একাগ্র: মনিটরে চোখ রেখে বহু বিমানের গতিবিধির উপরে তীক্ষ্ণ নজর
চৌত্রিশ হাজার ফুট উপর থেকে ভেসে এল পাইলটের গলা— মেনটেনিং ৩৪০, এসকিউ ফ্লাইট নম্বর... মাউথপিস লাগানো হেডফোন নিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) অফিসার কথা বলছিলেন সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের পাইলটের সঙ্গে।
সিঙ্গাপুর থেকে যাত্রীবাহী বিমান উড়ে যাচ্ছে কল্লোলিনী তিলোত্তমার উপর দিয়ে ইউরোপের কোনও এক শহরে। এটিসি টাওয়ারের অফিসার জানালেন — মেনটেন ৩৪০, রজার......
এইগুলো রুটিনমাফিক কথা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে সাধারণত ‘রজার’ বলা হয়। আকাশ ও মাটির এই কথোপকথনে কখনওই ‘ইয়েস’ বলা হয় না। বলা হয় ‘অ্যাফার্ম’। রানওয়েতে নামার আগে পাইলট যখন জানতে চান— ক্লিয়ার টু ল্যান্ড? এটিসি অফিসার বলেন— অ্যাফার্ম....
ঠিক তেমনই ‘নো’ বলা যায় না। বলতে হয়, ‘নেগেটিভ’। এটিসি-র কোনও নির্দেশ পালন করার সময় পাইলট যেমন পুরো ‘আই উইল ডু ইট’ বলেন না। তার জায়গায় বলেন, ‘উইলো’।
মাটি থেকে একটি উচ্চতায় ওঠার পরে ককপিটে বসে সামনে আর কিছু দেখা যায় না। সকালের আলো থাকলে, আকাশ পরিষ্কার থাকলে ভেসে বেড়াতে দেখা যায় মেঘ। বাকি সময় ককপিটের সামনে হয় ঝাপসা, নয় অন্ধকার। এটিসি-র মনিটরে সেই বিমানের অবস্থান দেখতে পান অফিসারেরা। ঠিক কোন উচ্চতায় কোন রুটে গেলে বিমান নির্বিঘ্নে যেতে পারবে তা ঠিক করে পাইলটকে জানিয়ে দেন তাঁরা। এক বার কথা বলার পরে আবার বেশ কিছু ক্ষণ পরে এটিসি-র সঙ্গে যোগাযোগ করেন পাইলট। তার মধ্যে অবশ্য জরুরি কিছু ঘটলে অন্য কথা!
কিন্তু, সে দিন একটু পরে আবার ভেসে এসেছিল সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের পাইলটের কণ্ঠ। জানতে চান, ডু ইউ হ্যাভ আ ক্রিকেট ম্যাচ ইন ইডেন? আই ক্যান সি লাইটস....
যিনি মনিটরে চোখ রেখে আরও অনেক বিমানের গতিবিধির উপরে তীক্ষ্ণ নজর রেখে চলেছেন, তাঁর পক্ষে ইডেনের ম্যাচ নিয়ে মাথা ঘামানোর অবকাশ নেই। কিন্তু, পাইলটের কথা শুনে মনে ঝিলিক দিয়ে যায়, সত্যি তো! এ দিন সন্ধ্যায় ভারত-শ্রীলঙ্কার খেলা ছিল! তুলনায় কম ব্যস্ত সহকর্মীর কাছ থেকে জানতে চান অফিসার, খেলার কী খবর! জানা যায়, বৃষ্টিতে খেলা আপাতত বন্ধ। অফিসার পাইলটকে বলেন, ম্যাচ ইজ স্টপড ফর দ্য টাইম বিয়িং, ইট’স রেনিং ইন ক্যালকাটা....
কিন্তু, শেষ এই ঝটকার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না অফিসার। পাইলট সোজা বাংলায় বলেন, এ বাবা! এই অসময়ে কলকাতায় বৃষ্টি! হেসে ফেলেন এটিসি অফিসার, আপনি বাংলা জানেন! ৩৪ হাজার উপরে ককপিট থেকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের পাইলট পাল্টা বলেন, আরে! আমি বাঙালি। বাংলারই ছেলে। রজার...
প্রতি দিন কয়েক হাজার বিমান উড়ে বেড়াচ্ছে বিশ্ব জুড়ে। পাইলটদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে চলেন এটিসি অফিসারেরা। রুটিন কথার ফাঁকেও এমন আরও অনেক মুহূর্ত তুলে আনে ব্যক্তিগত ছোঁয়া। এত যে শত্রুতা পাকিস্তানের সঙ্গে, কখনও সে দেশের পাইলট আকাশপথে কলকাতা পেরনোর সময়ে শুদ্ধ হিন্দিতে বলে ওঠেন, আপ নে তো আজ হামকো ধো দিয়া...
তার কিছু ক্ষণ আগেই ধোনি বাহিনীর হাতে বিশ্রী ভাবে হেরেছে পাকিস্তান। কলকাতার অফিসারও পাল্টা বলেন, হো সকতা হ্যায় নেক্সট টাইম আপ জিতেঙ্গে... পাইলট ‘থ্যাঙ্কস’ বলে উড়ে গিয়েছেন।
শুধু যে ক্রিকেট তা নয়। ফুটবলও রয়েছে। সে দিন ব্যাঙ্কক থেকে অন্য বিমানের সঙ্গে জার্মানির লুফৎহানসার পাইলট সবে ঢুকে এসেছেন কলকাতার আকাশ-সীমায়। সে দিন এত বিমান এক সঙ্গে এসেছিল যে এক-একটি বিমানকে বেশি উচ্চতা থেকে নামিয়ে আনা হচ্ছিল। আর এ রকম হলে, সাধারণত পাইলটেরা বেশ ক্ষুব্ধ হন। কাঙ্ক্ষিত উচ্চতা না পেলে তাঁদের জ্বালানি পোড়ে বেশি। কিন্তু, পরিস্থিতির চাপে এটিসি বাধ্য।
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ছিল সে দিন। ঘটনার কয়েক মুহূর্ত আগে জার্মানি সবে জিতেছে। এটিসি অফিসার প্রথমেই জার্মান পাইলটকে সে খবর দিয়ে বলেন, এখন তুমি আরও ১০ হাজার ফুট নেমে এস...
হেসে ফেলেন পাইলট, আজ এমন খবর শুনিয়েছ যে তুমি যা বলবে তা-ই করব...
এটিসি ও পাইলটের মধ্যে কথা হয় আরও নানান বিষয় নিয়ে। এক বার জার্মানির আর এক পাইলট আকাশের অনেক ওপর থেকে বেশ ঘাবড়ে গিয়ে ইংরেজিতে প্রশ্ন করেছিলেন, কলকাতায় কি টেরর অ্যাটাক হয়েছে! আমি উপর থেকে শহরের আকাশে প্রচুর মিসাইল দেখতে পাচ্ছি...
হেসে ফেলেছেন এটিসি অফিসার, ক্যাপ্টেন, নট টু ওরি। টুডে ইজ় কালিপুজো। ইট’স আ ওয়রশিপ টু আ পার্টিকুলার গডেস। অ্যান্ড উই সেলিব্রেট ইট উইথ স্মল রকেটস অ্যান্ড ক্র্যাকার্স...
পাইলটের জবাব, ও মাই গড! প্লেনটি অব দেম!
মাঝ-আকাশে ককপিট থেকে পাইলট যে চ্যানেলে এটিসি-র সঙ্গে কথা বলেন, পাশে উড়ে যাওয়া পাইলটও অনেক সময়ে তা শুনতে পান। এক দিন এক বিদেশি পাইলট রুটিন কথার ফাঁকেই জানতে চান, আপনারা দেশীয় ভাষায় কী করে অন্যকে সম্ভাষণ করেন....
এটিসি অফিসার কিছু বলার আগেই পাশ থেকে উড়ে যাওয়া অন্য একটি উড়ানের বিদেশি পাইলট প্রায় বাচ্চাদের মতো চিৎকার করে বলে উঠেছিলেন, আমি বলব, আমি বলব। আমি জানি। নমস্তে...
কলকাতার এক মহিলা এটিসি অফিসারের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই কথা হত বাংলাদেশ বিমানের এক পাইলটের, যাতায়াতের ফাঁকে। এক জন আকাশে, এক জন মাটিতে। রুটিন কথাবার্তার ফাঁকে কখনও পাইলট বাংলায় জানতে চাইতেন, ভাল আছেন?
মাঝে মাস দুয়েকের জন্য অসুস্থ হয়ে ছুটিতে চলে যান সেই মহিলা কর্মী। ফিরে এসে আবার চ্যানেলে বসে কাজ শুরু করার কয়েক দিনের মধ্যেই ভেসে আসে চেনা বাংলাদেশি পাইলটের কণ্ঠস্বর। মহিলার গলা শুনে সেই পাইলটের অভিব্যক্তি, দিদি! এত দিন কোথায় ছিলেন! আপনার আওয়াজ পাইনি কেন! ভাল আছেন তো! সেই মহিলা এটিসি অফিসারের কথায়, অসুস্থ শরীরের ক্লান্তি, অবসাদ যেন ধুয়ে গিয়েছিল এক লহমায়— না-দেখা, ভিনদেশি এক মানুষের সেই ব্যক্তিগত ছোঁয়ায়।
প্রতি দিন এক শহর থেকে অন্য শহরে কয়েক লক্ষ মানুষের নিরাপদ বিমানযাত্রায় পাইলট ও এটিসি অফিসারদের সম্পর্কের এই রসায়নটা লুকিয়ে থাকে। তাকে চোখে দেখা যায় না। যাত্রীরা কয়েক ঘণ্টার উড়ানে বসে জানতেও পারেন না সেই রসায়নের কথা। বিমান নিয়ে আকাশে চক্কর কাটতে কাটতে কখন পাইলট এটিসি অফিসারের নাম করে বলছেন, অমিত, খিদে পেয়ে গিয়েছে। তাড়াতাড়ি নামতে দে... জানতে পারেন না যাত্রীরা। কিন্তু, তার মধ্যেই কোথাও লুকিয়ে থাকে নিরাপদ যাত্রার সমীকরণ।
}প্রথম পাতার পর
কলকাতার এটিসি-র প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার কল্যাণ চৌধুরি স্মৃতি হাতড়ে তুলে আনেন প্রায় সতেরো বছর আগের এমনই এক ঘটনা, যেখানে ফরাসি পাইলট কাদামাখা অবস্থায় সটান কলকাতা বিমানবন্দরে এসে জড়িয়ে ধরেছিলেন এক এটিসি অফিসারকে। বিদেশি সেই পাইলট একা ছোট্ট একটি বিমান নিয়ে বিশ্বভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। ঢাকা থেকে কলকাতায় আসার পথে আচমকা মাঝ আকাশে বিকল হয়ে যায় সেই ছোট্ট বিমানের যন্ত্র। ওই অবস্থায় তাঁর পক্ষে কলকাতায় পৌঁছনো সম্ভব ছিল না। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে, ভারতের দিকে কোথাও একটি কাদা-মাখা মাঠে নামতে বাধ্য হয়েছিলেন সেই পাইলট। যে এটিসি অফিসার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগে ছিলেন, তিনি বুদ্ধি করে ল্যাট-লং (অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ) জেনে নেন পাইলটের কাছ থেকে। অঙ্ক কষে সেই অবস্থান বার করে স্থানীয় থানায় খবর পাঠানো হয়েছিল। ফরাসি পাইলট বিমান নিয়ে কাদা মাঠে নামার ১৫ মিনিটের মধ্যে পুলিশ পৌঁছে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। পাইলট এতটাই মুগ্ধ হন যে ওই কাদামাখা অবস্থায় পুলিশের সাহায্যে তিনি সটান চলে আসেন কলকাতা বিমানবন্দরে। সেই এটিসি অফিসারের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে জড়িয়ে ধরেন।
আচমকা মাঝ-আকাশে বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি, বা পাইলটের কোনও ক্ষণিকের ভুল থেকে যে দুর্ঘটনা ঘটে, শতকরার হিসেবে তা নগণ্যের চেয়েও কম। আকাশপথে নিরাপদ এই যাত্রার পিছনে এটিসি-র ভূমিকাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বলা হয়, যাত্রীদের প্রাণ থাকে পাইলটের হাতের মুঠোয়। তাঁকে চোখে দেখা যায়। যাত্রীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ তাঁদের। পাইলটদের প্রতি সে কারণে যেন অতিরিক্ত একটু বেশি সম্ভ্রম। পাইলটের মূল দক্ষতা লুকিয়ে থাকে ল্যান্ডিং-এর সময়ে। আর বোঝা যায়, আকাশে আচমকা কোনও দুর্যোগ বা জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হলে। নচেৎ এখন ‘অটো-পাইলট’-এর যুগে পাইলট অনেক বেশি রিল্যাক্সড। যাত্রী নিরাপত্তা অনেক বেশি সুরক্ষিত।
আর দিনের পর দিন, লোকচক্ষুর আড়ালে বসে এই সুরক্ষা নিশ্চিত করে চলেন এটিসি অফিসারেরা। এক বিমানবন্দর থেকে বিমান ছেড়ে অন্য বিমানবন্দরে নেমে দাঁড়িয়ে যাওয়া পর্যন্ত পুরো পথনির্দেশ আসে এটিসি-র কাছ থেকে। যাত্রীদের তুলে নিয়ে বিমানবন্দরের কোন ট্যাক্সি-ওয়ে দিয়ে বিমান যাবে, কোন রানওয়ের, কোন দিক থেকে সে উড়বে তা ঠিক করে দেন এটিসি অফিসারেরা। এটাও ঠিক হয় সে দিনের আবহাওয়া এবং আরও অনেক ফ্যাক্টরের উপরে। আকাশে ওঠার পরে কিছু ক্ষণ অন্তর অন্তর পাইলট যোগাযোগ করেন এটিসির সঙ্গে। নামার সময়েও কখন, কোন রানওয়েতে বিমান নামবে, তা বলে দেয় এটিসি।
ভুল এটিসি অফিসারদের তরফেও হয়। সেই ভুলের ফলে, ক্বচিৎ কদাচিৎ কাছাকাছি চলে আসে দুই বিমান। তবে, প্রতি দিন যত বিমান সফল ভাবে তাঁরা নিয়ন্ত্রণ করেন, তার তুলনায় সেই ভুলের পরিমান নগণ্য বললেও অত্যুক্তি হয়। এখন সমস্ত বিমানেই ‘টিকাস’ নামে একটি যন্ত্র রয়েছে। যার সাহায্যে বিমানের কাছে চলে আসা যে কোনও বস্তু, তা সে অন্য বিমান হোক বা অন্য কিছু, তার সংকেত পেয়ে যান পাইলট। এমনকি, সেই মুহূর্তে বিমান কত উচ্চতায় নিয়ে যেতে হবে, তারও নির্দেশ পাইলটকে দিয়ে দেয় টিকাস।
এটিসি-র কর্তা অমিত ভৌমিকের কথায়, ‘‘ভুল করলে শাস্তি হয়। কিন্তু শাস্তির চেয়েও অনুশোচনা হয় বেশি। আসলে আমরা জানি, আমাদের একটা ভুলে যে কোনও সময়ে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে।’’
মনিটরের সামনে বসে একসঙ্গে এতগুলো বিমানের গতিবিধি নজরে রেখে সবাইকে ঠিক ঠিক উচ্চতায় বেঁধে রাখাটা ভয়ঙ্কর মনঃসংযোগের কাজ। আকাশে দুটি বিমানের মাঝে উপরে-নীচে ১ হাজার ফুটের ব্যবধান, সামনে-পিছনে ৯ থেকে ১৮ কিলোমিটারের ব্যবধান রাখতে হয়। ভুলে গেলে চলবে না, আকাশে প্রতিটি বিমান গড়ে ঘণ্টায় ৭০০ কিলোমিটার বেগে উড়ে যায়।
কলকাতায় এটিসি অফিসারদের সংগঠনের সম্পাদক কৈলাসপতি মণ্ডলের কথায়, ‘‘সেই গতিবেগকে মাথায় রেখে, গন্তব্যে পৌঁছতে তাদের যাতে দেরি না হয়, তাও দেখতে হয় এটিসি অফিসারদের। বিমানবন্দরের মাথায় এসে যাতে তারা রানওয়ে খালি পায়, তা হিসেব করে ওই সময়ে বিমানকে নামিয়ে আনতে হয়।’’
কম সময়ের মধ্যে এত মনঃসংযোগ দরকার হয় বলে একটানা দু’ঘণ্টার বেশি কোনও অফিসারকে বসতে দেওয়া হয় না মনিটরে। তিনি আধ ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়ে আবার এসে বসতে পারেন। পুরুষদের সঙ্গে মহিলা এটিসি অফিসারদের সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।
এত কঠিন, মনঃসংযোগের কাজের ফাঁকে বেজেছে অন্য সুরও। ২৬ বছর আগের ঘটনা। পূর্বিতা সিংহ সবে তখন এটিসি-তে যোগ দিয়েছেন। এক জন, দুজন করে তখন মহিলারা এটিসি-র কাজে আসছেন। অসিত সিংহের সঙ্গে তাঁর আলাপ মনিটরে পাশাপাশি বসেই। বিমানের উপরে নজরদারি চালাতে চালাতেই ভাললাগা। সেখান থেকে ১৯৯৫-এ পরিণয়।
হেসে ফেলেন পূর্বিতা, ‘‘বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই শাশুড়িমা এক বার বেশ বকুনি দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, তোরা যখন বাড়িতে থাকিস তখনও সারা ক্ষণ এয়ারপোর্ট, বিমান, এটিসি নিয়ে কথা বলিস কেন?’’
অসিত জানান, এখন প্রায় ৪০ শতাংশ মহিলা। তিনি ও পূর্বিতা যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দিয়েছেন, সেই পথে হাঁটার জন্য তৈরি অনেক যুগলই।