মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের কণ্ঠস্বর ছিল ভাঙা-ভাঙা। তাঁর কবিতাপাঠের একটা নিজস্ব শৈলী ছিল। প্রতিটি শব্দ স্পষ্ট করে, থেমে থেমে এবং ‘পৃথক পৃথক করিয়া, একটানে বলিয়া যাইতেন’— ‘সম্মুখ-সমরে-পড়ি-বীর-চূড়া-মণি-বীর-বাহু-চলি-যবে-গেলা-যম-পুরে...’ এই রকম ভাবে। শুনতে ভাল লাগত না। তাঁর কাব্যের আবেগ, দৃঢ়তা, ঝঙ্কার কিছুই ফুটে উঠত না তাতে। যুদ্ধ, মৃত্যু, অপত্যস্নেহ, সৌন্দর্যপূজা, প্রকৃতি বর্ণনা, সবটাই মাইকেলের একটানা সুরে শুনতে লাগত একঘেয়ে, “যেমন কবি বা যেমন কাব্য, তাঁহার কবিতার আবৃত্তি তেমন হইত না। সে আবৃত্তিতে কোনো প্রকার ভাবপ্রকাশের চেষ্টা থাকিত না।”
জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে মধুকবি একাধিক দিন ‘মেঘনাদবধ কাব্য’-র অংশবিশেষ পাঠ করে শুনিয়েছেন। তখনও এই মহাকাব্য প্রকাশিত হয়নি, লেখা চলছে। শ্রোতা তাঁর বিশেষ বান্ধব সারদাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়। ইনি জ্যোতিরিন্দ্রনাথ-রবীন্দ্রনাথের বড়দিদি সৌদামিনী দেবীর স্বামী। রবীন্দ্রনাথ-মৃণালিনীর বিয়ের দিন সারদাপ্রসাদ শিলাইদহে প্রয়াত হয়েছিলেন। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর স্মৃতিকথায় বলেছেন: “মাইকেল মধুসূদন দত্ত মহাশয় তখন আমাদের বাড়ি প্রায়ই আসিতেন।… আমার বেশ স্পষ্টই মনে পড়ে— রঙ ময়লা, চুলগুলি ইংরেজি ফ্যাশানে ছাঁটা বেশ কোঁকড়া-কোঁকড়া, মাঝখানে সিঁথি। চোখ দুটি বড়ো বড়ো, লোচন প্রতিভা-দীপ্ত, চেহারা দোহারা, মুখশ্রী অপূর্ব লাবণ্য-সমুজ্জ্বল।” সেই সঙ্গে ছিলেন অতিশয় সহৃদয়, আমুদে এবং মজলিশি: “গল্প করিয়া লোককে মুগ্ধ করিবারও তাঁহার শক্তি অপূর্ব এবং অসাধারণ ছিল।”
দেড়শো বছর আগে ‘মেঘনাদবধ’ পাঠ করা অনেকের পক্ষে সাধ্যাতীত ছিল। মূল কারণ তার অমিত্রাক্ষর ছন্দ। পাঁচালি শোনা কান তখন একটু-আধটু চিনছে ঈশ্বর গুপ্তের ছন্দ, সেখান থেকে এক লাফে অমিত্রাক্ষর সমুদ্রের ঢেউ সামলানো মুশকিল। যেমন পণ্ডিত শ্রীশচন্দ্র বিদ্যারত্ন সুর-তাল ধরতে না পেরে নিন্দা করতে শুরু করলেন। নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্র শ্রীশকে বললেন: “আমি পড়ছি, তুমি শোনো।” পড়া চলছে। মন দিয়ে অনেক ক্ষণ শোনার পর শ্রীশচন্দ্র সবিস্ময়ে জানতে চাইলেন: “আপনি কোন কাব্য পাঠ করছেন? এ তো অতীব সুন্দর! এই বইটা মধুসূদনের মেঘনাদ বলে মনেই হচ্ছে না।” নাট্যকার মিটিমিটি হেসে বললেন: “তবে যে তুমি খুব দুয়ো দিচ্ছিলে! এখন কেমন লাগছে কাব্যখানা?” নগেন্দ্রনাথ সোম তাঁর ‘মধুস্মৃতি’-তে লিখেছেন— “সেই দিন হইতে শ্রীশচন্দ্র মধুসূদনের কাব্যে আকৃষ্ট হইয়া পড়িলেন।”
স্বামী বিবেকানন্দও মেঘনাদবধ পড়ার ধরন শিখিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর শিষ্যকে। এই কাব্যের যে কোনও অংশ স্বামীজি অনর্গল পাঠ করতে ভালবাসতেন। শিষ্য শরচ্চন্দ্র চক্রবর্তীর সঙ্গে এক দিন এই কাব্য নিয়ে কথা চলছে। শরৎ মন্তব্য করে বসলেন, মাইকেলের নাকি শব্দের আড়ম্বর বড়ই পছন্দ ছিল। বিরক্ত স্বামীজির মন্তব্য, “তোদের দেশে কেউ একটা কিছু নূতন করলেই, তোরা তাকে তাড়া করিস। আগে ভাল করে দেখ্, লোকটা কী বলছে, তা না, যাই কিছু আগেকার মত না হল, অমনি দেশের লোকে তার পিছু লাগল। এই ‘মেঘনাদবধ কাব্য’— যা তোদের বাঙলা ভাষার মুকুটমণি— তাকে অপদস্থ করতে কিনা ‘ছুঁচোবধ কাব্য’ লেখা হল!” বিবেকানন্দের মতে মাইকেল নতুন ছন্দে, ওজস্বিনী ভাষায় যে কাব্য লিখে গিয়েছেন, তা বোঝার ক্ষমতা সাধারণ মানুষের নেই। সেই কাব্য এখনও হিমালয়ের মতো অটল। তার নিন্দুকরা সময়ের স্রোতে বিলীন।
কথাগুলি বলে স্বামীজি শিষ্যকে বললেন নীচের লাইব্রেরি থেকে বইটি নিয়ে আসতে। বেলুড় মঠের গ্রন্থাগার থেকে সেই বই নিয়ে আসা হলে শরৎকে হুকুম দিলেন: “পড়্ দিকি— কেমন পড়তে জানিস?” প্রথম সর্গ কিছুটা পড়া হতে স্বামীজি থামিয়ে দিলেন। তাঁর মনের মতো হচ্ছে না। তার পর সন্ন্যাসী নিজেই এই মহাকাব্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশের ব্যাখ্যা শুরু করলেন— ইন্দ্রজিৎ নিহত। মন্দোদরী শোকাকুল। কিন্তু রাবণ পুত্রশোক মন থেকে জোর করে ঠেলে ফেলে মহাবীরের ন্যায় যুদ্ধে কৃতসঙ্কল্প, ‘যা হবার হ’ক্ গে, আমার কর্ত্তব্য আমি ভুলব না, এতে দুনিয়া থাক্ আর যাক্’... এই হচ্ছে ‘মহাবীরের বাক্য’। গুরু ও শিষ্যের কথোপকথনের এই অংশে এসে শরচ্চন্দ্র লিখেছেন, “এই বলিয়া স্বামীজি সে অংশ বাহির করিয়া পড়িতে লাগিলেন। স্বামীজির সেই বীরদর্পদ্যোতক পঠন-ভঙ্গী আজিও শিষ্যের হৃদয়ে জ্বলন্ত জাগরূক রহিয়াছে।”
মাইকেলের প্রতিভা চিনতে ভুল করেননি স্বামীজি। দত্তকুলোদ্ভব হয়েও খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করে বিধর্মী হয়েছিলেন মধুসূদন, এই নিয়ে বিবেকানন্দের মতো উদার মহাত্মার কোনও অসুবিধে ছিল না। যে কাব্যের নায়ক রাবণ ও ইন্দ্রজিৎ, অপ্রধান চরিত্র রাম ও লক্ষ্মণ, সেই কাব্যের প্রতি স্বামীজির পক্ষপাত নিয়ে আজকের হিন্দুধর্মের ধ্বজাধারীরা কী বলবেন তা জানতে কৌতূহল হয়। ঠিক ১৮০ বছর আগে, ১৮৪৩ সালে স্বেচ্ছায় ধর্ম বদল করেছিলেন মধুকবি। এর জন্য আজও মাইকেলকে অনেকে হিন্দুধর্ম বিরোধী বলে চিহ্নিত করেন। মাইকেল-বিরোধীরা প্রমাণ হিসেবে ‘মেঘনাদবধ কাব্য’-এর উদাহরণ টেনে আনেন। অথচ মধুসূদন দত্ত ছিলেন আদ্যন্ত অসাম্প্রদায়িক মানুষ। তিনি কেন বাড়ি থেকে পালিয়ে খ্রিস্টান হলেন সেই অধ্যায় বহুচর্চিত। নির্দিষ্ট কোনও ধর্মের প্রতি পক্ষপাত পোষণ তাঁর ছিল না। উনিশ শতকের একটা বড় অংশ মানবতার উন্মেষ নিয়ে সক্রিয় ছিল, মধুসূদনের সক্রিয়তা তার সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি হিন্দু কলেজের ছাত্র তখন, একটি ইংরেজি প্রবন্ধে লিখেছিলেন, সমস্ত শ্রেণি, সম্প্রদায় ও ধর্মের মানুষের কাছে প্রকৃত শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে হবে, তা না হলে এই দেশ ‘জাতপাতের এক বধ্যভূমি’ হয়ে উঠবে।
‘হিন্দু ক্রনিকল’ পত্রিকার ১৮৫৩ সালের ২ অগস্ট সংখ্যায় মধুসূদনের একটি বিতর্কিত প্রবন্ধ ছাপা হয়েছিল, ‘মুসলমানস ইন ইন্ডিয়া’। সেখানে তিনি মুসলমানের ভালকে মুক্তকণ্ঠে ভাল বলেছেন, খারাপকে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় খারাপ বলেছেন। যুক্তির বিন্যাস আর বক্তব্যের সারল্য পরস্পরের হাত ধরে এগিয়েছে সেখানে। মুসলিম শাসনকালের কিছু অন্যায়কে চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোয় দ্বিধা নেই প্রাবন্ধিক মধুসূদনের। ক্ষয়িষ্ণু মুসলিম শাসকের উচ্ছৃঙ্খলতাকে সমর্থন করতে পারেননি কোনও দিন। পাশাপাশি এও লিখেছেন: লিডেনহলের চেয়ে অনেক সমৃদ্ধ ছিল মুসলমান শাসনকাল। স্যর চার্লস প্রকৃত সত্যকে অস্বীকার করতে পারেন, কিন্তু ইতিহাস তাঁর বিপক্ষে সাক্ষ্য দেবে। এই প্রবন্ধে মুসলমান শাসনকালকে অনেক উজ্জ্বলতর বলে যুক্তিক্রম সাজিয়েছিলেন মধুসূদন। তাঁর আর একটি মতামত কৌতূহল জাগাতে পারে। তাঁর মতে, মুসলিম শাসন যথেষ্ট সহনীয় ও মানবিক তো ছিলই, হয়তো সেই সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বোৎকৃষ্টই ছিল। এই মন্তব্যের পরিণাম সুখকর হল না। মুসলমান সমাজের হয়ে কথা বলার কারণে প্রাবন্ধিক ব্রিটিশ শাসকের চক্ষুশূল হলেন, হিন্দু সমাজও ক্ষেপে উঠল। ‘এথেনিয়াম’ পত্রিকায় মধুসূদনকে আক্রমণ করে লেখা হল, এক দিকে তিনি মুসলমান শাসকের প্রশংসা করছেন, আবার সেই সঙ্গে কর্নাটকের নবাবের রাজ্য অপহরণের ঘটনা সমর্থন করছেন কী করে! মাইকেলের প্রবন্ধটি নিয়ে বহু তর্ক-বিতর্ক হলেও একাধিক পত্রিকায় এটি পুনর্মুদ্রিত হয়েছিল। এতে বোঝা যায়, জনপ্রিয় হয়েছিল মধুসূদনের ক্ষুরধার বক্তব্য, সাহসও।
এর কিছু আগে মাদ্রাজ-প্রবাসী মাইকেল একটি ইংরেজি কাব্যনাট্য রচনা করেছিলেন। ‘ভারতসম্রাজ্ঞী রিজিয়া’। ১৮৪৯-৫০ সালে ‘ইউরেশিয়ান’ পত্রিকার সাতটি সংখ্যায় নাটকটির ধারাবাহিক মুদ্রণ বেশ পাঠকপ্রিয় হয়। এখানে তিনি মুসলমানদের শৌর্য-বীর্য ও বীরত্বের আখ্যানকে উজ্জ্বল ভাবে বর্ণনা করেছেন। মুসলিম রিজিয়া ভারতসম্রাজ্ঞী, এই বর্ণনায় মধুকবি ইতিহাস-চেতনার গভীরতার পাশাপাশি নারীর ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবোধকে অনন্য গুরুত্ব দিয়েছেন। স্বরচিত নাটকে আরও বেশি করে মুসলিম-মানস ও জীবনকে নিয়ে আসা, কারবালার বিয়োগ-ব্যথাতুর বিষয় নিয়ে মহাকাব্য রচনার কথাও ভেবেছিলেন এই সময়।
খ্রিস্টান যাজকদের প্রবণতা ছিল বলপ্রয়োগ করে, কৌশল করে দলিত সমাজের ও দরিদ্র মানুষদের ধর্মান্তরিত করা। ‘নেটিভ এডুকেশন’ প্রবন্ধে এর বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হয়েছিলেন মধুসূদন। স্কুলগুলিতে বাইবেল পড়ানোর মতো জবরদস্তিকে তিনি ঘৃণ্য কাজ বলেছেন— “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাইবেল পড়লেই খ্রিষ্টধর্মের প্রসার ঘটবে এমনটা ভাবা নিতান্ত বোকামি।” প্রাবন্ধিক মাইকেল খেয়াল করেছিলেন, ব্রিটিশরাজন্যবর্গ বাইবেল পড়াচ্ছে, অথচ ভারতবাসীর কাছে প্রকৃত শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে গড়িমসি করছে! হিন্দুদের হিন্দুত্ব বিষয়ে অতিসচেতনতা দেখে তাঁর মনে হয়েছে, আধুনিক শিক্ষা ও জ্ঞান এদের স্পর্শ করতে পারেনি বলে এরা এমন আচরণ করে। তাই উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের কঠোর সমালোচনা করতেন তিনি। সেই সঙ্গে অন্তর থেকে বিশ্বাস করতেন, “হিন্দুসমাজের প্রভূত উন্নতিসাধনের অবকাশ রয়েছে।”
দক্ষিণ কলকাতার কুদঘাট মেট্রো স্টেশনের কাছেই মহম্মদ আজাদের মাংসের দোকান। সেই দোকানঘরে একটু ভাল করে নজর করলে চোখে পড়বে একখণ্ড ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ রাখা আছে। ব্যবসার ফাঁকে পরিচিত ও আগ্রহী ক্রেতাদের এই কাব্য থেকে আবৃত্তি করে শোনাতে ভালবাসেন আজাদ ভাই। ১৯৯৬ সালে গণিতে অনার্স পাশ করেন। দেশপ্রাণ শাসমল রোডের একটি বাংলা মাধ্যম স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র যখন, ‘মেঘনাদবধ’-এর কিছু অংশ পাঠ্য ছিল। “সব শব্দ ঠিকমতো উচ্চারণ করতে পারিনি, কিন্তু পড়লেই অদ্ভুত একটা অনুভূতি হত। শব্দগুলো উচ্চারণ করলেই কেমন যেন বাজনার মতো লাগত। সেই শুরু, আর ছাড়তে পারিনি,” একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন এই মাংসবিক্রেতা। ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ তাঁর নিত্যদিনের সঙ্গী। ক্রেতাদের অনেকেই তাঁর আবৃত্তির ভক্ত। মহম্মদ আজাদ নিজেও বলেছেন, “আমি উৎসাহী ক্রেতাদের শুনিয়ে আনন্দ পাই। মনে হয়, ভিতরটা সাফসুতরো হয়ে যাচ্ছে।”
মুসলমান এই মধুভক্তের সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছিল ‘এবেলা’ পত্রিকায়, এক দশক আগে। এই ২৫ জানুয়ারি মাইকেল মধুসূদন দত্তের দ্বিশতবর্ষের সূচনা হল। তার প্রাক্কালে যোগাযোগ হল মহম্মদ আজাদের সঙ্গে। মনে হল, ‘মেঘনাদবধ’-প্রীতি নিয়ে কথা বলতে কোথাও একটু জড়তা কাজ করছে তাঁর। একটি সভায় অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করলেন। তাঁকে নিয়ে চর্চা হোক সেটাও চাইছেন না বলে মনে হল। কেন? “সময় খুব দ্রুত পাল্টে গেছে। অনেক সমস্যা আছে, এ সব আলোচনা বাদ দিন”— কুণ্ঠিত জবাব আজাদ ভাইয়ের। বাবরি মসজিদ ধ্বংস, গুজরাতের দাঙ্গা পেরিয়ে এসেছে মহম্মদ আজাদের কলকাতা। ‘মেঘনাদবধ’ নিয়ে এই দীর্ঘ সময়বৃত্তে মানুষটির কাব্যপ্রীতি ক্রমশ বেড়েছে। অথচ গত দশ বছরে কী এমন হল যে আজাদ ভাই সেই ভালবাসা প্রকাশে সঙ্কুচিত হয়ে পড়ছেন এ ভাবে! মনে পড়ল মাইকেল মধুসূদন দত্তের একটা আশঙ্কার কথা— “সমস্ত শ্রেণি, সম্প্রদায় ও ধর্মের মানুষের কাছে প্রকৃত শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে না পারলে এই দেশ ‘জাতপাতের এক বধ্যভূমি’ হয়ে উঠবে।” এই দূরদর্শিতা দত্তকুলোদ্ভব মধুকবিকে দ্বিশতবর্ষ পেরিয়েও প্রাসঙ্গিক করে রাখবে।