সন্ধ্যায় চপ, তেলেভাজা নয়, চায়ের সঙ্গে থাকুক কিছু পুষ্টিকর স্ন্যাকস। ছবি: সংগৃহীত
পার্টি হোক কিংবা নিছক ঘরোয়া আড্ডা, ভোজনরসিক বাঙালির টুকিটাকি খাবার না হলে ঠিক জমে না! তবে স্ন্যাকস মানেই তো অস্বাস্থ্যকর খাবার, যা নিয়মিত খেলেই শরীরে কোলেস্টেরলের চোখ রাঙানি অবধারিত। কিন্তু বাড়িতে অতিথি এলেই সুস্বাদু স্ন্যাকস তো বানাতেই হবে। স্বাদের খেয়াল তো রাখবেনই, কিন্তু শরীরের প্রতি অযত্ন করলেও চলবে না। তাই সন্ধ্যায় চপ, তেলেভাজা নয়, চায়ের সঙ্গে থাকুক কিছু পুষ্টিকর স্ন্যাকস।
ওজন ঝরাতে অনেকেই প্রাতরাশে ওট্স খান। কেউ ভালবেসে খান, কেউ আবার বাধ্য হয়ে। ওট্সের নিজস্ব কোনও স্বাদ হয় না। তবে চাইলে ওট্স দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন মুখোরোচক খাবার। রইল প্রণালী।
ওট্স টিক্কি:
এক কাপ ওট্স নিয়ে ভাল করে গুঁড়ো করে নিন। এ বার একটি পাত্রে ওটসের গুঁড়ো, ছানা, পেঁয়াজ কুচি, ক্যাপসিকাম কুটি, গাজর কুচি, ধনেপাতা কুচি, নুন, চিনি, লঙ্কার গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। সামান্য জল দিয়ে খুব ভাল করে সব উপকরণগুলি মিশিয়ে নিন। ছোট ছোট টিক্কির আকারে বানিয়ে নিয়ে অল্প তেলে স্যালো ফ্রাই করুন। ধনে পাতার চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করুন গরম গরম ওট্স টিক্কি।
প্রতীকী ছবি
ওট্স মাশরুম কাটলেট
মাশরুম, কাঁচা লঙ্কা আর কয়েক কোয়া রসুন সামান্য দুধ দিয়ে মিক্সিতে বেটে নিন। এ বার কড়াইতে সামান্য তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা লঙ্কা কুচি ও রসুন কুচি হালকা করে ভেজে নিন। তারপর মাশরুমের মিশ্রণটি দিয়ে ভাল করে নাড়াচড়া করুন। নুন এবং সামান্য গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়ে নিন। এ বার ওট্স দিয়ে মিশিয়ে নিন। প্রয়োজনে সামান্য দুধ আরও দিতে পারেন। ওট্স সেদ্ধ হয়ে গেলে মিশ্রণটি শুকিয়ে নিন। গ্যাসের আঁচ বন্ধ করে ঠান্ডা করে নিন। এ বার মিশ্রণটি দিয়ে কাটলেট গড়ে নিন। কাটলেটগুলির গায়ে ওটস মাখিয়ে অল্প তেলে বেজে নিন। মেয়োনিজের সঙ্গে পরিবেশন করুন মুচমুচে ওট্স কাটলেট।
ওট্স কাবলি ছোলার পকোড়া
ভিজিয়ে রাখা কাবলি ছোলা এবং ওটস একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এ বার ওই মিশ্রণের সঙ্গে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা লঙ্কা কুচি, টেমেটো কুচি, ধনেপাতা কুচি, নুন, চাট মশলা, গোলমরিচ গুঁড়ো, বিস্কুটের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এ বার ওই মিশ্রণ থেকে ছোট ছোট পকোড়া গড়ে হালকা তেলে ভেজে নিন। ছুটির দিনে চায়ের সঙ্গে জমে যাবে এই পকোড়া।