ছবি: শুভম দে সরকার
পূর্বানুবৃত্তি: ডাক্তারের পরামর্শের পর মন্টু ট্রলি ঠেলে দরিয়াকে নিয়ে গেল মেটারনিটি ওয়ার্ডে। কিন্তু দরিয়ার পায়ের আঘাত দেখে নার্স তাকে সেখানে রাখতে চাইল না। ঝগড়াও হল নার্স ও ডাক্তারের মধ্যে। দরিয়াকে যেতে হল অন্যত্র।
মন্টু আবার ট্রলি ঠেলতে ঠেলতে দরিয়াকে নিয়ে যাচ্ছে। এ বারে সম্পূর্ণ অন্য দিকে। দরিয়ার অল্প অল্প ভয় করছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগেই যদি এত ঝামেলা, তা হলে চিকিৎসা পেতে না জানি কত অশান্তি অপেক্ষা করে আছে! সে নিজের মনকে এই বাস্তবের থেকে দূরে রাখার জন্যে মন্টুর সঙ্গে কথা বলা শুরু করল। “ডাক্তারবাবু যখন কথা বলছিলেন, তখন তুমি হাসছিলে কেন মন্টুদা?”
মন্টু এখনও হাসছে। ‘‘মা জননী, আজ অবধি দেখেছ, কোনও সিস্টার কোনও ডাক্তারকে এই রকম বকুনি দিচ্ছে?’’
দরিয়ার হাসপাতালে যাওয়ার অভিজ্ঞতা নেই বললেই হয়। কী সরকারি, কী প্রাইভেট। অনেক বছর আগে এক বার এই বঙ্গবাসী হাসপাতালেই এসেছিল। সে দিনের অভিজ্ঞতা দরিয়া কিছুতেই মনে করতে চায় না। অবশ্য তার কারণ স্বাস্থ্যকর্মী নন। অন্য এক জন।
সে সব কথা এখানে বলার কোনও মানে হয় না। দরিয়া বলল, ‘‘না গো মন্টুদা!’’
মন্টু বলল, “এমন ঘটনা ডাক্তার ঘোষ আর সিস্টারের মধ্যে রোজ ঘটে। কেন বলো তো?”
“জানি না।”
“ওরা সোয়ামি-ইস্তিরি। কলেজ জীবনে লাভ ছিল। পরে ম্যারেজ হয়েছে। এরা বাড়িতে লাঠালাঠি করে। হাসপাতালেও লাঠালাঠি করে। বাড়িতে ‘তুমি’ বলে। এখানে ‘আপনি’। এদের জন্য বঙ্গবাসী হাসপাতালে কাক-চিল কমে গেছে!”
মন্টুর কথা শুনে হাসছে দরিয়া। যাবতীয় অসুবিধের কথা ভুলে যেতে চেষ্টা করছে। ভাল কোনও কথা মনে করার চেষ্টা করছে। সেই দিনটার কথা, যে দিন সে আর বিহান প্রথম একসঙ্গে কলকাতায় এসে চা খেয়েছিল। যে দিন হাওড়ায় পৌঁছে বিহান তাকে চুমু খেয়েছিল! অনেক বছর আগে, সরস্বতী পুজোর সন্ধেবেলা একাত্তর নম্বর বাসের পিছনের সিটে বসে গালে ঠোঁট ছোঁওয়ানো নয়। সত্যিকারের চুমু।
কলকাতার আকাশে তখন আতশবাজির রোশনাই। ঘোড়ায় চড়ে অবাঙালি বর যাচ্ছে বিয়ে করতে। সঙ্গে রয়েছে তাসাপার্টি। তারা জনপ্রিয় হিন্দি গানের সুর বাজাচ্ছে। দরিয়া দাঁড়িয়ে পড়ে বলল, “দাঁড়াও। বরকে এক বার দেখে নিই।”
দরিয়ার হাত ধরে টানতে টানতে বিহান বলল, “তোমার দেরি হয়ে যাচ্ছে। কাকু-কাকিমা চিন্তা করবেন।”
আবার ফেয়ারলি প্লেস। আবার লঞ্চ। এ বার ফেরার পালা। আসার সঙ্গে যাওয়ার তফাত হল এই যে, এখন লঞ্চ অফিসযাত্রীতে গিজগিজ করছে। একটু দূরে আলোকোজ্জ্বল হাওড়া ব্রিজ অলৌকিক ভাস্কর্যের মত দাঁড়িয়ে রয়েছে। পিছন দিকে ঘুরলে দেখা যাচ্ছে দ্বিতীয় হুগলি সেতু। কিন্তু সেটির মধ্যে স্থাপত্য বেশি, মায়া কম। ঢেউয়ের মাথায় প্রতিফলিত হয়ে অর্বুদ টুকরোয় ভেঙে যাচ্ছে হাওড়া ব্রিজের লাল নীল হলুদ সবুজ আলো। ভাঙছে, জুড়ছে, আবার নতুন প্যাটার্ন তৈরি করছে। দেখে দেখে আশ যেন মেটে না।
দরিয়া জলের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। বিহান তার পিঠে হাত দিয়ে বলল, “চলো। হাওড়া এসে গেছে। নামতে হবে।”
ঘোর কাটিয়ে জল থেকে ডাঙার দিকে এগোল দরিয়া।
হাওড়া স্টেশনের পুরনো কমপ্লেক্সের সামনে দু’জনের রাস্তা আলাদা হয়ে যাবে। দরিয়া ট্রেন ধরে লিলুয়া যাবে। বিহান হাঁটাপথে হাওড়া ময়দান। গঙ্গার ধারের দোকান থেকে সিগারেট কিনে ধোঁয়া ছেড়ে, দরিয়ার ঘাড়ে সুড়সুড়ি দিয়ে বিহান বলল, “কাল কখন দেখা হবে?”
শিউরে উঠে বিহানের হাত সরিয়ে দরিয়া বলল, “সিগারেট খাওয়া বন্ধ করো তো! মুখ দিয়ে বিচ্ছিরি গন্ধ বেরোচ্ছে!”
বিহানকে এ বার পায় কে! সে দরিয়ার হাত ধরে টানতে টানতে হাওড়া স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্সের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এটা পেরোলেই রেল মিউজিয়ামে যাওয়ার রাস্তা। জনহীন। ফাঁকা। কম আলো।
“কোথায় যাচ্ছি?” জানতে চাইল দরিয়া। উত্তর না দিয়ে হকারের কাছ থেকে মিন্ট লজেন্স কিনে মুখে পুরেছে বিহান। শিউরে উঠে মুখে হাত চাপা দিয়ে দরিয়া বলছে, “অসভ্য কোথাকার! আমি কিছুতেই তোমার সঙ্গে ওই অন্ধকারে যাব না।”
বিহান উত্তর দিল না। দরিয়া বলল, “তুমি প্রমিস করো যে সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেবে। তা হলে আমি তোমার সঙ্গে ও দিকে যাব।”
বিহান দাঁড়িয়ে পড়েছে। তাদের পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছে রেলের বিরাট ডাকবাক্স। সিলিন্ডারের মতো গড়ন। মাথাটা গোল। গায়ে লাল রং। তার উপরে কালো ডোরাকাটা। ঠোঁট থেকে সিগারেটের শেষ প্রান্তটা নিয়ে চিঠি ফেলার খোপের মধ্যে ফেলে দিয়ে বিহান বলল, “ধূমপানের বিরুদ্ধে খোলা চিঠি লিখলাম। প্রমিস! আর কোনও দিনও সিগারেট খাব না।”
বিহানের কাণ্ড দেখে ঘাবড়ে গিয়েছে দরিয়া। দৌড় লাগিয়েছে রেল মিউজিয়ামের দিকে। অন্ধকার রাস্তায় তাকে চেপে ধরল বিহান। কিছু বোঝার সুযোগ না দিয়ে ঠোঁটে ঠোঁট ডোবাল।
দরিয়া আর বিহান হাঁটতে হাঁটতে পুরনো কমপ্লেক্সের দিকে ফেরত আসছে। দরিয়া বিহানকে জিজ্ঞেস করল, “আচ্ছা, এর আগে তুমি কখনও...”
“কিস-কিন্ধা কাণ্ড ঘটিয়েছি কি না? এটাই জানতে চাইছ? উত্তর হল, না। তুমিই প্রথম এবং তুমিই শেষ। তুমি না থাকলে চুমুহীন জীবন কাটিয়ে দেব।”
দরিয়া স্টেশনের ভিতরে ঢুকে যাওয়ার আগে বিহানের হাতে হাত রেখে বলল, “একটা সত্যি কথা বলব?”
“বলো।”
“সরস্বতী পুজোর দিন তোমার সঙ্গে দেখা না হলেও তোমাকে আমি মিস করতাম।” বিহানের হাত ছেড়ে দিয়ে স্টেশনে ঢুকে যাচ্ছে দরিয়া।
সেই সব ছেলেমানুষি ভরা দিনের কথা ভেবে দরিয়ার ঠোঁটে পাতলা একটা হাসি ফুটে উঠেছিল। ভীষণ জোরে চারবার শব্দ হওয়ায় সেই হাসি মিলিয়ে গেল। মন্টু তার ট্রলি ঠেলে ইমার্জেন্সি বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে অন্য একটা বিল্ডিংয়ের দিকে যাচ্ছে। আওয়াজটা এত জোরে হল যে শুয়ে থাকা অবস্থাতেই দরিয়া কানে হাত চাপা দিয়ে বলল, “কী হল মন্টুদা?”
খোলা আকাশের নীচে ট্রলি ফেলে রেখে মন্টু হাসপাতালের গেটের দিকে দৌড় দিল। দরিয়া দেখল, সে গাছতলায় ট্রলিতে শুয়ে রয়েছে। আশেপাশে জনপ্রাণী নেই। এ বার কী হবে?
ভয়ের চোটে দরিয়ার বুক ধড়ফড় করছে। মন্টুদা গেল কোথায়? সাম্যব্রতই বা কোথায়? সে কি ট্রলি থেকে নেমে যাবে? না এখানেই শুয়ে থাকবে? লোকগুলো তো এ দিকেই আসছে!
হঠাৎই তার ট্রলি চলতে শুরু করেছে। দরিয়া দেখল, মন্টু ফিরে এসেছে। সে ট্রলি ঠেলতে ঠেলতে দৌড়চ্ছে অন্য একটা বাড়ির দিকে। একই সঙ্গে চিৎকার করে বলছে, “হাওড়া কোর্টের সামনে বোম পড়েছে। আজ ব্যাপক বাওয়াল হবে।”
যারা চিৎকার করছিল তারা ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের দিকে চলে গিয়েছে। ট্রলি ঢুকেছে সার্জারি বিল্ডিংয়ে। এ দিকটা এখনও শান্ত। পরিষ্কার ওয়ার্ডে ঢুকে মন্টু সিস্টারকে বলল, “মা জননীকে ভর্তি করে আমাকে তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিন। ও দিকে ক্যাচাল শুরু হয়ে গেছে।”
এই ওয়ার্ডের সিস্টার এক পলক দরিয়ার দিকে তাকিয়ে বলল, “ডক্টর ব্যানার্জি ওয়ার্ডেই আছেন। উনি পেশেন্টকে ওটি-তে নিয়ে গিয়ে পায়ের উন্ড দেখবেন।”
দরিয়ার মাথা এতক্ষণে ঠান্ডা হয়েছে। সে ভাবল, যাক বাবা! মসৃণ ভাবে কাজ হচ্ছে। ডাক্তার ব্যানার্জি লোকটা ভাল হলেই ভাল।
মন্টু দরিয়াকে একটা বেডে শুইয়ে দিল। স্যালাইনের পাউচ ঝুলিয়ে দিল স্ট্যান্ডে। ওটা এতক্ষণ কোলের ছেলের মতো ট্রলিতে দরিয়ার পাশে শুয়ে ছিল। একই সঙ্গে দরিয়া দেখল, সাম্যব্রতকেও সার্জারি ওয়ার্ডের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। স্বস্তির শ্বাস ফেলল সে।
ডক্টর ব্যানার্জি এলেন মিনিট পাঁচেকের মধ্যে। লম্বা, ফর্সা, রোগা। ইনি হলেন সেই রকম ডাক্তার, যাকে দেখলেই রোগীর অর্ধেক রোগ ভাল হয়ে যায়। গা দিয়ে সুন্দর গন্ধ বেরোচ্ছে। ডক্টর ব্যানার্জি দরিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে বললেন, “এক সঙ্গে কতগুলো প্রবলেম বাঁধিয়েছিস? পেটে বাচ্চা, পায়ে বোমা! তোকে তো ‘পেশেন্ট অব দি ইয়ার’ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া উচিত!”
দরিয়া ফিক করে হাসল। বলল, “আপনি আমাকে ভাল করে দিন।”
“সিস্টার! মেয়েটাকে ওটি-তে পাঠান।” টর্চ জ্বেলে দরিয়ার চোখ দেখছেন ডক্টর ব্যানার্জি। “এর কাজ তাড়াতাড়ি শেষ করে মেটারনিটি ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেব। এখানে একটু পর থেকেই বোমা খাওয়া পেশেন্টদের ভিড় শুরু হবে।”
সিস্টার দরিয়াকে ওটি-তে পাঠানোর আগে বলল, “বাবার সঙ্গে কথা বলবে?”
দরিয়া ঘাড় নাড়ল। “হ্যাঁ।”
সাম্যব্রত মেয়ের পাশে এসে দাঁড়ালেন। গত কয়েক ঘণ্টায় তাঁর চোখের কোল বসে গিয়েছে। মুখ শুকনো। জোর করে হাসলেন তিনি। সাম্যব্রতকে দেখে খারাপ লাগল দরিয়ার। সে বলল, “চিন্তা কোরো না। আমি একটু বাদেই চলে আসব।”
মন্টু ট্রলি ঠেলে দরিয়াকে অপারেশন থিয়েটারে ঢুকিয়ে দিল।
সাম্যব্রত অপারেশন থিয়েটারের বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন। দরিয়াকে ভিতরে নিয়ে গিয়েছে অনেক ক্ষণ আগে। এত সময় লাগছে কেন কে জানে! এর মধ্যে বোমায় আহত মেয়েরা এই ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে। ছেলেদের পাঠানো হয়েছে পাশের ওয়ার্ডে। পুলিশ আর মিডিয়া; কিশলয় পার্টি, খরাজ পার্টি আর গণতান্ত্রিক মোর্চার নেতা-নেত্রী, লোকাল গুন্ডায় হাসপাতাল সরগরম। আগের সেই শান্তির পরিবেশ আর নেই। সাম্যব্রত বাধ্য হয়ে তিন বার বাইরে গিয়ে সিগারেট ফুঁকে এলেন। দু’বার ইনহেলার নিলেন। হাওড়া কোর্টের লাগোয়া পাইস হোটেল থেকে এক থালা ভাত-ডাল-সবজিও খেয়ে দিলেন। আবার কখন খাওয়ার সময় পাওয়া যাবে কে জানে! এক পিস মাছ বা একটা ডিম নেওয়ার ইচ্ছে ছিল। নিলেন না। এখন প্রতিটি পাইপয়সা হিসেব করে খরচ করতে হবে।
সাড়ে তিনটের সময় সাম্যব্রত দেখলেন, ডাক্তার অপারেশন থিয়েটারের সবুজ পোশাক পরে বিল্ডিং-এর বাইরে দাঁড়িয়ে সিগারেট ফুঁকছেন। সাম্যব্রত টুকটুক করে হেঁটে তাঁর সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন।
ডক্টর ব্যানার্জি সাম্যব্রতর দিকে তাকিয়ে বললেন, “পেশেন্টের লেবার পেন অ্যাসেস করার জন্য গাইনকলজিস্ট ডলি সেনকে কলবুক দিয়ে ডেকে পাঠিয়েছি। উনি চলে আসবেন। সেই ফাঁকে বলি, আপনাকে দুটো খবর দেওয়ার আছে। একটা ভাল আর একটা খারাপ খবর। কোনটা আগে শুনবেন?”
‘‘ভালটাই আগে শুনি,’’ বললেন সাম্যব্রত।
সিগারেটে টান দিয়ে ডক্টর ব্যানার্জি বললেন, “আপনার মেয়ের পায়ে একটা পেরেক ঢুকেছিল। সেটা বার করে ক্ষতস্থান সেলাই করে দিয়েছি। এখন ওই জায়গাটা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।”
‘‘খারাপ খবরটা?’’ ঢোঁক গিলে জিজ্ঞেস করলেন সাম্যব্রত।
“পায়ের ইনজুরি থেকে অনেকটা ব্লিডিং হয়েছে। হেমারেজিক শক থেকেই বোধহয়, আপনার মেয়ে হঠাৎ হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে।”
সাম্যব্রত ঘাবড়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “মেয়েটা বাঁচবে তো?”
গম্ভীর মুখে ডক্টর ব্যানার্জি বললেন, “সেটা বলার সময় এখনও আসেনি।”
১০
“ক’টা বাজল গো?” জিজ্ঞেস করল সুদাম।
বিহান ট্রেনের মেঝেয় বসে ঘুমিয়ে পড়েছিল। সুদামের প্রশ্ন শুনে ঘুম ভেঙে গেল। মোবাইলে সময় দেখে মস্ত একটা হাই তুলে বলল, “দেড়টা বাজে। খিদে পাচ্ছে।”
সুদাম তার রঙিন ঝোলাব্যাগ থেকে মুড়ি আর চানাচুরের প্যাকেট বার করে বলল, “চলবে? কলকাতার ভদ্দরলোকেরা তো আবার মুড়ি পছন্দ করে না।”
বিহান কলকাতার ছেলে নয়, তার বাড়ি হাওড়ায়। বকুলতলায় গিয়ে সবাইকে সব সময় মুড়ি খেতে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিল। সকাল, দুপুর, বিকেল, রাত— এনি টাইম ইজ় মুড়ি টাইম। আর কত রকম ভাবে যে মুড়ি খাওয়া যায়! কখনও বাদাম, চানাচুর বা শসা-পেঁয়াজ-ছোলা দিয়ে, তো কখনও ঘুগনি, সিঙাড়া, চপ বা আলুর দম দিয়ে। চা বা জল ঢেলেও মুড়ি খেতে দেখেছে সে। নিজে অবশ্য খায়নি। সুদামের কথা শুনে মুচকি হাসল বিহান। সুদাম একটা প্লাস্টিকের প্যাকেটে মুড়ি আর চানাচুর ঢেলেছে।