স্বয়ং নেপোলিয়ানও চেয়েছিলেন শ্যেন নদীর পাড়ে কোনও এক জায়গায় থেকে যাবে তাঁর নশ্বর দেহ। প্যারিস নিবাসীদের কাছে এমনই আকর্ষণ প্রায় ৭৭৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদীটির। সেই নদীর প্রেমে মজেই নিজেদের একটুকরো স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করেছেন ঊর্বশী বসু। অ্যাক্রোপলিস মলের পাশে মনোরম পরিবেশে তৈরি করেছেন ‘লা ক্যাফে শ্যেন’। ফরাসি আঙ্গিকে অন্দরসজ্জার পাশাপাশি সকলের জন্য সাজিয়েছেন স্বাদু অথচ পুষ্টিকর নানা ফরাসি খানার সম্ভার।
জেন-ওয়াইয়ের কয়েক জন আবার মাছের খুব ভক্ত নয়। এ দিকে খাস কলকাতার বুকে সাধের রেস্তরাঁ! তায় মাছ থাকবে না তা কী করে হয়? তাই সবার মনের মতো করেই মেনুর পরিকল্পনা করা হয়েছে এই ক্যাফের। এর প্রধান আকর্ষণ নানা কফি। আছে টাটকা ফলের তৈরি স্মুদি ও শেকও। তাই চা প্রেমীরাও হতাশ হবেন না।
তবে চা থাকবে অথচ টা তাকবে না, তা হয়? এই ক্যাফের আর এক আকর্ষণ ফিশ অ্যান্ড চিপস। না মোটেই বাসা নয়, রীতিমতো কলকাতা ভেটকি দিয়ে বানানো হয় মাছের প্রিপারেশন। পাবেন ফিশ কেক, ক্রাম্ব ফ্রায়েড প্রন, গ্রিল্ড প্রণ, চিকেন বাস্কেট, শেফ স্পেশাল স্যালাড সহ আরও অনেক কিছু। আর আছে নিখাদ আড্ডার মনোমুগ্ধকর পরিবেশও।
আরও পড়ুন: ও পার বাংলার উপাদেয় পদ কী ভাবে বানাবেন নিজের হেঁশেলে
তবে এই ক্যাফের অন্যতম সেরা দুই রেসিপি শেফ ফাঁস করলেন আনন্দবাজার ডিজিটাল-এর কাছে।
ক্রাঞ্চি চিকেন ফিঙ্গার
ফিশ ফিঙ্গারকে গুনে গুনে গোল দিয়ে পারে এই ইতস্তত সাদা তিল ছড়ানো মুচমুচে চিকেন ভাজা। তবে আকারে ফিশ ফিঙ্গারের মতো স্লিম নয় মোটেও, আড়ে বহরে বেশ পৃথুলাই বলা চলে। টোম্যাটো চিলি ফ্লেক্সের টক-ঝাল-মিষ্টি ডিপে চুবিয়ে আলুভাজা সহযোগে দারুন জমে যাবে। বাড়িতে বানানোও মোটেও কঠিন নয়।
উপকরণ
বোনলেস চিকেন ব্রেস্ট পিস (লম্বা করে কেটে নেওয়া): ২০০ গ্রাম
লেবুর রস: ৩/৪ চামচ
নুন-মরিচ গুঁড়ো: স্বাদ অনুযায়ী
আদা, রসুন, কাঁচালঙ্কা (একসঙ্গে বাটা): ৪ চামচ
কাসুন্দি: সামান্য,
ডিম: ১টি
কর্ন ফ্লাওয়ার: দরকার মতো
ব্রেড ক্রাম্ব: ১ কাপ
সাদা তেল: ভাজার জন্য
প্রণালী
চিকেনের টুকরোতে নুন, লেবু, মরিচ গুঁড়ো মাখিয়ে কিছু ক্ষণ রেখে দিন। ডিমে আদা, রসুন, কাঁচালঙ্কা বাটা ও নুন মিশিয়ে দরকার মত কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে ঘন করে ব্যাটার তৈরি করুন। এ বার মাংসের টুকরো ডুবিয়ে ব্যাটারে মুড়ে ফ্রিজে সেট হতে দিন। কিছুক্ষণ পরে বের করে ব্রেড ক্রাম্ব মাখিয়ে ছাঁকা তেলে ভেজে নিন। সুইট চিলি সস বা মেয়োনিজ সহযোগে পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুন: রাজার মতো দিনযাপন
ক্লাসিক প্রন ককটেল
সুদৃশ্য ওয়াইন গ্লাসে চেরি টোম্যাটো ও ব্ল্যাক অলিভের হাতছানি। গোলাপি আভার মেয়োনিজের পরত পেরিয়ে খোঁজ মিলবে সেই অমূল্য রতনের। তুলতুলে নরম স্বাদু চিংড়িতে কামড় দিলে একটাই শব্দ ছিটকে আসবে। আহা!
উপকরণ
খোসা ছাড়ানো চাপড়া চিংড়ি: ২০০ গ্রাম
নুন, পাতিলেবুর রস ও গোলমরিচ গুঁড়ো: স্বাদ অনুযায়ী,
মেয়োনিজ: ২০০ গ্রাম,
টোম্যাটো কেচাপ: ৪– ৫ চামচ,
টোব্যাস্কো সস: ৪/৫ ফোঁটা ,
ডিম সেদ্ধ: লম্বা ফালি করে কাটা
লেটুস ও পার্সলে পাতা
সাজানোর জন্য: চেরি টোম্যাটো, ব্ল্যাক অলিভ ও পাতিলেবুর স্লাইস
প্রণালী
চিংড়িতে নুন, গোলমরিচ ও পাতিলেবুর রস মাখিয়ে সেদ্ধ করে রাখুন। মেয়োনিজের সঙ্গে টোম্যাটো কেচাপ ও টোব্যাস্কো স্যস ভাল করে মিশিয়ে ককটেল সস তৈরি করে নিন। লেটুস ও পার্সলে গরম জলে ব্লাঞ্চ করে নিন। মার্টিনি গ্লাসে লেটুস পাতা দিয়ে তার উপরে চিংড়ি দিয়ে উপরে ককটেল সস দিয়ে ডিমের স্লাইস সাজিয়ে দিন। চেরি টোম্যাটো, ব্ল্যাক অলিভ ও পার্সলে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।