ডাল দিয়ে রকমারি পদ। ছবি: সংগৃহীত।
ভাতের সঙ্গে একবাটি পাতলা ডাল না হলে বাঙালির চলে না। বিভিন্ন রাজ্যে রুটি, পরোটা সহযোগে ডাল খাওয়ার চল আছে। মুসুর, মুগ, বিউলি, ছোলা, মটর— রকমারি ডালের রকমারি গুণ। কোনওটিতে প্রোটিন থাকে বেশি মাত্রায়। কোনওটিতে আয়রন, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ফোলেটের মতো জরুরি খনিজ মেলে।
তবে ভাত বা রুটির সঙ্গে ছাড়াও সকালের জলখাবারে কিন্তু ডাল যোগ করতে পারেন। না, শুধু ডাল চুমুক দিয়ে খেতে হবে না। বরং ডাল দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু পদ।
ছোলার ডালের ধোকলা
গুজরাতি খাবার ধোকলা এখন ভারতের বিভিন্ন প্রান্তেই জনপ্রিয়। সাধারণত বেসন দিয়ে এটি তৈরি হয়। তবে ছোলার ডাল দিয়েও ধোকলা বানিয়ে নিতে পারেন। এক কাপ ভিজিয়ে রাখা ছোলার ডালের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ চাল মিশিয়ে নিতে হবে। আধ ইঞ্চি আদা, ২টি কাঁচালঙ্কা দিয়ে ডাল ও চাল বেটে নিতে হবে। মেশাতে হবে সামান্য টক দই ও স্বাদমতো নুন। তার পর আট ঘণ্টা মিশ্রণটি ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে গ্যাঁজানোর জন্য। সব শেষে এক চা-চামচ ইনো দিয়ে মিশ্রণটি ভাল করে ফেটিয়ে নিতে হবে। কড়াইতে জল দিয়ে তার উপরে একটি পাত্রে মিশ্রণটি ঢেলে ভাপিয়ে নিলেই তৈরি ধোকলা। স্বাদ বাড়ানোর জন্য উপর থেকে সর্ষে ও কারিপাতা ফোড়ন দিতে পারেন।
বিউলির ডালের আপ্পে
সকালের খাবারে নামমাত্র তেল দেওয়া বিউলির ডালের আপ্পে খেতেও যেমন ভাল লাগে, তেমনই স্বাস্থ্যকরও। এক কাপ বিউলির ডাল ভিজিয়ে নিতে হবে। ডালের সঙ্গে কয়েকটি কাঁচালঙ্কা, ধনেপাতা ও জল দিয়ে বেটে নিতে হবে। মিশ্রণটি খুব পাতলা হবে না। এর পর দিয়ে দিতে হবে আধ কাপ সুজি। সব কিছু ভাল করে মিশিয়ে আধ ঘণ্টা রাখতে হবে। এর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে পেঁয়াজ কুচি, আদা, জিরে ও স্বাদমতো নুন ও এক চিমটে খাওয়ার সোডা। আবার সমস্ত উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। তার পর আপ্পাম বা আপ্পে তৈরি করার গোল গোল খোপকাটা পাত্রে ব্রাশে করে তেল লাগিয়ে মিশ্রণটি ঢেলে দিতে হবে। হালকা আঁচে ঢাকা দিয়ে দিয়ে রান্নাটি করতে হবে।
মুসুর ডালের দোসা
এক কাপ ভিজিয়ে রাখা মুসুর ডাল, কয়েক কোয়া রসুন ও লাল লঙ্কা মিশিয়ে বেটে নিতে হবে। দিতে হবে স্বাদমতো নুন। তার পর চ্যাপ্টা কড়াইতে দোসার পাতলা করে হাতার সাহায্যে মিশ্রণটি দিতে হবে। উপর থেকে পেঁয়াজ ও লঙ্কা কুচি ছড়িয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে মুসুর ডালের দোসা।