Novel

বৃশ্চিকবৃত্ত

কথার মাঝখানেই বেজে উঠল পকেটের মোবাইলটা। কানে তুলেই ফের গম্ভীর হয়ে গেল রুদ্র। পাথরচাপা চোয়াল। মিনিটদুয়েক বাদে ফোনটা পকেটে রেখে তাকাল সামনে। 

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২১ ০৮:০৬
Share:

ছবি: দীপঙ্কর ভৌমিক।

মুহূর্তের মধ্যে অজগর যেমন করে শিকারকে মারণপ্যাঁচে জাপটে ধরে, ঠিক তেমন ভাবে কনস্টেবলটিকে শালপ্রাংশু বাহুর প্যাঁচে নিজের শরীরে টেনে নিল কিষান। অন্যহাতে লুঙ্গির গেঁজ থেকে বিদ্যুৎগতিতে বার করে আনল রামপুরি চাকু। ঠেকিয়ে ধরল কনস্টেবলের কণ্ঠনালিতে।

Advertisement

“আগর কোই ভি আগে বাড়নে কী কোশিশ কি, তো ইসকা শাঁসি (কণ্ঠনালি) কাট লেঙ্গে!” বলে উঠল গুমগুমে বাজ-পড়া গলায়। ঘটনার অভিঘাতে বাক্‌রুদ্ধ ঘরের সবাই!

“রাস্তা ছোড়! কোই সেয়ানাপট্টি নেহি।” কনস্টেবলটির গলা জাপটে ধরে দরজার দিকে এগোতে লাগল কিষান। কথার সামান্য নড়চড় হলে এই দানবটা যা বলেছে সেটাই করবে, এটা বুঝতে অসুবিধে হচ্ছিল না রুদ্রর। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিতে হবে এখনই। ঠান্ডা চোখে হেসে কিষানের দিকে তাকাল রুদ্র।

Advertisement

“এত বড় পহেলওয়ান তুমি, আর সে কি না ডরপোকের মতো এক জন সাধারণ সেপাইকে গলায় চাকু ঠেকিয়ে বাঁচতে চাইছ! দম হ্যায় তো আকেলে লড়ো, মেরে সাথ। হ্যায় দম?”

শোনামাত্র ক্রূর একটা হাসি ঝিলিক দিয়ে উঠল কিষানের চোখের কোণে, “আকেলে মে লড়োগে? মেরে সাথ? ওহ ভি খালি হাত!” রুদ্রর কেন যেন মনে হচ্ছিল, এই প্রলোভনে পা দেবে দানবটা। নিজের শক্তির ওপর যে প্রবল বিশ্বাস, সেটাকে কখনওই খাটো হতে দেবে না ও। ঠান্ডা হাসিটা আরও চওড়া হল রুদ্রর দু’চোখে।

“হ্যাঁ, আর কেউ আসবে না আমাদের দু’জনের মাঝখানে। আর এ লড়াইয়ে আমি মরে গেলেও কেউ একটা গুলিও চালাবে না, ইট’স মাই অর্ডার। ডু ইউ আন্ডারস্ট্যান্ড?” সহকর্মীদের দিকে ঘুরে তাকাল রুদ্র।

“স্যর!” শোনামাত্র তীব্র আশঙ্কা আর বিস্ময় সন্তোষীর গলায়। হাতের ইশারায় ওকে চুপ করতে বলে কোমর থেকে পিস্তল আর রিভলভার বার করে মাটিতে নামিয়ে রাখল রুদ্র। তার পর ধীরপায়ে এগিয়ে গেল সামনে। উল্টো দিকে বুনো শুয়োরের মতো ঘোঁতঘোঁতে একটা হাসি বেরোল কিষানের গলা থেকে, “আব আয়েগা মজা খেল মে।”

বলেই হাতের চাকুটা ছুড়ে ফেলে দিল ঘরের কোণে। তার পর তালগাছের গুঁড়ির মতো হাতের ধাক্কায় দেয়ালের অন্য দিকে ঠেলে দিল কনস্টেবল ছেলেটাকে। ছিটকে গিয়ে মেঝের ওপর মুখ থুবড়ে পড়ল বেচারা। বিশাল চওড়া ষাঁড়ের মতো গর্দানের ওপর হাঁড়ির মতো মাথাটাকে দু’পাশে এক বার করে ঘুরিয়ে নিল কিষান। বুনো গরিলার মতো বিরাট বুকের ছাতিটায় ধমধম করে থাবড়া মারল দু’-চার বার। তার পর পাকা ফ্রি-স্টাইল কুস্তিগিরের মতো দু’হাত ফাঁক করে ধীরেসুস্থে এগিয়ে এল রুদ্রর দিকে। কিষানের চেহারাটাকে ফের এক বার খুব ভাল করে মেপে নিল রুদ্র। বৃষস্কন্ধ আর থামের মতো এক জোড়া হাত। ওই হাতদুটোর নাগালের মধ্যে পড়া চলবে না কিছুতেই। বিশাল ড্রইংরুমের মাঝখানে একে অপরকে ঘিরে চক্রাকারে ঘুরছিল দু’জন। পাকা জহুরির চোখে জরিপ করে নিচ্ছিল নিজের প্রতিদ্বন্দ্বীকে। হাত দুটোকে ছুড়ে দিয়ে বার বার রুদ্রকে নিজের নাগালে আনতে চাইছিল কিষান। প্রতি বারই শেষ মুহূর্তে পিছলে গিয়ে আক্রমণগুলো এড়াচ্ছিল রুদ্র, বুনো নেউল ঠিক যে ভাবে কেউটের ছোবল এড়ায়। ঠিক এই সময় রুদ্রর নাগাল পাওয়ার জন্য তেড়ে আসতে গিয়ে পা-টা একটু টাল খেয়ে গেল কিষানের। পাহাড়ের মতো শরীরটা টলে গেল সামান্য। মুহূর্তের সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে ওর চোয়াল লক্ষ্য করে মোক্ষম একটা আপার কাট চালাল রুদ্র। কিন্তু ওকে চূড়ান্ত অবাক করে অবিশ্বাস্য দ্রুততায় মাথা হেলিয়ে পাঞ্চটা এড়াল কিষান। আর পরমুহূর্তেই শালপ্রাংশু বাহুর প্যাঁচে জড়িয়ে ধরল রুদ্রর হাতটা। কুস্তির সেই বিখ্যাত কৌশল, ধোবিপাটের মারে শূন্যে উঠেই বিশাল বসার ঘরের মেঝেতে আছড়ে পড়ল রুদ্রর শরীরটা। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে শুয়ে পড়ে ‘ক্যাঁয়চি’ প্যাঁচে দু’পায়ে রুদ্রর গলা পেঁচিয়ে ধরল কিষান। প্রতি মুহূর্তে কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠছিল সে বজ্রআঁটুনি। নিঃশ্বাসের শেষ বিন্দুটুকু পর্যন্ত খুব দ্রুত বেরিয়ে যাচ্ছিল ফুসফুস থেকে। রুদ্র জানে এটাই সেই আদি ভারতীয় মল্লযুদ্ধের মারণপ্যাঁচ। ইন্ডিয়ান ডেথ লক! খুব তাড়াতাড়ি বেরোতে হবে এ মারণপ্যাঁচ কেটে। নইলে মিনিটকয়েকের মধ্যে মৃত্যু অনিবার্য! ওর পা দুটোকে শালপ্রাংশু বাহুর প্যাঁচে অক্টোপাসের মতো জড়িয়ে ধরে আছে কিষান। শরীরের সব শক্তি জড়ো করে পা ঝটকা দিল রুদ্র। হাতের বাঁধন ঢিলে হয়ে বেরিয়ে এল একটা পা। পরমুহূর্তেই একটা সপাট লাথি চোয়ালের তলায়। মুহূর্তে আলগা মারণপ্যাঁচ। লাফিয়ে উঠে দাঁড়াল রুদ্র। হাঁপাচ্ছে বেদম। চওড়া বুকটা ওঠানামা করছে কামারের হাপরের মতো। ও দিকে টলতে টলতে উঠে দাঁড়িয়েছে কিষানও। নড়বড়ে সামান্য। এই সুযোগটাকেই কাজে লাগাতে হবে। নিজের তূণ থেকে শেষ আয়ুধ বের করল রুদ্র। প্রাচীন জাপানি মার্শাল আর্ট যোদ্ধাদের অতি প্রিয় কৌশল। উশিরো মাওয়াশি। বিখ্যাত সেই রাউন্ড হাউস কিক। এই কায়দাতেই শিকারকে কামড়ে ধরে জলে টেনে নেয় অতিকায় কুমির। এক পা জমিতে রেখে অন্য পায়ে চরকির মতো ঘুরে গিয়ে কিষানের চোখ আর কানের মাঝখানে রগের জায়গাটায় বিদ্যুৎগতিতে লাথি কষাল রুদ্র। কাটা কলাগাছের মতো মাটিতে লুটিয়ে পড়ল পর্বতপ্রমাণ দেহটা। সামান্য ঝুঁকে কিষানের নাকের কাছে হাত রাখল রুদ্র। তার পর উঠে দাঁড়াল টলতে টলতে। ক্লান্ত চোখে তাকাল সহকর্মীদের দিকে, “ব্রিদিং নরম্যাল। জ্ঞান হারিয়েছে শুধু। যাও, কেউ গিয়ে হাতে হ্যান্ডকাফটা পরিয়ে দাও জলদি।”

বলে একটু দূরে পড়ে থাকা অস্ত্রদুটো কুড়িয়ে নিতে যাবে, হঠাৎই পিছন থেকে সন্তোষীর তীব্র চিৎকার, “গেট ডাউন... স্যা-আ-আ-আর! মুহূর্তের রিফ্লেক্সে নিচু হয়ে ঘাড় ঘোরাল রুদ্র। বারো ইঞ্চির রামপুরিয়া চাকুটা হাতের মুঠোয় বাগিয়ে ধরে খেপা ষাঁড়ের মতো ওর দিকে তেড়ে আসছে কিষান। ও রকম একটা আঘাতের পরও এত তাড়াতাড়ি জ্ঞান ফিরে পেয়ে কেউ এ ভাবে রিঅ্যাক্ট করতে পারে! এ যে অবিশ্বাস্য! বিস্ময়স্তব্ধ চোখে তাকিয়ে ছিল রুদ্র। পিঠ লক্ষ্য করে চাকুটা নেমে আসার আগেই গর্জে উঠল সন্তোষীর নাইন এম এম মাউজ়ার পিস্তল। প্রথম বুলেটটা গিয়ে লাগল কিষানের ঘাড়ের পাশে। টলে গিয়েও এগিয়ে আসতে থাকল কিষান। ও দিকে গর্জেই চলেছে সন্তোষীর আগ্নেয়াস্ত্র। থাড! থাড! পর পর তিনটে বুলেট। ছুটে গিয়ে গেঁথে গেল গলায়, কপালে আর বুকের বাঁ পাশে। একটা বিস্ফোরণের মতো শব্দে গোটা ফ্ল্যাট কাঁপিয়ে ফের মেঝেয় পড়ল কিষান। তখনও বুলেট বৃষ্টি করে চলেছে সন্তোষীর মাউজ়ার। চোখে কেমন একটা ঘোরলাগা দৃষ্টি। দ্রুত গিয়ে ওর পাশে দাঁড়াল রুদ্র।

“স্টপ সন্তোষী! হি ইজ় অলরেডি ডেড!”

একটু একটু করে স্বাভাবিক হল সন্তোষীর দু’চোখের দৃষ্টি। মুগ্ধদৃষ্টিতে ওর দিকে তাকাল রুদ্র, “ইনক্রেডিবল জব! আয়্যাম এক্সট্রিমলি প্রাউড অব ইউ, মাই ব্রেভহার্ট গার্ল, ইউ হ্যাভ সেভড মাই লাইফ টুডে! অফিশিয়ালি এখন
আমি ফোর্সের কেউ নই, তাঁরা আমার কথা শুনবেন কি না জানি না, তবু তোমার মেডেলের জন্য রিকোয়েস্ট করব সুপিরিয়রদের কাছে।”

বলেই ফের মেঝেয় পড়ে থাকা কিষানের নিথর দেহটার ওপর ঝুঁকে পড়ল রুদ্র। হাতের চেটো উল্টো করে ধরল নাকের কাছে। কব্জি টিপে পরীক্ষা করল মুহূর্তকয়েক। তার পর উঠে দাঁড়াল হতাশ চোখে!

“নো সাইন অব লাইফ! এটাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারলে ভাল হত। আরও এভিডেন্স অ্যান্ড ইনফর্মেশন পাওয়া যেত। বাট নাথিং ডুইং। আমাদের সামনে আর কোনও রাস্তা খোলা ছিল না। আপাতত বডিটা মর্গে পাঠাতে হবে। ওরা আসার আগে চলো, সার্চের ব্যাপারটা সেরে ফেলা যাক।”

ফ্ল্যাট জুড়ে চিরুনিতল্লাশিতে একের পর এক চোরাকুঠুরিগুলো ধরা পড়ছিল স্কোয়াডের চোখে। দেয়ালে টাঙানো বিশাল ছবির আড়ালে, আলমারির ভিতরে, বক্স খাটে। তবে সেখানে কোনও মেয়ে নেই। “মনে হয় কিছু একটা আন্দাজ করে আগে থেকেই অ্যালার্ট হয়ে গেছিল ওরা। এনিওয়ে,” কাঁধ ঝাঁকাল রুদ্র, “সেটা ইনটেনসিভ ইন্টারোগেশনের পরই জানা যাবে।”

টেবিলের পিছনে রিভলভিং চেয়ারটায় হেলান দিয়ে বসা রুদ্র। সামনে ধোঁয়া ওঠা কফি মাগ। আঙুলের ফাঁকে সিগারেট। রুদ্রকে ঘিরে বসা টিমের সবাই। দু’দিন ধরে টানা জেরা চালিয়ে ক্লান্ত বিধ্বস্ত প্রত্যেকে। কফির মাগে একটা লম্বা চুমুক দিয়ে সন্তোষীর দিকে তাকাল রুদ্র। সন্তোষীর সামনে খোলা ল্যাপটপ।

“ইন্টারোগেশনে যা যা উঠে এল, সব ডাউনলোড করে নিয়েছ তো?” প্রশ্ন করল রুদ্র।

সন্তোষী বলল, “ইট’স অলমোস্ট ডান, স্যর। সব মিলিয়ে জিস্ট যেটুকু উঠে এসেছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে, সদানন্দ, কৌশল্যাদের এই র‌্যাকেটটা নেপাল থেকে মেয়েগুলোকে নিয়ে আসার পথে রেগুলার নর্থবেঙ্গলের ওই রেডলাইট এরিয়াটাকে ট্রানজ়িট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করেছে দু’-এক দিন। তার পর কলকাতায় নিয়ে এসে সোনাগাছিতে তোলার বদলে কৌশল্যার রাজারহাটের ওই ফ্ল্যাটটায় কিষানের জিম্মায় রেখেছে প্রত্যেক বার। ওখান থেকেই কৌশল্যার শাগরেদ ওই চম্পা মেয়েটার সঙ্গে পাঠিয়ে দিয়েছে মুম্বই।”

একটু থেমে ল্যাপটপে চোখ রেখে সন্তোষী ফের শুরু করল, “মুম্বইয়ে কৌশল্যার বায়ার পার্টি, কালিয়া। কালিয়া উসমান। ওয়ান অব দ্য মোস্ট নটোরিয়াস অ্যান্ড ফিয়ারসাম গ্যাংস্টারস ইন মুম্বই আন্ডারওয়ার্ল্ড। স্মাগলিং, এক্সটরশন, ড্রাগ ট্র্যাফিকিং, কিডন্যাপিং, মার্ডার, অপারেটিং গ্যাম্বলিং জয়েন্টস, প্রস্টিটিউশন, রিয়াল এস্টেট অ্যান্ড ফিল্ম ফাইন্যান্স... শয়ে শয়ে কেস ওখানে ওর নামে। ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ, ডি ডি, এস টি এফ এ রকম আরও অনেক সেকশনে। দুবাই, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা, দুনিয়ার আরও বহু জায়গায় ছড়ানো ওর ব্যবসা। কৌশল্যার বয়ান অনুযায়ী, নর্মালি একটা মাইনর নেপালি মেয়ের রেড লাইট এরিয়াগুলোয় যে দাম ওঠে, অলমোস্ট তার চার গুণ দাম দিয়ে ওই মেয়েগুলোকে কৌশল্যার কাছ থেকে কিনেছে উসমান। কিন্তু তার পর মেয়েগুলোর কী হয়েছে, সেটা মনে হয় জানা নেই কৌশল্যারও। নইলে জেরায় মুখ খুলে দিত।”

“সেটা মনে হয় তুমি নেহাত ভুল বলোনি সন্তোষী। লকআপে ওকে যে পরিমাণ রগড়েছ তুমি আর তোমার ওই লকআপের জমাদারনিরা, তাতে আর কিছু জানা থাকলে বমি করে দিত এত ক্ষণে,” ক্লান্ত হেসে দীর্ঘশ্বাস ফেলল রুদ্র, “তবে ওই কিষানটাকে জ্যান্ত ধরা গেলে হয়তো আরও কিছু ভাইটাল ইনফর্মেশন পাওয়া যেত ওর কাছ থেকে। বাট নাথিং ডুইং!” চূড়ান্ত হতাশা রুদ্রর চোখে, “আমি ওকে না মারলে ও আমাদের ফোর্সের কোলিগকে মারত। ওর চোখে খুন দেখেছিলাম আমি। ফায়ার ওপেন না করে উপায় ছিল না আমার।”

মাথা নামিয়ে বেশ কিছু ক্ষণ চুপ করে রইল রুদ্র। তার পর সোজা হয়ে উঠে বসল চেয়ারে, বলল, “এনিওয়ে, যা হয়ে গেছে তা নিয়ে আর ভেবে লাভ নেই। মাই ডিয়ার কোলিগস, উই হ্যাভ টু লুক ফরওয়ার্ড নাও।”

কথার মাঝখানেই বেজে উঠল পকেটের মোবাইলটা। কানে তুলেই ফের গম্ভীর হয়ে গেল রুদ্র। পাথরচাপা চোয়াল। মিনিটদুয়েক বাদে ফোনটা পকেটে রেখে তাকাল সামনে।

“আশা, দ্যাট পুওর গার্ল, মারা গেছে একটু আগে! ডক্টর পত্রনবীশ এইমাত্র জানালেন খবরটা। ইমিডিয়েটলি আমাদের যেতে হবে হসপিটালে!” চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াল রুদ্র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement