হালকা নাড়াচাড়া করে নিন। এর সঙ্গে মেশান ছোলা এবং বিউলির ডাল, গোটা জিরে, ধনে এবং তিল। সমস্ত উপকরণ হালকা ভেজে সরিয়ে রাখুন। এ বার কড়ায় তেল দিয়ে সজনেপাতা মুচমুচে করে ভেজে নিতে হবে। এ বার মিক্সিতে সজনেপাতা, নাড়াচাড়া করে নেওয়া মশলা, হিং, নুন, হলুদগুঁড়ো একসঙ্গে বেটে নিন।
পরের ধাপে বেটে নেওয়া পোড়ি মশলা রান্না করা ভাতের সঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
এ বার দিতে হবে ফোড়ন। গরম তেলে সামান্য কালো সর্ষে, বিউলির ডাল, ছোলার ডাল, চিনেবাদাম দিয়ে হালকা নাড়িয়ে নিন। এর পর যোগ করুন কাজুবাদাম। তার পর শুকনো লঙ্কা। সমস্ত উপকরণ ভাল করে নাড়িয়েচাড়িয়ে ভাতের সঙ্গে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে পদটি।