ভারত তথা এশিয়ার সব থেকে ধনী ব্যক্তির থেকে জায়গা ভাড়া নিলেন তিনি। মাসে ভাড়া লক্ষ লক্ষ টাকা। যিনি ভাড়া নিলেন, তাঁর কাছে অবশ্য এটা খুব বড় বিষয় নয়। তিনি পৃথিবীর ধনীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন।
মুকেশ অম্বানীর থেকে মুম্বইয়ের বান্দ্রা কুর্লা কমপ্লেক্সে একটি বাণিজ্যিক স্থান ভাড়া নিয়েছে ফরাসি ফ্যাশন সংস্থা লুই ভিতোঁ। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে এই জায়গাটি ভাড়া নিয়েছে তারা।
অম্বানীর থেকে ভাড়া নেওয়া এই জায়গায় বিপণি খুলবে লুই ভিতোঁ। এটাই হতে চলেছে সারা পৃথিবীতে তাঁদের সব থেকে বড় বিপণি।
মুম্বইয়ের বান্দ্রা-কুর্লা কমপ্লেক্সে জিয়ো ওয়ার্ল্ড প্লাজ়ার মধ্যে তৈরি হতে চলেছে এই বিপণি। ৭,৩৬৫ বর্গফুট এলাকা নিয়ে।
সাড়ে ৯ বছরের জন্য এই বিপণি রিলায়্যান্সের থেকে লিজ় নিয়েছে ফরাসি সংস্থা।
জিয়ো ওয়ার্ল্ড প্লাজ়ায় এই বিপণির জন্য মাসে কত টাকা দেবে লুই ভিতোঁ? সাড়ে ৪০ লক্ষ টাকা। হয় মাসে এই অঙ্কের টাকা, নয়তো সংস্থার আয়ের ৬ শতাংশ মুকেশকে দেবে লুই ভিতোঁ। ভাড়া বা লভ্যাংশ, যার অঙ্ক বেশি হবে, সেটাই দিতে হবে।
চুক্তি হওয়ার ৩৬ মাস অর্থাৎ তিন বছর পর ফের বৃদ্ধি পাবে ভাড়া। তখন ১৫ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করা হবে।
প্রতি মাসে ভাড়ার পাশাপাশি আগাম জমা (সিকিউরিটি ডিপোজ়িট) রেখেছে লুই ভিতোঁ। দু’কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা সিকিউরিটি ডিপোজ়িট দিয়েছে সংস্থা।
বিপণি ছাড়াও সাধারণ এলাকার জন্য আগাম ২৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জমা করেছে ফরাসি ফ্যাশন সংস্থা। অন্যান্য সাজ সরঞ্জামের জন্য আরও ২৯ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা জমা করেছে তারা।
লুই ভিতোঁ সংস্থার মালিক হলেন বার্নার্ড আর্নল্ট। পৃথিবীর দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি বার্নার্ড।
বার্নার্ডের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২০ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১৭ লক্ষ কোটি টাকা।
৭৪ বছর বয়সি বার্নার্ডের প্রায় ৭৫টি ফ্যাশন, পানীয় এবং বিলাসবহুল পণ্যের ব্র্যান্ড রয়েছে। ফ্রান্সেই জন্ম তাঁর। বিলাসবহুল বহু ব্র্যান্ডের মালিক বার্নার্ডের অদ্ভুত শখ রয়েছে। দামি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন তিনি।
১৯৮৪ সালে একটি ধুঁকতে থাকা সংস্থা কিনেছিলেন বার্নার্ড। নাম আগাশে-উইলত-বুশাক। ফ্যাশন হাউস ক্রিশ্চিয়ান ডিওরের মালিক ছিল সেই সংস্থা।
১ কোটি ৫০ লক্ষ ডলারে ওই সংস্থা কিনেছিলেন বার্নার্ড। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১২৪ কোটি টাকা। বার্নার্ডের হাতে পড়া ওই সংস্থা ক্রমেই বাড়তে থাকে আড়েবহরে।
২০২১ সালে ১,৫৮০ কোটি ডলারে আমেরিকার গয়না সংস্থা টিফানি অ্যান্ড কোম্পানি কিনে নেন বার্নার্ড। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় এক লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
সেই বার্নার্ডের সংস্থা লুই ভিতোঁ এ বার বিপণি খুলবে মুম্বইয়ে। সেই বিপণি কিনেছেন এশিয়ার সব থেকে ধনী শিল্পপতির থেকে।
মুকেশ অম্বানীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৯,৪০০ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৭ লক্ষ ৭৭ হাজার কোটিরও বেশি।