গঙ্গার পাড়ের এ দিকটায় বসলে মাঝে মাঝে শুশুক দেখা যায়। আর দেখা যায় জাহাজ। ছোট-বড় নানা রকম জাহাজ ভোঁ দিয়ে চলে যায় খিদিরপুরের দিকে।
বাবার একটা পুরনো দিনের সাইকেল আছে। বড় আর ভারী। আমি ওটায় হাফ প্যাডেল করতে পারি। তবে দাদা ফুল প্যাডেল করে। সেটার ক্যারিয়ারে বসিয়ে মাঝে মাঝে দাদা আমায় নিয়ে আসে এই গঙ্গার ধারে। মাঝে মাঝে আনে, কারণ দাদা রোজ সময় পায় না। দাদার প্র্যাকটিস থাকে তো!
দাদার এই সাইকেলটা একদম পছন্দ নয়। বলে, ‘‘সাইকেলটা দেখলেই মনে হয় সত্যযুগে এ সব চালিয়ে লোকজন বনবাসে যেত! একটা ভাল সাইকেল কিনে দাও না বাবা। সুন্দর দেখতে, লাইট।’’
আমার বাবা গম্ভীর মানুষ। দাদার এই কথা শুনে শুধু বলে, ‘‘নিজের জোরে কিনো। সব বাবা করে দেবে না।’’
আমাদের ছোট্ট মফস্সল শহরে দাদার খুব নাম। হবেই। এখন মানে, এই উনিশশো ছিয়াশি সালের রাজ্য মিটে, একশো মিটারে দাদা ফার্স্ট হয়েছে যে! দাদা ছিপছিপে লম্বা, শ্যামলা গায়ের রং। ছোট করে কাটা চুল। লোকজন আড়ালে দাদাকে কার্ল লিউইস বলে!
দাদা এখন জোর প্র্যাকটিস করছে ন্যাশনালের জন্য! সবাই জানে সেখানেও কিছু না কিছু একটা হবেই। এই বাটানগরের গর্ব আমার দাদা!
আজ গঙ্গার পাড়ে বসে, নেপালদার থেকে কিনে আনা আলুকাবলি আর ছোলা-মাখা খেতে খেতে দাদা আমায় বলছিল রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে কী ভাবে ওদের প্র্যাকটিস হয়। বলছিল কবে ওকে দিল্লি যেতে হবে। সিন্থেটিক ট্র্যাকে প্র্যাকটিস না করলে স্পিড বাড়বে না।
আর ঠিক তখনই উদ্ভ্রান্তের মতো এসে হাজির হল নটেদা।
নটেদা বা নটরাজ সমাজপতি, আমাদের বাটানগরের সবচেয়ে বড় রেশনের দোকানের মালিক মধু সমাজপতির একমাত্র ছেলে।
মধু সমাজপতির যে শুধু রেশনের বড় দোকান আছে তা নয়। সঙ্গে বাংলা মদের কারবার, রাইস মিল আর ছোট একটা জুতোর কারখানাও আছে। লোকে বলে মধুবাবুর এত টাকা যে বুড়ির ঘর করে পোড়ালেও শেষ হবে না।
নটেদার ব্যাপারটাই তাই অন্য রকম। সারা ক্ষণ টেরিলিনের জামা, মাখন জিনের প্যান্ট পরে ঘুরে বেড়ায়। চুলে ক্রিম, চোখে বিদেশি (নাম ভুলে গিয়েছি) ব্র্যান্ডের সানগ্লাস। আর জুতো? সেই চেন দেওয়া পয়েন্টেড টো! হাঁটলে ঠ্যাক-ঠ্যাক আওয়াজ হয়! মানে আপনারা না দেখলে বুঝতে পারবেন না সব মিলিয়ে কী সাংঘাতিক একটা ব্যাপার! নটেদা হল যাকে বলে বাটানগরের জিতেন্দ্র!
কিন্তু সেই জিতেন্দ্রর আজ এমন আর্ট ফিল্মের হিরোর মতো মুখ-চোখ কেন?
কারণটা নটেদাই বলল। বর্ণালী।
বাটানগর, ছোট্ট কিন্তু খুব সুন্দর করে সাজানো একটা শহর। তার এক কোণে একটা রেল স্টেশন আছে। নাম নঙ্গী। সেই স্টেশনের সামনে থেকে যে রাস্তাটা সোজা গঙ্গা অবধি এসেছে, তাকে বলে স্টেশন রোড। ‘সুলতা স্টোর্স’ সেই স্টেশন রোডের সবচেয়ে বড় কেক-পেস্ট্রির দোকান।
সুলতা স্টোর্সের কী সুন্দর কাচের দরজা! তাতে লাল-নীল রং দিয়ে লেখা নাম। ভেতরে কাচের শোকেস! তাতে থরে থরে সাজানো কত রকমের যে কেক আর পেস্ট্রি! কাচের ও পার থেকে আমরা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি!
আমাদের মতো সাধারণ বাড়ির লোকজন সে সব দোকানে খুব একটা ঢুকতে পারে না। কাছের বড় যে কারখানাটা আছে, তার অফিসাররাই মূলত আসা-যাওয়া করে ওই দোকানে।
আমাদের এই দশ-বারো বছর বয়সে মনে হয়, সুলতা স্টোর্স বোধ হয় স্বর্গের ডাকনাম!
সুলতা স্টোর্সের মালিক, মানে রাঙাজেঠুর মেয়ে হল বর্ণালী। আমাদের মতো বয়সের কাছে, বর্ণালীদি।
দোহারা লম্বা, ফর্সা বর্ণালীদির চোখ দুটো আকাশজোড়া। কোঁকড়া চুল গালের পাশ থেকে সরিয়ে যখন সামান্য মাথা তুলে হাসে, কী ভয়ানক যে দুটো টোল পড়ে গালে, না দেখলে সত্যি কেউ বিশ্বাস করবে না! মনে হয় নদীর ঘূর্ণি যেন! যে কোনও সময়ে শুশুক লাফিয়ে উঠবে! মনে হয় বাটানগরে বিকেল হয়ে এল!
কত ছেলে যে বর্ণালীদির জন্য পাগল, তা গুনে শেষ করা যাবে না। মাঝে মাঝে আমার মনে হয়, বাটানগরে কি আলাদা করে কোনও পাগলাগারদ তৈরি করতে হবে?
আর আমার সদ্য বেড়ে ওঠার সময়ে খুব গোপনে মনে হয়, যদি বর্ণালীদির চেয়ে বয়সে বড় হতাম!
বর্ণালীদি সদ্য কলেজে ভর্তি হয়েছে। সকাল ন’টা তেত্রিশের ট্রেনে করে কলেজ যায়। আমরা শুনতাম সেই আট বগির ট্রেনে নাকি প্রায় গোটা বাটানগরই উঠে পড়ে।
এমনকি দাদার বন্ধু বিটুদা তো এক বার বলেছিল, ‘‘রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখলে হয় না যে, ন’টা তেত্রিশে যেন বারো বগির ট্রেন চালায়!’’
দাদা হেসে বলেছিল, ‘‘সে নিশ্চয়ই চালাবে এক দিন! তোরা যা শুরু করেছিস!’’
কিন্তু এ দিকে নটেদাও যে এ সব শুরু করেছে, সেটা আমরা ভাবিনি!
আজ, গঙ্গার পাড়ে বসে নটেদার দিকে তাকিয়ে দাদা জিজ্ঞেস করল, ‘‘কী হয়েছে তোর? এমন মুখচোখ কেন? বাড়ির সবাই ঠিক আছে তো?’’
নটেদা কোনওমতে বলল, ‘‘বুলু, সুইসাইড করার তিনটে সহজ পদ্ধতি বলতে পারবি? মানে এমন পদ্ধতি যাতে ব্যথা লাগে না! কিন্তু মরে যাওয়া যায়! ট্রেনে সব রকমের বই বিক্রি হয়, এটার বিষয়ে কোনও বই কেন বিক্রি হয় না রে?’’
দাদা ঘাবড়ে গেল। বলল, ‘‘কী হয়েছে বলবি তো?’’
নটেদা বলল, ‘‘বললাম তো বর্ণালী! এই দেখ!’’
নটেদা সামনে হাত পাতল। দেখলাম একটা চাবি।
দাদা অবাক হয়ে তাকাল। বর্ণালীদির সঙ্গে এর কী সম্পর্ক?
নটেদা হাত তুলে দূরে দেখিয়ে বলল, ‘‘ওই দেখ আমার নতুন রেসিং সাইকেল। বাবা আজ কিনে দিয়েছে!’’
আমরা দেখলাম সাইকেলটা। একটু দূরে নদীর বাঁধের উপর এক পাশে রাখা আছে। শীতের বিকেলের এই কমলা আলোয় মনে হল সুন্দর কোনও পরিযায়ী পাখি যেন! লাল, ছোট আর অহঙ্কারী!
আমি দাদার দিকে তাকালাম! দেখলাম দাদা মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রয়েছে সাইকেলটার দিকে।
নটেদা বলল, ‘‘এটা চালিয়ে আজ আমি গিয়েছিলাম বর্ণালীকে লাভ লেটার দিতে। সেখানে মেয়েটা এমন একটা কথা বলল না!’’
দেখলাম, দাদা যেন শুনছেই না!
‘‘এই শালা,’’ নটেদা হাত দিয়ে ঠেলল দাদাকে, ‘‘কী বলছি শুনছিস?’’
দাদা সাইকেলের থেকে চোখ না সরিয়ে বলল, ‘‘কান তো খোলা। বল।’’
‘‘মেয়েটা বলে কী জানিস! বলে, ‘আমার সঙ্গে রিলেশন চাও? তা হলে তো স্বয়ম্বরে নামতে হবে!’ ভাব এক বার। যে সব মেয়েদের প্রচুর ছেলেরা পাত্তা দেয়, তাদের খুব অহঙ্কার হয়ে যায়, জানিস?’’
দাদা বলল, ‘‘আমি কী করে জানব? আমি কি ও সব চক্করে থাকি? আর ডিমান্ড সাপ্লাইয়ের নিয়ম ধরলে তো অহঙ্কার হওয়াটা স্বাভাবিক,
তাই না?’’
নটেদা বলল, ‘‘আরে বলে কী, সামনে বাটা স্পোর্টসে যদি আমি তোকে একশো মিটারে হারাই তা হলে নাকি ও রাজি হবে!’’
দাদা এ বার মুখ ঘুরিয়ে তাকাল নটেদার দিকে, ‘‘কী বললি? স্পোর্টসে? তুই আমায় হারাবি? বরাবর সেকেন্ড হোস। তাও কুড়ি মিটার পিছিয়ে! সেখানে তুই? হারাবি?’’
‘‘তবেই ভাব,’’ নটেদা এ বার মাটিতে বসে কপালে হাত দিল, ‘‘জেনে বুঝে আমায় কাটিয়ে দিল। জানে তো বাটা স্পোর্টসে একশো মিটারে তোর ফার্স্ট প্রাইজ় বাঁধা! তাও এমন একটা শর্ত দিল! আমি মরে যাব। আমি মরে যাবই, দেখিস! আর উপায় নেই!’’
দাদা আমার হাত থেকে আলুকাবলির পাতাটা নিয়ে বলল, ‘‘এই নিয়ে কত বার মরবি? রেশমি, বাসবদত্তা, লিরিল, শ্রীময়ী, ঈপ্সিতা, এদের বেলাতেও তো মরেছিলি।
মনে নেই?’’
নটেদা মুখ তুলে নদী পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়া মোটর বোটের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘‘এ বার ফাইনাল! এ বার মরবই! দেখিস। যদি না...’’
দাদা চট করে মুখ ঘুরিয়ে তাকাল নটেদার দিকে।
নটেদা ছেঁচড়ে এগিয়ে এল দাদার কাছে। তার পর দাদার হাঁটু ধরে বলল, ‘‘তুই মানে... ধর রেসের সময়ে তোর মাসল ক্র্যাম্প হল। আমি ফার্স্ট প্রাইজ়ের পাঁচশো টাকা তোকে দেব। সঙ্গে আরও পাঁচশো দেব আমার তরফ থেকে। প্লিজ় বুলু, রাজি হ’ ভাই। এই গরিব নটের মনের দিকে তাকিয়ে রাজি হয়ে যা! নয়তো তিনটে সহজ পদ্ধতি বল।’’
দাদা চোয়াল শক্ত করে তাকিয়ে রইল নটেদার দিকে। বাটার একশো মিটার রেসটায় দাদা গত পাঁচ বছর ধরে ফার্স্ট হয়ে আসছে। আর নটেদা সেকেন্ড। দাদার কাছে এটা একটা পাড়াতুতো প্রেস্টিজের ব্যাপার! সেখানে নটেদা এটা কী বলল? দাদা এ বার যদি নটেদাকে পেটায়?
দাদা সময় নিল একটু। তার পর কেটে কেটে বলল, ‘‘ওগুলো তো দিবিই। সঙ্গে তোর এই লাল সাইকেলটাও আমার চাই। রাজি?’’
দাদার পায়ে সেই রেসের দিনেই এমন ক্র্যাম্প ধরল যে, দৌড় শুরুর কুড়ি মিটারের পরেই বসে পড়ল মাঠে। আর কী, সহজেই জিতে
গেল নটেদা!
সে দিন সন্ধেবেলাতেই লাল সাইকেল চলে এসেছিল আমাদের বাড়িতে। আর পরের দিন কালিকা মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের পাশে বান্টিদার রোল সেন্টারে দেখেছিলাম, বর্ণালীদি আর নটেদা দাঁড়িয়ে রোল খাচ্ছে!
দাদা রোজ লাল সাইকেলটা নিয়ম করে পরিষ্কার করত। যখন বাড়ি থাকত না, আমায় ভার দিয়ে যেত সাইকেলটা যত্ন করার।
ও দিকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বর্ণালীদিও যেন আরও বেশি করে জড়িয়ে পড়েছিল নটেদার সঙ্গে।
কানাঘুষোয় শুনতাম, নটেদার বাবা, মধু সমাজপতি নাকি পছন্দ করত না এ সব। বর্ণালীদির বাবা মানে রাঙাজেঠুকে ডেকে এক দিন সবার সামনে যা খুশি তাই বলেও ছিল এই নিয়ে। বলেছিল, ‘‘ছেলে ধরতে মেয়ে ছেড়ে রেখেছেন!’’
আমরা সবাই সে দিন দাঁড়িয়ে দেখেছিলাম সেই অপমান।
তার পর এক দিন তাতিয়ানা ব্যানার্জি বলে একটা মেয়ে এল আমাদের বাটানগরে। ওর বাবা কারখানার বড় অফিসার। মা রাশিয়ান।
তাতিয়ানার নীল চোখ, বাদামি চুল। সামান্য রোদেই গোলাপি হয়ে যাওয়া গাল। তাতিয়ানার নাচ, গানের গলা আর সাদা-গোলাপি স্কার্ট পরে ব্যাডমিন্টন খেলায় মজে গেল গোটা বাটানগর।
আর এই গল্প শুরুর বছরদুয়েকের মাথায় এমনই এক শীতের দিনে আবার দাদার কাছে এসে দাঁড়াল নটেদা। তার পর বলল, ‘‘বুলু, সুইসাইড করার তিনটে সহজ পদ্ধতি বলতে পারবি? মানে এমন পদ্ধতি যাতে ব্যথা লাগে না! কিন্তু মরে যাওয়া যায়! ট্রেনে সব রকমের বই বিক্রি হয়, এটার বিষয়ে কোনও বই কেন বিক্রি হয় না রে?’’
তার পর বত্রিশ বছর কেটে গিয়েছে। আমাদের সেই বাটানগর এখন বদলে গিয়েছে অনেক! বান্টিদার রোলের দোকান এখন রেস্তরাঁ! কালিকা মিষ্টান্ন ভাণ্ডার ব্রাঞ্চ খুলেছে আর-একটা। বেশির ভাগ ছেলেপুলে আর সাইকেল নয়, বাইক চড়ে ঘুরে বেড়ায় চার দিকে। শুধু গঙ্গার শুশুক আর সেই সুলতা স্টোর্স একই রয়ে গিয়েছে!
আমার দাদা এখন দিল্লিতে থাকে। নটেদা চেন্নাই। না, তাতিয়ানার সঙ্গেও কিছু হয়নি নটেদার। বরং বাবার দেখে দেওয়া মেয়ের সঙ্গে কোষ্ঠী মিলিয়ে বিয়ে করেছে। এক ছেলে আছে। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে।
দেখতে দেখতে সব কী রকম পাল্টে গেল। সুলতা স্টোর্সের কাচের গায়ে এখন হাজার দাগ। সেই লাল-নীল রং উঠে গিয়েছে কবে। চার দিকের বড় বড় দোকানের মাঝে কেমন যেন লাজুক আর মুখচোরা হয়ে বেঁচে আছে কোনওমতে।
না, রাঙাজেঠু আর নেই। মারা গিয়েছে বহু দিন। বর্ণালীদি এখন একাই দোকান চালায়। বিয়ে করেনি বর্ণালীদি। নটেদার দুঃখে কি! কে জানে! হতেও পারে! নাও হতে পারে! সব কি আর ও ভাবে জানা যায়!
এখন, যাতায়াতের পথে আমি শুধু দেখি বর্ণালীদিকে। কোঁকড়া চুলে পাক ধরেছে। বড় বড় আকাশজোড়া সেই চোখ ক্লান্ত। দোকানের ম্রিয়মাণ আলোয় কেমন যেন একা আর বিষণ্ণ লাগে বর্ণালীদিকে। কখনও মুখোমুখি হলে জিজ্ঞেস করে, ‘‘পুলু, ভাল আছিস?’’
আমি মাথা নাড়াই। দেখি বর্ণালীদি হাসছে। গালে জেগে উঠেছে সেই টোল! বিকেল হয়ে আসছে বাটানগরে! কিন্তু সেই সব শুশুক! তারা কি হারিয়ে গিয়েছে?
আমার মনে পড়ে যায় সেই লাল সাইকেলটার কথা! আমাদের বাড়ির পিছনের দিকে ছোট্ট জায়গায় আজও দাঁড়িয়ে রয়েছে। ধুলোমলিন তার রং। আর কেউ যত্ন করে না তাকে।
বর্ণালীদিকে দেখে আমার শুধু মনে হয়, বয়সে আমি যদি একটু বড় হতাম! আমি যদি... আমি যদি...
মনে হয়, কিন্তু আমি বলতে পারি না কিছু। বর্ণালীদি দাঁড়িয়ে থাকে সুলতা স্টোর্সে। আর আমাদের বাড়ির পিছনের ছোট্ট জায়গাটায় দাঁড়িয়ে থাকে লাল সাইকেল। দু’জনে আলাদা আলাদা। কিন্তু কোথায় যেন এক।
রবিবাসরীয় বিভাগে অনধিক ১৫০০ শব্দে ছোটগল্প পাঠান। ইউনিকোড ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়।
পিডিএফ-এ নয়, ওয়ার্ড ফাইল সরাসরি ইমেল করুন। ইমেল: rabibasariya@abp.in সাবজেক্ট: Rabibasariya Golpo. পাণ্ডুলিপিতে ফোন নম্বর ও সম্পূর্ণ ঠিকানা থাকা আবশ্যক।
প্রেরিত ছোটগল্পটি অবশ্যই মৌলিক ও অপ্রকাশিত হতে হবে। অনুবাদ বা অনুকরণ হলে চলবে না। অন্য কোথাও মুদ্রিত বা ডিজিটাল ইত্যাদি অন্য কোনও রূপে প্রকাশিত লেখা অনুগ্রহ করে পাঠাবেন না। এই নিয়ম কেউ লঙ্ঘন করলে তাঁর কোনও লেখাই এই পত্রিকার জন্য ভবিষ্যতে কখনও বিবেচিত হবে না।