ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ২
বৃশ্চিকবৃত্ত

বৃশ্চিকবৃত্ত

গ্ল্যামার, চাকরি, কেরিয়ার, লাইফস্টাইল এবং এগুলোর সঙ্গে জুড়ে থাকা সব কিছু পিছনে ফেলে রেখে। প্রায় একার চেষ্টায় স্থানীয় মেয়ে-বৌদের নিয়ে গড়ে তুলেছিল এই সংস্থাটা।

Advertisement

সুপ্রিয় চৌধুরী

শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২১ ০০:১০
Share:

ছবি: দীপঙ্কর ভৌমিক

অন্য দিকে শ্রীপর্ণা। অফিস আর অফিস ট্যুর। যতটা সম্ভব বাড়ি থেকে দূরে থাকা যায়। অগুনতি ফ্লাইট, ফাইভ অ্যান্ড সেভেন স্টার হোটেল, মিটিংয়ের পর মিটিং। আগে ড্রিঙ্ক বলতে অফিস পার্টিতে কালেভদ্রে দু’-এক পাত্র ওয়াইন। সেখান থেকে চূড়ান্ত অ্যালকোহলিক একটা মানুষে বদলে যাওয়া। এরই মধ্যে চিৎপুর রেলইয়ার্ডে কুখ্যাত ডাকাত সেলিম আকুঞ্জির গ্যাংয়ের সঙ্গে এনকাউন্টারে রুদ্রর মারাত্মক জখম হওয়া, ডাকাতদলের সবার সঙ্গে সঙ্গে কনস্টেবল গোপালের মৃত্যু। হাসপাতালে দীর্ঘ দিন যমে-মানুষে টানাহ্যাঁচড়ার পর রুদ্রর ফিরে আসা, মানবাধিকার সংগঠনগুলোর আনা ফেক-এনকাউন্টারের অভিযোগের ধাক্কা সামলানো, কোনও মতে মাথার উপর ঝুলতে থাকা সাসপেনশনের খাঁড়া এড়িয়ে যাওয়া, একমাত্র সন্তানের এ রকম একটা মর্মান্তিক পরিণতি— সব কিছু মিলিয়ে তীব্র মানসিক চাপে উন্মাদ হয়ে যাচ্ছিল শ্রীপর্ণা। পরিণামে এক দিন চূড়ান্ত বিস্ফোরণ ঘটল একটা! রুদ্রকে কিচ্ছু না জানিয়ে স্রেফ দু’লাইনের একটা চিঠি লিখে সুন্দরবনের এই পাণ্ডববর্জিত গাঁয়ে চলে এসেছিল শ্রীপর্ণা। গ্ল্যামার, চাকরি, কেরিয়ার, লাইফস্টাইল এবং এগুলোর সঙ্গে জুড়ে থাকা সব কিছু পিছনে ফেলে রেখে। প্রায় একার চেষ্টায় স্থানীয় মেয়ে-বৌদের নিয়ে গড়ে তুলেছিল এই সংস্থাটা।
শ্রীপর্ণার এমন করে চলে যাওয়াটা আরও বেশি করে খাদের কিনারে ঠেলে দিয়েছিল রুদ্রকে। বার বার মনে হচ্ছিল মা, মিমো, শ্রীপর্ণা— সবাই মিলে পরিকল্পনা করে যেন ওকে একা ফেলে রেখে চলে গেল। ওর কোনও দোষ না থাকা সত্ত্বেও। সে এক তীব্র আর অব্যক্ত যন্ত্রণা! যা কারও সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া যায় না। ফলে আরও বেশি করে ডুবে যাওয়া কাজের মধ্যে আর মদের বোতলে। কোয়ার্টার্সে ফেরা বন্ধই হয়ে গেল প্রায়। রাতে অফিসের টেবিলেই মাথা রেখে
দু’-তিন ঘণ্টার ছেঁড়া-ছেঁড়া ঘুম, চূড়ান্ত বিপর্যস্ত, বিশৃঙ্খল একটা জীবন।
ঠিক এই রকম এক সময়ে ওর হাতে এসেছিল ফাইলটা। অন্বেষা মিত্র নামে উচ্চ মাধ্যমিকের এক ছাত্রী। হঠাৎ এক দিন স্কুল ছুটির পর সন্ধেবেলা টিউটোরিয়াল থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে যায়। গোটাদুয়েক থানা, মিসিং সেকশন ঘুরে কেসটা আসে গোয়েন্দা দপ্তরে, রুদ্রর টেবিলে। ঘটনার কিছু দিন বাদে উত্তর ২৪ পরগনার একটা মেছো ভেড়ি থেকে আবিষ্কার হয় অন্বেষার পচাগলা লাশ। এর পর কেটে যায় বহু মাস। কিন্তু অপরাধীরা বেপাত্তা। ইনফর্মারদের টিপ, চিরুনি তল্লাশি, টানা তদন্ত, ব্যর্থ হয় সব কিছু! একমাত্র মেয়ের খোঁজে উন্মাদপ্রায় অন্বেষার বাবা
সুমিত মিত্র মাথা কুটতে থাকেন গোয়েন্দা দফতরে। ভাগ্যহত মানুষটাকে কোনও আশার কথা শোনাতে পারেনি রুদ্র।
অবশেষে বহু টানাপড়েন আর জটিল প্রক্রিয়ার পথ পেরিয়ে যত ক্ষণে অপরাধীদের কাছে পৌঁছতে পারে রুদ্র, তার আগেই ঘটে গেছে এক ভয়ঙ্কর ঘটনা। এক অভূতপূর্ব সূত্রে খবর পেয়ে চার অপরাধী, সমাজে প্রতিপত্তিওয়ালা চার ধনীর দুলাল, কলকাতার এক নামী ইংরেজি মাধ্যম কলেজের ছাত্র, তাদের নাগাল পেয়ে যান অন্বেষার বাবা সুমিত মিত্র। চার দুর্বৃত্তর মধ্যে দু’জন পর পর নৃশংস ভাবে খুন হয়ে যায় সুমিতের হাতে। একেবারে শেষ মুহূর্তে টিম রুদ্রর তৎপরতায় রক্ষা পায় বাকি দু’জন। বিচারে এক জন অভিযুক্ত-সহ সুমিতের ফাঁসির আদেশ, এ দিকে অন্য এক অপরাধীর দশ বছরের সাজা হয়।
ইনভেস্টিগেশন অফিসার হিসেবে রুদ্রর বহু অনুরোধ-উপরোধেও হায়ার কোর্টে আপিল করতে রাজি হননি সুমিত। স্ত্রী আগেই মারা গিয়েছিলেন ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়ায়। এর পর মেয়ের এ রকম একটা মর্মান্তিক পরিণতি! বাঁচার ইচ্ছেটাই আসলে হারিয়ে ফেলেছিলেন সুমিত। নিজের একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে ফেলা এক জন মানুষ, আইনের কাছে বিচার না পেয়ে নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া আর এক সন্তানহারা বাপকে রক্ষা করতে পারল না— এই মারাত্মক আঘাত রুদ্রর মানসিক বিপর্যয়ের কফিনে শেষ পেরেকটা গেঁথে দিয়েছিল। চাকরিতে রেজ়িগনেশন দিয়ে সোজা চলে এসেছিল এখানে। শ্রীপর্ণার চোখে ফুটে ওঠা নীরব প্রশ্নের জবাবে স্রেফ দু’টো কথা বলেছিল— দুনিয়ার আর কোথাও রুদ্রনারায়ণ ব্যানার্জি নামে একটা মানুষের দাঁড়াবার জায়গা নেই। এখানে একটু জায়গা পাওয়া যাবে? না, রুদ্রকে ফেরায়নি শ্রীপর্ণা। সেই থেকে রয়ে যাওয়া এখানে। একটু একটু করে জড়িয়ে পড়া শ্রীপর্ণার কাজের সঙ্গে।
আজও মনে আছে, চলে আসার দিন চোখের জলে ভেসে যাচ্ছিল টিমের সবাই।
“এর পর কী করবেন স্যর?” কাঁপা কাঁপা গলায় জিজ্ঞেস করেছিলেন মজিদসাহেব।
“দেখি,” জবাবে উদাস হেসে বলেছিল রুদ্র।

Advertisement

সেই মজিদসাহেব! সেই পুরনো চেনা গলার ডাক! এত দিন বাদে আজ ফের এক বার শুনতে পাওয়া যাচ্ছে সুন্দরী, বাইন, গরানের জঙ্গল আর নোনাবাদায় ঘেরা সুন্দরবনের এই অজগাঁয়ে। কিন্তু কেন? আর কী ভাবে! ও তো কারও কাছে এখানকার ঠিকানা দিয়ে আসেনি। তা হলে?
বাঁধ থেকে নেমে আলের সরু রাস্তাটা ধরে এগিয়ে আসছেন মজিদসাহেব। দেখতে দেখতে এসে দাঁড়িয়ে পড়লেন সামনে। দু’চোখে খুশি, চাপা দুঃখ আর অপার বিস্ময়ের এক মিশ্র অনুভূতি।
“কেমন আছেন মজিদসাহেব?” মৃদু হেসে প্রশ্ন করল রুদ্র।
মুখে কথা সরছিল না মজিদের, “আগে আপনি আপনার কথা বলুন স্যর। সেই যে সব কিছু ছেড়ে চলে গেলেন!” একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন মজিদ, “আর কোথায় যে গেলেন! আপনার মোবাইলটা, রিং করলে বলছে ‘দিস নাম্বার ডাজ় নট এগজ়িস্ট’। এ দিকে ম্যাডামেরটাও ওই একই অবস্থা। শেষমেশ ক্যানিংয়ের বাইক চোর আসগর, ডালহৌসি আপিসপাড়ায় বাইক চুরি করত শালা... ওই যে স্যর, মেয়াদ খেটে বেরনোর পর আপনি যাকে বিজ়নেস করার টাকা দিয়েছিলেন। এখন ঘুটিয়ারিতে বাইক সারাইয়ের দোকান করেছে একটা। ওর এক স্যাঙাত নাকি এ তল্লাটে দেখেছে আপনাকে। আসগরের কাছ থেকে মোটামুটি ভাবে জায়গাটা বুঝে নিয়ে একে-তাকে জিজ্ঞেস করতে করতে চলে এলাম। তবে ফৈজত হয়েছে অনেক খুঁজে বের করতে। বাপ রে, কী দুনিয়া সে বাহার জায়গা, উফ!” ফোঁত করে একটা নিঃশ্বাস ফেললেন মজিদ আলি।
ফের মজিদের দিকে তাকিয়ে উদাস চোখে হাসল রুদ্র, “আসগর যে ক্রিমিনাল লাইফ ছেড়ে দিয়েছে, সৎপথে ব্যবসা করে খাচ্ছে, শুনে ভাল লাগল মজিদসাহেব। আপনি আমাদের মোবাইলের ব্যাপারটা জিজ্ঞেস করছিলেন না? আপনাকে বলি, এখানে চলে আসার পর ওর মোবাইলের সিমটা বদলে ফেলেছিল পর্ণা। যাতে শহুরে কেজো কথাবার্তা ওর এখানকার কাজে অসুবিধে না ঘটায়। আর আমি?” ঠোঁটের কোণে উদাসী হাসিটার সঙ্গে এক চিলতে কৌতুক যেন, “এখানে আসার দিনই নৌকো থেকে আমার মোবাইল দু’টো এক সঙ্গে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলাম নদীর জলে। আসলে ও সবের আর কোনও দরকার নেই আমার।”
ঝুলে পড়া চোয়াল, ঠিকরে বেরনো বিস্ময়স্তব্ধ এক জোড়া চোখ! কথা আটকে গেছে মজিদের। ঠিক লোকের কাছে এসেছেন তো? এটাই সেই রুদ্রনারায়ণ ব্যানার্জি! ডি ডি ডিপার্টমেন্টের দুঁদে অফিসার! দুর্ধর্ষ এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট! যার নামে কাপড়ে-চোপড়ে হয়ে যেত বাঘা বাঘা ক্রিমিনালের! সব সময় পকেটে দু’-দুটো লেটেস্ট মডেলের স্মার্টফোন। দিনরাত ফোনকলের অবিরাম যাওয়া-আসা আর অগুনতি এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপ। ইনফর্মারদের কাছ থেকে আসা টিপ্‌স, বড়কর্তাদের সঙ্গে জরুরি কথাবার্তা, ডিপার্টমেন্টের কোলিগদের সঙ্গে আলোচনা— সব সময় ব্যস্ত থাকত ফোন দু’টো। আর এই মুহূর্তে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সেই লোকটার কাছে একটাও ফোন নেই!
বিস্ময়ের প্রবল ধাক্কাটা কেটে গেল রুদ্রর প্রশ্নে, “তা মজিদসাহেব, হঠাৎ এত দিন পর? এমনি, না কি কোনও প্রয়োজনে?”
ঠিক এই সময় বেড়ার দরজায় ক্যাঁচ শব্দ। দরজা ঠেলে ঢুকল শ্রীপর্ণা। পরনে সস্তা আটপৌরে সালোয়ার কুর্তা। পায়ে কেডস। উস্কোখুস্কো অবিন্যস্ত চুল। কপালের দু’পাশে ঘামের ফোঁটা। এক হাতে ধরা লেডিজ় সাইকেলের হ্যান্ডেল। চোখে-মুখে সারা দিনের কাজের ধকল আর ক্লান্তির ছাপ। ফের এক বার চমকানোর পালা মজিদের। এর আগে যত বার ম্যাডামকে দেখেছেন, দুর্দান্ত মড অ্যান্ড স্মার্ট এক মহিলা। ঝকঝকে ইংরেজি। নামী মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে হাই পোস্টে চাকরি... “হ্যালো ম্যাডাম!” বিস্ময় কাটিয়ে কোনও মতে বলে উঠতে পারলেন মজিদ আলি। শ্রীপর্ণার পিছনে দাঁড়ানো সংস্থার মেয়েরা একটু অবাক। কাউকে তাদের দিদিকে ‘ম্যাডাম’ বলে ডাকতে শোনেনি ওরা কোনও দিন। মেয়েদের দিকে ফিরে তাকাল শ্রীপর্ণা, বলল, “তোরা যা এখন। কাল ঠিক ন’টায় চলে আসবি। চৈতন্যপুরের দিকে যাব এক বার।”
“ঠিক আছে দিদি,” বলে সাইকেল চালিয়ে চলে গেল মেয়েরা।
সামনে এগিয়ে এল শ্রীপর্ণা। চোখমুখের চেহারা একদম স্বাভাবিক। অন্তত বাইরে থেকে কিছু বোঝার উপায় নেই।
“কত ক্ষণ এসেছেন মজিদসাহেব?” প্রশ্ন করল অত্যন্ত স্বাভাবিক গলায়।
“এই মিনিট পনেরো হবে,” হেসে তড়িঘড়ি উত্তর দিলেন মজিদ। চাপা একটা অস্বস্তির ভাব ধরা পড়ল গলায়।
রুদ্রর দিকে ঘুরে তাকাল শ্রীপর্ণা, “ওঁকে এখনও বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখেছ? যাও, দু’জনে ঘরে গিয়ে বোসো। আমি চা নিয়ে আসছি।”
চলে গেল শ্রীপর্ণা।
“আসুন মজিদসাহেব,” দাওয়ার ডান পাশে ড্রয়িংরুম কাম অফিসঘরটার দিকে এগিয়ে গেল রুদ্র। পিছনে পিছনে মজিদ আলি। সোলার লাইটের কমজোরি আলোটাকে ঘিরে বোঁ-ও-ও-ও শব্দে ঘুরপাক খাচ্ছিল বড় একটা কালো রঙের পোকা।
“তার পর বলুন মজিদসাহেব, এত দিন বাদে হঠাৎ কী মনে করে?” সিগারেটের প্যাকেট আর লাইটারটা মজিদের দিকে ঠেলে দিয়ে শান্ত গলায় প্রশ্ন করল রুদ্র। তীক্ষ্ণ চোখজোড়া সেঁটে রয়েছে মজিদের চোখে। খুক খুক করে কেশে গলা সাফ করে নিলেন মজিদ আলি। চোরা অস্বস্তি এখনও মিশে রয়েছে কণ্ঠস্বরে, “খুব প্রবলেম্যাটিক একটা কেস এসেছে ডিপার্টমেন্টে, স্যর। আপনি তো জানেন প্রতি বছর নেপাল আর বাংলাদেশ থেকে হাজারে হাজারে মেয়ে জাস্ট ট্র্যাফিকড হয়ে চলে আসছে এ পারে...”
কথার মাঝখানেই মজিদকে থামাল রুদ্র। গলায় বিরক্তিটা স্পষ্ট, “শুধু আমি কেন, পুলিশের বাইরেও হাজার হাজার মানুষ জানে সে কথা। এর মধ্যে আবার প্রবলেমের কী আছে?”
জবাবে রুদ্রর দিকে চেয়ারটা টেনে সামান্য এগিয়ে এলেন মজিদসাহেব, বললেন, “সমস্যাটা হচ্ছে এর মধ্যে বেশ কিছু মেয়ে, তারা সবাই নেপালি এবং অবশ্যই মাইনর, জাস্ট মিসিং হয়ে গেছে।”
শোনার পর হাঁ করে বেশ কিছু ক্ষণ মজিদের দিকে তাকিয়ে রইল রুদ্র। এ বার তার কণ্ঠস্বরে তীব্র বিরক্তির সঙ্গে মিশে যাওয়া একরাশ বিস্ময়, “ইউ মজিদসাহেব, ওয়ান অব দ্য মোস্ট এফিশিয়েন্ট ডিটেকটিভ অফিসার্স ইন দ্য ডিপার্টমেন্ট, এই গল্পটা শোনানোর জন্য সেই কলকাতা থেকে এত দূরে এই জল-জঙ্গলের দেশে ছুটে এসেছেন, আমাকে এটা বিশ্বাস করতে হবে? হাউ রিডিকিউলাস! এই মেয়েদের খুঁজে বের করার জন্য স্পেসিফিক অ্যান্টি ট্র্যাফিকিং সেকশন আছে, প্রয়োজনে তাদের এ কাজে হেল্প করবার জন্য মিসিং পার্সনস ডিপার্টমেন্ট রয়েছে। দে আর ভেরি মাচ স্পেশালাইজ়ড ইন দেয়ার জব। ওয়েস্ট বেঙ্গলের স্পেসিফিক পাঁচ-ছ’টা রেড লাইট এরিয়া, সেখানে রেড করেও না পাওয়া গেলে মুম্বই-পুণের কামাথিপুরা-খেতওয়ারি আর দিল্লি জি বি রোডের ব্রথেলগুলোয় সার্চ করলেই তো নাইন্টি নাইন পারসেন্ট মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যায়। তার পর তাদেরকে কেমন করে রিলোকেটেড অ্যান্ড রিহ্যাবিলেটেটেড করা যাবে, আদৌ করা যাবে কি না, অন্য কী কী প্রবলেম অ্যারাইজ় করবে, সেগুলো তো এনজিও আর ফরেন অ্যাফেয়ার্সের ব্যাপারস্যাপার, তার জন্য আপনার এত দূর ছুটে আসার কী আছে, সেটাই তো বুঝতে পারলাম না!”

ক্রমশ

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement