উৎসবের দিনে সাবুর খিচুড়ি বানিয়ে খেলে মন্দ হয় না। ছবি: সংগৃহীত
দুর্গাপুজোর চারদিন অনেকেই বাড়িতে নিরামিষ খান। তারই মধ্যে ষষ্ঠীর দিন অনেকেই আবার উপোস করেন। উপোসের দিন ভাত-রুটি খাওয়া চলে না। আর সারা দিন উপোস করার পর লুচি, পরোটা খেলে অনেকেরই আবার হজমের সমস্যা হয়। উপোসের দিন কী খাওয়া যায়, সেই ভাবনা নিয়ে নাজেহাল হতে হয় কমবেশি সকলকেই। রইল এমনই কিছু রেসিপির হদিস যা আপনি উপোসের দিনেও খেতে পারেন।
সাবুদানা খিচুড়ি
চালের জিনিস না খাওয়া গেলেও উপোসের দিন সাবুদানা খাওয়া যেতেই পারে। বাঙালির কাছে সাবু মানেই নারকেল, কলা ও দুধ দিয়ে সাবু মাখা। তবে উৎসবের দিনে সাবুর খিচুড়ি বানিয়ে খেলে মন্দ হয় না। এক কাপ সাবুদানা ধুয়ে জলে কিছু ক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। ফুলে গেলে জল ঝরিয়ে নিন। এ বার একটি পাত্রে সাবুদানা নিয়ে বাদাম, লঙ্কাগুঁড়ো ও নুন মিশিয়ে নিন। এ বার কড়াইতে সামান্য ঘি দিয়ে কারিপাতা ও জিরে ফোড়ন দিন। তার পর ঘিতে ১টা সেদ্ধ করে টুকরো করে কেটে রাখা আলুতে নুন ও কাচালঙ্কা কুচি দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। মেখে মশলা মাখানো সাবু দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। উপর থেকে লেবু ছড়িয়ে ঢেকে রাখুন মিনিট পাঁচেক। ১০ মিনিটেই তৈরি হয়ে যাবে সাবুর খিচুড়ি।
চালের জিনিস না খাওয়া গেলেও উপোসের দিন সাবুদানা খাওয়া যেতেই পারে। ছবি: সংগৃহীত
মাখানা খিচুড়ি
বাঙালি হেঁশেলে মাখানা এখন পরিচিত খাবার। তবে খিদে পেলে স্ন্যাকস হিসাবেই আমরা বেশি খাই মাখানা। তবে এই মাখানা দিয়ে খিচুড়িও বানানো যায় জানেন? জলে মিনিট ১৫ ধরে দু’ কাপ মাখানা ভিজিয়ে রাখুন। এ বার কড়াইতে ১ চামচ ঘি দিয়ে তাতে জিরে আর কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিন। এ বার এক মুঠো বাদাম দিয়ে ভেজে নিন। এ বার একটি সেদ্ধ করে টুকরো করে রাখা আলু, নুন, লঙ্কাগুঁড়ো ও আমচুরগুঁড়ো ও স্বাদমতো নুন দিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করুন। মাখানা দিয়ে মিশিয়ে নিন। ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে উপোসের দিনে উপভোগ করুন মাখানার খিচুড়ি।
রাঙাআলুর খিচুড়ি
উপোসের দিনে আপনার পাতে পড়তেই পারে রাঙাআলুর খিচুড়ি। কড়াইতে ২ চামচ ঘি দিয়ে তাতে জিরা, কাঁচালঙ্কা ও হিং ফোড়ন দিন। এ বার ৪টি গ্রেট করে রাখা রাঙাআলু দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। কড়াইটি মিনিট পঁচেক ঢাকা দিয়ে রাখুন। ঢাকা খুলে পরিমাণ মতো নুন, চিনি, ১ কাপ নারকেল কোরা, বাদাম কুচি, ধনেপাতা কুচি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিনি। মিনিট দুয়েক আরও রান্না করুন। তা হলেই তৈরি হয়ে যাবে রাঙা আলুর খিচুরি।