আগুন ছাড়াই বানিয়ে নেওয়া যায় কিছু খাবার। ছবি: সংগৃহীত।
ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রা আর আর্দ্রতার জোড়াফলায় যখন সকলের গলদঘর্ম দশা, তখন যাঁকে রান্না করতে হয় তাঁর অবস্থা কী হয়! এমন সময়ে সেই মানুষটিকে খানিক স্বস্তি দিতে বদল আনা যেতে পারে মেনুতে। না, পুষ্টিতে ঘাটতির আশঙ্কা থাকবে না। তবে আগুন ছাড়াই তৈরি করা যাবে কিছু পদ। এতে প্রতিদিনের খাবারে কিছুটা যেমন স্বাদ বদল হবে, তেমনই গরমে রান্না করতে গিয়ে আগুনের তাপ থেকে একটু স্বস্তি মিলবে।
স্যান্ডউইচ-সকালটা স্বাস্থ্যকর খাবার দিয়ে শুরু করাই ভাল। বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে রকমারি স্যান্ডইউচ। যেখানে রান্না করার দরকার পড়বে না। বিভিন্ন সব্জি পেঁয়াজ, গাজর, শসা, ক্যাপসিকাম কুচিয়ে মেয়োনিজ়, গোল মরিচ, স্বাদমতো নুন ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে পুর। মেয়োনিজ় না ব্যবহার করতে চাইলে জল ঝরানো টক দই-ও ব্যবহার করা যেতে পারে। দুটো পাঁউরুটির মধ্যে পছন্দের পুর ভরে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে স্যান্ডউইচ।
রায়তা-টক দই ফেটিয়ে তাতে পেঁয়াজ, শসা, টমেটো মিশিয়ে রায়তা বানিয়ে নেওয়া যায়। স্বাদ বাড়াতে গোল মরিচের গুঁড়ো ও ভাজা জিরে গুঁড়ো যোগ করা যেতে পারে। স্বাদ বদলে বাজার থেকে শুকনো বোঁদে কিনে আনতে পারেন। সব্জির বদলে শুকনো বোঁদে ও গোল মরিচেরগুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, চাট মশলা মিশিয়ে করে ফেলা যায় বোঁদের রায়তা।
পনির চাট স্যালাড-স্যালাড স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল। অনেকেই দুপুরের খাবার বা রাতের খাবারে শুধু স্যালাড খান। রান্না করতে হবে না এমন উপাদান দিয়ে বানিয়ে ফেলা যায় কিছু স্যালাড। লেটুস পাতা, পেঁয়াজ কুচি, টমেটো, শসা, পনিরের টুকরো দিয়ে স্যালাড বানানো যেতে পারে। পনিরের বদলে টোফু যোগ করা যেতে পারে। আবার চাইলে অঙ্কুরিত ছোলা, মটরও মেশানো যায়। স্যালাডে স্বাদ আনতে অলিভ অয়েলে থেঁতো করা রসুন ও লেবুর রস দিয়ে উপর থেকে ছড়িয়ে দিতে পারেন। উপর থেকে সামান্য নুন, গোলমরিচ ও চাট মশলা ছড়িয়ে দিলে খেতে হবে আরও ভাল। পুষ্টিগুণ বাড়াতে সাদা তিল, ফ্ল্যাক্স সিডও যোগ করা যায়।
শ্রীখণ্ড ও রায়তা দুই-ই বানিয়ে নেওয়া যায় রান্না না করেই। ছবি: সংগৃহীত
দই চিঁড়ে- গরমের দিনে দই আর চিঁড়ে শরীর ঠান্ডা রাখে। তবে স্বাদ বদলে তা একটু অন্য ভাবে তৈরি করা যেতে পারে। চিঁড়ে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিতে হবে। টক দই স্বাদমতো নুন দিয়ে ফেটিয়ে চিঁড়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এতে যোগ করা যেতে পারে পেঁয়াজ, লঙ্কা কুঁচি, বেদানাও।
শ্রীখণ্ড- মিষ্টি জাতীয় কিছু চাইলে বানিয়ে নেওয়া যায় শ্রীখণ্ড। জল ঝরানো দই নিয়ে নিতে হবে। দই বেশি টক না হলেই ভাল। দইটাকে অনেক ক্ষণ ধরে ফেটিয়ে নিতে হবে। বেশি শুকনো মনে হলে দুধ দিয়ে সামান্য পাতলা করে নেওয়া যেতে পারে। মিশিয়ে নিতে হবে স্বাদমতো চিনির গুঁড়ো। ভাল করে মিশিয়ে উপর থেকে পেস্তা কুচি ছড়িয়ে দিলেই হবে।