ছবি: শুভম দে সরকার
পূর্বানুবৃত্তি: সাম্যব্রতর সঙ্গে কথা বলে বিহান জানতে পারে, দরিয়াকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সাম্যব্রতর কাছ থেকে বিহান জেনে নেয় পথের অবস্থা। এ দিকে মন্টু এগিয়ে আসে বিহানদের সাহায্য করার জন্য।
নাগেরবাজার যাওয়ার জন্যে দ্বিতীয় হুগলি সেতু কেন? হাওড়া ব্রিজ ধরলে কম হাঁটতে হত।”
“আমরা তো হেঁটে আসছিলাম না,” একটু একটু করে কনফিডেন্স ফিরে পাচ্ছে বিহান, “আমরা মোটরবাইকে আসছিলাম। ওই বাইকওলা আমাদের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা নিয়েছে। এইটুকু আসার জন্যে।”
“আর এই পতাকাগুলো?”
“আমি ভাই গণতান্ত্রিক মোর্চার সাপোর্টার,” মুঠোবন্দী হাত উপরে তুলে বিহান বলে, “আমার নেতার নাম মনোজ বসু। আজ মানসী বসুকে খরাজ পার্টির গুন্ডারা যে ভাবে খুন করল, তার পরে হাতে ঝান্ডা না নিয়ে কোনও উপায় নেই।”
“তা ঠিক,” বলল রোগাপাতলা, “যার বাইকে চড়ে আপনারা এতদূর এলেন, তাঁর নাম মন্টু হাইত। বঙ্গবাসী হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়। খরাজ পার্টির খুব ঘনিষ্ঠ। উনি আপনাদের বাইকে ওঠাতে আপত্তি করেননি?”
বিহান ঘাবড়ে গিয়েছে। রোগাপাতলা ছেলেটি মন্টুর নাম জানল কী করে? কী করে জানল সে কোথায় কাজ করে, কী কাজ করে! মন্টু ওই জন্যেই বাইকের হ্যান্ডেলে পতাকা বাঁধতে দেয়নি।
বিহান বলল, “উনি খরাজ পার্টির সমর্থক হতে পারেন। কিন্তু আমাদের জন্যে যেটা করেছেন সেটার জন্যে ওঁর প্রশংসা করতেই হবে। এই অশান্তির বাজারে যে ভাবে আমাদের নিয়ে এলেন! যাই হোক। আমরা এ বার যাই? অনেক দূর যেতে হবে।”
কথা বলতে বলতে বিহান খেয়াল করল, ফ্লাইওভারের আড়াল থেকে একগাদা ছেলে বেরিয়ে আসছে। সবার হাতে খরাজ পার্টির পতাকা। ছেলেগুলোর চেহারা দেখেই বোঝা যায়, এরা কথা বলে কম, হাত চালায় বেশি। ওদের মধ্যে লম্বাচওড়া একটা ছেলেকে দেখে বিহান ঘাবড়ে গিয়ে বলল, “ওরা কারা?”
বিহানের পিছন থেকে চেনা একটা গলা বলল, “আমরা সবাই খরাজ পার্টির সদস্য।”
“সনৎ তুই?” চমকে উঠে পিছন ফেরে বিহান। দেখে সনৎ আস্তে আস্তে তার দিকে এগিয়ে আসছে। বিহান বলল, “মন্টুদার সঙ্গে তোর আগে থেকে কথা হয়ে ছিল! ওই জন্যেই লোকটা রেড রোডের দিকে গেল না! ওই জন্যেই মন্টুদাকে তোরা আটকালি না!”
সনৎ এখন বিহানের এক ফুটের মধ্যে। বিহানের দিকে তাকিয়ে সে বলল, “একদম ঠিক বলেছিস।” তার পর চ্যালাদের দিকে তাকিয়ে বলল, “রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বারংবার টিভিতে, রেডিয়োয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরোধ করছেন, ‘তদন্ত নিজের পথে এগোক। কাউকে আগে থেকে দোষী সাব্যস্ত করবেন না। খাপ পঞ্চায়েত বসাবেন না।’ কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটা ঘটছে। গণতান্ত্রিক মোর্চার এই ক্যাডার একটু আগে প্রকাশ্যে বলেছে, ‘আজ মানসী বসুকে খরাজ পার্টির গুন্ডারা খুন করল।’ আমরা, মানে খরাজ পার্টির সমর্থকরা কি এটা মেনে নেব?”
কেউ কোনও কথা বলল না। সবাই জানে, এর পরে কী হতে চলেছে।
সনৎ বলল, “আমরা এই মালটার বিরুদ্ধে এখানেই ব্যবস্থা নেব। তবে ভায়োলেন্সের মাধ্যমে কখনওই নয়।”
“সনৎ! আমায় যেতে দে! প্লিজ়!” বিহানের সব সাহস শেষ। সে আবার হাতজোড় করেছে ছোটবেলার বেস্টফ্রেন্ডের সামনে। বড়বেলার একমাত্র শত্রুর সামনে। তার পেশাদার জীবন, তার লাভ লাইফ, তার বিবাহিত জীবন, তার নিজের বাড়ি, তার শ্বশুরবাড়ি, ভাবী সন্তানের জন্ম— সব কিছুর সামনে দেওয়াল তুলে দিয়েছে এই সনৎ। হার মানা ছাড়া, ক্ষমা ভিক্ষা চাওয়া ছাড়া বিহানের সামনে অন্য কোনও অপশন নেই।
“যেতে দেব,” বলছে বিহান, “তার আগে হাত জোড় করে বল, আমি, বিহান চট্টোপাধ্যায়, গণতান্ত্রিক মোর্চার সমর্থক...”
“তুই জানিস আমি গণতান্ত্রিক মোর্চার সমর্থক নই,” কাঁদছে বিহান। রোগাপাতলা তার ঘাড়ে রদ্দা কষিয়ে বলল, “দলের ফ্ল্যাগ হাতে নিয়ে মিথ্যে
কথা বলা?”
মার খেয়ে কুঁকড়ে গেছে বিহান। ঘাড় ঝনঝন করছে। ফ্ল্যাগ ফেলে দিয়ে সে হাতজোড় করে বলল, “আমি, আমি... বিহান চট্টোপাধ্যায়, গণতান্ত্রিক মোর্চার সমর্থক...”
“আজ থেকে খরাজ পার্টিতে যোগদান করলাম। আগে বলতাম, ‘মনোজ বসু জিন্দাবাদ।’ আজ থেকে বলব, ‘মনোজ বসু মুর্দাবাদ।’”
বিহানের চোখ দিয়ে জল পড়ছে। সে তোতাপাখির মতো কথাগুলো আওড়াচ্ছে। জোড়া হাত নামিয়ে নিতেই সনৎ ঘাড় নেড়ে বলল, “প্রায়শ্চিত্ত শুরুই হল না। এত তাড়াতাড়ি হাত নামিয়ে নিলে হবে?”
বিহান আবার হাতজোড় করেছে। সনৎ বলল, “বল, ‘আগে বলতাম সুধাকর ঘোষ মুর্দাবাদ। আজ থেকে বলব সুধাকর ঘোষ জিন্দাবাদ!’”
বিহান বলল।
“এ বার কান ধরে কথাগুলো বলতে থাক।”
“মনোজ বোস মুর্দাবাদ, সুধাকর ঘোষ জিন্দাবাদ,” কান ধরে আওড়ে যাচ্ছে বিহান। এক বার, দু’বার, তিন, চার, ছয়, দশ...
“থামলি কেন?” বিহানের পিছনে লাথি কষিয়েছে লম্বাচওড়া। বিহান হুমড়ি খেয়ে পড়ে গেল। সুদাম দৌড়ে গিয়ে বিহানকে তুলে ধরল। কাঁধ থেকে নিয়ে নিল ব্যাকপ্যাক। বিহান উঠে দাঁড়াল। তার দিকে তাকিয়ে ভুরু কুঁচকে সনৎ বলল, “হাতজোড় করে বললে প্রায়শ্চিত্তটা ঠিক হচ্ছে না। অন্য কোনও শাস্তি মাথায় আসছে?” রোগাপাতলা সুযোগ লুফে নিয়ে বলল, “কান ধরে বলালে কেমন হয়? ইশকুলে পড়া না পারলে মাস্টাররা যে রকম শাস্তি দিত?”
“দারুণ আইডিয়া,” সনৎ খুব খুশি, “তার সঙ্গে ওঠবোসটাও করুক।”
লম্বাচওড়া বলল, “কান ধরে ওঠবোস করুক আর বলুক।”
সনৎ আর তার স্যাঙাতদের মধ্যে আলোচনা চলছে আর বিহানের মাথার মধ্যে এই শীতকালে আষাঢ়ের মেঘ ঘনিয়ে আসছে। আজ সকালেই সে দরিয়াকে বলেছিল, “আমি যত ক্ষণ না তোমার কাছে পৌঁছচ্ছি তত ক্ষণ আমরা দুঃখ, কষ্ট, ব্যথা, বেদনা— এই সব নিয়ে ভাবব না। এই সব নিয়ে কথা বলব না। আমরা অন্য কথা ভাবব। আমরা অন্য কথা বলব।”
বিহান নিজে এখন সেই নিয়ম মানবে। এরা যতই অত্যাচার করুক না কেন, সেটা গায়ে মাখবে না। যখন মানুষ সম্পূর্ণ ভাবে হেরে যায়, যখন তার আর কিছু করার থাকে না, যখন সে গিলোটিনের তলায় গলা দেয় অথবা ফাঁসির দড়ির দিকে এগিয়ে যায় বা ইলেকট্রিক চেয়ারে বসে অপেক্ষা করে অমোঘ মুহূর্তের জন্য, তখন সে কী ভাবে? আর কয়েকটা সেকেন্ড! তার পরেই সব ঠিক হয়ে যাবে! নাছোড়বান্দা মানুষ এই ভাবেই নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে। ‘নেভার সে ডাই! ‘দু’বেলা মরার আগে মরব না। আমি ভয় করব না।’
বিহানও হার মানবে না। সে এখন ভাল ভাল কথা ভাববে। নিজের জীবনের সেরা মুহূর্তগুলোর স্লাইড শো হবে মনের মধ্যে। বাইরে কী হচ্ছে, তা নিয়ে মাথাই ঘামাবে না!
বিহানের মনে পড়ছে, বিয়ের কিছু দিন আগে সে আর দরিয়া ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে বেড়াতে গিয়েছিল। দরিয়ার বক্তব্য খুব সোজাসাপটা। “কলকাতার প্রেমিক-প্রেমিকারা যেখানে যেখানে যায়, আমাদেরও সেই সব জায়গায় যেতে হবে। বিয়ের পরে নয়, আগে। কোর্স কমপ্লিট না করে পরীক্ষায় বসা যাবে না।”
ঘোর কেটে গেল বিহানের। শুনতে পেল সনৎ বলছে, “আমি বরং শুভ উদ্বোধনটা করে দিই। কী বল বিহান?” তার পর বিহানের গালে একটা থাপ্পড় মেরে বলল, “শুরু কর শালা!”
ভিক্টোরিয়ায় গিয়ে একদম ভাল লাগেনি দু’জনের। এখানে প্রেমিক-প্রেমিকারা বিশেষ আসে না। যারা ঝোপের আড়ালে ঘনিষ্ঠ ভাবে বসে আছে, তাদের চেহারা প্রেমিক-প্রেমিকাদের মতো নয়। পরের প্ল্যানটা বিহানের মাথায় আসে। দু’জনে মিলে রাস্তা পেরিয়ে চলে যায় তারামণ্ডলে। সেখানে বাংলায় অনুষ্ঠান শুরু হতে চলেছে। টিকিট কেটে ভিতরে ঢুকে দরিয়া আর বিহান অবাক! গোটা তারামণ্ডল জুড়ে তাদের মতো পাঁচটি বুদ্ধিমান বাঙালি প্রেমিক-প্রেমিকা ছাড়া আর কোনও দর্শক নেই। তার পর আর কী! অন্ধকার প্ল্যানেটোরিয়ামের আকাশে অমাবস্যার অন্ধকার। একটা-দুটো করে তারা ফুটে উঠছে। দেখা যাচ্ছে সপ্তর্ষিমণ্ডল, লুব্ধক, ধ্রুবতারা। মহাকাশকে সাক্ষী রেখে বিহান চুমু খেয়েছিল দরিয়াকে। ওই গভীর ও তীব্র আশ্লেষ, ওই অলৌকিক প্রেম আর ফিরে আসেনি। ওই রকম জাদু-ঝলমলে মুহূর্ত জীবনে এক বার এলেই সে জীবন সার্থক। দরিয়া বলেছিল, “তুমি যদি ঠিক করে থাকো যে আমার সঙ্গেই বাকি জীবনটা কাটাবে, তা হলে দেরি করে লাভ নেই। শুরু করা যাক। বাড়িতে বলো বিয়ের ব্যবস্থা করতে।”
বিহান কান ধরে ওঠবোস করেছে আর বলছে, “মনোজ বোস মুর্দাবাদ, সুধাকর ঘোষ জিন্দাবাদ। মনোজ বোস মুর্দাবাদ, সুধাকর ঘোষ জিন্দাবাদ,” পনেরো, কুড়ি, তিরিশ, চল্লিশ, ষাট... সত্তরে এসে হাল ছেড়ে দিল বিহান। কত কাল এ সব করে না। জল থেকে তুলে আনা মাছের মতো খাবি খাচ্ছে সে। লম্বাচওড়া তার গালে থাপ্পড় মেরে বলল, “থামলি কেন? শুরু কর!” বিহানের হাঁটু ঠকঠক করে কাঁপছে। সে কান ধরে হাঁটু গেড়ে বসল। চোখ বুজে বলল, “মনোজ বোস মুর্দাবাদ, সুধাকর ঘোষ জিন্দাবাদ।”
বিহানের চোখ বন্ধ। মনের মধ্যে সে নতুন নতুন দৃশ্যের জন্ম দিচ্ছে। যা কিছু ভাল, যা কিছু সুন্দর, সেই সব দৃশ্য ফুটে উঠছে অন্তরমহলে। বিয়ের পোশাকে দরিয়াকে কী সুন্দর যে দেখেত লাগছে! পেঁয়াজ খোসা রঙের বেনারসিতে রূপ আরও খুলেছে। মাথায় পরেছে টিকলি। নাকে নথ! পাড়ার ছেলেরা পিঁড়ি উঁচু করে ধরেছে। শুভদৃষ্টির সময়ে দারুণ মজা হল। কান ধরে উঠবোস করতে করতে বিহান দেখল, দরিয়া মুখের সামনে পানপাতা ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আশপাশ থেকে সবাই চিৎকার করে বলছে পানপাতা সরানোর জন্যে। দরিয়া খুব আস্তে আস্তে পাতা সরাচ্ছে। এই স্লো মোশন ভিডিয়োগ্রাফারের হুকুমে হচ্ছে! পানপাতা সরানোর পরে লজ্জায় বিহানের দিকে তাকাচ্ছে না দরিয়া। মাথা ঝুঁকে রয়েছে, চোখ মাটির দিকে। সবাই বলছে, “কী রে! এত লজ্জা কিসের? তাকা!” হাঁটু ভেঙে বসছে বিহান। কান ধরে বলছে, “মনোজ বোস মুর্দাবাদ, সুধাকর ঘোষ জিন্দাবাদ।” দরিয়া লাজুক চোখ উপরের দিকে তুলছে। বিহানের চোখে চোখ রাখছে। তার পর টুক করে চোখ মেরে আবার লজ্জায় রাঙা হয়ে যাচ্ছে। এ বার বিহানের লজ্জা পাওয়ার পালা। লাজুক মেয়ের এ কী পরিবর্তন রে বাবা! “মনোজ বোস মুর্দাবাদ, সুধাকর ঘোষ জিন্দাবাদ।” বিহান দাঁড়িয়ে রয়েছে মালাবদলের জন্যে। পিঁড়িতে বসে থাকা দরিয়া এখন বিহানের চেয়ে উপরে। সেই দেখে বন্ধুরা বিহানকে পাঁজাকোলা করে আরও উঁচুতে তুলে ধরল। এই সুযোগে বিহান টুক করে মালাটা পরিয়ে দিল। বিহান আর দরিয়ার বন্ধুরা সবাই হোহো করে হাসছে! হাসছে সনৎও। বলছে, “এ বার তোর ছুটি! পালা!” তার পর রোগাপাতলার দিকে তাকিয়ে ইশারা করছে।
বিহান দৌড় দিয়েছে। পিটিএস থেকে বেঙ্গল মেডিকাল কলেজ কতটা রাস্তা? সে পারবে না, পৌঁছতে? হ্যাঁ সে পারবে। তাকে পারতেই হবে।
পিছনে ছুটে এল রোগাপাতলা, লম্বাচওড়া আর সনতের বাকি স্যাঙাতেরা। লম্বাচওড়া বিহানের ঘাড়ে এক ধাক্কা মারতেই সে ছিটকে পড়ল রাস্তার উপরে। সঙ্গে সঙ্গে দশ-বারোজন মিলে বেমক্কা হাত-পা চালাতে লাগল। গণধোলাই খেয়ে রাস্তায় পড়ে গেল বিহান।
পিটিএস থেকে একটু দূরে সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তর বা ইস্টার্ন কমান্ড। সেখান থেকে দুই ট্রাক ভর্তি মিলিটারি গেটের বাইরে বেরোচ্ছে। সুদাম আর পারল না। সনতের দলবলকে টপকে ওদের দিকে দৌড় দিল। চিৎকার করতে লাগল, “এ দিকে আসুন। এ দিকে আইয়ে! এক জনকে পিটিয়ে মেরে ফেলছে। এই যে! শুনছেন!”
একের পর এক ঘুসি আছড়ে পড়ছে বিহানের মুখে। তার মনে পড়ে যাচ্ছে ফুলশয্যার কথা...
বিবাহ এবং ফুলশয্যা— দুটোই হয়েছিল দরিয়ার বাড়ি। একই দিনে। বিহানের বাড়ি থেকে কেউ উপস্থিত ছিল না। বাসর মাতিয়ে রেখেছিল বিহান আর দরিয়ার বন্ধুরা। রাত এগারোটা বাজে, সাড়ে এগারোটা, পৌনে বারোটা... কারও যাওয়ার নাম নেই। একের পর এক গান গেয়ে যাচ্ছে। বিহান বাধ্য হয়ে বলেছিল, “এ বার তোরা যা।”
“কেন লা বকুলফুল? আমরা কী পাপ করিচি যে চলে যেতে বলচিস?” নিষ্পাপ দৃষ্টি বিছিয়ে জিজ্ঞেস করেছিল মণিদীপা।