জ্বর, সর্দিতে অরুচি। কোন খাবারে স্বাদ ফিরবে? ছবি: সংগৃহীত।
জ্বর, সর্দিকাশি হলে খাবার ইচ্ছা চলে যায়। তার উপর অসুখ সারাতে একগাদা ওষুধ খেতে হলে, রোগ সারলেও স্বাদ ফেরে না। কোনও খাবারই মুখে ভাল লাগে না। এই সময় কিন্তু পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। তবে, স্বাদ ফেরাতে একটু সুস্বাদু কিছু রাখা দরকার। ৫ খাবারে তুষ্ট হতে পারে জিভ, সঙ্গে ভাল থাকবে শরীরও।
সুইট কর্ন চাট
শুধু খেতেই ভাল নয়, গুণেও ভরপুর এই চাট। ছবি: শাটারস্টক।
ভিটামিন, প্রোটিনে ভরপুর সুইট কর্ন। এতে আছে ভিটামিন সি, এ ও বি। সুইট কর্ন সেদ্ধ করে তার সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে, বিট নুন, পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা মাখিয়ে চাট বানিয়ে নিতে পারেন। উপর থেকে ছড়িয়ে দিন সামান্য চাট মশলা। টক, মিষ্টি, নোনতা এই খাবার মুখে ভাল লাগবে। স্বাদ ফেরাতে কাঁচালঙ্কা ও লেবুর রসের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারেন।
আলু-মরিচ
আলুরও গুণ কিছু কম নয়। কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ আলুতে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, জ়িঙ্ক, পটাশিয়াম। আলু সেদ্ধ করে ছোট ছোট করে টুকরো করে নিন। একটি পাত্রে মাখন দিয়ে আলু হালকা ভেজে উপর থেকে গোলমরিচ ছড়িয়ে দিন। খুব সহজ রান্না। কিন্তু অরুচির মুখে এই ধরনের খাবার বেশ সুস্বাদু লাগে।
আমসত্ত্ব
আমসত্ত্ব ভালবাসেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বাজারচলতি আমসত্ত্ব তো রয়েছেই। চাইলে বাড়িতেও সহজেই বানিয়ে নিতে পারেন। পাকা আমের শাঁস বার করে কড়াইতে দিয়ে ক্রমাগত নাড়তে হবে। দিতে হবে স্বাদমতো চিনি। আম কতটা টক বা মিষ্টি, তার উপর নির্ভর করবে, কতটা চিনি লাগবে। স্বাদের জন্য এক চিমটে নুনও ফেলে দিতে পারেন। মিশ্রণটি ঘন হয়ে এলে একটি থালায় তেল মাখিয়ে তা ঢেলে দিন। কড়া রোদে দু’দিন শুকিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে আমসত্ত্ব। কোনও কিছুই খেতে না ভাল লাগলেও আমসত্ত্বে অরুচি হওয়ার কথা নয়।
টক-মিষ্টি আমসত্ত্ব স্বাদ ফেরাবে। ছবি: শাটারস্টক।
ভাজা বাদাম
ঘি দিয়ে ভাজা রকমারি বাদামও অরুচিতে রুচি ফেরাতে পারে। ছবি: শাটারস্টক।
অসুখ থেকে উঠলে, শরীর দুর্বল থাকে। তাই ভিটামিন, খনিজের প্রয়োজন হয়। আখরোট, পেস্তা, কাঠবাদামে শুধু ‘হেলদি ফ্যাট’ থাকে না, ফাইবার, ভিটামিন ও নানা ধরনের খনিজ থাকে। বাদামগুলি ঘি বা মাখনে হালকা ভেজে উপর থেকে নুন ও গোলমরিচ ছড়িয়ে দিলে খেতে ভাল লাগবে।
পলতার বড়া
জ্বর, সর্দির পর স্বাদ ফেরাতে তেতো খাবারও অনেক সময় জাদুর মতো কাজ করে। পলতা পাতার অনেক গুণ। এতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। পলতা পাতা ধুয়ে কুচিয়ে নিন। তার সঙ্গে মটর ডাল বাটা, কালো জিরে, কাঁচালঙ্কা, বেসন মিশিয়ে বড়া বানিয়ে নিন। যদিও তেলে ভাজলে পলতার গুণ থাকে না। তবে স্বাদ বদলে, এক-আধটা বড়া খাওয়া যেতেই পারে।