ছবি: সংগৃহীত।
বাঙালি হেঁশেলে আমিষ রান্না মানেই পেঁয়াজের দেদার ব্যবহার। রান্নার স্বাদ, রং এবং গন্ধ বেড়ে যায় পেঁয়াজের গুণেই। রান্নায় কতটা পেঁয়াজ ব্যবহার করলে স্বাদ বাড়বে, সেটাও যেমন জানা জরুরি, তেমনই কত ক্ষণ সেই পেঁয়াজ ভাজতে হবে সেটাও জানতে হবে রাঁধুনীকে। শুধু পরিমাণের দিকে নজর দিলেই হবে না, কী ভাবে পেঁয়াজ কাটছেন, সেটাও দেখতে হবে। কোনও রান্নায় পেঁয়াজ কুচি ব্যবহার করলে স্বাদ বেশি হয়, কোনও রান্নায় আবার গোটা পেঁয়াজ ব্যবহার করলে স্বাদ আসে। কোন ধরনের রান্নায় কী ভাবে পেঁয়াজ কেটে ব্যবহার করলে স্বাদ বাড়বে, রইল হদিস।
ছবি: সংগৃহীত।
মিহি করে কাটা পেঁয়াজ
ফুচকা, পাপড়িচাট, ঝালমুড়ি মতো মুখরোচক খাবারে পেঁয়াজ কুচি ব্যবহার করা হয়। এই সব পদে মুখে বড় পেঁয়াজের টুকরো পড়লে খেতে ভাল লাগে না। খুব মিহি করে কাটা পেঁয়াজ রান্নায় দিলে সমস্যা হয়, কষানোর সময়ে তা গলে যায়। তবে রায়তা, স্যুপ, মোমোর মতো খাবার বানানোর সময়ে মিহি করে কাটা পেঁয়াজ ব্যবহার করলেই ভাল।
পেঁয়াজ কুচি
কালোজিরে দিয়ে পাতলা মাছের ঝোল কিংবা মুরগির লাল ঝোল— অধিকাংশ রান্নাতেই এ ভাবে পেঁয়াজ কেটে দেওয়া হয়। এই ধরনের পেঁয়াজ ব্যবহার করলে ঝোল একটু বেশি মাখো মাখো হয়। রান্নার সঙ্গে সহজেই মিশে যায় এ ধরনের পেঁয়াজ। এতে রান্নার স্বাদ আরও বেশি ভাল হয়।
গোল করে কাটা পেঁয়াজ
বার্গার, স্যান্ডউইচে দেওয়ার জন্য গোল করে কাটা পেঁয়াজ ব্যবহার করলেই ভাল। একটি বার্গারে এ ভাবে কাটা পেঁয়াজ পাশাপাশি বসিয়ে দিলে প্রতিটি কামড়েই পেঁয়াজের স্বাদ পাওয়া যায়। এ ছাড়া স্যালাড বানানোর সময়ও এই ভাবে পেঁয়াজ কাটা যায়।
পুরু করে কাটা পেঁয়াজ কুচি
এই আকৃতিতে কাটা পেঁয়াজ সাধারণত রান্নায় খুব একটা ব্যবহার করা হয় না। আকারে ছোট কিন্তু বেশ মোটা করে কাটা পেঁয়াজ আপনি ব্যবহার করতে পারেন র্যাপ, স্যালাডের মতো কোনও পদে। তাতে প্রতি বার খাবার খাওয়ার সময় মুখে পড়বে পেঁয়াজ। চাউমিন কিংবা রোল বানানোর সময়েও এই ধরনে কাটা পেঁয়াজ ব্যবহার করতে পারেন।
চৌকো করে কাটা পেঁয়াজ
চপ, কাটলেট, অমলেটের মতো খাবার তৈরি করার সময় ছোট চৌকো করে কাটা পেঁয়াজ ব্যবহার করতে পারেন। তবে চিলি চিকেন কিংবা অন্যান্য চিনা পদে ব্যবহারের সময় বড় আকারে চৌকো করে কাটা পেঁয়াজ ব্যবহার করতে হবে।