ছবি: শুভম দে সরকার
পূর্বানুবৃত্তি: বঙ্গবাসী থেকে বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পথে অ্যাম্বুল্যান্সে সব পার্টির পতাকা নিয়ে ওঠেন সাম্যব্রত। এ দিকে বিহান বঙ্গবাসীতে গিয়ে জানতে পারে, দরিয়াকে নিয়ে তার বাবা অন্য হাসপাতালে চলে গিয়েছে।
ছেলেছোকরার দল ভাষণ শুনে চুপ করে গিয়েছে। বোঝার চেষ্টা করছে, লোকটা কে! ওরা তো জানে না যে সাম্যব্রত স্ট্রিট কর্নারিং করে, মিছিলে হেঁটে, মিটিংয়ে কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল গেয়ে বড় হয়েছেন। খবরের কাগজে আলতা দিয়ে পোস্টার লিখে, রাতের অন্ধকারে সেই পোস্টার দেওয়ালে সেঁটে বড় হয়েছেন। বোমা বেঁধে, বোমা মেরে, পুলিশের গুলি থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে, মানুষ খুন করে বড় হয়েছেন। পড়াশুনো ছেড়েছেন, জেল খেটেছেন, মেধাবী ছাত্র হয়েও করণিক হয়ে জীবন কাটিয়েছেন। কেন না, তিনি সারা জীবন ধরে একটা কাজই করেছেন। রাজনীতি। জলের মধ্যে যে ভাবে মাছ থাকে, সাম্যব্রত তেমনই মানুষের মধ্যে মিশে যেতে পারেন। বয়স হয়েছে, স্কিলে জং ধরেছে, কিন্তু বাঘের বাচ্চা কখনও রক্তের স্বাদ ভোলে না।
“ওরা মারছে। আমরা মার খাচ্ছি। দেশের সম্পদ লুটেপুটে খাচ্ছে মাত্র কয়েকটা পরিবার, আমরা বুড়ো আঙুল চুষছি। আমাদের পরিবারের ছেলেমেয়েদের জন্যে শিক্ষা নেই, অন্ন নেই, পানীয় জল নেই, চাকরি নেই। সব ওদের হাতে। ওরা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়বে, নামকরা কলেজে ভর্তি হবে, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি পেয়ে বিদেশে ঘুরতে যাবে। আমাদের ছেলেমেয়েরা অশিক্ষিত, বেকার হয়ে রাস্তায় ফ্যাফ্যা করে ঘুরে বেড়াবে। সময় কাটানোর জন্য হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে চুষিকাঠি। সস্তার মোবাইল, ফ্রিতে আনলিমিটেড ডেটা, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। কথা ছিল, আমরা ওদের উপরে বাঘের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ব, ছিঁড়েখুঁড়ে পাওনা আদায় করব। তার বদলে আমরা সেলফি তুলছি, শেয়ার করছি আর লাইক কুড়োচ্ছি। আগে আমরা ভিখিরি ছিলাম। এখন ‘লাইক ভিখিরি’ হয়েছি। দাবি আদায় করার বদলে আদায় করছি লাইক, কমেন্ট, শেয়ার। ওরা হাসছে। ওদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফুলেফেঁপে উঠছে। এ ভাবে কত দিন? পাল্টা মার দিতে হবে না?”
কী বলছেন, সাম্যব্রত নিজেই জানেন না। কে শত্রু, কে মিত্র, কে আমরা, কে ওরা— সব গুলিয়ে যাচ্ছে। তিনি বক্তৃতার অভিনয় করছেন। রাজনৈতিক স্কিল ব্যবহার করছেন নিজের স্বার্থে। মেয়ের স্বার্থে। উপায়হীন ভাবে। জীবনধারার ছাপ চেতনাকে গড়ে!
প্রথম হাততালি দিল লম্বাচওড়া ছোকরাটি। সাম্যব্রত বুঝলেন, পঞ্চাশ শতাংশ যুদ্ধজয় সম্পূর্ণ! বাকি আছে আরও পঞ্চাশ।
লম্বাচওড়া ছোকরাকে দেখে একে একে সবাই হাততালি দিতে লাগল। সাম্যব্রত আকাশে খরাজ পার্টির পতাকা উঁচিয়ে চিক্কুর ছাড়লেন, “খরাজ পার্টি!”
সবাই বলল, “জিন্দাবাদ!”
লম্বাচওড়া চিৎকার করে বলল, “গণতান্ত্রিক মোর্চা!”
সবাই বলল, “মুর্দাবাদ!”
সাম্যব্রত এ বার বললেন, “বন্ধুরা! এক বার অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে উঁকি মারুন।”
সকলের প্রতিনিধি হয়ে লম্বাচওড়া উঁকি মেরে দেখছে। সাম্যব্রত চেঁচিয়ে যাচ্ছেন। “অ্যাম্বুলেন্সে শুয়ে রয়েছেন আমাদের দলের নবীন নেত্রী। উনি সকাল থেকেই নিজের এলাকায় টহলদারিতে ব্যস্ত ছিলেন, যাতে কোথাও কোনও অশান্তি না হয়। ওদের সেটা সহ্য হয়নি। এক জন পূর্ণগর্ভাকে বোম মেরেছে। তাও উনি দমে যাননি। কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎই লেবার পেইন শুরু হয়েছে। আপনারা যদি অনুমতি দেন, তা হলে ওকে বেঙ্গল মেডিকাল কলেজে ভর্তি করে আমি এখানে চলে আসছি। সবাই মিলে অবরোধ চালিয়ে যাব।”
লম্বাচওড়া জানলা দিয়ে মুখ গলিয়ে দরিয়ার সঙ্গে কথা বলেছে। কথা বলেছে রাজুর সঙ্গেও। দ্রুত এগিয়ে এসে বলল, “রাস্তা ছোড় দো! ইন লোগোঁকো জানে দো!”
আজ সাম্যব্রত একশো শতাংশ সফল। মনে মনে নিজেকে ধন্যবাদ জানালেন তিনি। নাস্তিক বলে ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই। নিজের ক্ষমতার উপরে পূর্ণ আস্থা আছে।
অবরোধকারীদের একে একে জড়িয়ে ধরলেন সাম্যব্রত। করমর্দন করলেন লম্বাচওড়ার সঙ্গে। অ্যাম্বুল্যান্সে উঠে রাজুকে বললেন, “চলো। শেষ হার্ডল পার করা গেল।”
ভিড় দু’পাশে সরে অ্যাম্বুল্যান্সকে এগিয়ে যাওয়ার পথ করে দিয়েছে। এগোচ্ছে গাড়ি। প্রথম থেকে দ্বিতীয় গিয়ারে উঠে রাজু বলল, “দূর শালা! এ আবার কে?”
সাম্যব্রত দেখলেন, উলটো দিক দিয়ে তাঁদের লেনে একটা প্রাইভেট কার আসছে। ট্রাফিক আইন মানার কোনও প্রয়োজন বোধ করছে না। গাড়ির ড্রাইভারের আসনে যে বসে আছে, তাকে চিনতে পারলেন সাম্যব্রত। তাঁর জামাইয়ের বন্ধু সনৎ।
ছেলেটিকে একদম পছন্দ করেন না সাম্যব্রত। দরিয়া আর বিহানের প্রেমের খবর যে দিন বাড়ি বয়ে দিয়ে গিয়েছিল, সে দিনই আন্দাজ করেছিলেন, দরিয়ার প্রতি ছোকরার দুর্বলতা আছে। দরিয়া ছেলেটাকে পাত্তা না দিয়ে ভালই করেছে। খুব ধান্দাবাজ টাইপ। দরিয়া যখন কলেজে, তখন মেয়ের অনুপস্থিতিতে বাড়িতে হানা দিত। মেয়ে বিহানের সঙ্গে কী কী করছে তার নিখুঁত ধারাবিবরণী মাসে অন্তত এক বার পেয়ে যেতেন সাম্যব্রত। পাশাপাশি এটাও খেয়াল করেছিলেন, ছোকরা রাজনীতির মই বেয়ে তরতরিয়ে উঠছে। ছাত্র রাজনীতির হাত ধরে খরাজ পার্টির জেলাস্তরের নেতা হয়ে গেল কলেজে পড়ার সময়েই। পরবর্তীকালে রাজ্যস্তরের নেতা। সাম্যব্রত জানেন, সনৎই বিহানকে বকুলতলার চাকরিটা জোগাড় করে দিয়েছে। সাম্যব্রত জানেন, বিহান এবং সনৎ এখন আর আগের মতো বন্ধু নেই। এবং সাম্যব্রত জানেন, সনৎ তাঁর অতীত রাজনৈতিক পরিচয় জানে।
সনৎকে দেখে অস্বস্তি হচ্ছে সাম্যব্রতর। প্রেমে ব্যর্থ মানুষ আহত বাঘের চেয়েও ভয়ঙ্কর হয়। এ এখন কী মূর্তি ধারণ করবে কে জানে! তিনি একটু আগে খরাজ পার্টির হয়ে ভাষণ দিয়েছেন। সেটা জানলে যে কী হবে কে জানে! সাম্যব্রত ঠিক করলেন, এইটুকু দূরত্ব মাথা নিচু করে পার করবেন। ফুট দশেকের মামলা।
দুটো গাড়ি পরস্পরকে পেরোচ্ছে। সাম্যব্রতর মাথা নিচু। রাজু স্টিয়ারিং ঘুরিয়ে সনতের গাড়ি যাওয়ার জন্য রাস্তা করে দিচ্ছে। এমন সময়ে সনতের চারচাকা দাঁড়িয়ে গেল। গাড়ি থেকে তড়াক করে নেমে সোজা সাম্যব্রতর দিকে এসে সনৎ বলল, “কাকু, আপনি এখানে?”
আর মাথা নিচু করে থাকা যাবে না। জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে সাম্যব্রত বললেন, ‘সনৎ যে! কেমন আছ? এখন এখানে?’
সনতের এগিয়ে আসার মধ্যে একটা নিশ্চিত ভাব আছে। ও জানে ও কী করতে চায়। দরজার পাশে এসে হ্যান্ডলে চাপ দিয়ে কঠিন গলায় বলল, “নেমে আসুন।”
অ্যাম্বুল্যান্সের দরজা খুললেই সনৎ দেখে ফেলবে যে সিটের নীচে কিশলয় পার্টি আর গণতান্ত্রিক মোর্চার পতাকা রাখা রয়েছে। সাম্যব্রত হ্যান্ডেল চেপে রেখে বললেন, “অ্যাম্বুল্যান্সে দরিয়া রয়েছে। ওর লেবার পেইন শুরু হয়েছে। বিহান তোমাকে বলেনি?”
“নেমে আসুন,” গলার স্বর চড়েছে সনতের। আওয়াজ শুনে চ্যাংড়া ছেলেগুলো ধীরে ধীরে এ দিকে আসছে। সাম্যব্রত হাত জোড় করে বললেন, “ওর পায়ে বোমার টুকরো লেগেছে। বঙ্গবাসী হাসপাতাল থেকে ওকে বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজে রেফার করেছে। এখন আটকিও না সনৎ। মেয়েটা মরে যাবে।”
অ্যাম্বুল্যান্সের জানালা দিয়ে উঁকি মেরে সনৎ দেখল, দরিয়ার চোখ উল্টে গেছে। সারা শরীর ফুঁড়ে ঘাম বেরচ্ছে। যন্ত্রণায় কাটা পাঁঠার মতো ছটফট করছে দরিয়া। তারই মধ্যে হাত জোড় করে সনৎকে বলল, “যেতে দাও, প্লিজ়! আমি আর পারছি না।”
সনৎ মুচকি হাসল। চেঁচিয়ে বলল, “সাম্যব্রত! সাম্য যার ব্রত। নামকরণকে সার্থক করার জন্য আপনি তো বরাবর নকশাল করে এসেছেন কাকু। আজ পাল্টি খেয়ে খরাজ পার্টিতে? চক্করটা কী?”
চ্যাংড়া ছেলেগুলো এগিয়ে আসছে, একে অপরের দিকে তাকিয়ে দেখছে। লম্বাচওড়া বলল, “আরে সানাতদা, এ তো আমাদের লোক!”
সাম্যব্রত হাত জোড় করেছিলেন। দরজার হ্যান্ডেলে আর হাত ছিল না। এই সুযোগে বাইরে থেকে হ্যান্ডেল ঘুরিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সের দরজা খুলে ফেলেছে সনৎ। সাম্যব্রতর হাত ধরে এক টান দিয়েছে। ব্যালেন্স রাখতে না পেরে রাস্তায় হুমড়ি খেয়ে পড়লেন সাম্যব্রত। হাঁটুতে লাগল, হাতের তালুতে লাগল, ঘাড়ে বেদম জোরে লেগেছে। তিনি বুঝতে পারছেন, এ বার হাটুরে মার খেতে হবে। মরেও যেতে পারেন। কিন্তু এই মুহূর্তে তিনি নিজের জীবন নিয়ে নয়, দরিয়ার জীবন নিয়ে চিন্তিত।
এখন কথার খেলা, ঝান্ডা নেড়ে রং বদলানোর সময় ফুরিয়েছে। এখন শিরদাঁড়া সোজা রেখে একটাই কাজ করতে হবে। মারতে হবে!
সিটের নিচ থেকে একটা ঝান্ডা নিলেন। যে দলেরই হোক না কেন, ঝান্ডাকে উলটে ধরলে সেটা হয় ডান্ডা। সাম্যব্রত সেই ডান্ডা সপাটে চালিয়েছেন সনতের ঘাড়ে। কোথায় আঘাত করলে সিরিয়াস ইনজুরি না করে একটা লোককে অকেজো করে দেওয়া যায়, এটা তিনি সত্তর দশক থেকে জানেন।
ঘাড়ে লাগা মাত্র ‘আঁক’ শব্দ করল সনৎ। মুখ হাঁ। চোখ ঠেলে বেরিয়ে আসছে। দু’হাত বাড়িয়ে অবলম্বন খুঁজতে গিয়ে স্লো মোশনে এগিয়ে আসছে সাম্যব্রতর দিকে। সাম্যব্রত চোখের কোণ দিয়ে দেখতে পাচ্ছেন, ছেলেছোকরার দল হইহই করে এগিয়ে আসছে। সাম্যব্রত এক ধাক্কায় সনৎকে রাস্তায় ফেলে দিলেন। ফেলে দিলেন ঝান্ডাও। লাফ দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে উঠে রাজুকে বললেন, “পালাও!”
রাজু ইঞ্জিন বন্ধ করেনি। ফার্স্ট গিয়ারে গাড়ি রেখে বসে ছিল। সাম্যব্রত গাড়িতে ওঠা মাত্র টপাটপ গিয়ার বদলে পৌঁছে গিয়েছে ফোর্থ গিয়ারে। অ্যাম্বুল্যান্স ঝড়ের গতিতে পিটিএস থেকে রেস কোর্সের ক্রসিংয়ে চলে এসেছে। পিছনে দৌড়ে আসছে ছেলের দল। ইট ছুড়ছে, খিস্তি করছে। একটা বাইকও আসছে ডিকডিক শব্দ করে। সাম্যব্রত কপালের ঘাম মুছলেন। তিনি জানেন, ওরা আর কিছু করতে পারবে না। সামনেই রবীন্দ্র সদন। মোড় থেকে ডান দিকে ঘুরলেই বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজ। এখানে ওরা ঝামেলা করতে আসার সাহস পাবে না।
গাইনি ইমার্জেন্সির সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামল রাজু। ওর সব চেনা। কোথা থেকে জোগাড় করে এনেছে একটা ট্রলি। গাড়ির দরজা খুলে রাজু দরিয়াকে বলল, “এখানে চলে এস।”
দরিয়া হাঁ করে শ্বাস নিচ্ছে, তলপেট চেপে ধরে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করছে। জ্ঞান আর জ্ঞানহীনতার ধূসর সীমান্তে পৌঁছে গিয়েছে। যম আর মানুষের টাগ অব ওয়ারে ক্লান্ত। নড়াচড়ার ক্ষমতা নেই। সাম্যব্রত আর রাজু মিলে কোনও রকমে তাকে অ্যাম্বুল্যান্স থেকে ট্রলিতে তুলল। ট্রলি ঠেলতে ঠেলতে ইমার্জেন্সিতে ঢুকছে রাজু। সাম্যব্রতর ভিতরে আর একটা ফোঁটাও এনার্জি বাকি নেই। তিনি সিঁড়িতে বসে পড়ে হাঁপাচ্ছেন। শ্বাসকষ্টটা এত ক্ষণ ছিল না। এ বার ফিরে আসছে। পকেট থেকে ইনহেলার বার করে দুটো পাফ নিলেন তিনি। একটু জিরিয়ে নিয়ে ভিতরে ঢুকলেন। এরা আবার কোথায় পাঠাবে কে জানে! সকাল থেকে ঘুরে ঘুরে এখন প্রায় ছ’টা বাজে। এখনও মেয়েটার একটা গতি হল না। পকেটে লাখ লাখ টাকা না থাকলে সাধারণ মানুষের কি এ দেশে চিকিৎসা হবে না? সকলের জন্যে স্বাস্থ্য— এটা কি কথার কথা হয়েই থেকে যাবে?
দু’জন জুনিয়র ডাক্তার আর এক জন সিস্টার মিলে দরিয়াকে দেখছে। হাতের স্যালাইনের লাইন ঠিক করে দিচ্ছে। এক জন জুনিয়র ডাক্তার এগিয়ে এসে সাম্যব্রতকে বলল, “আপনি পেশেন্টের বাবা?”
“হ্যাঁ।” জবাব দিলেন সাম্যব্রত।
“আমাদের স্যর ওটি-তে আছেন। ডলিম্যাম ওঁকে ফোন করে সব জানিয়েছেন। আমরা এখনই অপারেশন শুরু করছি। তবে একটা কথা...”
দীর্ঘশ্বাস ফেলে সাম্যব্রত বললেন, “বলুন।”
হাতের ইশারায় ট্রলি নিয়ে যেতে বলল জুনিয়র ডাক্তার। ট্রলি চোখের আড়াল হতেই বলল, “এই অপারেশনে রিস্ক আছে। সবাইকেই ওটি-র আগে রিস্ক বন্ডে সই করতে হয়। তাতে লেখা থাকে, ‘রোগীর কিছু হয়ে যেতে পারে জেনেও আমি অপারেশন করাতে রাজি হচ্ছি।’’’