ব্রেকফাস্ট টেবিলে বসে চায়ে চুমুক দিতে দিতে পলাশ নিউজপেপারের হেডলাইনে চোখ বোলাচ্ছে। পাশে বসে ষোড়শী রাকা হোয়াটস্অ্যাপে খুটখুট করছে। আজ রাকার মাধ্যমিকের শেষ পরীক্ষা। ব্যারাকপুর স্টেশন সংলগ্ন সুকান্ত সদনে শিল্পী দিব্যেন্দু সরকারের প্রথম একক অনুষ্ঠান, রাকার খুব প্রিয় শিল্পী। সন্ধে ছ’টায় প্রোগ্রাম শুরু, “আজ দয়া করে হাতে সময় নিয়ে বেরিও,’’ পাউরুটিতে মাখন লাগাতে-লাগাতে এক নাগাড়ে কথাগুলো বলে ফেলল রণিতা। কলেজ জীবনে, ডাকসাইটে সুন্দরী ছিল রণিতা। অনেককে ড্রিবল্ করে শেষমেশ পলাশের কবিতার প্রেমে বন্দি হয় রণিতা। রাকা অবশ্য বাবার কবিতাগুলো পড়ে কিছু বুঝে উঠতে পারেনি। রাকার বন্ধুদের একটা মিউজিক্যাল ব্যান্ড আছে। রাকা লিড সিঙ্গার। রণিতা ভরতনাট্যমে মাস্টার্স করে আর এগোয়নি। ওর ব্যাখ্যা, সংসারের চাপ। পলাশের বক্তব্য, “ধুস, ওর প্যাশন নেই।” রাকা অবশ্য মায়ের পক্ষে। রাকা তার বাপিকে অনেক বারই বলেছে,“এই যে বাপি পাতার পর পাতা গল্প-উপন্যাস, কবিতা লিখেছে, এত নাটকে অভিনয় করেছে, এত প্যাশন নিয়ে শেষে কী পেয়েছে ভাবো তো! শুধু প্যাশন থাকলেই হয় না বাপি! ঝুঁকি নেওয়ার সাহসও থাকতে হয়। দশটা-পাঁচটা চাকরির নিশ্চয়তাটা ছাড়তে পারোনি বলেই তুমি আজও জ্যাক অব অল ট্রেডস বাট মাস্টার অফ নান হয়ে আছ।”
“বাবার মুখে মুখে এ ভাবে কথা বলতে নেই অনেক বার বলেছি, রাকা,” রণিতার এই ধমকে এতটুকু প্রশ্রয় না থাকলেও এমন কথা রণিতাও অনেক বার শুনিয়েছে পলাশকে। এ সব সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতেই ট্রেনের ভিড়ের প্রবাহে দমদম স্টেশনে নেমে পড়ল পলাশ। এ বার মেট্রো করে সোজা সেন্ট্রাল। এখানেই একটা বেসরকারি কোম্পানিতে হিসেবরক্ষকের কাজ করে আসছে সে গত বাইশ বছর ধরে।
****
না, সে দিন খুব একটা দেরি করেনি পলাশ। বরং অনুষ্ঠান শুরু হতে মিনিট দশেক দেির হল। এই অনুষ্ঠানে আসার খুব একটা ইচ্ছে যে ছিল তা নয়, মেয়ের পরীক্ষার শেষের দিন, বউয়ের চোখ রাঙানি— এ সবের চাপেই এক রকম চলে আসতে বাধ্য হল পলাশ। এই নব্যধারার জীবনমুখী গান কোনও দিনই স্পর্শ করে না তাকে। গানের কথা বড্ড বেশি সোজাসাপটা। ‘ভালবাসি’ কথাটা বলার জন্য যে আড়াল, সেটাই তো সাহিত্যের মাধুর্য। এখনকার সাহিত্য, কবিতা, গানে বড্ড বেশি হুড়োহুড়ি। দর্শকাসনে বসে এ কথাগুলোই রণিতাকে বলছিল পলাশ। আলো নিভে গেল, মঞ্চে শিল্পী দিব্যেন্দু সরকারের প্রবেশ। সবাইকে অবাক করে রবিঠাকুরের গান দিয়েই শুরু করলেন অনুষ্ঠান, ‘তুমি রবে নীরবে’। দর্শকাসন থেকে বারবার ওর গাওয়া জনপ্রিয় গানের অনুরোধ আসতে লাগল। “সে সব গান তো প্রায়ই শোনেন, আমার নতুন অ্যালবাম ‘একলা পৃথিবী’ থেকে বরং আজ দু-তিনটে গান শোনাব আপনাদের,” এই বলেই গিটার হাতে তুলে নিলেন দিব্যেন্দু।
পলাশের হাবেভাবে বেশ বিরক্ত রণিতা। “অদ্ভুত লোক একটা, কোনও উচ্ছ্বাস নেই বিরক্তিও নেই। যেন একটা যন্ত্র,” স্বগতোক্তির মতো বলে চলে রণিতা। ইন্টারভ্যালে আলো জ্বলতেই রাকা খেয়াল করে বলে, “বাপি চেয়ারে নেই, মা!”
“উফ্, এই লোকটাকে নিয়ে আর পারি না। নিশ্চয়ই ফুঁকতে গিয়েছে! বাদ দে তো, ঠিক চলে আসবে,” রণিতার অনুমান মিথ্যে ছিল না। বিরতির পরেই দিব্যেন্দুর সেই জনপ্রিয় গান, ‘আমার মুখ আর তোমার মুখরতা’, হাততালিতে ফেটে পড়ল অডিটোরিয়াম। অনুষ্ঠান শেষ হতে আলো জ্বলল। আবার একই দৃশ্য, পলাশ সিটে নেই। রণিতা রাকাকে নিয়ে হনহন করে বেরিয়ে এসে অটোতে উঠল, সেখান থেকে সোজা লালকুঠি। বাড়ি পৌঁছে দেখল, পলাশ তখনও আসেনি। মোবাইলে ফোন করল, নট রিচেব্ল।
“মা আজ আমি খুব টায়ার্ড... ডিনার করে ঘুমিয়ে পড়ব। বাপি ঠিক চলে আসবে, তুমি একদম চাপ নিও না।”
রাকার কথাই সত্যি হল। ঘণ্টাখানেক পর পলাশের প্রত্যাবর্তন আর তার পর জীবন্ত ভিসুভিয়াসের সামনে। এ সবে অভ্যস্ত পলাশ। কোনও রকমে ডিনার সেরে কী সব কাগজপত্র খুঁজতে লাগল পলাশ। রণিতা বুঝতে পারছিল, কিছু একটা হয়েছে। হঠাৎ করেই পলাশ যেন কেমন আনমনা। রণিতার চোখ ঘুমে ঢলে আসছে। মেয়ের তো আর একার পরীক্ষা ছিল না, মা’রও খুব ধকল গিয়েছে এই ক’দিন। রহস্য উন্মোচনের সব আগ্রহকে হারিয়ে দিল রণিতার ক্লান্তি।
****
ইচ্ছে ছিল সকালে একটু দেরি করে ঘুম থেকে উঠবে রণিতা। রাকা অবশ্য স্কুল না থাকলে দশটার আগে চোখ খোলে না। দিনটা রবিবার, তাই পলাশেরও অফিস যাওয়া নেই, কিন্তু সকাল সকাল কী একটা শব্দে ঘুম ভেঙে গেল রণিতার। কী আশ্চর্য! গত কাল রাতে যে অবস্থায় দেখে গিয়েছিল পলাশকে, এখনও অবিকল এক অবস্থা, মাঝে মাত্র সাত ঘণ্টা অতিক্রান্ত। এক মনে কী সব খুঁজে চলেছে পলাশ।
‘‘কী গো, ঘুমোওনি?’’
‘‘ঘুমোব না কেন? সকাল সকাল ঘুম ভেঙে গেল। চা খাওয়া হয়ে গিয়েছে আমার, তোমারটা ফ্লাস্কে আছে।’’
‘‘সে নাহয় হল। কী খুঁজছ বলো তো?’’
‘‘ও কিছু না। আচ্ছা, আজ কি মাছ আনতে হবে?’’
‘‘হুম। আনলেও অল্প করে এনো।’’
ওই দিনটা আর পাঁচটা রবিবারের মতো কাটল রাকা আর রণিতার, তবে পলাশ বোধহয় কিছু একটা লুকোচ্ছে। বিয়ের আঠারো বছর পর আগ্রহ কৌতূহল কমে যায়। তাই রহস্য ধামাচাপা পড়েই রইল।
****
কয়েক মাস পরের এক দিন। সকাল থেকেই প্রকৃতির অভিমান। সন্ধ্যায় বৃষ্টি বন্ধ হলেও আকাশ পরিষ্কার হল না। মেঘের সঙ্গে চাঁদের লুকোচুরি খেলা চলছে। পলাশ তো এত দেরি করে না! আজ কোথাও যাবে, সে কথাও ও বলেনি। অবশ্য মোবাইলটা সারাতে দিয়েছিল, তা বলে এত দেরি! রাকা আজ বন্ধুদের সঙ্গে কী একটা সিনেমা দেখতে গিয়েছে। ঘরে একা বসে রণিতা এ সব ভাবতে ভাবতেই ফিরে গেল বছর পঁচিশ আগে।
কী প্রাণবন্ত একটা মানুষ ছিল পলাশ! খুব আবেগপ্রবণ। এই রেগে যাচ্ছে তো এই কেঁদে ফেলছে। বয়সের ভারে সেই পলাশ আজ কত পরিণত, কথাও কম বলে। শুধু বয়সই বা বলা কেন! সংসারের চাপে দু’জনেই বা দু’জনকে কতটুকু সময় দিতে পারে! পলাশকে বিয়ে না করলেই হত, তা হলেই সুনেত্রা, অরিতার মতো ভালবাসাটা বেঁচে থাকত পলাশের জন্য, পলাশের কবিতার জন্য।
কলিং বেল বাজল। না, পলাশ নয়, রাকা ফিরে এল।
‘‘কী গো ? বাবা ফেরেনি?’’
‘‘না রে! সেটাই তো ভাবছি।’’
‘‘অবশ্য মেন লাইনে ট্রেন কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল। তার ছিঁড়ে যাওয়ায়, আমি তো লেডিসে উঠতেই পারলাম না, এত ভিড়।’’
‘‘যা, ফ্রেশ হয়ে নে। ডিনার কি করে নিবি?’’
‘‘না মা, আজ কিছু খাব না, সুনীতা আজ ট্রিট দিল।’’
‘‘হঠাৎ?’’
‘‘না, লাস্ট মান্থে ওর বার্থডে ছিল, এগজাম ছিল বলে খাওয়াতে পারেনি।’’
কলিং বেল বাজল। হ্যাঁ, এ বার পলাশ। বিধ্বস্ত চেহারা। রণিতার যাবতীয় প্রশ্নের পাহাড় ডিঙিয়ে সোজা স্নানঘরে ঢুকে গেল পলাশ, আর যাওয়ার সময় শুধু বলে গেল, “ডোন্ট ওরি, মারপিটও করিনি বা পুলিশের তাড়াও খাইনি। ডিটেলস খাবারের টেবিলে বসে বলব। খুব খিদে পেয়েছে। রাকাকেও বোলো, একসঙ্গে খাব।”
****
রাতে খেতে বসার আগে রণিতা অন্তত বার দুয়েক ইনিয়ে-বিনিয়ে পলাশের কাছে ব্যাপারটা জানতে চেয়েছে। কিন্তু পলাশ এক কথার মানুষ। অবশেষে খাবার টেবিলে বহু দিন পর তিন জন এক সঙ্গে, যদিও রাকা খাচ্ছে না।
খাওয়া প্রায় মাঝপথে, এমন সময়ে রাকা বলে উঠল, “কী গো বলো কিছু,আমার খুব ঘুম পাচ্ছে বাপি।”
পলাশের প্রথম উত্তর, ‘‘হুম।’’
এ বার রণিতা, “হুম মানে?”
পলাশ শুরু করল বলা, “দেখো, একটা ব্যাপার তোমাদের কাছে গোপন করেছিলাম। দিব্যেন্দু সরকার সে দিন সুকান্ত সদনে যে গানগুলো গেয়েছিল তার মধ্যে অন্তত দুটো গান আমার লেখা।” রাকা বলে উঠল, “ভেরি ফানি। ও তোমায় আগে থেকে চেনে, না তুমি ওকে?”
আবার পলাশ বলতে শুরু করল, “সেটাই তো সমস্যা, আমি ওকে চিনি না। আচ্ছা রণিতা, তুমি চেনো?”
“আশ্চর্য কথা বলো তুমি! দিব্যেন্দু সরকারকে আমি যদি আগে থেকে চিনব তা হলে তোমায় এত দিন বলতাম না?”
“এখানেই তো খটকা লাগছে। ওই যে ‘সূর্যাস্তের গান’ বা ‘একলা পৃথিবী’, এ দুটো গানেরই কথা আমার। আমার কলেজ লাইফে লেখা, কিন্তু আমার ডায়েরিগুলোও সে দিন বাড়ি ফিরে তন্নতন্ন করে খুঁজলাম, পেলাম না!”
‘‘দেখো বাপি, ফার্স্ট এপ্রিল অনেক দেরি।’’
‘‘না রে, বিশ্বাস কর, কবিতাগুলো আমার লেখা, কিন্তু ও সেগুলো পেল কী করে?’’
‘‘কিন্তু বাপি, তুমি প্রমাণ করবে কী করে ওগুলো তোমার লেখা?’’
‘‘সে জন্যই তো আজ নজরুল মঞ্চে গিয়েছিলাম। ওর একটা অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর জোর করে গ্রিনরুমে ঢুকতে যাই, ধস্তাধস্তিতে জামাকাপড়ের এই হাল।’’
‘‘ও। এ বার বুঝলাম। সে দিনও তার মানে তুমি দিব্যেন্দু সরকারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলে? তাই বাড়ি ফিরতে দেরি হয়েছিল তোমার। ঠিক কি না?’’
‘‘হ্যাঁ। আসলে দিব্যেন্দু ছাড়া কেউ দিতে পারবে না আমার এই প্রশ্নের উত্তর।’’
‘‘আচ্ছা বাপি, যদি ধরেও নিই কবিতাগুলো তোমারই লেখা, দিব্যেন্দু সরকার সেটা স্বীকার করবে বলে মনে হয় তোমার? তুমি তো কোনও সেলেব্রিটি নও যে তুমি মিডিয়াকে গিয়ে বললে তোমার কথা মিডিয়া বিশ্বাস করবে। অডিয়ো পাইরেসি, ভিডিয়ো পাইরেসির যুগ এটা।’’
‘‘কিন্তু...’’
‘‘কোনও কিন্তু নেই পলাশ। এ নিয়ে ভেবে আর শরীর খারাপ কোরো না, ঘুমিয়ে পড়ো। তবে সত্যিই তো, বাড়ি বদলের সময়ও তোমার কবিতার খাতাগুলো যত্ন করে নিয়ে এসেছি আমি নিজে। গেল কোথায় ডায়েরিটা?’’
‘‘মা! আমার মনে হয়, বাবার এটা ইলিউশন হচ্ছে। বাবা সব সময়েই এটা ভাবে যে বাবার অনেক স্বীকৃতি পাওয়ার ছিল, অনেক সম্মান, তাই হয়তো...’’
এ বার বিরক্ত হয়েই টেবিল থেকে উঠে গেল পলাশ, বেডরুমের দরজাটা ভিতর থেকে বেশ জোরে শব্দ করেই বন্ধ করে দিল। বেডরুমের আলো নিভে গেল।
****
অন্য দিনের মতো সে দিনও অফিস যাওয়ার আগে খাবার টেবিলে বসে খবরের কাগজে চোখ বোলাচ্ছিল পলাশ। হঠাৎই চোখে পড়ল, দিব্যেন্দু সরকারের নতুন অ্যালবাম ‘একলা পৃথিবী’র বিজ্ঞাপন। তখনই মনে মনে ঠিক করে ফেলল, বাড়ি ফেরার পথে অ্যালবামটা কিনেই ফিরবে। সে দিন অন্য দিনের তুলনায় একটু তাড়াতাড়িই বাড়ি ফিরল পলাশ। রণিতা বা রাকা একটু অবাক হলেও তখন টিভির গেম-শো’টাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল ওদের কাছে। দাবদাহে ক্লান্ত শরীরটা নিয়ে স্নানঘরে ঢুকল পলাশ।
অ্যাড ব্রেকে রাকার হঠাৎ চোখে পড়ল, টেবিলের ওপর রাখা একটা সিডি। হাতে নিয়েই মাকে ডেকে দেখাল— দিব্যেন্দু সরকারের নতুন অ্যালবাম। টিভির গেম-শো মুহূর্তে গৌণ হয়ে গেল রাকার কাছে।
সিডি প্লেয়ারে সিডিটা কিউ করল, প্রথম গান ‘একলা পৃথিবী’, গানটা শুরুর আগেই দিব্যেন্দুর ছোট্ট সংযোজন, “গানটির গীতিকার পলাশদা, পদবিটা মনে নেই, আমার কলেজের সিনিয়র। হস্টেলে পাশাপাশি রুমে থাকতাম, খুব সুন্দর কবিতা লিখতেন। পড়াশোনায় খুব মনোযোগী ছিলেন, আমরা অনেকেই ওঁর খাতা, ডায়েরি, ক্লাসনোট ফোটোকপি করে রাখতাম যাতে বছরের শুরু থেকে নিয়মিত ক্লাস বাঙ্ক করা যায়। এমনই একটা খাতার শেষ পাতায় ছিল দুটো কবিতা— ‘সূর্যাস্ত’ আর ‘একলা পৃথিবী’। আমার এই অ্যালবামে এই দুটো গানই আছে। পলাশদা আজ কোথায় আছেন জানি না। ওঁর অনুমতি না নিয়েই কবিতা দুটোয় সুর করলাম আমি। তাই আমার এই অ্যালবাম এমন অনেক পলাশের উদ্দেশে। সেই পলাশ, যার লাল চুরি করে সূর্যোদয়ের আকাশ লাল রং
গায়ে মাখে।’’
এত ক্ষণ টাওয়েলে মাথা মুছতে মুছতে পলাশ সবটাই শুনছিল। রণিতা পিছন ঘুরে তাকাতেই পলাশকে দেখে চোখের জল সামলে নিয়ে বলল,
‘‘শুনলে?’’
পলাশের ছোট্ট উত্তর, ‘‘চেহারাটা পুরো বদলে গিয়েছে। চাপদাড়ি রাখায় আরও ভারিক্কি লাগছে, চিনতেই পারিনি ডিবুকে। তবে মনে আছে, গান গাইত ও।’’
‘‘যাক, এত দিনে স্বীকৃতি পেলে বাপি তুমি।’’ রাকার কথার পিঠে পলাশের উত্তর, “হ্যাঁ রে। তাও এমন এক জনের কাছ থেকে, যাকে কলেজে শিল্পী হিসেবে স্বীকৃতি দিইনি আমি। সে সময় আমি কালচারাল সেক্রেটরি ছিলাম। আর আমার ক্লাস-নোটবুকের শেষ পাতায় অনাদরে পড়ে থাকা কবিতা দুটো, যারা আমার কবিতার খাতাতেও ঠাঁই পায়নি, তারাও এত দিনে স্বীকৃতি পেল।’’
ছবি: সুমন চৌধুরী
‘রবিবাসরীয়’ বিভাগে ছোটগল্প পাঠান,
অনধিক ১৫০০ শব্দে।
ইমেল: rabibasariya@abp.in
সাবজেক্ট: rabibasariya galpa
ডাকে পাঠানোর ঠিকানা:
‘রবিবাসরীয় গল্প’,
আনন্দবাজার পত্রিকা, ৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১
যে কোনও একটি মাধ্যমে গল্প পাঠান। একই গল্প ডাকে ও ইমেলে পাঠাবেন না। পাণ্ডুলিপিতে ফোন নম্বর বা ইমেল আইডি জানাবেন। ইউনিকোড ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়।