কী ভাবে আলু রাঁধবেন? ছবি: সংগৃহীত।
‘আলুদোষ’ নিয়ে সমস্যা থাকতে পারে। কিন্তু আলুভাজা বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস নিয়ে আট থেকে আশি কারও কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার ভয়ে নিশ্চিন্তে আলু খেতে পারেন না। আবার দেহের বাড়তি মেদ নিয়েও মাথাব্যথা রয়েছে। এই সবের নেপথ্যে রয়েছে উচ্চ ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেট-যুক্ত খাবার। তার সঙ্গে সেই খাবারে স্টার্চ বা গ্লাইসেমিক ইনডেস্ক বেশি থাকলে তো কথাই নেই। উপরের এই সব ক’টি উপাদানই রয়েছে আলুর মধ্যে। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে আলুর গুরুত্ব কম নয়। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, শুধু আলু নয়, যে কোনও ধরনের স্টার্চজাতীয় খাবার বেশি খেলেই মোটা হবেন। তবে রান্নার পদ্ধতি জানলে আলুকেও নির্বিষ করে তোলা যায়।
কী ভাবে আলু রাঁধলে তার মধ্যে থাকা স্টার্চের পরিমাণ কমানো যাবে?
১) সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হল কাটার আগে জলে আলু ভিজিয়ে রাখা। আলু কেটে ভিজিয়ে রাখুন অন্ততপক্ষে আধ ঘণ্টা। সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে পারলে আরও ভাল হয়।
২) কেটে রাখা আলুর টুকরো কয়েক মিনিট গরম জলে ভাপিয়ে নিয়ে সরাসরি বরফজলে দিয়ে দিন। এতে সব্জিতে স্টার্চের পরিমাণ যেমন কমবে, তেমন আলুর রং এবং মসৃণ ভাবও বজায় থাকবে।
৩) গ্রেট করা বা একেবারে মিহি করে কাটা আলু সেদ্ধ করা যায় না। সে ক্ষেত্রে স্টার্চ দূর করার উপায় হল ঠান্ডা জলে বার বার তা ধুয়ে নেওয়া।
৪) আলু ভাজার বদলে বেক করে খেলেও এই সব্জির মধ্যে স্টার্চের পরিমাণ কমানো যায়। আরও একটি টোটকা হল খোসা-সহ রান্না করা। খোসা সমেত আলু সেদ্ধ বা বেক করলে তার মধ্যে থাকা স্টার্চ শুষে নেয়।
৫) ভিনিগার কিংবা লেবুর রস মধ্যে আলু ভিজিয়ে রাখলেও স্টার্চের পরিমাণ কমানো যায়। কাচের পাত্রের মধ্যে পরিমাণ মতো অ্যাসিড-যুক্ত তরলের মধ্যে আলু কেটে জারিয়ে রাখতে হবে বেশ কিছু ক্ষণ। হাতে সময় না থাকলে আলু সেদ্ধ করার সময়ে ভিনিগার বা লেবুর রস ছড়িয়ে দিতে পারেন। তাতেও কাজ হবে।