ধ্বংসলীলা: ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত গোবর্ধনপুর গ্রামের একটি কুঁড়েঘর। ছবি: লেখক
ওই দূরে সমুদ্রের জলের উপর একটা হালকা নীলচে-সবুজ রেখা। ওটা?”
“ওটা ধুনচির জঙ্গল—কোর এরিয়ার শেষ দ্বীপ— বাঘ থাকে।”
“আসে এখানে?”
“কত বার! এসেছে, একে-ওকে ঘায়েল করেছে…”
“ও যে অনেক দূর! এতটা সাঁতরে…”
“আমার-আপনার কাছে দূর, বাঘের কাছে নয়,” হেসে কপালের ঘাম মুছে বলেন উজ্জ্বল সর্দার। মার্চের রোদ্দুরের তেজ ওই সাগরের হাওয়া কমাতে পারে না। উজ্জ্বল বলে চলেন, “এটা সুন্দরবনের সেই গ্রাম নয়, যেখানে বাঘের ভয়ে সধবা সিঁদুর মুছে বসে থাকে, দক্ষিণ রায়ের নামে পুজো দিতে হয় অথবা মাথার পিছনে মুখোশ লাগিয়ে জঙ্গলে… এটা সেই গ্রাম নয়।” উজ্জ্বল দাঁড়িয়েছিলেন একটা কংক্রিটের ভাঙা বাঁধের উপর— যার এক পাশে সাগর, আর এক পাশে, গোবর্ধনপুর। এটা সেই গ্রাম, যেখানে আস্তে আস্তে এই ভেঙে পড়া বাঁধ বার বার সাগরকে ডেকে নিয়ে আসছে দোরগোড়ায়, ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে একের পর এক বাসস্থান।
এখানে লড়াইটা প্রকৃতির সঙ্গে, কোনও জানোয়ারের সঙ্গে নয়।
বাঁধ থেকে গ্রামের দিকে চলে গেছে উঁচু মাটির রাস্তা। তার উপর ইট পাতা। সেই রাস্তা ধরে দু’হাতে দুটো কাচের গ্লাসে পানীয় ভরে দৌড়তে দৌড়তে এ দিকে আসছেন ভৈরব। কাছে এসে গ্লুকোজ়ের গ্লাস দুটো হাতে হাতে দিয়ে হেসে বলে, “কখুন থি রোদে দাঁইড়ে আচেন…”
ভাঙা বাঁধের উপরে পঞ্চায়েত থেকে বানিয়ে দেওয়া একটা সিমেন্টের বাহারি ছাতা। সেখান থেকে ভৈরবের বাড়ি দেখা যায়। চিংড়ির ভেড়ি, তাল-নারকেলের সারি, এখানে-ওখানে ডোবা আর তার মাঝে জাল দিয়ে ঢাকা ভৈরবের কুঁড়েঘর। সেই কুঁড়ের চার পাশে খুঁটিতে সেই জাল আটকানো। ওই জাল ধরে রাখে এই কুঁড়েকে। না হলে যখন ঝড় আসবে, এই খড়কুটোর বাড়ি নিমেষে…
এখানে ঝড়ের প্রথম আঘাত আছড়ে পড়ে ভৈরবের কুটিরে। সে বারেও তা-ই হয়েছিল। আমপান প্রথম আঘাত করেছিল ভৈরবের ঘাঁটিতে। সতর্কবার্তা শুনে একে একে সাগরপারের সবাই পিছিয়ে গিয়েছিলেন। সকলে গিয়ে ভিড় করেছিলেন কিলোমিটার খানেক দূরের সুন্দরবন রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম সংঘের সিদ্ধিদানন্দ ভবনে। বিমল সাহু পালিয়েছিলেন, কানাইলাল গাঁতাইত চলে গিয়েছিলেন, দিলীপ হাজরা দৌড়েছিলেন— বাড়ি ছেড়ে।
সে বার, ভৈরব যাননি।
চোখের সামনে চিংড়ির ভেড়িতে নোনা জল ঢুকছিল। তোড়ে জল-জমি একাকার হয়ে যাচ্ছিল। খুঁটিতে বাঁধা গরু-ছাগলগুলোর পাত্তা নেই। প্রচণ্ড হাওয়ার তোড়ে বেঁকে গিয়েছিল কুটির। উড়ে গিয়েছিল চাল।
তবু ভৈরব নড়েননি সেই ঘর ছেড়ে। তখন চিংড়ি তোলার সময়। ন’টা ভেড়ি, আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা মাছ চাষের সরঞ্জাম। এ সব ছেড়ে গেলে আর বাকি থাকে কী? সেই কুঁড়েঘর আঁকড়ে পড়ে ছিলেন ভৈরব। সব নিলে আমাকেও নে!
আর এখন? ফাল্গুনের রোদ বাঁচিয়ে কুটির থেকে কয়েক হাত দূরে একটা অশ্বত্থ গাছের তলায় বসে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন বছর বত্রিশের ভৈরব। বলেন, “কুথায় যাব বলুন দিনি, ক’বার যাব? ঝড়-জলের সঙ্গি বাস— এর থি পাইলে যাব কুথায়?”
বছর বছর আসছে বুলবুল, বছর বছর ফণী, বছর বছর ইয়াস, আমপান, সিত্রাং... “এ তো এক রকুমের নিয়মই হয়ি গিচে, বাবু। পালাব? কুথায়? ক’বার?”
হয়তো পালানোর দরকার পড়ত না, যদি বন্যাদুর্গতদের সরকারি শিবিরটা আট কিলোমিটার দূরে না হত; হয়তো পালানোর দরকার পড়ত না যদি ওই কংক্রিটের বাঁধটা ও ভাবে ভেঙে না পড়ে থাকত। এ যেন সেই ‘রাইডারস টু দ্য সি’ নাটকের পটভূমিকা। বৃদ্ধা মা জানেন, একে একে তাঁর সব ক’টা ছেলে তলিয়ে যাবে সাগরে। তবু তাদের নৌকো নিয়ে বেরিয়ে পড়তে হয়। সব ক’টা ছেলেই ডুবে মরেছিল। মরেনি কেবল বৃদ্ধার সাহস, সহ্যের ক্ষমতা।
হাওয়ার প্রচণ্ড ঝাপটার মুখে ভৈরবের মধ্যে সেই অদম্যতা জেগে উঠেছিল কি? এমন বাস্তবের কাছে ওই সাহিত্য-ঘেঁষা তত্ত্ব ঘেঁষতে পারে না। সব হারিয়েও বার বার জিতে যান ভৈরব। হেসে বলেন, “দুকুরে খেই যাবেন কিন্তু। জালি মাছ পড়িচে…”
এখানে অধিকাংশ লোকই মৎস্যজীবী। তবু, এটা অ্যারান আইল্যান্ড নয়, গোবর্ধনপুর জি-প্লট।
ওই বাঁধের উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে দেখা যায় আঙুরের ঘর, শঙ্করের ঘর, সত্যরঞ্জনের ঘর। আর অন্য পাশে নীল জলের দিক থেকে ভেসে আসে ঢেউ আছড়ানোর শব্দ। বাঁধের নীচে পড়ে থাকে ভাঙা কংক্রিটের থাম, সিমেন্টের চাঙড়। ও চাপড়ে জোর কম নয়।
তাল, খেজুরের সার পেরিয়ে সরু ইটের রাস্তা ধরে হাঁটতে হাঁটতে এগোলে বসে থাকেন রামনারায়ণ, নন্দকুমার। এক মনে গাছের ছায়ায় বসে এই মায়াদুপুরে জাল বুনছেন দুই মাঝবয়সি। কাঁধে করে থার্মোকলের বাক্সে মাছ ভরে নিয়ে আসছেন জনা তিনেক মেছুয়া।
একটু এগোলে শঙ্কর দাসের বাড়ি। ‘বাড়ি’ বলা ভুল, কাঠামোই বোধহয় ঠিক শব্দ। লুঙ্গি আর স্যান্ডো গেঞ্জি পরে বেরিয়ে আসেন বয়স পঁয়ষট্টির শঙ্কর দাস। দু’পাশে ঢালু হয়ে যাওয়া জমির মাঝখানে আলের মতো উঁচু, ইট-পাতা সরু রাস্তা ধরে হাঁটতে থাকেন বাঁধের দিকে।
শঙ্করের গলা ধরে আসে কি না বোঝা না গেলেও স্বরে কাঁপন শোনা যায়, যখন তিনি বলেন, “জানেন বাবু, উই-উইখানে আমান-গের খেত ছিল...” আঙুল তুলে থাকেন সাগরের নীল জলরাশির দিকে। প্রতি বারের ঝড়ে পিছিয়ে যাচ্ছেন শঙ্কর একটু একটু করে। বাঁধের ও পারে জলের তলায় চলে যাওয়া জমির দায়িত্ব সরকার বাহাদুর নেন না। শুধু যতটুকুর উপর দিয়ে বাঁধ গেছে, সেটুকুর ক্ষতিপূরণ… “তাতে কী পাব কত্তা? বাঁধের উইপারের জমি সব গিল। এ পাড়ে যা ছিল তাতি নোনা জল ঢুকি চাষের বারোটা বাজি গিল। ভেড়িতে নোনা জল মিশি গিলে আর চিংড়ির চাষ হই না।”
এ গ্রাম আস্তে আস্তে ছোট হয়ে আসছে। তবু গ্রামবাসীদের জীবনের প্রতি আনন্দে ভাটা পড়ে কি না বোঝা যায় না। জল-জঙ্গল পার হয়ে কিছু দূর পর পর কয়েকটা কুঁড়েঘর। প্রায় ভেঙে-পড়া সে ভিটের আঙিনায় কিন্তু রংবেরঙের টালি বসানো তুলসীমঞ্চ। নিজের আস্তানা যতই ভঙ্গুর হোক, দেবতার আস্তানা পোক্ত করায় কার্পণ্য করেন না এই মানুষগুলো। আর হয়তো সেখান থেকেই গড়ে ওঠে এক অন্য রকম জীবনবোধ।
শঙ্কর দুঃখের কথা ছেড়ে কাব্যিক আনন্দে মজে ওঠেন, “এক বার পারেন তো বর্ষাকালে আসেন সার। জ্যোৎস্না রাতে ডিঙ্গিতে চড়ায়ে সাগরে নিই যাব আপনারে। ইলিশ ধরি সঙ্গি সঙ্গি ভাজি দিব…”
মার্চে প্রকাশিত, রাষ্ট্রপুঞ্জের ইন্টার-গভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ-এর ‘সিন্থেসিস রিপোর্ট’-এ বলা হচ্ছে— সমুদ্র জলস্তর যে ভাবে বাড়ছে তাতে ভারতের উচিত সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি রোধের জন্য তৈরি থাকা। রিপোর্টে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে সুন্দরবনের কথা। তথ্য অনুযায়ী, ২০০৬ থেকে ২০১৮-র মধ্যে প্রতি বছর জলস্তর বেড়েছে ৩.৭ মিলিমিটার করে। ১৯৭১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত সেই বৃদ্ধি ছিল বছরে ১.৯ মিলিমিটার।
বিশিষ্ট নদীবিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদ কল্যাণ রুদ্র তাঁর ‘ভূখণ্ড সুন্দরবন শতাব্দীর বিবর্তন’ প্রবন্ধে লিখছেন, “পাথরপ্রতিমা ব্লকের দক্ষিণে অবস্থিত ক্ষয়িষ্ণু দ্বীপ জি-প্লট… গত এক শতকে প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছে দ্বীপটির আয়তন। এখনও অতি দ্রুত জমি হারাচ্ছে জি-প্লট। জি-প্লটের দক্ষিণতম গ্রাম গোবর্ধনপুরে নদী ভাঙনের কারণে গত দশ বছরে তিন থেকে চার বার বাসস্থান পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন এমন পরিবারের সংখ্যা নেহাত কম নয়।”
পশ্চিমে সপ্তমুখী আর পূর্বে জগদ্দল নদীর মাঝে অবস্থিত গোবর্ধনপুর। সাগরের তাণ্ডবলীলায় এখানে দোসর সাজে নদী।
তথ্যের হিসাব থেকে উজ্জ্বল বার করে আনেন বাস্তবকে। বলেন, “এই গ্রামে কমবেশি দুশো চুয়ান্ন পরিবারের বাস। ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গোবর্ধনপুর গ্রামের মোট জনসংখ্যা এক হাজার একশো পঁচাশি। মোট বাড়ির সংখ্যা ছিল দুশো তেতাল্লিশ। এ ছাড়া অধিকাংশ এলাকাই জঙ্গুলে, এক ধার দিয়ে খাঁড়ি। সেখানে সব নৌকো তৈরি হয়। মাছ ধরার নৌকো, কিন্তু কাঠের নয়। পুরোটাই থার্মোকলের— উল্টে যেতে পারে, কিন্তু ভাঙবে না…”
উজ্জ্বলের বাড়ি বারুইপুরে। ২০০৫ সাল থেকে তিনি এই গ্রামে আসছেন। প্রথম প্রথম আসতেন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংগ্রহ করতে, বললেন, “এখানে পাল যুগের জিনিসও পাওয়া গেছে, আবার শুঙ্গ-কুষাণ যুগের সামগ্রীও পেয়েছি। পোড়ামাটির মাতৃকা মূর্তি, বিভিন্ন ধরনের মৃৎপাত্র, বিভিন্ন প্রাণীর দেহাবশেষ, উপরত্নের অলঙ্কার দ্রব্য, পূজার উপকরণ— অনেক কিছুই পাওয়া গেছে। সে সব জায়গা এখন সমুদ্রের তলায়।”
বার বার ফিরে এসেছেন উজ্জ্বল, এই মানুষগুলোকে ভালবেসে। আমপানের পরদিন স্কুটি চালিয়ে চলে এসেছিলেন এই গ্রামে। শহর থেকে এখানে পৌঁছনো সোজা নয়। শিয়ালদহ থেকে ট্রেন ধরে লক্ষ্মীকান্তপুর নামো রে, সেখান থেকে বাস বা ম্যাজিকে চেপে রামগঙ্গা ঘাট পৌঁছও রে, সেখান থেকে লঞ্চ ধরে চাঁদমারি ঘাটে এসে ভেড়ো রে, তার পর সেখান থেকে টোটো চেপে প্রায় ঘণ্টাখানেক গেলে তবে এই গোবর্ধনপুর— কম করে ছয়-সাত ঘণ্টার ধাক্কা।
সমুদ্র পিছনে রেখে গাঁয়ের দিকে ফেরার পথে আঙুরবালার সঙ্গে দেখা। সদ্য স্নান সেরে উঠেছেন। খোঁপায় গামছা জড়ানো। কোলে ভাইপো। অদূরে ইটের গাঁথনি করা একটা পাকা বাড়ি, বললেন, “আমান-গের বহু বাড়ি ছাড়তি হইচে। ইটা আমান-গের তিন নম্বর বাড়ি। পরথম বাড়ি সিধারে পড়ি গিচে,” আঙুল তুলে দূরের বাঁধের দিকে দেখিয়ে দেয় আঙুর, “পরথম বাড়ি জলমগ্ন, সিটা বাতিল। দ্বিতীয় বাড়ি উই তালগাছের কাছে ছিল। ভাঙি গিল। এখুনে এইটা…” আঙুর শোনায় ঝড়ের ভয়ঙ্কররূপে ধেয়ে আসার অভিজ্ঞতা। একশো মিটার দূর থেকে বাঁধ ভেঙে জল ধেয়ে আসলে কেমন লাগে, তা কল্পনায় আসে না, “তালগাছের বাড়ি বুলবুলে নিই গিল। ফণী হালকা ক্ষতি করিচে, বুলবুলে ঘর ভাঙিচে। তার পর আমপান যেইচে, তার পর ইয়াস যেইচে… আমপানের সময় ঘরে বসি আচি। উই উপরে অ্যাজবেস্টাশ ছিল। তিনখানা একেবারে কটাং করি ফাটি গিয়ে উড়ি গিল। আর সেই উপর থেকে আঁ আঁ করি জল পড়তি লাগচে…”
আঙুরের যে ভাইপো এখন খেলে বেড়ায়, সে তখন ন’মাসের ছিল। তার চৌকির কানা পর্যন্ত জল উঠে এসেছিল।
সমস্ত গ্রামে একটি সেবাশ্রম আর গোবর্ধনপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসঘরগুলো বন্যাদুর্গতদের শিবির। রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের সদস্য সুধাংশু মাইতি বলেন, “ঠাকুরের ভাবধারায় বিশ্বাসী আমরা। সেবাই তো পরম ধর্ম। যতটুকু পারি, করার চেষ্টা করি…”
এ দেশের সমস্ত সমুদ্র উপকূলবর্তী বসতির ম্লান চিত্রের উদাহরণ হয়ে ধীরে ধীরে পিছিয়ে চলেছে গোবর্ধনপুর। গত এক শতকে জি-প্লটের আয়তন মোট হ্রাস পেয়েছে ৫১.৮০ শতাংশ। অবস্থা সামাল দিতে সরকার থেকে কিছু পাকা ঘর করে দেওয়া হয়েছে, আর ভেঙে পড়া বাঁধের, বোধ করি ভঙ্গুরতা ঢাকতেই, কংক্রিটের টুকরোগুলোর উপরে, কাদামাটির উপরে বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে চটজাতীয় এক ধরনের আচ্ছাদন— এরা বলে জিও জুট। কিন্তু ও আবরণে ঢাকা পড়ে না ভয়, ও দিয়ে ভোলানো যায় না অনিশ্চয়তাকে। ধেয়ে আসত রোষ, ধেয়ে আসেও, আরভবিষ্যতেও আসবে।
এক দাপুটে কবি সে তেজ দেখে লিখেছিলেন— “নাচিছে সুন্দর নাচে স্বয়ম্ভু!” এ নাচ সুন্দর নয়।ভয়ংকর, বিধ্বংসী।
বোধহয় বুঝতে পারি, কেন ভৈরব যেতে পারেননি সে দিন। নটরাজের তাণ্ডবের সামনে সবাই শিউরে উঠলেও, একমাত্র ভৈরবই হয়তো দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন।