বিদ্রোহী: কবি নজরুল ইসলাম ছিলেন নিজের সৃষ্টি সংরক্ষণে উদাসীন। —ফাইল চিত্র।
সবার হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ, চেতনাতে নজরুল’— শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতি জনপ্রিয় গীতিকবিতা, যা সুর করে গেয়েছিলেন কিংবদন্তি গায়ক ভূপেন হাজারিকা। নজরুল চেতনায় আছেন, সে বেশ। কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য আকারে তাঁর রচিত সঙ্গীতের ঠিকঠাক সংরক্ষণ হয়েছে তো? এ প্রশ্ন আজকের নয়। সত্তরের দশকে নজরুলের গান যখন জনপ্রিয়তার শিখর স্পর্শ করেছে, তখনও নানা মহলে কানাঘুষো উঠেছে, তাঁর গান তাঁর মতো করে গাওয়া হচ্ছে না। কিন্তু তৈরি গলার মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, পূরবী দত্ত, অঞ্জলি মুখোপাধ্যায়, অনুপ ঘোষালেরা নানা বৈচিত্রের নজরুলগীতি শুনিয়ে অনেকটাই অধিকারে নিয়েছেন শ্রোতার শ্রবণ ও হৃদয়। আধুনিক বাংলা গান ভিন্নধর্মী কথা ও সুর চাইছে তখন। সে গানের শিল্পীরা আগের মতো সমাদর পাচ্ছেন না। অতএব শ্রোতারা ডুবে থাকলেন জামশেদি গজল, ভাটিয়ালি, উপশাস্ত্রীয় ধরনের সহজপাচ্য নানা সুরে। মানবেন্দ্র-কণ্ঠে ‘বাগিচায় বুলবুলি’ সেই শ্রবণপথের প্রথম মাইলস্টোন। ওঁর প্রথম দু’টি অ্যালবামও যথাক্রমে কাকা সিদ্ধেশ্বর মুখোপাধ্যায় এবং আঙুরবালার তত্ত্বাবধানে। দু’জনেই নজরুলের সাক্ষাৎ ছাত্র ও ছাত্রী। তাই বিশ্বাসযোগ্যতা, শৈলী আর কণ্ঠের পারদর্শিতা হাত-ধরাধরি করে চলল সে গানে। কেউ তখনও ভাবেননি, আধুনিক বাংলা গানের জায়গা নেবে নজরুলগীতি।
নজরুল নিজেও কি ভেবেছিলেন? কিশোর বয়স থেকেই ভবঘুরে লেটোর দলে ফরমায়েশি গান লিখে গ্রাসাচ্ছাদন। গ্রামোফোন কোম্পানিতে যখন এলেন, গানপ্রতি তাঁর প্রাপ্য তখন কুড়ি টাকা। গান লিখে, সুরের কাঠামো তৈরি করে তিনি দিয়ে দিতেন গাইয়েকে। সে গান কী চেহারা পেল, তা দেখার সময় ও ইচ্ছে ছিল না তাঁর। রবীন্দ্রনাথের ক্ষেত্রে ঘটেছিল ঠিক এর বিপরীত। তাঁর সমূহ সঙ্গীতসম্পদ রক্ষা করার দায় নিয়েছিলেন অনেকেই। এ নিয়ে বর্ষীয়ান শিক্ষক ও শিল্পী নীতীশ দত্ত রায় বলছেন, “নজরুলের গান কার কার কাছে আছে, সে জানা ভয়ঙ্কর কঠিন বিষয়। ক’দিন ধরে ইউটিউবে শুনছি কৃষ্ণচন্দ্র দে-র গান ‘চোখের জলে মন ভিজিয়ে’। শুনলেই বোঝা যায় এ কাজীসাহেবের রচনা। বিশেষত সুরের চলন। কিন্তু বাংলাদেশ বা আমাদের এখানকার কোনও বইতেই এ গানের উল্লেখ পর্যন্ত নেই।” নীতিশবাবুর বক্তব্যের সঙ্গে একমত হয়ে বলতেই হবে, কাজীর জন্মের ১২৫ বছরের সূচনাতেও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, ঠিক কতগুলি গান লিখেছেন তিনি। কমবেশি সাড়ে তিন-চার হাজার বলা হলেও, সে বড় ভাসা-ভাসা ধারণা।
অন্য ছবিও আছে। স্বরলিপিবদ্ধ হয়েও এত দিন অগোচরে থাকা গান সাহসভরে সম্প্রতি রেকর্ড করলেন নজরুলগীতিতে এই সময়ের বরেণ্য নাম সুস্মিতা গোস্বামী। গানটি হল ‘তোমার আসার আশায়’। ১৯৩৭-এ আভা দেবীর রেকর্ডে গাওয়া এ গান পরে আর শোনা যায়নি। এ ছাড়াও অ্যালবামে রয়েছে আরও পাঁচটি পরিচিত গান। সবচেয়ে বড় খবর, সিডি প্লেয়ার আর তা বানানোর প্রিন্টার বাজার থেকে প্রায় উধাও হয়ে গেলেও, নতুন গাওয়া ছ’খানি গানের সম্ভার নিয়ে আসার সাহস দেখিয়েছেন সুস্মিতা। বললেন, “এমনও হয়েছে, অনুষ্ঠানে ‘এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যা’র বদলে শ্রোতা আমার গলায় বেশি করে শুনতে চেয়েছেন নজরুলের গান।” শুধু নজরুলের গান পেশা হিসেবে নেওয়াটা বিপজ্জনক, এমনটিও পাশাপাশি স্বীকার করেন সুস্মিতা। আসলে ওই বিশ্বাসযোগ্যতার ভিতটাই যে নড়ে গেছে। তার কারণ, অকারণ কালোয়াতি। এক হিসেবে সে তো ঠিকই। রবীন্দ্রনাথের ‘অল্প লইয়া থাকি তাই’-এর আদলে জ্ঞানেন্দ্রপ্রসাদ গোস্বামীর ‘শূন্য এ বুকে’-তে সপাট তানালঙ্কারের যে অতিরিক্ত প্রয়োগ, তা কিন্তু কুমার শচীন দেব বর্মণ এবং সে কালের অপরাপর অনুজ গাইয়েদের মধ্যে পাইনি। শচীনকর্তার ‘কুহু কুহু কোয়েলিয়া’-র শাস্ত্রীয় কাঠামো কিন্তু মেলোডিকে পরিহার করেনি। আশ্চর্য মায়াময় গায়কিতে আচ্ছন্ন করেছেন অখিলবন্ধু তাঁর ‘রসঘন শ্যাম’ গানে। ধীরেন্দ্রচন্দ্র মিত্রের ‘শাওন আসিল ফিরে’ তো বাঙালির পারিবারিক দিনযাপনের নিগূঢ় অন্তঃপুরেও স্থায়ী বাসা বেঁধেছিল। সত্য চৌধুরীর ‘মোর প্রিয়া হবে এসো রাণী’, সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের ‘রুমঝুম রুমঝুম কে এলে নূপুর পায়’ বা ‘তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়’-র সহজ সুরেলা বুনট ভিন্ন ঘরানার জন্ম দিচ্ছিল, যার প্রধান রূপকার অবশ্যই কমল দাশগুপ্ত। কবির কাছ থেকে পাওয়া বাণী মেলোডির নানা বর্ণচ্ছটায় শ্রোতার দরবারে পেশ করছিলেন তিনি। বিদায় সন্ধ্যায় ভেলা ভাসানোর গভীর নির্জন একাকিত্ব কমল দাশগুপ্ত কী অনবদ্যই না ফুটিয়েছেন নজরুলের কথায়!
এক দিকে সিদ্ধেশ্বর মুখোপাধ্যায়, সুকুমার মিত্রের মতো শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে সিদ্ধ ব্যক্তিত্ব, অন্য দিকে অফিস-ক্লাব-জলসায় পূরবী দত্ত, ধীরেন বসু, শঙ্করলাল মুখোপাধ্যায়, অনুপ ঘোষাল, ইন্দ্রাণী সেনদের তখন নিত্য মেলে দেখা। শঙ্কর ঘোষাল, গোপা কাঞ্জিলাল এবং রামানুজ দাশগুপ্তেরাও তখন এই গানে চেনা মুখ। সেই সুরের মায়াজালে অতিরিক্ত কালোয়াতি এনে সম্পদটির গতি রূদ্ধ করলেন কে বা কারা? রামানুজ দাশগুপ্ত বিষয়টি দেখছেন অনুসন্ধিৎসু গবেষকের চোখে। বললেন, “অনুপ জলোটাও অধর্ম করেননি ওঁর বিপুল জনপ্রিয় ‘মন জপ নাম’ বা ‘হে গোবিন্দ রাখো চরণে’-তে। কালোয়াতি করে মেলোডির বাইরে যাননি। তাই শ্রোতার সমর্থন পেতে অসুবিধে হয়নি। বিচক্ষণ গাইয়ে। আসল কথা, ১৯৬২-৬৩’তে নজরুল অসুস্থ হওয়ার পর পরই অনেক শিল্পী এবং ট্রেনাররা যথেচ্ছাচার শুরু করলেন। ‘প্রদীপ নিভায়ে দাও উঠিয়াছে চাঁদ’-এর মতো গানের আসল সুর তখন শ্রোতার সামনে গাইতে পারিনি, কেননা মানবদার কণ্ঠে অন্য একটি সুর বিপুল জনপ্রিয় তখন।”
এ বিষয়ে বিমান মুখোপাধ্যায়ের ভূমিকায় নানা জনের নানা মতামত। নজরুল নিজে বলেছেন, লিখেছেনও, সুরের কাঠামো ধরে গায়কি নিজের মতো করে নেওয়া যায়। তা বলে গোটা গানটাই আমূল বদলে যাবে? ব্রহ্মমোহন ঠাকুরের ‘নজরুলগীতি নির্দেশিকা’ এ বিষয়ের আকরগ্রন্থ, যা শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে ঘোরা উচিত। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত এ বই এখানে কোথায় পাওয়া যাবে? ব্রহ্মমোহন নতুন গানের সন্ধানী ছিলেন, বারংবার ধরিয়ে দিতে চেয়েছেন গানের কথা ও সুরের অরাজকতা। সেটি আঁচ করেই সম্ভবত কমল দাশগুপ্তকে দিয়ে গ্রামোফোন কোম্পানি নজরুলের গানের দু’টি লং প্লেয়িং অ্যালবাম করিয়েছিলেন ১৯৬৩ সালে। সেখানে সব বিশিষ্ট জনপ্রিয় শিল্পীর গান ছিল, এমনকি এ গান যাঁরা আগে গাননি, তাঁদেরও। বিপুল জনপ্রিয়তা পেল সে অ্যালবাম। অল ইন্ডিয়া রেডিয়ো নজরুলগীতি নামে পৃথক এই সঙ্গীতধারাকে মেনেও নিল প্রায় তখনই, এ তথ্যও দিলেন রামানুজবাবু। মানতে তো হবেই। কেননা তার বহু আগে নজরুলের নিজের তত্ত্বাবধানে গিরীন চক্রবর্তী গেয়ে দিয়েছেন, “বলো বীর, বলো উন্নত মম শির।” সেই সব রচনা এবং গায়কির দীপ্ত আমেজ এক নতুন সুরনায়কের আগমনকে ত্বরান্বিতই করছিল।
ভুল বা ভিন্ন সুরে গাওয়া সেই সঙ্গীতসম্পদের মূল্য ক্রমশ খাটো হয়েছে, এই মন্তব্যে সায় দিয়েও সুস্মিতা প্রশ্ন তুলেছেন কাজী অনিরুদ্ধের করা ‘কারার ওই লৌহকপাট’ বা ‘মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান’ গানের চলতি স্বরলিপি দু’টি বিষয়ে। বলছেন, কেমন ভাবে পুরোপুরি নস্যাৎ করা যায় বাঙালির আত্মার সঙ্গে মিশে যাওয়া এই গান? কল্যাণী কাজী বরাবর বলে এসেছেন, বাড়ির সঙ্গীত-আবর্তে যে সব সুর ঘোরাফেরা করত, সেগুলি নিয়েই করা ওঁদের স্বরলিপি গ্রন্থগুলি।
নীতীশ দত্ত রায় দিলেন অন্য তথ্য। আটাত্তর আরপিএম-এর সাত ইঞ্চি রেকর্ডে বেরিয়েছিল ‘পুতুলের বিয়ে’ নাটকে ব্যবহৃত ‘মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম’-এর আদি এবং লোকায়ত, ভিন্ন সুরটি। সে রেকর্ডের এক-এক পিঠে সর্বমোট দু’মিনিট শোনা যেত গান। নজরুল-ঘনিষ্ঠ বিমলভূষণ আকাশবাণীর অনুষ্ঠানের জন্য নীতীশবাবুকে কিন্তু প্রচলিত তেওড়া তালের সুরটিই শিখিয়েছেন। তা হলে এ ভাবেও তো ভাবা যায় যে, নাটকের এবং বৃন্দগানের জন্য দু’টি আলাদা সুর ভেবেছিলেন কবি। ভাবলে দোষ কোথায়?
রামানুজ দাশগুপ্ত-সহ বিশেষজ্ঞ সকলেই সায় দিয়েছেন, পুরনো রেকর্ড শুনে শুনে স্বরলিপি করার তাগিদ প্রথম অনুভব করেছেন বাংলাদেশের গবেষকেরাই। কিন্তু একটি গানের একাধিক সুর থাকবে না, এটি আদি, বাকি সব ‘মেড ইন কলকাতা’— এই অপবাদ ধোপে টেকে না। নজরুল নিজের কথায় অপরকে দিয়ে সুর করিয়েছেন শ’চারেকের মতো গান। কমবেশি দেড়শোটি গানে সুরারোপ করেছেন কমল দাশগুপ্ত। এ তালিকায় নিতাই ঘটক, চিত্ত রায়, গিরীন চক্রবর্তী, শৈলেশ দত্তগুপ্ত এবং আরও অনেকেই আছেন। নজরুল-ঘনিষ্ঠ অনেকের লেখা পড়লে জানা যায়, লম্বা রুল-টানা খাতায় নিরন্তর লিখে চলতেন তিনি। সে খাতা অনেক সময় গ্রামোফোন কোম্পানির দপ্তরেই অনাদরে পড়ে থাকত। তার অনৈতিক সুযোগগ্রহণও নিশ্চয়ই হয়েছে সে কালে। আকাশবাণীতে যখন ছিলেন, অধিকাংশ সময়েই লিখতে হত ফরমায়েশি গান। সব সময় গীতিকার হিসাবে নামও থাকেনি তাঁর। এ যেন বৃহত্তর এক লেটোর দল। অর্ডার মাত্রই আউটপুট, কিন্তু তার হিসাব রাখার কেউ নেই। তাই ‘শাওন রাতে যদি স্মরণে আসে মোরে’ গান নিয়ে কীর্তিমানদের কাজিয়া চলতেই থাকে। এ অবশ্যম্ভাবী। কবে কোন গান কাকে দান করেছেন আত্মভোলা কবি, মনে রাখতে চাননি। কাজেই গবেষকরাও এক রকম নিরুপায়।
তবু আশার কথা, শুধু নজরুলের গান শিখবেন এই প্রত্যয় নিয়ে শিক্ষার্থীরা আজও আসছেন। এই সময়ের অনুসন্ধিৎসু গবেষক-গায়ক স্নিগ্ধদেব সেনগুপ্ত বলছেন, “যে হেতু আমার প্রথম অ্যালবাম নজরুলগীতির, অনুষ্ঠান আর টিভি চ্যানেলেও গাই সে গান, সেটা মাথায় নিয়ে অনেকে আসেন শিখতে। নজরুলগীতির নানা সংশয় এবং সঙ্কটের মধ্যেও শিক্ষার্থীদের এই সদর্থক আগ্রহ আনন্দ দেয়। গাওয়ার সময়ও সমস্যা অনেকটাই দূর এখন। যেমন, ‘অন্তরে তুমি আছ চিরদিন’ গানের যে পরিচিত সুর, তার পাশাপাশি ইউটিউবে পেয়ে যাচ্ছি কামোদ আধারিত ইন্দুবালার গায়ন, যার সুর কবিরই। কোনও দ্বন্দ্ব নেই। কিন্তু মুশকিল হয় ‘মালা গাঁথা শেষ না হতে’ গানগুলির রেকর্ডিং শুনে। ইন্দ্রাণী সেন প্রমুখ যে সুরে গেয়েছেন, সেটি বিমান মুখোপাধ্যায়ের দেওয়া। রেকর্ডের লেবেলে কোথাও তার উল্লেখ নেই, কিন্তু এর আদি সুরও যে পাচ্ছি একটা। গানের ইতিহাসের দিক দিয়ে এই অসম্পূর্ণ তথ্য কি বিপজ্জনক নয়?”
তাই বহু অশ্রুত গানের খবর দিয়ে, প্রধান শিল্পীদের সেই গানের তালিম দিয়ে, আবার রেকর্ডে তা গাইয়ে সাড়া ফেলে দেওয়া বিমান মুখোপাধ্যায়কে শিরোধার্য করেও এ কথা সবিনয়ে বলা যায়, নিজস্ব অধিকারে তিনি স্বচ্ছন্দে বলতেই পারতেন যে, অমুক অমুক গানের সুর তাঁরই করা— রাগাশ্রয়ী কিছু গানে যেমন সুকুমার মিত্র আরোপ করেছেন তাঁর ব্যক্তিত্ব, ঢেকে রাখেননি নিজেকে। তবে এই সব তর্ক ও সংশয় পেরিয়েও বলা যায়, আজ নজরুলের গান নানা শিল্পীকণ্ঠে জেগে উঠছে নতুন উদ্যমে। পূর্বসূরিদের মাইলস্টোন অনুসৃত সমসময়ের মনোময় ভট্টাচার্য-মানসী মুখোপাধ্যায়দের কণ্ঠে, নজরুলের গানের দিগন্ত ছুঁতে চাইছেন শুভ্রকান্তি চট্টোপাধ্যায়, পায়েল কর, তানিয়া পাল, সৌম্য বসু, সোনালী রায়, ইন্দ্রনীল দত্ত এবং আরও অনেকে। এই আশাবাদ শক্তি জোগায়।