সকাল থেকে চার বার ফোন। প্রথম দু’বার রান্নাঘরে ছিল। তৃতীয় বার ধরতে ধরতেই কেটে গেল। চার বারের বার ফোন ধরতেই লঙ্কাফোড়নের ঝাঁঝ, “কী করিসটা কী! কত বার রিং করছি!”
এ প্রান্ত থেকে নীতা বলে, “আচ্ছা বাবা স্যরি! এ বার বল।”
ও দিক থেকে প্রীতার উত্তেজিত ধারাবাহিক, “চিন্তা কর তুই এক বার! কোনও হেলদোল নেই? একটা মানুষ একই ছাদের নীচে মরল কি বাঁচল এক বার দেখবে না?”
নীতা বিরক্ত হয়, “উফ্! আগে কাজের কথাটা বল, খেয়েছে?”
“না।”
“চা?”
“সকাল থেকে চা-জলখাবার কিচ্ছু খায়নি। আমিও দিইনি, তিনিও তেজ দেখিয়ে চাননি, নিজের তো করে নেওয়ার মুরোদ নেই...”
নীতার কপালে ভাঁজ পড়ে ভগ্নিপতির দুর্দশায়, “সে কী রে! এতখানি বেলা হল, কিচ্ছু না খেয়ে আছে? করছেটা কী?”
“করছে আমার মাথা। দিনরাত নাকের উপর ল্যাপটপ টাঙানো। বাবুর ওয়র্ক ফ্রম হোম হচ্ছে! আরে বাবা, ফ্যাক্টরি বন্ধ, ম্যানেজারের এত কী কাজ? আমি বুঝি না কিছু? সব ফাঁকিবাজি। আমি খেটে মরব, উনি বসে থাকবেন। বেরনো যাচ্ছে না তাই, নইলে কে থাকত এই বাড়িতে!”
রীতিমতো ফুঁসছে প্রীতা। দিদির কাছে মনের সবটুকু ঝাল না ঝাড়লে ওর হবে না। বেশ কিছু দিন শান্তি ছিল। আবার কাল থেকে শুরু হয়েছে। যত ক্ষণ প্রীতা আর অমিয়র মধ্যে ঝামেলা চলবে, প্রতি ঘণ্টায় ওয়েদার বুলেটিন আছড়ে পড়বে নীতার উপর।
কুড়ি বছর বিয়ের সাড়ে উনিশ বছর এই চলছে। যত ঝগড়া তত ভাব। খুঁটিনাটি নিয়ে লেগেই থাকে আর ডিসট্যান্ট রেফারিং করে যেতে হয় নীতাকে। প্রীতার বর অমিয় নীতার বাল্যবন্ধু। বোন ভগ্নিপতি কারও কালো মুখ সহ্য হয় না ওর। ফল সারাক্ষণের জজিয়তি। দরখাস্তকারী কখনও প্রীতা, কখনও অমিয়। আপাতত গতকাল থেকে প্রীতার কেসেরই একতরফা শুনানি চলছে। এখনও অমিয়কে কিছু বলেনি নীতা। সচরাচর ছোটখাটো ঝুটঝামেলায় ভগ্নিপতির সঙ্গে কথা বলেও না। প্রীতার স্বভাবই হল ঝুড়ি খুলে দিদিকে সব বলে তবে শ্বাস নেওয়া। নইলে পেটে মাকড়সার দল জাল বোনে।
এখনও অমিয়কে কিচ্ছু বলেনি নীতা। কিন্তু এ ভাবে ঝগড়াঝাঁটি বাড়লে বিপদ। অমিয় না খেয়ে থাকবে সেটাও ঠিক নয়। শেষ পর্যন্ত কি নীতাকে ঢুকতেই হবে! ভারী মুশকিল! যতই কাছের হোক, সব ব্যাপারে কথা বলাটা কি মানায়! কিন্তু ব্যাপারগুলো এমন ভাবে নীতার নাকের সামনে এসে থামে যে নাক না গলিয়ে পারা যায় না। এ বারের সিচুয়েশন বেশ সিরিয়াস। নীতাও চিন্তায় পড়ে যায়।
পৃথিবী জুড়ে নেমে এসেছে ভয়াবহ মহামারি। করোনাভাইরাস হাজার হাজার মানুষকে মেরে ফেলেছে। ভাইরাসের মোকাবিলায় বিশ্বের বহু দেশের সঙ্গে ভারতেও কমপ্লিট লকডাউন। স্কুল কলেজ কোর্ট অফিস সব বন্ধ। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সবাই ঘরবন্দি। অমিয়ও বাড়িতে। কেউ জানে না কবে সঙ্কট কাটবে। এ রকম বিপদে স্বামী স্ত্রী ঘরে বসে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করবে!
রান্নার বা কাজের হেল্পিং হ্যান্ড দিদিরা আসছে না। সব কাজ নিজেদেরই করতে হচ্ছে। স্বামীরা অনেকেই ঘরের কাজেও হাত দিচ্ছে, করে ফেলছে এমন সব কাজ যা সারা জীবনে করেনি। এইখানেই প্রীতার আক্ষেপ। প্রথম দু’-এক দিন শুধু মুখে বলেছে। অমিয় নড়েনি। একটু তরকারিও কুটে দেয়নি। মাইক্রোওভেনে ভাতটা গরম করতে বললেও প্রবল অনীহা দেখিয়েছে।
একটু-আধটু হাতাখুন্তি তো সব ছেলেরাই ধরছে এখন। অমিয় কি গুরুঠাকুর? প্রীতা বলেছে আর নীতা শুনেছে। কখনও টুকটাক পরামর্শও দিয়েছে। কাল যেমন খুব আলগা ভাবে বলেছিল, “কাল তুই রান্নাঘরে ঢুকবি না। তা হলেই অমিয় জব্দ।” কিন্তু এই পরামর্শ যে প্রীতা অমন মডিফাই করে নেবে তা ভাবা যায়নি।
নীতার চিন্তা হয়, ঝগড়ার জেরে কি দুজনেরই খাওয়াদাওয়া বন্ধ? সর্বনাশ! দুটোই তো রোগের ডিপো। উপোস দিলে আর দেখতে হবে না। শরীর খারাপ হলে ডাক্তার পাওয়া মুশকিল হবে। এখন দেশসুদ্ধ সব ডাক্তার করোনা নিয়েই যুদ্ধ করছেন। ভাবতে ভাবতেই পাঁচ নম্বর ফোন।
“হ্যাঁ পিতু বল, কী খবর? অমিয় খেল কিছু? তুইও না খেয়ে আছিস?”
প্রীতার উত্তর, “আমি খাব না কেন? আমি চা-ও খেলাম, চাউমিনও করে খেলাম...”
“আর অমিয়? ওকে দিলি না?”
“কেন দেব? ও নিজেরটা নিজে করে নিক! তুই-ই তো বললি আমি যেন রান্নাঘরে না ঢুকি। তা হলেই না কি ও ঢুকবে? কই? তার তো কোনও লক্ষণ দেখলাম না।”
প্রীতাকে মাঝখানেই থামায় নীতা, “আহা আমি তো তোকে রান্নাঘরে ঢুকতেই বারণ করেছিলাম। কিন্তু তুই তো ঢুকলি! তুই না ঢুকলে তবেই তো অমিয় মেন্টাল প্রেশারে থাকবে, নিজে কিছু করবে!”
“ও মা! আমি কেন না খেয়ে বসে থাকব? ও যদি না নড়ে, থাক ও বসে। আমি আমারটা কেন করে নেব না? আমি তো ওকে ফিফটি-ফিফটি করতে বলিনি, অন্তত এইট্টি-টোয়েন্টি তো করবে! এই যে আমি রাগ করে কথা বলছি না, ও তো ভাবও করছে না। আমি যেই রাগ করলাম, অমনি ডবল রাগ দেখিয়ে চুপ করে গেল। আমি ওর জন্য পেটে গামছা দিয়ে বসে থাকব?”
কথায় যুক্তি আছে। কিন্তু তাও নীতার মন মানতে চায় না যে, অমিয় খালি পেটে আছে আর বোন টাইম টু টাইম নিজের পেট ভরিয়ে নিচ্ছে।
রাগ হয় অমিয়র উপর। ঘরের কাজ করলে যে অসম্মান হয় না, ঘরটা যে স্বামী-স্ত্রী দুজনের, এই বোধটাই নেই। চোখের সামনে ভেসে ওঠে চা-চাউমিন নিয়ে নাচতে নাচতে চলে যাওয়া প্রীতা আর খালি পেটে নাকে ল্যাপটপ ঝোলানো গোবদা মুখের অমিয়। মানতে খারাপ লাগে নীতার। কী দিনকাল পড়ল রে বাবা! টিট ফর ট্যাট! কে ঠিক? প্রীতা? না কি নীতার এই ঠাকুমাসুলভ মনোভাব!
অগত্যা আবার ফোন বোনকে।
দ্বিপ্রাহরিক ঘুমের আয়োজন করছিল প্রীতা। জড়ানো গলায় মৃদু বিরক্তি, “আবার কী হল? এ বেলার সব রিপোর্ট তো দিলাম!”
“শোন না, দুপুরে ভাত খেয়েছে অমিয়?” প্রশ্ন করে নীতা।
“হ্যাঁ, খেয়েছে বোধহয়।”
“মানে? তুই জানিস না?”
“আমি কেন জানতে যাব? সে দিন প্রেশার কুকারের সিটি খুলে ছিটকে গেল, আমি কত চেঁচালাম! কই, এসে তো জানতে চায়নি কী হয়েছে?”
যুক্তিপূর্ণ ডিফেন্স। অমিয়র উচিত ছিল এসে বৌয়ের পাশে দাঁড়ানো!
“তা ঠিক। তবু, ও খেল কি না...’’
“খাবে না তো যাবে কোথায়? ডাইনিং টেবিলে ভাত তরকারি মাছ সব ছিল। আমি কিচ্ছু বলিনি। নিজে খেয়ে উপরে চলে এসেছি।”
আহা রে! নীতার মাতৃহৃদয়ে গোপনে ঘা পড়ে। কিন্তু অমিয়টাও পারে! এতটা অবহেলা কোন বৌ সহ্য করবে! কাজ করুক না করুক অন্তত কাজের ভানটুকুও তো করবে! তাতেই বৌরা গলে যায়। নিজেকে দিয়েই জানে নীতা। এক বার বর যদি রান্নাঘরে এসে বলে, ‘‘বলো, কিছু করতে হবে?’’ তাতেই তো কিস্তিমাত! পিতু বড়জোর বলবে, ‘‘তরকারিটা ধুয়ে দাও বা রসুন-আদাটা টিভির সামনে বসে ছাড়িয়ে দাও।’’ এটুকু তো করাই উচিত। এ দিক দিয়ে পিতুর জামাইবাবু অনেক বেশি সরেস। সারা জীবন কিছুই না করেও শুধুমাত্র আমি-তোমার-পাশেই-আছি ভাব দেখিয়ে বাজিমাত করে গেল। অমিয়টা ওর কাছ থেকে কিছুই শেখেনি। এটাও ভাবেনি যে, পিতু ঘরের মধ্যেই লকডাউন ডেকে দেবে। অমিয় নিশ্চয়ই ঘাবড়ে গিয়েছে। ওকেও কিছু টিপ্স কি দেওয়া উচিত! নীতা ভেবে চলে। আবার প্রীতার ফোন, “সকালে আমি কফি করে নিয়ে আসছি, বলল, ‘আমায় একটু দিলে না?’ ”
“ওকে দিসনি? একা খেলি?”
“শোন দিদি, বেশি মায়াদয়া দেখাস না। ওকে কেন দিতে যাব? বললাম, ‘না গো, তোমার জন্য তো করিনি। ইচ্ছে হলে করে খাও!’ ”
“ইস্স্!” নীতার গলায় একটু মায়া ঝরে অজান্তে। পিতু খেপে ওঠে, “কিসের ইস্স্? যদি কফির কৌটো লুকিয়ে রাখতাম তা হলে ইস্স্ বলতিস! সব টেবিলে আছে, করে খাও। আঙুলও নাড়াব না, মেজাজও দেখাব, দুটো হয় না, বুঝলি?”
বুঝল নীতা।
“আবার বলছে, ‘কী জানি, কী দোষ করলাম, কিছুই তো বুঝতে পারছি না!’ ”
“সে কী? ওকে বলিসনি কেন তোর রাগ হয়েছে?”
“বলিনি? সব জানে ও। জেনেশুনে না জানার ভান করছে।”
“একটা ডকুমেন্টেশন দরকার। তুই বরং এক দুই তিন করে সিরিয়ালি তোর রাগের কারণগুলো লেখ। ও কোনও কাজ করে না, কখনও তোর রাগ ভাঙায় না, তুই কথা বন্ধ করলে নিজেও কথা বন্ধ করে দেয় ইত্যাদি ইত্যাদি। একটা ওকে দিয়ে একটা রিসিভড কপি রাখবি নিজের কাছে।”
“কী সব বলছিস? পাগল না কি?”
নীতা নিজের বক্তব্যে অটল। সালিশি করা তার অভ্যেস। কোর্টে তো করতেই হয়, ম্যাট স্যুট কিংবা অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পে। বাড়িতেও। শুধু কি প্রীতা-অমিয়? ননদ-নন্দাই, মামা-মামি... দাম্পত্য বিবাদের দাওয়াই কার না দরকার? রীতিমতো এক্সপার্টাইজ় করে গিয়েছে নীতা।
“পাগলামি কেন? এই লকডাউন তো এক সময় উঠবেই। কিন্তু দু’-তিন বছর পরেই অমিয় রিটায়ার করে ঘরে বসবে। আবার সমস্যা হবে। তখন দেখবি ঝগড়ার সময় ও বলবে, ‘কেন তুমি কোনও দিন খুলে বলোনি কী চাইছ! বুঝিয়ে বললেই তো আমি সব করে দিতাম!’…তখন এই রিসিভড কপিটা দেখিয়ে বলতে পারবি যে বলার পরেও কাজ হয়নি। তখনকার ঝগড়াটায় তুই জিতবি।”
নীতা সাবধানে টোপ ফেলে। ও চাইছে এক বার মুখোমুখি একচোট ঝগড়াঝাঁটি করে মিটিয়ে নিক প্রীতারা। নইলে এই এক জন খায় তো আর এক জন খায় না, এটা খুব বাজে। কিন্তু মতলবটা ধোপে টেকে না।
“শোন দিদি! তোর কথা সারা জীবন শুনে চলে কোনও কাজ হয়নি। অত সব লিখতে পারব না।”
“শোন, ফাঁসির আসামিকেও অপরাধ না জানিয়ে সাজা দেওয়া হয় না। সেটা বেআইনি। অমিয়কেও ওর অপরাধ জানাতে হবে! কেন তুই ওকে খাবার বেড়ে দিচ্ছিস না…”
“শোন দিদি! এ সব আইনি কথা তোর কোর্টে গিয়ে আওড়াবি। আমাকে বোঝাতে আসবি না। এত দিন বিয়ের পর ও যদি বৌ ট্যাকল করতে না পারে, তা হলে আমিও সেই ঠ্যাঁটা বরকে শায়েস্তা করব। ভাগ্য ভাল যে দু’বেলা ওর রান্নাটাও করছি, শুধু নিজেরটাই করছি না।”
সবেগে কেটে যায় ফোন। সব সদুপদেশই নিষ্ফল। প্রীতা অনড়।
সারা দেশে লকডাউন। এর মধ্যে হাজার চেষ্টাতেও ঘরের ভিতর লকডাউন আটকানো যাবে না!
সারা বিকেল সন্ধে নীতার মন খচখচ। যত বার ভাবে অমিয়টা খেল কি না, বেচারা সন্ধেবেলায় এক কাপ চা পেল কি না, তত বার অশান্তি। আবার পিতুর রাগটাও জেনুইন। করোনার যেমন কোন ওষুধ নেই এখনও, এই ঝগড়া মেটানোরও কোনও পন্থা নেই। পিতু এবার আর পিছু হঠবে না। এটাই বোধহয় পয়েন্ট অব নো রিটার্ন। ওদের সংসারের লকডাউন বুঝি আর উঠবে না। কত দিন যে অমিয়র কপালে ঠিকঠাক খাওয়া জুটবে না কে জানে! বেচারা অমিয়! বারকয়েক ওকে ফোন করবে করবে ভেবেও করা হয় না। যতই বন্ধু হোক, বৌ খেতে দিচ্ছে না, এ কথা শালির কানে উঠলে লজ্জা পাবে। ভেবে নীতাই লজ্জিত হয়।
সন্ধেবেলায় স্বয়ং অমিয়র ফোন।
“অমিয়! কী খবর রে?” এমন ভাবে বলে যেন কিছুই জানে না নীতা। ও পাশে খুশিয়াল অমিয়, “গেল বার তোর বাড়িতে যে মোগলাই খেলাম তাতে কতটা ময়ান দিয়েছিলি রে?”
“মানে?” নীতার হাঁ বন্ধ হয় না।
“মানে আবার কী? তোর বোনটি আজ মোগলাই ভাজছে।”
“দুজনের হলে চার-পাঁচ চামচ ঘি দিবি,” খানিক ঢোঁক গিলে নাক গলানো প্রশ্নটা করেই ফেলে নীতা, “কী করে ম্যানেজ করলি?”
অমিয়র চড়া গলা শোনা যায়, “পুতপুতিসোনা, তোমার দিদি বলছে, বেশি করে ঘি দিয়ে মাখতে, তা হলে নরম হবে,” এই বার নিচু গলা, “হ্যাঁ, কী বলছিলি? কিসের ম্যানেজ? আরে এই তো উইন্টারের জন্য একটা গোয়া ট্রিপ ফাইনাল করলাম। আপ ডাউন বাই ফ্লাইট, পাঁচ দিন ছ’রাত্রি স্টে। প্ল্যানিং কমপ্লিট। জানিস তো বেড়াতে কেমন ভালবাসে তোর বোন...”
নীতা হাঁপ ছেড়ে বাঁচে। অমিয়টা বরাবরই চালাক। প্রীতাকে ঠিক-ঠিক ম্যানেজ করার রাস্তাগুলোও ও-ই জানে। এই করেই কাটিয়ে দিল কুড়ি বছর। বাকি দিনগুলোও কেটেই যাবে। নীতার চিন্তার কিছু নেই।
অমিয় ফোনটা কাটতে কিছু দেরি করে ফেলেছিল। নীতার কানে ঢোকে বোনের গলা, “ময়দা মেখে এসেছি, তত ক্ষণ এই কফিটা খাও। দেখো ফ্লেভার ঠিক হল কি না। তোমার তো আবার কড়া কফি না হলে চলে না।”
(রবিবাসরীয় বিভাগে ১৪০০-১৬০০ শব্দের মধ্যে ছোটগল্প পাঠান। ইউনিকোড ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়। পিডিএফ-এ নয়, ওয়ার্ড ফাইল সরাসরি ইমেল করুন। ইমেল: rabibasariya@abp.in সাবজেক্ট: Rabibasariya Golpo. পাণ্ডুলিপিতে ফোন নম্বর ও সম্পূর্ণ ঠিকানা থাকা আবশ্যক। সিদ্ধান্তের জন্য অন্তত সাত-আট মাস অপেক্ষা করতে হবে। মনোনীত হলে পত্রিকার পক্ষ থেকে জানানো হবে। প্রেরিত ছোটগল্পটি অবশ্যই মৌলিক ও অপ্রকাশিত হতে হবে। অনুবাদ বা অনুকরণ হলে চলবে না। অন্য কোথাও মুদ্রিত বা ডিজিটাল ইত্যাদি অন্য কোনও রূপে প্রকাশিত লেখা অনুগ্রহ করে পাঠাবেন না। এই নিয়ম কেউ লঙ্ঘন করলে তাঁর কোনও লেখাই এই পত্রিকার জন্য ভবিষ্যতে কখনও বিবেচিত হবে না।)