ফ্রাই অবধি ঠিক আছে, কিন্তু কবিরাজির আব্দার এলেই বাড়িতে বানানোর ঝক্কি সামলাতে না পারার ভয় ঘিরে ধরে। অগত্যা দোকান কিংবা অনলাইনই ভরসা। আসলে উপরের মোড়কটি তৈরি করা নিয়েই ঝঞ্ঝাটে পড়েন অনেকে। এই মোড়ক তৈরির কায়দা আয়ত্তে আনতে না পারাই কবিরাজিকে বানিয়ে তুলেছে ‘দোকানের খাবার’।
কিন্তু এই কায়দাটুকু আয়ত্তে আনতে পারলেই বাড়ির বানানো কবিরাজি দিয়ে মন জয় করতে পারেন অতিথির। চায়ের সঙ্গের স্ন্যাক্স হিসেবেই শুধু নয়, মেন কোর্সে ঢোকার আগে ‘স্টার্টার’ হিসেবেও অতিথির পাতে তুলে দিতে পারেন এটি।
কাটলেট ও উপরের কভার মিলিয়ে কী কী কায়দায় তা বানানো যায় জানেন? রইল হদিশ।
আরও পড়ুন: লেবু-তেঁতুলের যুগলবন্দিতে এই আচারি পমফ্রেটে জমিয়ে দিন পাত, কী ভাবে বানাবেন?
ফিশ কবিরাজি কাটলেট
উপকরণ
কাটলেটের জন্য লাগবে
ভেটকি মাছের ফিলে: চারটি
মিহি করে কুচিয়ে নেওয়া পেঁয়াজ: একটা
আদা বাটা: ১ চামচ
রসুন বাটা: ১ চামচ
লেবুর রস: ২ চামচ
কুচনো ধনেপাতা: ৩ টেবিল চামচ
কুচনো কাঁচালঙ্কা: স্বাদ অনুযায়ী
গোটা গরম মশলার গুঁড়ো: ১ চামচ
গোলমরিচ গুঁড়ো: আধ চামচ
নুন: স্বাদ মতো
চাট মশলা: আধ চাচামচ
ব্রেডক্রাম্ব: ৪ টেবিল চামচ
কভারেজের উপকরণ
ডিম: তিনটি
কর্নফ্লাওয়ার: ২ চামচ
নুন: স্বাদ মতো
থেঁতো করা গোলমরিচ: ১ চামচ
সর্ষের তেল
আরও পড়ুন: বিকেলে চায়ের সঙ্গে রাখুন মুচমুচে পনির কাটলেটের ডেডলি কম্বিনেশন!
পদ্ধতি
ভেটকির ফিলেতে লেবুর রস, পেঁয়াজকুচি, আদা-রসুনবাটা, কাঁচা লঙ্কা, গরম মশলা, চাট মশলা, ধনেপাতা, ব্রেড ক্রাম্ব, নুন, গোলমরিচ মিশিয়ে ভাল করে মেখে ফ্রিজে রেখে দিন। এর পর ফ্রিজ থেকে বার করে কাটলেটের আকারে তৈরি করে নিন। কাটলেটের গায়ে মাখিয়ে নিন আর একটু ব্রেডক্রাম্ব। এ বার অন্য আর একটি পাত্রে ডিম, কর্নফ্লাওয়ার, গোলমরিচ ও জল যোগ করে তা ভাল করে ফেটিয়ে নিন।
ডুবো তেলে ভাজতে হবে তাই প্যানে অনেকটা তেল গরম করে নিন। কাটলেটগুলোকে ডিমের ব্যাটারে ডুবিয়ে তেলে ছেড়ে দিন কাটলেটগুলো। আঁচ কমিয়ে ভাজুন। সোনালি হয় এলে দ্রুত হাতে একটি ঝাঁজরির মাধ্যমে গোটা কাটলটের গায়ে ছড়িয়ে দিন ডিমের ব্যাটারটা। সঙ্গে সঙ্গে ডিমের আস্তরণ প্রচুর ফেনার জন্ম দেবে। এই ফেনা দিয়েই মুড়ে দিন কাটলেটকে। তবে পুরোটই খুব দ্রুত আর তেলের মধ্যেই। এ বার ওই অবস্থায় কিছু ক্ষণ ভেজে তুলে নিন। তৈরি আপনার পছন্দের ফিশ কবিরাজি। পরিবেশন করুন টম্যাটো সসের সঙ্গে।