কখনও কাগজ, কখনও সেফটি পিন, কখনও ব স্রেফ দু’টি মোবাইলে ঢাকা শরীর! এমন নানা কায়দায় নিজেকে ভাইরাল করতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। অন্য ধরনের ফ্যাশনে বরাবরই নিজেকে ধরা দেন তিনি। সেই উরফি জাভেদকে নিয়ে সমাজমাধ্যমে নিরন্তর চর্চা চলে। তাঁর বোন আসফি জাভেদও কিন্তু উরফির তুলনায় কম যান না।
উরফি যদি নিজের পোশাকের জন্য চর্চার কেন্দ্রে থাকেন, আসফি কিন্তু তাঁর ‘গ্ল্যামারের’ জন্য সমাজমাধ্যমে যথেষ্ট জনপ্রিয়।
আসফি অন্যতম জনপ্রিয় ‘সোশ্যাল মিডিয়া স্টার’। ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, টিকটকে বেশ সক্রিয় উরফির বোন।
১৯৯৭ সালে জন্ম আসফির। বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপন এবং মডেলিংয়ের কাজও করেছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে ছোট ছোট রিল বানিয়ে হামেশাই তা পোস্ট করতে দেখা যায় আসফিকে।
ফ্যাশনের দিক থেকে উরফি থেকে কোনও অংশে কম যান না আসফি। তবে উরফি যে ধরনের ফ্যাশনে অভ্যস্ত, আসফি কিন্তু তার ঠিক উল্টো। সৌন্দর্যের দিক থেকেও কম যান না উরফির বোন।
ইনস্টাগ্রামে যথেষ্ট জনপ্রিয় আসফি। তাঁর ইনস্টাগ্রাম অনুগামীর সংখ্যা ১ লক্ষ ১২ হাজার। টিকটকে তাঁর অনুগামীর সংখ্যা ১০ লক্ষেরও বেশি।
শুধু ইনস্টাগ্রাম বা টিকটকই নয়, ২০২০ সালে একটি মিউজ়িক ভিডিয়োতেও দেখা গিয়েছে আসফিকে।
বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে, আসফির মাসিক আয় ৫০-৬০ হাজার টাকা। মূলত মডেলিং, সমাজমাধ্যম থেকেই এই টাকা উপার্জন করেন আসফি।
আসফিরা তিন বোন, এক ভাই। এক সাক্ষাৎকারে উরফি জানিয়েছিলেন, বাবা ইরফু জাভেদের দুর্ব্যবহারের কারণে তাঁর সঙ্গে থাকেন না তাঁরা।
তিন বোনের মধ্যে আসফি ছোট। ব্লগ করতে খুব পছন্দ করেন আসফি। তাঁর প্রিয় রং কালো।
পিৎজ়া খেতে ভালবাসেন আসফি। ভালবাসেন কেনাকাটা করতে, বই পড়তে এবং ঘুরতে যেতেও।
আসফির সবচেয়ে পছন্দের জায়গা মলদ্বীপ। তার পরই রয়েছে গোয়া, মানালি এবং সুইৎজ়ারল্যান্ড।
আসফির প্রিয় ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। প্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিংহ। প্রিয় অভিনেতা শাহরুখ খান এবং বরুণ ধাওয়ান।