সৃজনশিল্পী: অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। মাঝখানে, ইগল ও কচ্ছপের ভাস্কর্য। ডান দিকে, ছোট শিশুর দুধপানের খোদাই। সৌজন্য: শ্যামলকুমার গঙ্গোপাধ্যায়ের সংগ্রহ
চারুকলার সব শাখাতেই অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছিল অবাধ বিচরণ। চিত্রকর অবনীন্দ্রনাথকে সকলেই জানেন, কিন্তু তিনি যে বেশ কিছু অপূর্ব ভাস্কর্যও সৃষ্টি করেছিলেন, সেগুলি লোকচক্ষুর আড়ালেই রয়ে গিয়েছে। সব মাধ্যমেই যেমন ছবি এঁকেছেন, ভাস্কর্যও করেছেন বিবিধ উপাদানে। তাঁর দৌহিত্রী শমিতা গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছেন— “তিনি শুকনো কাঠেও প্রাণের স্পন্দন অনুভব করতে পারতেন। কাঠপাথরেও হাসি ফুটিয়েছেন, কান্না ধরে দিয়েছেন।” এই ভাস্কর্যগুলি তাঁর করা কুটুম-কাটুম থেকে আলাদা, প্রকৃত মূর্তিকলা।
তাঁর অল্প বয়সে মজা করে কিছু গড়ে ফেলা নিয়ে কলাভবনের শিক্ষক ও শিল্পী ধীরেনকৃষ্ণ দেব বর্মণ লিখেছেন, “জোড়াসাঁকোতে কোনো অনুষ্ঠান হলে শান্তিনিকেতনের গানের দল এসে মহড়া দিত। গুরুদেব এবং অবনীন্দ্রনাথ সেখানে যোগ দিতেন। বর্ষামঙ্গল আর বসন্তোৎসবের গানের আর বিসর্জন নাটকের সব মহড়াই অবনবাবুদের বসার ঘরের পাশে একটি বড় হল ঘরে প্রাতে বা সন্ধ্যার সময় হত। গুরুদেব উপস্থিত থাকতেন এবং নির্দেশ দিতেন। সঙ্গীত পরিচালনা করতেন দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। ভীমরাও শাস্ত্রী বাজাতেন বাঁয়া তবলা আর পাখোয়াজ। এস্রাজ বাজাতাম আমি। অবনীন্দ্রনাথও এস্রাজ নিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগ দিতেন। পাখোয়াজ বাজাবার সময় পণ্ডিতজীর একডেলা মাখা আটার প্রয়োজন হত। পাখোয়াজের একপাশে আটার কিছুটা লাগিয়ে বাকিটা পাশে রেখে দিতেন। অবনবাবু তার থেকে কিছুটা নিয়ে ছোট একটা মানুষ তৈরি করে এস্রাজের ছড়ের মাথায় বসিয়ে বাজাতে লাগলেন। এই দৃশ্য দেখে গানের দলের কয়েকটি ছেলেমেয়ে মুচকি হাসছিল। তারা গুরুদেবের দৃষ্টি এড়াতে পারেনি। কিন্তু তিনি এই হাসির উৎস কোথায় ধরতে পারছিলেন না। গুরুদেবের সন্ধানী চোখের ভাব দেখেই অবনবাবু তাড়াতাড়ি আটার মানুষটি লুকিয়ে ফেললেন। যেন আপন মনে বাজনা বাজাচ্ছেন। এই রকম মজা তিনি প্রায়ই করতেন।”
অবনীন্দ্রনাথের শিষ্য, কলকাতার সরকারি আর্ট স্কুলের অধ্যক্ষ মুকুল দে লিখেছেন, “অবনঠাকুর আসলে পেন্টার, কিন্তু স্কাল্পচার যে কখনো করেননি তা নয়…। আমি যখন আর্ট স্কুলে ছিলাম তখন দেখতাম মিউজিয়ামের আশেপাশে স্কুলের বাগানের মধ্যে কিছু ভাঙা পাথরের টুকরো পড়ে আছে। তা দু’চারটে নিয়ে গিয়ে আমি মাঝে মাঝে অবনঠাকুরকে দিতাম। কী খুশি অবনঠাকুর! সেই সব ভাঙা পাথরের উপর ছেনি বাটালি চালিয়ে উনি কত রকমের মূর্তি তৈরি করতেন। পাকা ভাস্করের হাত। এচিং নিয়মিত না করলেও একবার হাত দিয়েছেন এই টেকনিকে। আমি তখন সদ্য আমেরিকা থেকে ফিরেছি। ওদেশ থেকে টেকনিকটা রপ্ত করে এসে অবনঠাকুরকে দেখাই। তখনই একটা তামার প্লেটে নিডল নিয়ে এঁকে দিলেন, প্রিন্ট নিলাম, সেই ছবি দেখে কে বলবে এই প্রিন্টটা একজন এচিং মাস্টারের হাতে করা নয়।”
‘বাবার কথা’ বইতে অবনীন্দ্রনাথের বড় মেয়ে উমাদেবী লেখেন, “এর আগে অনেকবার দেখেছি বাবা মাঝে মাঝে পাথর কেটে রূপদান করতেন। অনেকদিন আগের কথা বলছি। আমার একটা পাথরের চাকি ভেঙ্গে গিছলো। আমি সেটা জলে ফেলে দিতে বলছি দাসীকে। বাবা তা শুনতে পেয়ে বললেন— না, না, ফেলো না, আমাকে দাও দেখি। বাবা দক্ষিণদিকের বারাণ্ডায় পাথরটিকে নিয়ে বসলেন খোদাই করতে। আমার বুড়িদাসী আমার তিন মাসে ছেলে ক্ষেপুকে কোলে কোরে পা ছড়িয়ে রোদ পোয়াচ্ছে আর ঢুলছে। বাবা সেই ছবি চাকিতে কুঁদে তুলে নিয়ে আমাকে দিলেন, সেটি এখনো সযত্নে রাখা আছে। এমন ছিল তাঁর খেয়ালখুশির কাজ।”
তার পর থেকে ঠাকুরবাড়িতে কারও পাথরের বাসন ভাঙলেই অবনীন্দ্রনাথের কাছে নিয়ে আসা হত। তাঁদের বাড়িতে পাথরের বাসনে খাওয়ার চল ছিল, ভাঙতও অনেক। ছেলেবেলায় দৌহিত্র মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়রা প্লাস্টিসিন নিয়ে খেলতেন। তখন বিলিতি প্লাস্টিসিন পাওয়া যেত। বিলিতি বর্জনের যুগে বড়রা তা আর আনতে চাইলেন না। তখন অবনীন্দ্রনাথ বললেন, “আয় তোদের জন্যে দিশি প্ল্যাস্টিসিন তৈরি করে দিই।” বেনের দোকান থেকে জমিদারি মোম কিনিয়ে আনালেন। তাই গলিয়ে এটা ওটা মিশিয়ে নানা পরীক্ষা করে এক রকম দিশি প্লাস্টিসিন বার করে ফেললেন। তাতে ভুসো কালির রং ছাড়া আর কোনও রং লাগল না। বললেন, “তোরা এই নিয়ে খেল।” রঙের জন্যই হোক বা যে কোনও কারণে তারা সেটা বাতিল করে দিল। তখন অবনীন্দ্রনাথ নিজেই সেই নিজের গড়া প্লাস্টিসিন নিয়ে নানা রকম পুতুল গড়তে শুরু করলেন। শেষে দেখা গেল এমনই অপূর্ব কিছু জিনিস তৈরি করে ফেলেছেন, যেগুলি স্থায়ী ভাবে রক্ষা করতে পারলে ভাল হয়। মোমের পুতুল ফেলে রেখে দিলে বেশি দিন টিকবে না। তাই হরিচরণ মিস্ত্রির ডাক পড়ল। হরিচরণ যে কোনও জিনিস ছাঁচে ঢালাই করতে পারত। কিন্তু নরম মোমের জিনিস পিতলে ঢালাই করা মহা সমস্যা। একটু গরম বা চাপ পড়লেই মোমের আকৃতি নষ্ট হয়ে যাবে। অবনীন্দ্রনাথের সঙ্গে পরামর্শ চলল ক’দিন ধরে। শেষে দু’জনে মিলে কী একটা পদ্ধতি বার করলেন, যাতে তুলতুলে মোমের পুতুলও পিতলে ঢালাই করা যায়।
অবনীন্দ্রনাথ তার পর হরিচরণ মিস্ত্রিকে বললেন, “হরিচরণ এ তুমি পেটেন্ট করে রেখে দাও। খবরদার কাউকে শিখিও না।” সে সময় করা অবনীন্দ্রনাথের অতি নিখুঁত কয়েকটি মোমশিল্প আজ পিতলের মাধ্যমে রক্ষিত হয়ে আছে। অবনীন্দ্রনাথের বহু পরীক্ষার মতো এই পদ্ধতির কথাও লিখে রাখা হয়নি, হারিয়ে গেছে। ভাস্কর্যগুলিও কোথায় আছে, জানা নেই।
শুধু নিজের করা মূর্তিই কাস্ট করেছেন এমন নয়। কারও কাজ ভাল লাগলে তা-ও ঢালাই করে ফেলতেন। অমর্ত্য সেনের মা, আশ্রমকন্যা অমিতা সেন এমনই এক বর্ণনা দিয়েছেন— ক্ষিতিমোহন সেনের স্ত্রী কিরণবালা দেবী কলাভবনে ভর্তি হয়েছিলেন, নন্দলাল বসুর কাছে শিখতে। মৃৎশিল্প ছিল কিরণবালার বিশেষ প্রিয়। গড়তেন নানা মূর্তি। এক বার অবনীন্দ্রনাথের খুব পছন্দ হল কিরণবালার তৈরি শিশুক্রোড়ে এক মাতৃমূর্তি। তিনি সেটি নিজে হাতে ব্রোঞ্জে ঢালাই করে কলাভবনে সাজিয়ে রাখলেন। সেটি এখনও কলাভবনে রক্ষিত আছে।
অবনীন্দ্রনাথ ‘বাগেশ্বরী শিল্প প্রবন্ধাবলী’-তে লিখেছেন কথার ভিতর দিয়ে, সুর দিয়ে ছবি আঁকার কথা। কথার ছবি হয়, কথা সুরে বাজে, আবার কথা দিয়ে একটা মূর্তি তৈরি হয়। এই অন্তর্দৃষ্টি থেকে অবনীন্দ্রনাথ বলেছেন, শিল্পীর কাজ ‘কোলাবরেশন’। ছবিতে গানে কথায় মিলিয়ে সব হবে—
‘সঙ্গীতের সঙ্গে সবাই আছি জোড়া
সুর কথা ছবি এই তো জানি মোরা।’
আবার ভাস্কর্যের কথায় আরও বলেছেন, “হরপার্বতীর মূর্তি গড়লুম, গ্রিক থেকে নেওয়া অবশ্য আইডিয়াটা। একদিকে হরের মূর্তি আর-এক দিকে পার্বতীর মূর্তি। এলাহাবাদে তৈরি হচ্ছে, বিন্দা কারিগর পাথর কাটছে। মহা তর্ক সে মূর্তি নিয়ে পণ্ডিতে পণ্ডিতে। তাঁরা স্নান করতে যান আর মূর্তি নিয়ে তর্ক করেন। শুধু একজন পণ্ডিত বললেন, এতো ঠিকই হচ্ছে, একদিকে হর আর একদিকে পার্বতী। নয়ত এক মুখে আধাআধি দুই মুখ; দেবতাদের মুখ কি করাত চালিয়ে কাটব?” ভাস্কর্যে তিনি গড়লেন সামনে পিছনে দুই মুখ দুই দেবতার। কিন্তু চিত্রাঙ্কন শিক্ষার শুরুতে তাঁর প্রায় সব ছাত্রই অর্ধনারীশ্বর এঁকেছেন এক মুখ দুই ভাগ করে। চিত্রে এই পর্যন্তই করা যায় একপটে।
বড় ছেলে অলোকেন্দ্রনাথ লিখেছেন, “নতুন ধারায় তাঁর শিল্পোদ্যম প্রকাশিত হতে শুরু হল। তিনি পাথরের টুকরো কেটে নানা মূর্তি গড়ায় মন দিলেন। পাথরের মূর্তিগুলি নানা লোককে দান করে দিয়েছিলেন। সেগুলি যদি একত্র করা সম্ভব হত, তবে তাঁর হাতের যাদুতে কঠিন প্রস্তরেও কী অপূর্ব ভঙ্গি ফুটে উঠেছিল তা সহজেই অনুমেয় হত।”
ভাস্কর সুনীল পাল লিখেছেন, “কেমন করে একখণ্ড ব্যাঙের আকারের পাথর অল্প ছেনির ঘায় থপথপে ব্যাঙে পরিণত হয়ে গেল।” শিষ্য প্রবোধেন্দুনাথ ঠাকুর দেখেছেন দক্ষিণের বারান্দায় বসে ছেনি হাতুড়ি চালিয়ে ঠুক ঠুক করে কালোপাথরের বিঘতখানেক একটি কচ্ছপ তৈরি করছিলেন। কোথায় হঠাৎ কুড়িয়ে পেয়েছিলেন কষ্টিপাথরের এই নোড়া। আর মাটিতে থেবড়ে বসে গেছেন নতুন খেলায়। বললেন, “দেখেছিস খাসা কাটা হয়ে গেছে রে, কচ্ছপের দাঁড়া, যেন বর্ম এঁটে খাড়া হয়ে উঠেছে। চলতে চাইছে। আমায় দেখছি, এবার পুরীর সমুদ্দুরের ধারে যেতে হবে।”
যে রূপকে তিনি ধরেছেন, তা-ই হয়েছে অক্ষয় অবিনশ্বর। যেমন তাঁর কুটুম-কাটুমগুলি। এও এক অতি আধুনিক ভাস্কর্য। যার রূপ লুকিয়ে থাকে উপাদানের মধ্যেই। সামান্য বিন্যাসে সেটি ফুটিয়ে তুলে বাইরে আনা হয় শিল্পীর মনের ইচ্ছেয়। প্রাণ পায় কাঠকুটো পাথর।
এক বার নন্দলাল বসু বাগগুহার কপি করা ছবিগুলো দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে দেখাচ্ছিলেন। তিনি উৎসাহ করে তাঁর ঠাকুরদাদা দ্বিজেন্দ্রনাথকে সেই সব ছবি দেখাতে নিয়ে গেলেন। তিনি সেই ছবি দেখা মাত্র বলে উঠলেন, “হ্যাঁ এই তো ভারতীয় আর্ট। এইরকম সব ছবি করবে তোমরা।” একটু থেমে জিজ্ঞাসা করলেন, “আচ্ছা আমাদের অবন কী করছে এখন?” অবনবাবু তখন পাথর কেটে বা মোমে ঢেলে ব্রোঞ্জে কাস্ট করছিলেন। তাঁর করা দ্বিজেন্দ্রনাথের পাথরকাটা ব্রোঞ্জের মূর্তি আছে কলাভবনে। ওই কাস্ট করার কথা বলতেই তিনি বললেন, “ওই দ্যাখ, আমাদের দেশের ওই দোষ। ভালো আর্টিস্ট হতে না হতেই আর একটা ধরবে। অবন পেন্টিংটাই ভালো করে না করে, না শিখেই আবার স্কাল্পচার করতে গেল। অবনের হয়ে গেছে। ইটালিয়ানদের মত মাস্টারপিস করো। তবে বুঝবো হ্যাঁ।”— এই বিবরণেও একটা হদিস পাওয়া গেল অবনীন্দ্রনাথের কাজের। ‘প্রবাসী’ পত্রিকার সম্পাদক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের কন্যা শান্তাদেবী লিখেছেন, “একদিন দেখলাম তিনি শ্বেতপাথরের একটি ভাঙা থালা নিয়ে ছোটো বাটালি দিয়ে কী খোদাই করছেন। ধীরে ধীরে সেটি দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি হয়ে উঠল। এটিও দ্বিজেন্দ্রনাথকে না দেখেই করা।” তিনি বলতেন মনের মধ্যে রূপ ধরে রাখতে। দ্বিজেন্দ্রনাথ যা-ই বলুন, অবনীন্দ্রনাথের লম্বা লম্বা আঙুলগুলো কাঠ পাথরের সঙ্গে কথা কয়ে উঠেছে।
শুধু রূপ নয়, তাঁর নজর ছিল রূপসৃষ্টিকর যন্ত্রেও— লিখেছেন, “শিল্পের নানা প্রহরণ তারই নানা রূপ এক এক আর্টিস্ট এসে দখল করলে যুগে যুগে। যে পাথরের অন্তরে, যে কাঠের শরীরে যে রূপ লুকিয়ে থাকে তাকে মুক্ত করাই শিল্পীর কাজ। রূপ মুক্তির সাধনা হল তাকে জাগিয়ে তোলা। একটি মাটির ঢেলা, এক টুকরো পাথর তাদের রূপ নিরেট করে বাঁধা নিয়তির নিয়মে— কিন্তু সেই ঢেলা আর পাথর রূপদক্ষের কাছে মুক্তি পেয়ে যখন আসে অপরূপ সব মূর্তি ধরে, তখন মানুষ তার পুজো দেয়, তাকে প্রেমালিঙ্গন দেয়, খেলা করে মাটি পাথর মানুষের সঙ্গে। পাষাণ দিলে বর অভয়, পাষাণ দিলে ভিজিয়ে মন— এ অঘটন কি ঘটতো যদি সুহস্ত রূপদক্ষ পাষাণকে তার জড়ত্বের কঠিন কারাগার থেকে না মুক্তি দিতেন!”
তিনি ছাত্রদের মনের ভিতর অবধি দেখতে পেতেন। তাদের মনের ভাবকে অবলম্বন করে যাতে তাঁরা সঠিক পথে চলতে পারে, তার দিক্নির্দেশ দিতেন। তেমনই আবার ছাত্রদের মধ্যে থেকেও বার করে আনতে পারতেন প্রতিভার ফল্গুধারা। আর্ট স্কুলের ছাত্র হিরণ্ময় রায়চৌধুরী, বেঙ্কটাপ্পা, দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরী প্রমুখের চিত্রশিল্পে ত্রিমাত্রিক আবেদন দেখে তিনি তাঁদের ভাস্কর্যের পথে চালিত করেছেন। তাঁরা চিত্রাঙ্কনে যেমন, ভাস্কর্যেও তেমনই সিদ্ধিলাভ করেছেন। অবনীন্দ্রনাথের অনবদ্য সৃষ্টি কুটুম-কাটুমগুলিও বৈচিত্রে ও শিল্পসুষমায় অসাধারণ অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন শিল্পীর কাজ।
তথ্যঋণ: বাবার কথা- উমাদেবী;অতল জলের তলে তলে– শমিতা গঙ্গোপাধ্যায়; শান্তিনিকেতনের আশ্রমকন্যা- অমিতা সেন; দক্ষিণের বারান্দা- মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়; অবনীন্দ্র-চরিতম- প্রবোধেন্দুনাথ ঠাকুর; আমার কথা- মুকুল দে; কিছু স্মৃতি কথা, কিছু শিল্প ভাবনা- সুনীল পাল; অবিন ঠাকুর ছবি লেখে- অলোকেন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাগেশ্বরী শিল্প প্রবন্ধাবলী- অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর; ভারতশিল্পী নন্দলাল- পঞ্চানন মণ্ডল; পূর্বস্মৃতি- শান্তা দেবী।