কোন ৫ দেশের পিৎজ়ার নামডাক বিশ্ব জুড়ে? ছবি: শাটারস্টক।
পিৎজ়া, এই খাবারটি আট থেকে আশি সবাই কমবেশি খেতে ভালবাসেন। বিশ্বের নানা প্রান্তে ঘুরতে গিয়েই এই খাবারটি পাওয়া যেতে পারে। পিৎজ়া সবার আগে তৈরি হয় ইটালির নেপলসে। শ্রমজীবী মানুষের খাবার হিসাবেই পিৎজ়ার জন্ম। ইটালি পেরিয়ে পিৎজ়ার নামডাক এখন বিশ্ব জুড়ে। তবে কোন দেশে ঘুরতে গেলে পিৎজ়ার স্বাদ আপনার মনে ধরবে, রইল তার হদিস।
নেপলসের পিৎজ়া: যেহেতু এ শহরেই লুকিয়ে পিৎজ়ার উৎস, তাই ইটালি ভ্রমণে গেলে নেপলসের পিৎজ়ার স্বাদ চেখে দেখতেই হবে। সেখানকার পিৎজ়ায় কাঁচা টোম্যাটো, মোজ়রেল্লা চি়জ়, তাজা তুলসী পাতা এবং অলিভ অয়েলের মতো উপকরণগুলি ব্যবহার করা হয়। নেপলসের পিৎজ়ায় চিজ়ের থেকে সসের পরিমাণ বেশি থাকে। আকারে ছোট হয়।
নিউ ইয়র্কের পিৎজ়া: নিউ ইয়র্কের পিৎজ়ার বৈশিষ্ট্য হল, এগুলি আকারে বিশাল বড় হয়। সেখানকার পিৎজ়ার বেস বা ক্রাস্টটি অনেক মোটা হয়। পিৎজ়ার উপরে অনেক বেশি সব্জি, সসেজ, মাংস ব্যবহার করা হয়, সঙ্গে মোৎজ়ারেল্লা চি়জ় আর বেশি করে সস্ ব্যবহার করা হয়।
শিকাগোর পিৎজ়ায় আগে সস্ নয়, আগে চিজ় দেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত।
শিকাগোর পিৎজ়া: অভেনে নয়, শিকাগোতে পিৎজ়া প্যানে বানানো হয়। তাই এ ধরনের পিৎজ়া বানাতে অনেক বেশি সময় লাগে। এই পিৎজ়ার বৈশিষ্ট্য হল, এতে উল্টো ভাবে টপিং দেওয়া হয়। আগে সস্ নয়, আগে চিজ় দেওয়া হয়। তার পর সব্জি, মাংস, সালামি, সসেজ দিয়ে সব শেষে সস্ দেওয়া হয়।
গ্রিসের পিৎজ়া: এই ধরনের পিৎজ়ার ক্রাস্ট কিংবা পাউরুটিটা খুব বেশি পাতলা হয় না, আবার অনেক মোটাও হয় না। সেখানকার পিৎজ়ায় যে সস্টি ব্যবহার করা হয়, তার স্বাদ অন্যান্য জায়গার সসের থেকে আলাদা হয়। গ্রিসের পিৎজ়ায় ফিটা চিজ়, শুকনো টোম্যাটো, অলিভ আর রোস্টেড পেপারের ব্যবহার বেশি করা হয়।
সেন্ট লুইয়ের পিৎজ়া: আমেরিকায় সেন্ট লুইতে ঘুরতে গেলে সেখানকার পিৎজ়াও চেখে দেখতে পারেন। এই পিৎজ়ার স্বাদ অনেকটাই আলাদা। এর ক্রাস্টটা নরম হয় না, বিস্কুটের মতো কড়া হয়। তিন কোণা আকৃতির নয়, এই পিৎজ়াগুলি চৌকো কিংবা আয়তাকারে কেটে পরিবেশন করা হয়। এই পিৎজ়ায় বিশেষ ধরনের চিজ় ব্যবহার করা হয়। মূলত শেডার, সুইস আর প্রোভোলোন চিজ়কে মিশিয়ে সেই চিজ় ব্যবহার করা হয়।