ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৩১
Bengali Serial Novel

খরস্রোত

রঘুর দুটো হাত চেপে ধরে শশিকান্ত। বলে, “দোহাই তোমার রঘুদা, কাকাকে এ সব কিছু বোলো না। আমি এখানে এসে খেয়েছি শুনলে, হয়তো আমাকে মেরেই ফেলবে।”

Advertisement

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৪:৪৫
Share:

ছবি কুনাল বর্মণ।

পূর্বানুবৃত্তি: বিপ্লবীদের সভার শেষে অমরেন্দ্রনাথকে নীলমণি জানালেন যে, তাঁর আধ্যাত্মিকতার পথ তিনি ত্যাগ করবেন না। যাওয়ার আগে তিনি অমরেন্দ্রনাথকে দেখান সেই মাউজ়ার পিস্তলটি, যা আদিত্যনাথ তাঁকে দিয়ে গিয়েছিলেন। আদিত্যনাথ ছিলেন অমরেন্দ্রনাথেরও পথ প্রদর্শক। অন্য দিকে শশিকান্তর বড়বাজারের গদিতে যাওয়া এবং ঘনশ্যামজির সঙ্গে দেখা করার খবর নিবারণ মারফত কানে আসে উমানাথের। সে এটা নিয়ে বাড়িতে বিস্তর অশান্তি করে। মনের কষ্টে শশিকান্ত বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসে। তার পর খিদের চোটে এক ভিক্ষুককে অনুসরণ করে গিয়ে পৌঁছয় মতি শীলের বাগানে। সেখানে কাঙালিদের সঙ্গে পঙ্‌ক্তি ভোজনে বসে গরম ভাত খেয়ে বেশ তৃপ্তি হয় তার। খাবার শেষে পুকুরে থালা ধুতে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা হয়ে যায় তাদেরই বাড়ির ভৃত্য রঘুর।

Advertisement

রঘুকে দেখে ভূত দেখার মতো চমকে উঠল শশী। চোখ এড়িয়ে যে পালিয়ে যাবে, তারও উপায় নেই। সামনে দাঁড়িয়ে মূর্তিমান। কিছু একটা বলতেই হয়, তাই বলে ফেলল, “রঘুদা, তুমি এখানে?”

গম্ভীর ভাবে রঘু উত্তর দিল, “তোমাকে খুঁজতে ছোটবাবু পাঠিয়েছেন। চলো, এখন বাড়ি চলো। বাড়িতে গিয়ে ছোটবাবুকে বলব যে, তুমি শীলেদের বাগানে কাঙালিদের সঙ্গে বসে ভাত খাচ্ছিলে।”

Advertisement

রঘুর দুটো হাত চেপে ধরে শশিকান্ত। বলে, “দোহাই তোমার রঘুদা, কাকাকে এ সব কিছু বোলো না। আমি এখানে এসে খেয়েছি শুনলে, হয়তো আমাকে মেরেই ফেলবে।”

“বেশ, বলব না,” রঘু বলে, “কিন্তু, তুমি কথা দাও যে, তুমি আর এখানে এসে কাঙালিদের সঙ্গে খাবে না। তোমার কি মান-ইজ্জত বলে কিছু নেই?”

রঘুদার সঙ্গে বাড়ির পথে যেতে যেতে শশিকান্ত বলে, ‘‘বাড়ি থেকে যাকে তাড়িয়ে দিয়েছে, সারাদিন অভুক্ত থেকে খিদের জ্বালায় যে ছটফট করেছে, তার আবার মান-ইজ্জত! রঘুদা, আমি বাড়ি ফিরে যাচ্ছি, কিন্তু ওই বাড়িতে আমি আর থাকব না। আমি চলে যাব। আমার কেউ নেই রঘুদা, আমি অনাথ।’’

রঘু শশিকান্তর হাতটা শক্ত করে ধরে বলল, “ও রকম কথা বলে না ছোড়দা। ছোটবাবুর রাগ হয়েছিল, তাই তোমাকে অমন কথা বলেছে। ওটা কি ছোটবাবুর মনের কথা?”

শশিকান্ত কোনও উত্তর দেয় না। তারা বাড়ির কাছাকাছি এসে গেছে। দূর থেকে লক্ষ করল, বারান্দায় কাকা বসে আছেন।

বাড়িতে ঢোকার মুখে উমানাথ বলল, “শশী, এক বার আমার কাছে আসবি।”

হাত মুখ ধুয়ে নিজের ঘরে বসেছিল শশিকান্ত। পিসি এসে বলল, “যা এক বার, কাকা ডাকছে।”

শশিকান্ত পিসির দিকে তাকিয়ে আবার গোঁজ হয়ে বসে রইল। নিভাননী কাছে এসে শশিকান্তর মাথায় হাত বুলিয়ে বলল, “যা দেখা করে আয়। রাগ করিস না।”

শশিকান্ত উঠে পড়ে। তার পর বড় বড় পা ফেলে বারান্দায় কাকার সামনে উপস্থিত হয়।

দুপুরের রোদে ঝলমল করছে দক্ষিণের বারান্দা। লম্বা বারান্দার এক কোণে দুটো চড়াই মনের সুখে ঝগড়া করে চলেছে। বারান্দার অনেকগুলো ঘুলঘুলির কোনও একটিতে তাদের বাসা। শশিকান্ত বিবদমান চড়াইদুটোকে দেখল কিছু ক্ষণ। তার পর খুব নিচু স্বরে উমানাথকে ডাকল। বলল, “কাকা তুমি আমায় ডেকেছিলে।”

দুপুরের রোদের ওমে উমানাথের চোখদুটো এত ক্ষণ বোজা ছিল। শশিকান্তর ডাকে চোখ মেলে বলল, “আয়, কাছে আয়।”

শশিকান্ত কাছে এলে মাথায় হাত দিয়ে বলল, “আমার উপর রাগ করে কোথায় গিয়েছিলি? মুখ দেখে তো মনে হচ্ছে কিছু খাসনি। যা হাত মুখ ধুয়ে নে। রঘু খাবার নিয়ে তোর ঘরে যাচ্ছে।”

শশিকান্ত কোনও উত্তর না দিয়ে নিজের ঘরে এসে বসে। সে জানে, তার পক্ষে এখন কোনও খাবার খাওয়া অসম্ভব। কারণ, মতিশীল বাগান থেকে তৃপ্তি করে সে ভাত খেয়ে এসেছে। তাও কাকার কথায় সে নিরুত্তর থাকাই শ্রেয় মনে করল।

শশিকান্ত চলে গেলে, রঘুর নাম ধরে হাঁক পাড়ল উমানাথ। রঘু সামনে এলে, তাকে উমানাথ বলল, “হ্যাঁ রে, ছোঁড়াটাকে পেলি কোথায়?”

রঘু উত্তর দিল, “কোথায় আবার, পুকুরধারে।”

“সারাক্ষণ পুকুরধারে বসে করছিল কী?” উমানাথ আশ্চর্য হয়ে বলে।

“কী জানি, দেখলাম পুকুরের জলের দিকে চেয়ে বসে আছে ছোড়দা। আমি বললাম, ঘরে চলো। আমার কথার কোনও উত্তর দিল না। আমি হাত ধরে টেনে নিয়ে এলাম।”

“বেশ করেছিস। এখন খানকতক লুচি ভেজে ছোঁড়াটাকে দিয়ে আয়। আমি একটু ঘুমোতে যাই।”

উমানাথ তার ঘরের দিকে অগ্রসর হয়। শশিকান্তর ঘরের মুখে নিভাননী ধরে রঘুকে। বলে, “কোথায় ছিল রে শশী? সত্যি করে বলবি।”

রঘু মিথ্যে বলতে গিয়েও বলতে পারে না। সত্যি কথাটাই বলে। তার চোখদুটো ছলছল করে।

নিভাননীর চোখ জলে ভরে যায়। দৌড়ে ঘরে ঢুকে শশিকান্তকে দুহাতে জড়িয়ে ধরে বলে, “আমাকে কথা দে, আর কোনও দিন মতিশীলে গিয়ে কাঙালিদের সঙ্গে খাবি না!”

শশিকান্ত দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা রঘুর দিকে তাকায়। রঘু মুখে হাসি এনে বলে, “তুমি ছোটবাবুকে বলতে বারণ করেছিলে। আমি তাকে বলিনি। কিন্তু তুমি পিসিমাকে বলতে তো বারণ করোনি।”

“বেশ করেছে বলেছে! না বললে রঘুর কান ছিঁড়ে ফেলতাম!” নিভাননী ঝাঁঝিয়ে ওঠে। তার পর চোখের জল মুছে বলে, “তোদের ওই উঠোনে রমানাথ কত দিন কত কাঙালিকে খাইয়েছে, জানিস। আর, তুই সেই বাপের ছেলে হয়ে...”

পিসিকে থামিয়ে শশিকান্ত বলে, “পিসি, আমি মতিশীলে শখ করে যাইনি। খিদের জ্বালায় গিয়েছিলাম। মতিশীলে আমার মতো মানুষেরাই খায়, যাদের কেউ নেই।”

“একদম পাকামি করবি না শশী! তোর কেউ নেই মানে? আমরা নেই? বড়গিন্নি এখনও জানে না, তাই রক্ষে। জানলে এক্ষুনি চিৎকার চেঁচামেচি করে অনর্থ করবে।”

শশী মনে মনে কল্পনা করে নিল জেঠাইমা জানতে পারলে কী হত! পিসির মতো জেঠাইমাও তাকে কম ভালবাসে না। বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার পর সে খিদের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে কাঙালিদের সঙ্গে মতিশীলে পঙ্‌ক্তিভোজন করেছে, জানলে, জেঠাইমা কাকাকে ছেড়ে কথা বলত না।

কেউ না বললেও, কী ভাবে যেন বিভাবতী জানতে পেরে গেলেন ঘটনাটা। সন্ধেবেলা নিজের ঘরে ডেকে শশীকে তিনি জিজ্ঞেস করলেন সব। শশীর অনুরোধে তিনি চুপ থাকলেও উমানাথকে ঠারেঠোরে শোনাতে ছাড়লেন না যে, শশীর প্রতি সে অন্যায় আচরণ করেছে। ব্যবসায় যেমন তার অধিকার আছে, বাড়িতেও তার অধিকার আছে। বাপ-মা মরা এই ছেলেটাকে বঞ্চিত করলে, তিনিও ছেড়ে দেবেন না।

জেঠাইমার কণ্ঠস্বর উমানাথের কান পর্যন্ত গিয়ে থাকবে, না হলে সকালে শশিকান্তকে তিনি নিজের ঘরে ডাকবেনই বা কেন। শশিকান্ত কাকার ঘরে খুব একটা আসে না। এলেও খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না। আজও যথেষ্ট কুণ্ঠিত হয়ে দাঁড়িয়েছিল সে। উমানাথ খেয়াল করল সেটা। বলল, “খাটে এসে বোস। দাঁড়িয়ে আছিস কেন?”

শশিকান্ত তবু দাঁড়িয়েই থাকল।

উমানাথ ঘরের মধ্যে খানিকটা পায়চারি করে হঠাৎ বলে উঠলেন, “দেখ শশী, তুই আমার সন্তানতুল্য। তাই তোর ভাল-মন্দ দেখাটাও আমার কাজ। তোর এখন লেখাপড়া করার সময়। ম্যাট্রিক পরীক্ষায় এত ভাল পাস দিয়ে তুই করবি পাটের কারবার? এই ব্যবসায় কী ভবিষ্যৎ আছে? কেন নিজের জীবনটা নষ্ট করবি তুই? তার চেয়ে যত দূর ইচ্ছে পড়াশোনা কর। আমি খরচ দেব।”

শশিকান্ত কোনও উত্তর দেয় না। পাথরের মতো এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে।

উমানাথ বলে, “কী রে, কথা বলছিস না যে?”

শশিকান্ত বলে, “কী বলব, আমি তো তোমাকে আগেই বলেছি যে, আমি বড়বাজারে গিয়েছিলাম ঘনশ্যাম কাকার সঙ্গে দেখা করতে, আমার আর কোনও উদ্দেশ্য ছিল না।”

“আমি তো তাই ভাবছিলাম, শশী পড়াশোনা ছেড়ে, কেন কারবারে মন দেবে। নিবারণ শয়তানটা যে কী বলে! বড়বাজারে যাবি, নিশ্চয়ই যাবি। আমি যখন গদিতে থাকব, তখন। বড়বাজারের রাবড়ি খাওয়াব। অমন রাবড়ি ভূ-ভারতে পাবি না...” কথাগুলো বলে উমানাথ শশীর আরও কাছে সরে আসে। বলে, “আসছে বৃহস্পতি বার আমি থাকব। তুই গদিতে গিয়ে ঘনশ্যামজিকে বলে আসবি যে, তোর কারবারে ইচ্ছে নেই। বাদবাকি আইনের কাজটা আমি করে নেব।”

কাকার ঘর থেকে নিজের ঘরে যাওয়ার পথে পিসির সঙ্গে দেখা হল। শশিকান্ত তার দিকে এক বার তাকিয়ে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল।

খানিক পরে জলখাবার দিতে এসে শশিকান্তর মুখে সব শুনে পিসি মন্তব্য করলেন, “একই বাড়িতে থেকে লড়াই করে কাজ নেই। তার চেয়ে তুই পড়াশোনা নিয়ে থাক। তোর কাকা যা করে করুক।”

“আমি আর পড়ব না পিসি।”

“পড়বি না তো কী করবি?”

“চাকরি করব।”

“কে তোকে চাকরি দেবে, শুনি?”

“তালুইমশাই। আমি তাঁর সঙ্গে কালই দেখা করে কথা বলব।”

“তোর মামা রাগ করবেন। তিনি চেয়েছিলেন, তুই তাঁর মতো আইন নিয়ে পড়িস।”

শশিকান্ত খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে বলে, “আমারও সে রকম স্বপ্ন ছিল। কিন্তু সব স্বপ্নই কি পূরণ হয় মানুষের?”

শশিকান্তর খাওয়া শেষ হয়েছিল। এঁটো বাসন তুলে নিয়ে যেতে যেতে নিভাননী বললেন, “দেখ, যেটা ভাল বুঝিস।”

পিসি চলে যেতে থম মেরে বসে থাকে শশিকান্ত। তার মাথায় চিন্তা ঘুরপাক খায়। সত্যিই কি সে কলেজে যাওয়া বন্ধ করে চাকরির চেষ্টা করবে? তা ছাড়া উপায়ই বা কী? আজকে নিজের স্বার্থে কাকা বলছে, তার পড়াশোনার খরচ চালাবে। কিন্তু পরে যদি সেই খরচ না বহন করে! তার চেয়ে সে নিজে যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতেই অবিচল থাকবে। নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত সে নিজেই নেবে। ভবিষ্যতে এক জন সেল্ফ মেড ম্যান হয়ে উঠবে।

শশিকান্ত জানালায় গিয়ে দাঁড়ায়। লক্ষ করে, একটা ফিটন গাড়ি এসে দাঁড়িয়েছে তাদের বাড়ির সামনের রাস্তায়। কাকা গদিতে যাবেন। আজকাল ফিটন চেপেই গদিতে যান কাকা। মনে মনে একটু হেসে, জানালার ধার থেকে সরে এসে বইপত্তর ঘাঁটতে শুরু করে। কী যেন অফিসটার নাম বলেছিলেন তালুইমশাই... একটা চিরকুটে লিখে দিয়েছিলেন... কোন বইয়ের ভিতরে যে কখন যত্ন করে রেখে দিয়েছে... কত বার চোখে পড়েছে, অথচ, দরকারের সময়ই কাগজটা পাওয়া যাচ্ছে না! চিরকুটটা পাওয়ার আশা যখন ছেড়েই দিয়েছে শশিকান্ত, তখনই একটা বইয়ের মধ্যে পাওয়া যায় সেটা। শশিকান্ত কিছু ক্ষণ এক দৃষ্টে তাকিয়ে থাকে চিরকুটটার দিকে, লেখা আছে— ‘প্লেস, সিডনস অ্যান্ড গাফ প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি, ৯ নম্বর লায়ন্স রেঞ্জ, কলিকাতা’।

চিরকুটটা বই থেকে বার করে, জামার বুকপকেটে রেখে টান টান হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ে শশিকান্ত। বাইরে ঘোড়ার খুরের শব্দ শুনতে পায় সে। কাকা বেরিয়ে গেলেন গদিতে। শশিকান্ত বিছানা থেকে উঠে পুকুরধারে যায়। পুকুরের পাশেই লাবণ্যদের বাড়ি। যদি এক বার তার দেখা মেলে...

৩৩

এক আশ্চর্য প্রক্রিয়ার অভ্যেস শুরু করেছেন অমরেন্দ্রনাথ। রাজনৈতিক কাজের পাশাপাশি শুরু করেছেন জল-চিকিৎসা। একটা বড় আয়তকার গামলায় ঠান্ডা জল রেখে তার মধ্যে জ্বরাক্রান্ত রোগীকে শুইয়ে রেখে চিকিৎসা। এই চিকিৎসা পদ্ধতিটি তিনি তাঞ্জোরে সন্ন্যাসী থাকাকালীন এক জার্মান চিকিৎসকের কাছে শিখেছিলেন। অমরেন্দ্রনাথের মনে সংশয় ছিল এই পদ্ধতিটি নিয়ে। তিনি প্রশ্ন করেছিলেন সেই জার্মান চিকিৎসককে এই জলচিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগীর কোনও ক্ষতি হবে কি না। প্রশ্ন শুনে হেসেছিলেন ভদ্রলোক। বলেছিলেন, “এর উত্তর আমি আপনাকে দেব না। রোগীর উপর প্রয়োগ করেই আপনাকে বুঝতে হবে এর উপযোগিতা।”

সন্ন্যাসী থাকাকালীন তাঞ্জোর বা অন্যত্র এর প্রয়োগ করতে ভয় পেয়েছেন অমরেন্দ্রনাথ, যদি খারাপ কিছু ঘটে যায়! এখন আর এই ভয় নেই। তবু সংশয় আছে। এই সংশয় নিয়েই তিনি নিজের বাড়িতে এই জলচিকিৎসা শুরু করলেন। প্রথম প্রয়োগ করছিলেন নিজের ছেলের উপর। ছেলের জ্বর বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১০৪ ডিগ্রিতে। ডাক্তার এসে জবাব দিয়ে গিয়েছিলেন। অসহায় ভাবে শেষ মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা ছাড়া করণীয় কিছু ছিল না।

ক্রমশ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement