প্রতীকী ছবি।
এখন অনেকেই স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে উঠেছেন। কম তেলে রান্না করার অভ্যাস তাই তৈরি করছেন সকলে। আবার অনেকে নানা কোলেস্টেরল, ফ্যাটি লিভারের মতো নানা রকম শারীরিক সমস্যার জন্যেও এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁরা সামান্য তেলে রান্না সারার চেষ্টা করছেন।
কিন্তু তেল কম পড়লেই রান্নার স্বাদ বদলে যাবে, এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। কম তেলেও দারুণ রান্না হওয়া সম্ভব। বিকল্প কিছু উপায় জানা থাকতে হবে শুধু। জেনে নিন কী ভাবে করবেন।
দই
প্রচুর তেলে মাছ-মাংস রান্না না করে দই দিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন। যদি ৭-৮ ঘণ্টা মাংস ম্যারিনেট করতে পারেন, তা হলে মাংসও নরম হবে এবং রান্নার সময় অনেকটাই তেল ছা়ড়বে। তাতে তেল কম লাগবে। মাছ বা কোনও সব্জিও একই ভাবে রান্না করতে পারেন।
সতেঁ
অল্প তেলে ভেজে নেওয়ার কায়দাকে বলে সঁতে। তবে তেল ছাড়া যদি রান্না সারতে চান তা হলে তেলের বদলে ভেজিটেবিল বা চিকেন ব্রথেও সঁতে করতে পারেন।
প্রতীকী ছবি।
ভাপা
এখন বাজারে নানা রকম স্টিমার পাওয়া যায়। বাড়িতে রাইস কুকার থাকলেও স্টিম করতে পারেন। না থাকলে একটি কড়াইয়ে জল ফুটিয়ে তাতে একটি স্ট্যান্ডে বাটি বসিয়ে দিন। সেই বাটিতে রান্না করুন। দিব্যি স্টিম হয়ে যাবে! যে কোনও খাবার ভাপিয়ে রান্না করলে তেল লাগবে না। এতে পুষ্টিগুণ বজায় থাকবে এবং খাবার অনেক বেশি স্বাস্থ্যকরও হবে।
বেক বা রোস্ট
তেল ছাড়া বা একদম কম তেলে রান্না করতে চাইলে খানিকটা অলিভ অয়েল ব্রাশ করে সব্জি বা মাছ-মাংস সহজেই বেক বা রোস্ট করে নিতে পারেন। পার্চমেন্ট পেপার দিয়ে দেবেন নীচে যাতে বেকিং ট্রেতে সব্জি লেগে না যায়। পার্চমেন্ট পেপার এমনিতে অনেক উচ্চ তারমাত্রায়ও ঠিক থাকে। তবে ভাল করে প্যাকেটের গায়ে লেখা নির্দেষগুলি পড়ে নেবেন। অভেনের মধ্যে যেন আগুন না ধরে যায়, তা খেয়াল রাখতে হবে।