শেষ পাতে এক দিন খাওয়াতেই পারেন ফ্রুট ক্রিম মুস। ছবি : সংগৃহীত
রাত পোহালেই দশমী। দেবীর কৈলাসে ফেরার পালা। আবার এক বছরের অপেক্ষা। উৎসবের দিনগুলোতে নানা রকম খাওয়াদাওয়া তো চলতেই থাকে। কিন্তু বিজয়ার সময় অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি, মিষ্টিমুখ করার রীতি চলে আসছে। সাবেকি নানা রকম মিষ্টি তো আছেই। অনেকেই বাড়িতে খাবার নিয়ে নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। বিজয়া উপলক্ষে বাড়িতে অতিথি এলে, শেষ পাতে এক দিন খাওয়াতেই পারেন ফ্রুট ক্রিম মুস।
দু’জনের ফ্রুট ক্রিম মুস তৈরি করতে কী কী লাগবে দেখে নিন।
উপকরণ
১) দুধ : ৪ কাপ (ঠান্ডা)
২) চিনি : আধ কাপ
৩) কাস্টার্ড পাউডার : ৪ টেবিল চামচ
৪) ঘন ক্রিম : ২ কাপ
৫) চিনিগুঁড়ো : ১ কাপ
৬) ভ্যানিলা এসেন্স : ১ চা-চামচ
৭) কাঠ বাদাম কুচি : ৪ টেবিল চামচ
৮) পেস্তা কুচি : ৪ টেবিল চামচ
৯) কাজু কুচি : ৪ টেবিল চামচ
১০) খেজুর কুচি : ৪ টেবিল চামচ
১১) স্ট্রবেরি কুচি : ৬টি
১২) আঙুর কুচি : ২০টি
১৩) কমলালেবু কুচি : ২টি
১৪) আপেল কুচি : ২টি
১৫) চিয়া বীজ : ১ টেবিল চামচ
১৬) রুহ আফজা : ১ টেবিল চামচ
১৭) টুটি ফ্রুটি : ২ টেবিল চামচ
প্রণালী
১) প্রথমে একটি পাত্রে দু’কাপ দুধ, আধ কাপ চিনি এবং ২ টেবিল চামচ কাস্টার্ড পাউডার, একসঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন যেন দলা পাকিয়ে না থাকে।
২) এই পুরো মিশ্রণটিকে হালকা আঁচে বসিয়ে দিন। সমানে নাড়তে থাকুন।
৩) একটু ঘন হয়ে এলে নামিয়ে রাখুন। ঠান্ডা হলে আধঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন।
৪) অন্য একটি পাত্রে ২ কাপ ঘন ক্রিম, চিনিগুঁড়ো আধ কাপ এবং আধ চা-চামচ ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে ভাল করে ফেটাতে থাকুন। যত ক্ষণ না ঘন হয়ে ফুলে ওঠে।
৫) এর পর ঠান্ডা কাস্টার্ডের সঙ্গে ফেটানো ক্রিম ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৬) মেশানো হয়ে গেলে এর মধ্যে দিন কুচি করে রাখা কাঠ বাদাম, কাজু, পেস্তা এবং খেজুর।
৭) মেশানো হয়ে গেলে কুচি করে রাখা ফলগুলোও দিয়ে দিন।
৮) পুরোটা ভাল করে মিশিয়ে, ফ্রিজে রেখে দিন।
৯) এ বার কাচের গ্লাসে প্রথমে ১ চামচ চিয়া বীজ এবং আধ চামচ রুহ আফজা এবং ঠান্ডা কাস্টার্ড দিয়ে স্তরে স্তরে গ্লাস ভর্তি করুন।
১০) এর পর উপর থেকে আরও একটু বাদাম কুচি এবং টুটি ফ্রুটি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন ফ্রুট ক্রিম মুস।