উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, হার্টের অসুখের জুজু আজকাল তাড়িয়ে বেড়ায় আমাদের। কম তেল, কম মশলা আর হালকা চালের রান্নাতেই অভ্যস্ত গৃহস্থবাড়ির অন্দর। এ দিকে ছুটিছাটার দিনে বাড়িতে মাছ-মাংসের বাড়তি কদর করার অভ্যাসও আমবাঙালির নতুন নয়। তাই এমন কিছু রান্নার হদিশ যদি মেলে, যাতে তেল-মশলাও কম থাকবে অথচ স্বাদে স্বাদু— তা হলে সেই রান্না বাঙালি মনে ঠাঁই করে নেয় সহজেই।
মুরগির মাংস প্রোটিনে ভরপুর। ওবেসিটির সঙ্গে লড়াই হোক বা উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের শাসানি— চিকেনের আদরে ভাটা পড়ে না ডাক্তারি প্রেসক্রিপশনেও। তাই মটন সরিয়ে অনেকেই আপন করেন চিকেনের নানা পদ।
কম তেলের মুরগির কারিও তাই সহজেই পেটে সয়। কিন্তু পুষ্টিগুণে ভরপুর চিকেনকে কারি পাতা ও দই দিয়েও যে উপাদেয় করে বানানো যায়, তা কম তেলের মুরগির কারি-ই প্রমাণ করে। এমন পদ বানাবেন কেমন করে? রইল রেসিপি।
আরও পড়ুন: ডাব-চিংড়ি তো খেয়েছেন, ডাব-সরষের সঙ্গে পনিরের জাদু জানেন কি?
উপকরণ:
বোনলেস মুরগির মাংস: ১ কেজি
রসুন বাটা: ২ চা চামচ
পেঁয়াজ বাটা: ১ চা চামচ
গোলমরিচ গুঁড়ো: ৪ চা চামচ
দই: ২ কাপ
কারিপাতা: ২০০ গ্রাম
সাদা তেল: ৩ টেব্ল চামচ
দুধ: সামান্য
কাঁচা লঙ্কা: স্বাদ অনুযায়ী
নুন: স্বাদ অনুযায়ী
চিনি: স্বাদ অনুযায়ী
আরও পড়ুন: সরষে-মাটনের ঝাঁজালো স্বাদে মন ভরান অতিথির
প্রণালী: দইয়ের জল ঝরিয়ে নুন মিশিয়ে তাকে ফেটিয়ে নিন ভাল করে। এ বার ফেটানো দই ও নুন মাখিয়ে এক ঘণ্টা মতো ম্যারিনেট করে রাখুন বোনলেস চিকেনের টুকরোগুলো। এ বার প্যানে তেল গরম করে তাতে কারি পাতা ভেজে তুলে নিন। রসুন বাটা, পেঁয়াজ বাটা, গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে মশলা কষিয়ে নিন। জল ছাড়তে শুরু করলে ম্যারিনেট করা চিকেন ওতে যোগ করে নাড়াচাড়া করুন। মাংস কষানোর সময় অল্প অল্প করে দুধ যোগ করুন। কষানো শেষ হয়ে এলে এতে জল যোগ করুন ও মাংস সেদ্ধ করতে আঁচ কমিয়ে চাপা দিয়ে দিন। কিছু ক্ষম অন্তর ঢাকা খুলে দেখে নিন মাংস সেদ্ধ হয়েছে কি না। মাংস সেদ্ধ হলে ও মাখা মাখা হয়ে এলে উপর থেকে ভাজা কারিপাতা ছড়িয়ে রুটি বা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করুন।