বরণ, সিঁদুরখেলা, কোলাকুলির শেষে আজ মিষ্টিমুখ করুন লুচির পায়েস দিয়ে। ছবি : সংগৃহীত
পুজোর চার-পাঁচটা দিন নানা রকম খাওয়া দাওয়া হলেও, বিজয়ার মিষ্টিতে একটু বিশেষত্ব রাখতেই হবে। যদিও আগের মতো বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজয়ায় প্রণাম করার চল এখন হারাতে বসেছে। তবু কিছু আত্মীয়-বন্ধুবান্ধব এখনও এই দিনে বাড়ি আসেন। অতিথি আপ্যায়নে তাই মিষ্টিমুখ করাতেই হবে। অন্যান্য সময় মিষ্টি নিয়ে আমরা যতই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি না কেন, দশমীতে বাঙালির পাতে সাবেক ছোঁয়া রাখতেই হবে। তার মধ্যে নারকেলের মিষ্টি, গজা তো থাকবেই। তেমনই আরও একটি হারিয়ে যাওয়া পদ হল লুচির পায়েস। বরণ, সিঁদুরখেলা, কোলাকুলির শেষে আজ মিষ্টিমুখ করুন লুচির পায়েস দিয়ে।
লুচির পায়েস করতে কী কী লাগবে দেখে নিন।
উপকরণ
দুধ : ২ লিটার
খোয়া ক্ষীর : ২৫০ গ্রাম
ময়দা : ২ কাপ
সাদা তেল : লুচি ভাজার মতো
চিনি : ২ কাপ
কাঠবাদাম : ৪ টেবিল চামচ
কাজু : ৪ টেবিল চামচ
কিসমিস : ৪ টেবিল চামচ
পেস্তা : ৪ টেবিল চামচ
ছোট এলাচের গুঁড়ো : ১ চা-চামচ
প্রণালী
১) প্রথমে লুচি তৈরি করার জন্য ময়দা মেখে, চাপা দিয়ে রাখুন।
২) এর পর খোয়া ক্ষীরের মণ্ডটিকে হাত দিয়ে ভেঙে গুঁড়ো করে নিন।
৩) গুঁড়ো করা খোয়া কড়াইতে নিয়ে, হালকা আঁচে নাড়তে থাকুন।
৪) মিশ্রণটি ঘন হয়ে এলে, এর মধ্যে দিন ১ কাপ চিনি, কুচি করে রাখা কাজু, পেস্তা এবং কাঠ বাদাম এবং আধ চা-চামচ এলাচের গুঁড়ো। ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে, গ্যাস বন্ধ করে দিন।
৫) এ বার মেখে রাখা ময়দা থেকে ছোট ছোট লেচি কেটে নিন।
৬) হাত দিয়ে লেচিগুলোকে চেপে বাটির মতো করে, ভিতরে ক্ষীরের পুর ভরে দিন।
৭) এ বার লুচি বেলে নিয়ে, সাদা তেলে ভেজে, তুলে রাখুন।
৮) আরেকটি পাত্রে দুধ ফুটিয়ে নিন। দুধ ঘন হয়ে এলে ওর মধ্যে দিয়ে দিন ১ কাপ চিনি।
৯) চিনি মিশে গেলে, এর মধ্যে ভেজে রাখা ক্ষীরের লুচিগুলো দিয়ে দিন।
১০) একটু ফুটে এলে উপর থেকে এলাচ গুঁড়ো এবং আরও একটু বাদাম কুচি ছড়িয়ে দিন।