পিতাপুত্র: রবীন্দ্রনাথ ও (ডান দিকে) রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ছেলের মুখে রামগড়ের বাংলোর বর্ণনা শুনেই পছন্দ করে ফেলেছিলেন বাবা
রামগড়ের পাহাড়ে কবির নিভৃতবাসের বাংলো ‘হৈমন্তী’। তার বাগানের অপর্যাপ্ত ফল কাজে লাগাতেই এমন অভিনব মেনু। এখানে কবির সঙ্গী হয়েছিলেন অতুলপ্রসাদ সেন এবং দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। ‘এখানেই গড়ে উঠছে শান্তিনিকেতনের বাইরে বিশ্বভারতীর প্রথম ক্যাম্পাস।
বিশেষ বিশেষ প্রাকৃতিক পরিবেশে রবীন্দ্রনাথের কলম কেমন রত্নপ্রসবিনী হয়ে উঠত, তার পরিচয় আমরা অনেক বার পেয়েছি। শিলাইদহে পদ্মার ওপরে কাটানো দিনগুলোয় তাঁর লেখা ‘সোনার তরী’, ‘কণিকা’, ‘ক্ষণিকা’, ‘কল্পনা’, ‘কথা’, ‘নৈবেদ্য’ এমনকি ‘ছিন্নপত্র’-র ছত্রে ছত্রে তার সাক্ষ্য। রবীন্দ্রনাথ বার বার প্রকৃতির সৌন্দর্য থেকে আহরণ করেছেন সৃষ্টির প্রেরণা এবং গভীরতর জীবনবোধ। ঠিক তেমনই রবীন্দ্রনাথকে আমরা আর এক বার প্রকৃতির কোলে দেখি হিমালয়ে রামগড়ে, ‘হৈমন্তী’ নামের বাংলোয়। তখন বুদ্ধদেব বসুর ভাষা ধার করে বলা যায় কবির ‘প্রৌঢ়ত্বের শৈশব’, সেখানে যৌবনের ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে কবি স্থিত হয়েছেন দার্শনিকসুলভ একাগ্রতায়।
রামগড় কিন্তু বাঙালি পাঠকের কাছে অপরিচিত নয়। কারণ এই রামগড় পাহাড়েই ‘শেষের কবিতা’র লাবণ্যর বিয়ে হয়। এই সময়ে কবিগুরুর সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন অতুলপ্রসাদ সেন এবং তাঁর গানের ভান্ডারি দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথের ভাষায় ‘গায়কের ত্র্যহস্পর্শ’! তবে সেই বৈঠকের কথায় যাওয়ার আগে এই বাংলোটি কেনার এক চমকপ্রদ ইতিহাস শুনে নেওয়া যেতে পারে।
শান্তিনিকেতন ব্রহ্মচর্যাশ্রমের প্রথম কয়েকজন ছাত্রের মধ্যে এক জন ছিলেন রথীন্দ্রনাথ নিজে। সেই ক্লাস শুরু হওয়ার আগে তাঁর কাছে সুযোগ আসে হিমালয়ের তীর্থ ভ্রমণে যাওয়ার। এই উদ্যোগটির মূলে ছিলেন ভগিনী নিবেদিতা। তাঁরই উৎসাহে বেলুড় মঠের স্বামী সদানন্দ কয়েকজন যুবকের একটি দল নিয়ে উত্তরাখণ্ডে তীর্থ পর্যটনে বেরোনোর তোড়জোড়ে ব্যস্ত। এই উদ্যোগের কথা রবীন্দ্রনাথ শোনেন নিবেদিতার কাছে, বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর বাড়িতে। তখনই কবি রথীন্দ্রনাথকে এই যাত্রায় অংশীদার করতে মনস্থ করেন। ব্রহ্মচর্যাশ্রম শুরু হওয়ার আগে এই রকম এক পর্যটন হয়তো সময়োপযোগী হবে, ভেবেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। যাই হোক, আধা-সন্ন্যাসীর বেশে রথীন্দ্রনাথ রওনা দেন এই পথে, সেটা সম্ভবত ১৯০১ সাল। তাঁরই সাক্ষ্যে জানা যায়, এই যাত্রায় তাঁর অন্যতম সঙ্গী ছিলেন অমূল্য মহারাজ, যিনি পরে রামকৃষ্ণ মিশনের প্রেসিডেন্ট স্বামী শঙ্করানন্দ নামে পরিচিত হন। নৈনিতাল থেকে আলমোড়ার পথে রামগড়ে এই পর্যটক দলটি এক জন মুসলমানের হোটেলে আতিথ্য গ্রহণ করে। তিনি ছিলেন স্বামী সদানন্দের ভক্ত। এখানে প্রাকৃতিক পরিবেশ রথীন্দ্রনাথকে মুগ্ধ করেছিল।
এর পরের ঘটনা প্রায় এক যুগ পরের, ১৯১২-১৩ সাল নাগাদ। কাগজে বাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপন থেকে জানা যায়, এই রামগড়ে একটি বাংলো বাড়ি বিক্রি হবে। কালবিলম্ব না করে রথীন্দ্রনাথ সেই বাড়িটি দেখতে ফের যাত্রা করেন রামগড়ের উদ্দেশে। একটি ঘোড়ার পিঠে একা একা চড়ে পাহাড় ডিঙিয়ে সেই বাড়িতে পৌঁছন। তৎক্ষণাৎ পছন্দ হয় হিমালয়ের কোলে সেই ছোট্ট বাংলোটি। তার পরেই তিনি আবিষ্কার করেন যে, হোটেলে এক রাত কাটিয়ে কলকাতায় ফেরার যথেষ্ট টাকা সঙ্গে নেই। কাজেই হোটেল মালিকের কাছে সোনার আংটি আর ঘড়ি বন্ধক রেখে টাকা ধার করে কলকাতায় ফিরতে হয়। বাড়িটির বর্ণনা শুনে রবীন্দ্রনাথ উৎসাহী হয়ে ওঠেন এবং ‘স্নো ভিউ’ বাংলোটি কেনা হয়। কবি তাঁর হিমালয়ের এই নীড়ের নাম রাখেন ‘হৈমন্তী’। ১৯১৪ সালের গরমের ছুটিতে রবীন্দ্রনাথ সপরিবার রামগড় এসে পৌঁছন। পরে কবির সঙ্গে যোগ দিলেন দিনেন্দ্রনাথ আর অতুলপ্রসাদ।
কুমায়ুন হিমালয়ের অনুপম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা অনেকেই জানেন। এখানে নৈনিতাল, রানিক্ষেত, আলমোড়া প্রভৃতি নানা জায়গা থেকে দিগন্তবিস্তৃত হিমালয়ের বরফঢাকা শৃঙ্গ দেখা যায়। রামগড়েও এ রকমই এক অপার্থিব সৌন্দর্যের জগৎ উন্মুক্ত ছিল ‘হৈমন্তী’র সামনে। সবুজ প্রাচীন অরণ্য, পর্বত আর নদীর সমাহারে যে পটচিত্রটি তৈরি হল তার সামনে বৈঠকে বসলেন রবীন্দ্রনাথ, দিনেন্দ্রনাথ আর অতুলপ্রসাদ। এমন যোগাযোগ কল্পনাতেও আনা কঠিন। উঁচু পাহাড়ের বুক থেকে যেমন ঝরনা মুক্তি পেয়ে নদী হয়ে বয়ে চলে তেমনই রামগড় পাহাড়ে ঝরে পড়ল সুরের ফল্গুধারা। শিলাইদহের মতোই এখানেও রবীন্দ্রনাথ রচনা করলেন অসামান্য কিছু গান।
‘পিতৃস্মৃতি’ গ্রন্থে রথীন্দ্রনাথ এক জায়গায় বলছেন, “মনে পড়ে অতুলপ্রসাদ একদিন বাবাকে অনুরোধ করলেন— ‘আপনি কাল যে সুরটি গুনগুন করছিলেন আপনার ঘরে, আমার বড়ো ভালো লাগছিল শুনতে, গান বাঁধা নিশ্চয়ই হয়ে গেছে, ওই গানটি আমাদের শুনিয়ে দিন।’ বাবা বললেন— ‘সেটা যে দিনুকে এখনো শেখানো হয়নি, তা হলে আমাকেই গাইতে হয়।’ বাবা গাইলেন— ‘এই লভিনু সঙ্গ তব, সুন্দর হে সুন্দর...’
...সকাল বেলায় ঘাসের উপর তখনো শিশির লেগে আছে। পুব দিকের পাহাড়ের উপর থেকে সূর্যের আলো এসে পড়ে রৌদ্র-ছায়ায় লুকোচুরি খেলছে পাতায় পাতায়। প্রকৃতির সেই প্রফুল্লতা, গানের কথা, গানের সুর— সব মিলে একটি অপরূপ রস সৃষ্টি করল। শুনতে শুনতে অতুলপ্রসাদ অভিভূত হয়ে পড়লেন, বাবাকে গানটি বারবার গাইতে বললেন। যতবার গাওয়া হয়, তাঁর কিছুতেই তৃপ্তি হয় না, আর একবার শোনবার জন্যে আকুল
হয়ে পড়েন।”
এই গানেই রবীন্দ্রনাথ এঁকে দিলেন হিমালয়ের স্নিগ্ধ সকালের এক অপরূপ ছবি। এই গানে একটি লাইন আছে, “আলোকে মোর চক্ষু দুটি/ মুগ্ধ হয়ে উঠল ফুটি, হৃদ্গগনে পবন হল সৌরভেতে মন্থর,...” লক্ষণীয়, রথীন্দ্রনাথ তাঁর প্রথম রামগড় ভ্রমণের অভিজ্ঞতায় লিখেছেন, ‘...ফুলগুলি শাদা রঙের, ছোটো ছোটো একহারা পাপড়ি, কিন্তু অপূর্ব তার গন্ধ। একটিমাত্র গাছ কোথাও থাকলে মাইলখানেক দূর থেকে তার সুগন্ধ পাওয়া যায়...’ এও ধরা পড়েছিল কবির গীতিসুষমায়।
সঙ্গীত-রসপিপাসু অতুলপ্রসাদ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন নতুন গান শোনার জন্য। ‘এই লভিনু সঙ্গ তব’ গানটি অতুলপ্রসাদকে এত দূর মুগ্ধ করেছিল যে, তিনি বার বার গানটি শুনতে চাইতেন রবীন্দ্রনাথের কাছে। বাগানের ধারে গুহার সামনে, এক আখরোট গাছের তলায় সঙ্গীতের আসর বসত প্রতিদিন। কবির দরাজ কণ্ঠে ভরে উঠত হিমালয়ের আকাশ বাতাস আর ভ্রমরের গুঞ্জনের মতো অতুলপ্রসাদের মিষ্টি গায়কি যেন গাছপালার ফাঁকে-ফাঁকে নদীর কল্লোলের সঙ্গে মিশে খেলে বেড়াত। এই দুই রসজ্ঞ স্রষ্টা ক্লান্ত হয়ে পড়লে হাল ধরতেন দিনেন্দ্রনাথ। দুপুরের খাবারের ডাক আসা পর্যন্ত চলত সুরলোকের এই আসর। রামগড়ের এই বাড়িটির লাগোয়া ছিল বিরাট বাগান। সেখান থেকে আসত প্রচুর ফল। রথীন্দ্রনাথ স্মৃতিচারণে জানিয়েছেন, এত ফল তিনি কোনও দিন খাননি। নতুন নতুন রান্না আবিষ্কার করতে হত ফলের সদ্ব্যবহারের জন্য। এরই ফলশ্রুতি হিসেবে তৈরি হয়েছিল ‘স্ট্রবেরি দিয়ে মুগের ডাল’, ‘স্ট্রবেরির টক’। রান্নাবান্নার ক্ষেত্রে ঠাকুরবাড়ির অভিনবত্বের কথা সুবিদিত। একশো বছরেরও বেশি আগে রামগড়ের ‘হৈমন্তী’ও তার সাক্ষী।
শুধু অতুলপ্রসাদ আর দিনেন্দ্রনাথই নন, এই অবকাশে রবীন্দ্রনাথের দলে যোগ দন খ্রিস্টান মিশনারি চার্লস ফ্রিয়ার অ্যান্ড্রুজ। ‘হৈমন্তী’তে থাকার সময়ই তিনি পাকাপাকি ভাবে রবীন্দ্রনাথের কাছে শান্তিনিকেতনে থেকে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এই সিদ্ধান্ত রবীন্দ্রনাথকে যে কত খুশি করেছিল, সহজেই অনুমেয়। দু’জনে মিলে শুরু করেন রবীন্দ্রকবিতার ইংরেজি তর্জমা সঙ্কলনের কাজ। যেমন গান শোনার জন্য অতুলপ্রসাদ, তেমনই কবিতার আবৃত্তি কবির নিজের মুখে শোনার জন্য অ্যান্ড্রুজ উদ্গ্রীব হয়ে থাকতেন। আবৃত্তি শুনতে শুনতে তাঁর চোখ ভিজে উঠত। কবিগুরু আর সি এফ অ্যান্ড্রুজের মধ্যে যে অচ্ছেদ্য সখ্য, তার ভিত তৈরি হয় ‘হৈমন্তী’তে বসবাসের সময়ই। জানা যায়, রামগড় থেকে ফেরার সময় রবীন্দ্রনাথ ডান্ডিতে না উঠে অ্যান্ড্রুজের সঙ্গে গল্পের নেশায় কাঠগোদাম অবধি ষোলো মাইল পাহাড়ি পথ হেঁটে ফিরেছিলেন। কবি অ্যান্ড্রুজ সাহেবের অস্থির এবং কর্মতৎপর স্বভাবের কথা বিলক্ষণ জানতেন বলেই কবিতা সঙ্কলনের কাজ দিয়ে তাঁকে বেঁধে ফেলেছিলেন। তাঁদের যৌথ উদ্যোগে ‘ফ্রুট গ্যাদারিং’ কবিতার সঙ্কলনটি রামগড়ে তৈরি হয়েছিল, এ খবর আমরা রথীন্দ্রনাথের লেখায় পাই।
‘হৈমন্তী’তে থাকার সময় আর একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা, চিকিৎসকের ভূমিকায় রবীন্দ্রনাথের কৃতিত্ব। বাংলোয় কাজ করতে আসা এক শ্রমিকের স্নায়ুঘটিত রোগ রবীন্দ্রনাথ সারিয়ে দেন হোমিয়োপ্যাথিক ওষুধে। এই ঘটনার কথা লোকের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ায় দলে দলে লোক আসতে শুরু করে চিকিৎসার জন্য। শোনা যায়, কবিগুরু সকালে রীতিমতো ডিসপেনসারি খুলে চিকিৎসা করেছেন এ সময়। হোমিয়োপ্যাথি চিকিৎসার প্রতি বরাবর রবীন্দ্রনাথের বিশেষ আকর্ষণ ছিল, তাই এই দায়িত্ব তিনি উৎসাহের সঙ্গেই কাঁধে তুলে নেন। বনস্পতির মতো এই মানুষটি যেখানেই গেছেন, সেখানকার প্রকৃতি এবং সমাজজীবনের গভীরে শিকড় চারিয়ে দিয়ে অনায়াসে স্থাপিত হয়েছেন। রামগড়ের তৎকালীন লোকালয় বর্জিত জনপদও সেই বনস্পতির ছায়া থেকে বঞ্চিত হয়নি।
সালটা ১৯১৫। মহাযুদ্ধের অশনি সঙ্কেতে পৃথিবী নিঃশ্বাস বন্ধ করে প্রহর গুনছে মহাদুর্যোগের। সেই পৃথিবীব্যাপী শঙ্কার আবহে বিচলিত হয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। রামগড়ে থাকার সময় কবি সুযোগ পেয়েছিলেন প্রকৃতির সান্নিধ্যে থেকে এই রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের, মানবতার নিয়মিত অসম্মানের ছবিটি ভুলে থাকার। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের মতো মানবপ্রেমিকের পক্ষে সভ্যতার এমন সঙ্কটে নির্লিপ্ত থাকা তো সম্ভব নয়। তাই বিভিন্ন লেখার মধ্যে সেই যন্ত্রণার কথা ঠিকই ফুটে বেরোল। এই অস্থির মানসিক বিচলনের মধ্যেও নিজেকে বিনির্মিত করে চিরন্তনের ‘অভয় শঙ্খ’ হাতে তুলে নিয়েছিলেন। কবির মানসলোকে এই ভাঙাগড়ার সাক্ষী রামগড়ের ‘হৈমন্তী’।
উত্তরাখণ্ড রাজ্যের নৈনিতাল জেলার রামগড়ে এই ‘হৈমন্তী’কে কেন্দ্র করেই চালু হতে চলেছে বিশ্বভারতীর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস, শান্তিনিকেতনের বাইরে এটিই হতে চলেছে প্রথম বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাস। বিশ্বভারতীর কর্মসমিতির বৈঠকে নতুন ক্যাম্পাস গড়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল তা সরকারি ভাবে ঘোষণা করেছেন ২০২০ সালের ৮ জুলাই। উত্তরাখণ্ড সরকার জমি দিতে সম্মতি জানিয়েছে। করোনা পরিস্থিতি কেটে গেলেই নতুন স্যাটেলাইট ক্যাম্পাসের শিলান্যাস হবে।
পৃথিবী জুড়ে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। কখনও কমছে, কখনও বাড়ছে সংক্রমণ। এর শেষ কবে, তাও অজানা। কিন্তু এ কথা অস্বীকার করা যাবে না যে, এই যুদ্ধের শেষেও আমাদের জন্য এক নতুন পৃথিবী অপেক্ষমাণ। রবীন্দ্রনাথের দেখানো পথেই আমাদের প্রস্তুত হতে হবে সেই দিনটির জন্য।