বাঙালি এখন মোমো প্রেমে মুগ্ধ। রাস্তার ধারে ছোট ঠেলায় হোক কিংবা বড় রেস্তরাঁয়, মেমো এখন চাই-ই-চাই! বছর দশেক আগেও কলকাতায় মোমোর এত বাড়বাড়ন্ত ছিল না। তবে আজকের ছবিটা একেবারেই ভিন্ন। বিকেলের টিফিন হোক কিংবা অফিসের কাজ, টুকটাক স্ন্যাক্স মোমো পেলে আর কী চাই!
আগে মোমো বলতে রেস্তরাঁয় মিলত স্টিম মোমো। সঙ্গে স্যুপ আর ঝাল চাটনি। এই মোমোই ছিল তিব্বতের অথেন্টিক ডিশ। তবে আজকাল মোমো নিয়ে চলছে নানা রকম এক্সপেরিমেন্ট। হরেক রকম নামের হরেক রকম স্বাদের মোমো পাওয়া যায় এখন কলকাতায়। চকলেট মোমো থেকে কবিরাজি মোমো— সবই পড়ছে বাঙালির পাতে। এমনই এক এক্সপেরিমেন্টাল পদ কুড়কুড়ে মোমো!
কী ভাবে বানাবেন, কী কী উপকরণ লাগবে, রইল তার সুলুকসন্ধান।
আরও পড়ুন: বেগুনের ভাজা, ভর্তা ছেড়ে এ বার দইয়ের সঙ্গে মাখিয়ে রেঁধে ফেলুন এই অপূর্ব পদ!
কুড়কুড়ে মোমো
গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
আরও পড়ুন: ভেটকি পাতুরি সহজে বানিয়ে নেওয়ার উপায় খুঁজছেন? রইল সমাধান
প্রণালী:
ময়দায় সামান্য নুন মিশিয়ে মণ্ড বানিয়ে নিন। ময়দা মাখা যেন খুব বেশি শক্ত না হয়ে যায় সেই দিকে খেয়াল রাখুন। এরপর মাকা ময়দার গায়ে সামান্য সাদা তেল মাখিয়ে ১৫-২০ মিনিট মসলিন কাপড়ে ঠেকে রেখে দিন। এর পর একটি পাত্রে চিকেন কিমা নিয়ে একে একে পেঁয়াজ কুচি, রসুন বাটা, পেঁয়াজ শাক কুচি, সয়া সস, গোল মরিচ গুঁড়ো, নুন মিশিয়ে হালকা তেলে সতে করে নিন। এ বার ময়দার মণ্ড থেকে ছোট ছোট লেচি করে নিয়ে লুচির আকারে পাতলা করে বেলে নিন। এ বার তাতে চিকেনের পুর দিয়ে পুলি পিঠের আকারে গড়ে নিন। আপনি চাইলে ইচ্ছে মতো অন্য আকারও দিতে পারেন। এই ভাবেই একে একে বাকি মোমোগুলিও গড়ে রাখুন। কর্নফ্লেক্সগুলি মিক্সারে ঘুরিয়ে গুঁড়ো করে রাখুন।
এ বার আরেকটি পাত্রে ডিম ফাটিয়ে তাতে নুন আর সামান্য গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। আরপর মোমোগুলি একে একে ডিমের মিশ্রনে ডুবিয়ে কর্নফ্লেক্সের গুঁড়োতে কোট করে নিন। কড়াইতে তেল গরম করে মোমোগুলি ডোবা তেলে ভেজে নিন। মেয়োনিজ বা মোমোর ঝাল চাটনির সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন ‘কুড়কুড়ে মোমো’।