Novel

বৃশ্চিকবৃত্ত

সারা শরীর থেকে যেন আগুনের হলকা বেরোচ্ছে। এক ঝটকায় কিমোনো টাইপ নাইটগাউনটা ফ্লোরের কার্পেটে ঝেড়ে ফেলল রিচা। সম্পূর্ণ নগ্ন পাঁচ ফুট আট ইঞ্চির ঢেউ-খেলানো হিলহিলে শরীরটায় এখন একটা সুতোও নেই।

Advertisement

সুপ্রিয় চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২১ ০১:৩৮
Share:

চুপ করে বসে রুদ্রর চোখা-চোখা প্রশ্নের ধাক্কাগুলো সামলালেন মজিদসাহেব। তার পর মজিদসাহেব যখন মুখ খুললেন, তাঁর গলার আওয়াজ একদম শান্ত হয়ে গেছে তত ক্ষণে, “আপনি ঠিকই বলেছেন, স্যর। ব্যাপার এতটা সিধেসাদা হলে ওই অত দূর থেকে এত খোঁজখবর করে আমি আপনার কাছে ছুটে আসতাম না। বাট দ্য ম্যাটার ইজ় নট দ্যাট সিম্পল। প্রায় শ’তিনেক মেয়ে, প্রত্যেকেই নেপালি এবং মাইনর, খুব শর্ট একটা স্প্যানের মধ্যে মিসিং হয়ে গেছে এরা সবাই। এর মধ্যে সবচেয়ে স্ট্রেঞ্জ অ্যান্ড ইন্টারেস্টিং যে ঘটনা, তা হল মেয়েগুলোকে কোন রেড লাইট এরিয়ায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। বুঝতেই পারছেন স্যর, ফরেন কান্ট্রির ব্যাপার, ওদের এমব্যাসি থেকে চাপ আসছে সমানে... যে হেতু বাংলাই এই মেয়েদের এ পারে আসা, এখানকার রেড লাইট এরিয়াগুলোয় ছড়িয়ে পড়া অথবা এখান থেকে অন্য রাজ্যে চলে যাওয়ার ব্যাপারে ওয়ান অব দ্য মেন ট্রানজ়িট পয়েন্টস, ফলে এখানকার পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ওপরেই স্যর, চাপ আসছে সবচেয়ে বেশি। ওয়েস্ট বেঙ্গল, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, বিহার, হরিয়ানা, ইউপি সব ক’টা স্টেটের ব্রথেলগুলোয় জয়েন্ট কুম্বিং সার্চ চালিয়েছে আমাদের অ্যান্টি ট্র্যাফিকিং আর মিসিং স্কোয়াড। ওই সব স্টেটের পুলিশও কো-অপারেট করেছে খুব। কিন্তু সব বেকার! যেন হাওয়ায় উবে গেছে মেয়েগুলো!” কথা শেষ করে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন মজিদ।

Advertisement

“কিন্তু এ ব্যাপারে আমার ভূমিকাটা কী, সেটাই তো বুঝতে পারছি না আমি!” মজিদের চোখে চোখ রেখে সরাসরি প্রশ্নটা করল রুদ্র।

কথার মাঝখানে পর্দা সরিয়ে ঘরে ঢুকল শ্রীপর্ণা। হাতে একটা ট্রে-তে চায়ের কাপ আর বিস্কুট। টেবিলে ট্রে-টা নামিয়ে রেখে তাকাল মজিদের দিকে, বলল, “আজ রাতে তো আর ফেরার কোনও উপায় নেই। তিন জনের জন্য যা হোক দুটো ফুটিয়ে নেব, তা-ই খেয়ে নিতে হবে কোনও মতে। অফিসঘরেই ক্যাম্পখাট আছে। এখানে ঠান্ডা পড়ে খুব। কম্বলমুড়ি দিয়ে রাতটা কাটিয়ে দিতে হবে কষ্ট করে। ঠিক আছে?”

Advertisement

“কী যে বলেন ম্যাডাম, আমার জন্য এতটা ভেবেছেন আপনারা, এটাই তো অনেক!” হাত কচলে অপ্রস্তুত হাসিমুখে বলে উঠলেন মজিদ।

“আমি আসছি, অনেক কাজ পড়ে আছে,” রুদ্রর দিকে তাকাল শ্রীপর্ণা। তার পর যে ভাবে এসেছিল, সে ভাবেই নিঃশব্দে বেরিয়ে গেল ঘর থেকে। কোনও এক ধরনের অভ্যস্ত জীবন ছেড়ে এসে এই রকম কষ্টকর পরিবেশে কী অসম্ভব রকম এক সাধুসন্ত, পির-ফকিরের মতো জীবন কাটাচ্ছে দু’টো মানুষ, অবাক হয়ে ভাবছিলেন মজিদ। ভাবনার তালটা কেটে গেল রুদ্রর কথায়, “এর মধ্যে আমি আসছি কোথা থেকে, সেটা তো বললেন না মজিদসাহেব?”

উত্তরে ফের এক বার গলাটাকে খাঁকরে নিলেন মজিদ আলি, তার পর বললেন, “আসলে স্যর, ডি সি সাহেব চাইছেন আপনি কেসটা ট্যাকল করুন। যতটা যা শুনেছি, তাতে আনঅফিশিয়ালি বলতে পারি, ডিপার্টমেন্টের একদম টপ লেভেল থেকে সাহেবের কাছে এসেছে অর্ডারটা। সেখানে বলা হয়েছে, ডিপার্টমেন্টের রুটিন প্রসেসে এই কেসটায় সাকসেস পাওয়া কিছুতেই সম্ভব নয়। ফলে এমন কাউকে দরকার, যে সব সময় সেই রুটিন ফরম্যাটে কাজ করে না, প্রয়োজন পড়লেই ফরম্যাট ভাঙে। ডি সি সাহেব চাইছেন আপনি অন্তত একটি বার ওঁর সঙ্গে দেখা করুন। ওঁর মতে আপনিই সেই…”

মজিদের কথাটা শেষ হবার আগেই ঘর কাঁপিয়ে হো হো করে হেসে উঠল রুদ্র। “এই বার বুঝেছি মজিদসাহেব! কেন আপনি সেই কলকাতা থেকে এত দূরে এই নোনাবাদার জলজঙ্গল ঠেলে আমার কাছে ছুটে এসেছেন। কারণ ডিপার্টমেন্ট জানে রুদ্রনারায়ণ ব্যানার্জিকে এ ব্যাপারে কেউ যদি রাজি করাতে পারে, সে ইনস্পেক্টর মজিদ আলি...” বলতে বলতেই হঠাৎ গম্ভীর হয়ে গেল রুদ্র, “কিন্তু মজিদসাহেব, আর কেউ বুঝুক না-বুঝুক, আপনার অন্তত বোঝা উচিত ছিল যে, এই প্রস্তাবে রাজি হওয়াটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, সেটা আপনি বললেও নয়!”

ক্রমশ ভারী হয়ে আসছিল রুদ্রর গলা, “মিমোর চলে যাওয়ার দুর্বিষহ শোক, আমার চাকরি-জীবনের ভয়ঙ্কর দিকগুলোর সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে আমাকে ছেড়ে পর্ণার চলে যাওয়া, তার পর সুমিতবাবু— কতগুলো জানোয়ারের হাতে খুন হয়ে যাওয়া অন্বেষা নামে ফুলের মতো নিষ্পাপ একটা মেয়ের বাবা— নিজে সন্তানহারা পিতা হয়েও সেই মানুষটাকে সুবিচার পাইয়ে দিতে পারলাম না, এই সব দমচাপা দুঃখগুলো জগদ্দল পাথর হয়ে ক্রমাগত চেপে বসছিল আমার বুকে। সব কিছু ছেড়েছুড়ে এখানে চলে না এলে, পর্ণা আমাকে আশ্রয় না দিলে, এত দিনে ঘোর উন্মাদ হয়ে যেতাম আমি!” থরথর করে কাঁপছিল মুখের প্রতিটি পেশি। বিষণ্ণ চোখে মজিদসাহেবের দিকে তাকাল রুদ্র, “আমি আর পর্ণা, অনেক কষ্টে নিজেদের ভেঙেচুরে যাওয়া সম্পর্কটাকে জোড়াতালি দিয়ে সারিয়ে তোলার চেষ্টা করে চলেছি। এই সময় এই সব প্রস্তাব নিয়ে এসে আমাকে আর অস্থির করে দেবেন না প্লিজ়!” কথা শেষ করে এক ঝটকায় চেয়ার ছেড়ে উঠে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল রুদ্র।

ঠিক সেই সময় সুন্দরবন চামটা ব্লকের এই অজ-গাঁ থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে ইন্দোনেশিয়ায় বালি দ্বীপের সি-বিচ লাগোয়া বিলাসবহুল রিসর্টটার সেভেন স্টার লাক্সারি স্যুটে এক অত্যাধুনিক বিদেশি মোবাইলে কথা বলছিল সুপারমডেল রিচা মিরচন্দানি। কণ্ঠস্বর ভয়ঙ্কর রকম উত্তেজিত, “লিসন ডার্লিং, এনাফ ইজ় এনাফ! দিস ইজ় দ্য লাস্ট টাইম। আমি আগেও বহু বার বলেছি, কিন্তু এটাই শেষ বার, উইদিন সেভেন ডেজ় যদি আমার সাপ্লাইটা না আসে, তা হলে কিন্তু ভিকির কাছে আমায় ফেভারটা চাইতেই হবে। হ্যাভ ইউ গট ইট? গুডনাইট!”
বিছানার ওপর ফোনটা ছুড়ে ফেলে দিয়ে রাগে থরথর করে কাঁপছিল রিচা। দ্যাট বাস্টার্ড ডিজ়াইনার মোহিত! হাউ ডেয়ার হি! শো-স্টপারের পজ়িশন থেকে এক সেকেন্ডে ওকে বাদ দিয়ে প্রিয়ঙ্কাকে নিয়ে নিল! ব্লাডি ইউনাক! নেকিয়ে নেকিয়ে বলে কি না, “রিচা সুইটহার্ট, ইউ আর নট গ্লোয়িং এনি মোর।”

রাগে ফুঁসছে রিচা। এত বড় একটা কসমেটিক্স কোম্পানি! দুনিয়াজোড়া বিজ়নেস! তাদের স্পনসর করা এই ফ্যাশন শো, যাতে সারা পৃথিবী থেকে লিডিং মডেল, ডিজাইনার এবং জাজরা আসবে, এ রকম একটা ইম্পর্ট্যান্ট কম্পিটিশনে শো-স্টপারের পজ়িশন থেকে বাদ পড়ে যাওয়া মানে কেরিয়ারে কত বড় একটা ব্ল্যাক স্পট, ওই হিজড়েটা বোঝে সে কথা! আর এ দিকে ওই মনু, শালা বুড়ো ভাম, বয়সের গাছপাথর নেই, রোজ রাতে ভায়াগ্রা নিতে হয়, “ডার্লিং আজ এনে দেব, কাল শিয়োর এসে যাবে,” এই সব আটভাট কথাবার্তা বলে ঝোলাচ্ছে রোজ রোজ। টানা-টানা চোখদু’টো রাগে ধকধক করে জ্বলছিল রিচার। সে দাঁত চেপে বলে, ‘ঠিক আছে, আমার নামও রিচা মিরচন্দানি। সেভেন ডেজ় টাইম মতলব সেভেন ডেজ়। নট আ সেকেন্ড মোর! এর মধ্যে ওই ওল্ড হ্যাগার্ড মনু ব্যাপারটা অ্যারেঞ্জ করতে পারে তো ভাল, নয়তো ভিকির কাছে ফেভারটা চাইতেই হবে, নাথিং ডুয়িং।’

সারা শরীর থেকে যেন আগুনের হলকা বেরোচ্ছে। এক ঝটকায় কিমোনো টাইপ নাইটগাউনটা ফ্লোরের কার্পেটে ঝেড়ে ফেলল রিচা। সম্পূর্ণ নগ্ন পাঁচ ফুট আট ইঞ্চির ঢেউ-খেলানো হিলহিলে শরীরটায় এখন একটা সুতোও নেই। একটা লং শাওয়ার দরকার এই মুহূর্তে। দ্রুত পায়ে বাথরুমে ঢুকে গেল রিচা।

ডারবানে নিজের বিশাল ফার্মহাউসের বসার ঘরে ন্যাটুজির কাউচে হাতের একলাখি ফোনটা নামিয়ে রেখে ভোম্বলের মতো বসেছিলেন মনুভাই পারেখ। বয়স উনসত্তর। উচ্চতা টেনেটুনে পাঁচ ফুট তিন, মাথাজোড়া টাক, থলথলে শরীরের মধ্যপ্রদেশে মাঝারি আকারের ওল্টানো কড়াইয়ের মতো একটা ভুঁড়ি।

মনুভাই সাউথ আফ্রিকায় দু’টো হিরের খনির মালিক। ব্রাসেলস, অ্যান্টওয়ার্প আর আমস্টারডামে তাঁর তিনটে ডায়মন্ড কাটিং ফ্যাক্টরি, মুম্বইয়ের জাভেরি বাজার আর ইউরোপ-আমেরিকা মিলিয়ে ডজনখানেকের বেশি জুয়েলারি আউটলেট চেন— পারেখ ডায়মন্ডস। সেই মনুভাই এই মুহূর্তে ভয়ানক বিপদে। রিচা তাকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছে।

রিচা মিরচন্দানি। বছরছয়েক হল মনুভাইয়ের জীবনে তার প্রবেশ। রিচার আগমন, বা বলা ভাল, বহু কাঠখড় পুড়িয়ে ওকে নিজের খাঁচায় ঢোকানোর জন্য কম মূল্য দিতে হয়নি মনুভাইকে। মাস গেলে লাখপঞ্চাশেক টাকার গোটাকয়েক মানি ট্রান্সফার করতে হয় সাত-আটটা দেশি-বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। দু’টো গাড়ি— একটা মার্সিডিজ়, অন্যটা পোর্শে। বান্দ্রায় সি-ফেস একটা ডুপ্লে। পেট্রলের খরচা, ড্রাইভার, এক জন প্রাইভেট সেক্রেটারি আর গোটাতিনেক কাজের লোকের মাসমাইনে। এ ছাড়াও থেকে থেকেই প্রেশাস অ্যান্ড এক্সক্লুসিভ সব গিফ্‌ট পেতে, নিয়মিত বিলাসবহুল সব পার্টি দিতে খুব পছন্দ করে রিচা। বলাই বাহুল্য, সব কিছুই যায় মনুভাইয়ের অ্যাকাউন্ট থেকে। তবে এই ব্যয়ভার সানন্দেই বহন করেন মনুভাই। আমদাবাদের বাড়িতে বাতে শয্যাশায়ী স্ত্রী, বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে অনেক দিন। পরের দুই ছেলে বিলেত থেকে এমবিএ করে এসে ব্যবসা সামলাচ্ছে, বিবাহিত তারাও। ঘর-ভর্তি নাতিনাতনি। এই বয়েসেও রিচার মতো গ্ল্যামার কুইন, ফ্যাশনদুনিয়া কাঁপানো এক জন সুপারমডেলকে নিজের মুঠোয় ধরে রাখতে পারার জন্য মনে মনে দুর্দান্ত একটা গর্ব অনুভব করেন মনুভাই। রিচার মতো পেজ-থ্রি সুন্দরী শুধু তাঁর, কথাটা ভাবলেই বুকের মধ্যে বিদ্যুৎতরঙ্গের চেয়েও জোরালো শিরশিরে উত্তেজনা খেলে যায়।

তবে মাঝে মাঝে গোল বেধে যায় এক জায়গাতেই। সেটা রিচার আকাট গোঁয়ারের মতো জেদ আর রাগ। যেমন এ বার। বেশ কিছু দিন ধরেই ওর মনে হচ্ছে, ওর সেই গ্ল্যামারের ঝলকটা আর আগের মতো নেই। আর সেটা মেরামত করতে স্পেসিফিক ওই জিনিসটা ওর চাই। চেষ্টার কসুর করছেন না মনুভাই। সব সোর্স কাজে লাগিয়ে দিয়েছেন। এ তো আর ভেন্ডি-বায়গন নয়, বাজারে গিয়ে পয়সা ফেললেই টুপটাপ থলেয় এসে পড়বে। সময় লাগতেই পারে কিছুটা। কিন্তু মুশকিল হল রিচা কিছুতেই বুঝতে চাইছে না ব্যাপারটা। আরে বাবা, ওরও তো বয়স হল! দেখতে দেখতে সাঁইত্রিশ। এই বয়েসে চেহারার জেল্লা একটুও টসকাবে না? একই রকম থাকবে? বাট হু উইল বেল দ্য ক্যাট? রিচাকে কথাটা বোঝাবে কে? তার ওপর আজ শো-স্টপারের পজ়িশনটা লুজ করার পর মেজাজ গেছে আরও বিগড়ে। মনুকে দিয়ে কাজটা না

হলে ভিকির কাছে ফেভার চাইবে বলে ধমকাচ্ছে। ভিকি মানে ভিক্রান্ত পারমার। ফাইভ অ্যান্ড সেভেন স্টার একটা হোটেল চেনের মালিক। ফ্ল্যামবয়েন্ট, হ্যান্ডসাম চেহারা। দুর্দান্ত স্টাইলিশ! পঞ্চাশ ছোঁয়া বয়েস। কিন্তু এই মাঝবয়সেও ডেডলি ওম্যানাইজ়ার। ওর হাঁ-এর মধ্যে এক বার ঢুকে গেলে আর কি বের করে আনা যাবে রিচাকে? তীব্র আশঙ্কা, অপমান আর হতাশা দাউদাউ রাগ হয়ে ঝলসাল মাথার ভেতর। এক ঝটকায় কাউচ থেকে ফোনটা তুলে নিলেন মনুভাই।

মুম্বই। বাইকুল্লা ফ্লাইওভার ব্রিজ-ঘেঁষা স্থানীয় ক্লাবঘরটা এত রাতেও বেশ জমজমাট। ক্লাবঘরের সামনে দরজার ঠিক ওপরে লাগানো গ্লো-সাইনবোর্ড— ‘শ্রীগণেশ চতুর্থী উদ্‌যাপন মণ্ডলী’। চেয়ারে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসে থাকা ছেলেছোকরার দল। মাঝখানে বসা বাবুরাও। বাবুরাও পাটিল। ছোটখাটো রোগাটে চেহারা। গায়ের রং ঘোর কালো। পরনে পাটভাঙা লম্বা ঝুলের দুধসাদা ঢোলা শার্ট আর ঢোলা পাজামা। মাথায় সাদা মরাঠি টুপি। শার্টের কলারের ফাঁক দিয়ে গণেশমূর্তির লকেট লাগানো ইয়া মোটা সোনার চেন উঁকি মারছে। পিছন দিকের দেয়ালে মাথার ওপর টাঙানো একটা বিশাল ফ্রেমে সিংহবাহিনী ভারতমাতার ছবি, তলায় লেখা ‘জয় মহারাষ্ট্র’। পাশে ঝোলানো আর-একটা ছোট ফ্রেমে এলাকার কর্পোরেটর, মানে কাউন্সিলারের সঙ্গে দেখা করার সময় ও তারিখ ছাপার অক্ষরে লেখা। বাবুরাও পাটিল। এলাকার কর্পোরেটর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement