এই চাটনিকে স্প্রেড হিসাবে স্যান্ডউইচের সঙ্গেও খাওয়া যেতে পারে।ছবি: শাটারস্টক
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেই হবে। খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার। করোনা আবহে বার বার এমন কথাই বলছেন চিকিৎসকরা। এমন একটা খাবার বাড়িতে সহজেই রোজ খাওয়া যেতে পারে যা বানাতে ঝক্কিও নেই। খরচও একদমই কম। তা হল টোম্যাটোর চাটনি। তবে এতে পড়ছে বিশেষ একটি সব্জি। যা সাধারণত চাটনিতে দেওয়া হয় না। নুন ও চিনিও খুব কমই ব্যবহার করা হয়েছে। এতে উপকরণও লাগবে একদম সামান্য। বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি।
পুষ্টিবিদ সোমা চক্রবর্তী বলেন, টোম্যাটোতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। ফলে এগুলি মুক্ত মূলকের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ ছাড়াও টোম্যাটোতে ক্যালরির পরিমাণ বেশ কম। একটি মাঝারি আকারের টোম্যাটোতে থাকে মাত্র ২৫ ক্যালরি। টোম্যাটো ফাইবার সমৃদ্ধ একটি সব্জি। ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-১২, ফোলেট, ক্রোমিয়াম এ সবই থাকে এতে। এই সব্জিতে ক্যারটিনয়েড, লাইকোপেন এবং বিটা-ক্যারোটিন রয়েছে। এই ফাইটোনিউট্রিয়েন্টসগুলি ক্রনিক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এ ছাড়়াও এতে রয়েছে পটাসিয়াম। তবে কিডনি বা ইউরিক অ্যাসিডের রোগী হলে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে তবেই খান টোম্যাটো।
চাটনিতে দেওয়া হয়েছে রসুন।অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ঠাসা এই সব্জি রক্তকে পরিশুদ্ধ রাখে। রক্তে উপস্থিত শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে রসুন।রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে রসুন। কমায় রক্তবাহ নালীর উপর রক্তের চাপও। তাই উচ্চ রক্তচাপের অসুখে ভুগছেন এমন রোগীদের ডায়েটে থাকুক এই সব্জি।
উপকরণ
টোম্যাটো ১টি
রসুন ৫ কোয়া
কাঁচা লঙ্কা ১টি
হাফ চা চামচ সর্ষের তেল
হাফ চা চামচ নুন
হাফ চা চামচ চিনি
প্রণালী: টোম্যাটো, রসুন আর কাঁচালঙ্কা রোস্ট করে নিতে হবে প্রথমে। অর্থাৎ তেল ছাড়াই কড়াইয়ে দিয়ে অল্প সেঁকে নিতে হবে। আঁচ নিভিয়ে তার মধ্যে সর্ষের তেল, নুন চিনি দিয়ে কড়াইয়ে হাতা চেপে চেপে নরম করে নিতে হবে। এই মিশ্রণটিকে এরপর শিলনোড়া বা মিক্সিতে বেটে নিন। তৈরি ইমিউনিটি বুস্টিং চাটনি। ভাত পাতের শেষে কিংবা রুটি-পরোটার সঙ্গী হিসাবে এই চাটনির জুড়ি মেলা ভার। চাইলে পাউরুটির উপর স্প্রেড হিসেবে ব্যবহার করে গোলমরিচ ছড়িয়ে সন্ধ্যার স্ন্যাক্স বা জলখাবারেও মন্দ লাগবে না।