চটজলদি বানিয়ে নিতে পারেন ৩ মুখরোচক খাবার। ছবি: ফ্রিপিক।
সান্ধ্য চায়ের সঙ্গে গরম গরম ‘টা’ না হলে কি চলে? কিন্তু, প্রতি দিন বাইরে থেকে এটা-ওটা কিনে খাওয়া ভাল নয়। বদলে ঘরেই বানিয়ে ফেলতে পারেন মুখরোচক নানা পদ। হেঁশেলে থাকা রকমারি জিনিস দিয়ে চটজলদি কোন কোন পদ বানাবেন?
পনির পপকর্ন
চৌকো করে ছোট ছোট আকারে পনির কেটে নিন। সামান্য নুন, গোলমরিচের গুঁড়ো, আদা-রসুন বাটা, পাতিলেবুর রস এতে মাখিয়ে রাখুন। একটি পাত্রে কর্নফ্লাওয়ার নিয়ে তাতে স্বাদমতো নুন, লঙ্কার গুঁড়ো, ধনে, জিরে গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। জল দিয়ে কর্নফ্লাওয়ার গুলে তাতে পনিরের টুকরো ডুবিয়ে বিস্কুটের গুঁড়ো অথবা কর্নফ্লেক্সের গুঁড়ো মাখিয়ে ভেজে ফেলুন।
চাইনিজ় শিঙাড়া
এই ধরনের শিঙাড়া দেখতে ছোট এবং মুচমুচে। এটি তৈরির পদ্ধতিও বাংলার শিঙাড়া থেকে আলাদা। প্রথমেই পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম-সহ বিভিন্ন সব্জি কুচি কুচি করে কেটে, কড়াইতে তেল দিয়ে হালকা ভেজে নিন। তার মধ্যে টম্যাটো, সয়া সস্, স্বাদ মতো নুন এবং চিনি দিয়ে পুর বানিয়ে নিন। শিঙাড়ার খোলটি তৈরির জন্য পাতলা কাগজের মতো আস্তরণ (রাইস পেপার শিট) ব্যবহার করুন। দোকানেই এটি কিনতে পাওয়া যায়। এর মধ্যে পুর ভরে ছোট শিঙাড়ার আকারে ভাঁজ করে তেলে ভেজে নিলেই তৈরি চাইনিজ় শিঙাড়া।
পাউরুটির পিৎজ়া
প্রায় প্রতি ঘরেই বাড়তি পাউরুটি পড়ে থাকে। হাতের কাছে অন্য কিছু না পেলে এ দিয়েই বানিয়ে ফেলুন পিৎজ়া। বাড়ির খুদে সদস্যরা এই ধরনের খাবার খেতে ভালবাসে। প্রথমে পাউরুটির একটি দিক সাদা তেল অথবা মাখন দিয়ে অল্প সেঁকে নিন। তার উপর দিয়ে দিন পিৎজ়া সস্। সেটি হাতের কাছে না থাকলে টম্যাটো সসের সঙ্গে মেয়োনিজ় মিশিয়ে পাঁউরুটির সেঁকে নেওয়া দিকটিতে মাখিয়ে নিন। তার পর পছন্দের সমস্ত সব্জি তেলে হালকা নেড়ে চেড়ে পাউরুটির উপর সাজিয়ে দিন। উপর থেকে চিজ়, অরিগ্যানো, চিলি ফ্লেক্স ছড়িয়ে দিন।
একটি কড়া গ্যাসের উনুনে বসিয়ে কোনও কিছু ঢাকা দিয়ে গরম হতে দিন। মিনিট পাঁচেক এ ভাবে গরম হওয়ার পরে আঁচ কমিয়ে পাউরুটিটি তাতে বসিয়ে দিন। দু'তিন মিনিটের মধ্যে চিজ় গলে গেলেই তৈরি হয়ে যাবে ঘরোয়া পিৎজ়া।