ছবি: সংগৃহীত।
মাছ, মাংস কিংবা ডিম থাকলেও, রোজের খাবারে সব্জির পদ রাখা জরুরি। পুষ্টিবিদেরাও সে কথা বলে থাকেন। তা ছাড়া রোজ সব্জি খাওয়ার তো বিকল্প নেই। কারণ সব্জিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা বিপাকে সাহায্য করে। কিন্তু সব্জির পদ রাঁধার সময় একটু বেশি সতর্ক থাকতে হয়। কারণ সব্জি রান্নার ক্ষেত্রে বিশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করাই শ্রেয়। একটু এ-দিক থেকে ও-দিক হলেই রান্নার স্বাদ তো বিগড়ে যায়ই, সেই সঙ্গে সব্জির স্বাস্থ্যগুণও হারিয়ে যায়। সেক্ষেত্রে রোজ সব্জি খেয়েও বিশেষ উপকার পাওয়া যায় না। পাঁচমিশালি তরকারি হোক কিংবা শাকের চচ্চড়ি— কোন ভুলগুলি এড়িয়ে গেলে শরীর ভাল থাকবে?
মশলাদার যেন না হয়
মশলার গুণেই সুস্বাদু হয় রান্না। এই ভাবনা ঠিক নয়। বেশি মশলা দিলেই রান্না ভাল হবে, তার কোনও মানে নেই। বিশেষ করে সব্জি রান্নার ক্ষেত্রে মশলা একেবারে এড়িয়ে চলুন। একান্ত মশলা দিতে হলে, দেওয়ার সময় সতর্ক থাকা জরুরি, যাতে প্রয়োজনের বেশি না পড়ে যায়। বেশি মশলা রান্নার স্বাদ তিতকুটে করে তোলে। তা ছাড়া শাকসব্জির সঙ্গে বেশি মশলা খাওয়াও ভাল নয়।
কম তেলে রান্না হোক
লুচি কিংবা পকোড়া ভাজার বিষয়টি আলাদা। কিন্তু রোজের সব্জি রান্নায় তেল যতটা সম্ভব অল্প ব্যবহার করুন। বেশি তেল দেওয়া রান্না হয়তো সুস্বাদু হয়। কিন্তু শরীরে এর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। তা ছাড়া বেশি তেল দিয়ে সব্জি রান্না করলে, সব্জির স্বাস্থ্যগুণও নষ্ট হয়। তাই শাকসব্জি রান্নার সময় কড়াইয়ে সতর্ক হয়ে তেল ঢালুন।
আঁচ কমিয়ে রান্না হোক
বেশি আঁচে রান্না করলে পুড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। সব্জির গুণমানও নষ্ট হয়ে যায়। স্বাদও ভাল হয় না। তাই রান্নার শুরু থেকে আঁচ কম করে রাখুন। প্রয়োজনে একটু বেশি করতে পারেন। তবে বেশি ক্ষণের জন্য নয়। যত সময় ধরে খাবার সেদ্ধ হয়, ততই শরীরের জন্য ভাল। আঁচ বাড়িয়ে তাড়াতাড়ি রান্না শেষ করে ফেললে সব্জি আধসেদ্ধ থেকে যেতে পারে।