Pakistani Film Joyland

কী নিয়ে বিতর্ক? নিজের দেশেই কেন নিষিদ্ধ পাক ছবি? কী আছে অস্কার মনোনীত ‘জয়ল্যান্ড’-এ?

পাকিস্তানে ১৮ নভেম্বর ‘জয়ল্যান্ড’ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মুক্তির কয়েক দিন আগেই দেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ছবিটি পাকিস্তানের ১১টি রাজ্যে নিষিদ্ধ।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২২ ১৩:৪৯
Share:
০১ ১৯

অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে পাকিস্তানের ছবি ‘জয়ল্যান্ড’। পরিচালক সইম সাদিকের এই ছবি অস্কারজয়ের দৌড়ে থাকলেও তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে পাকিস্তানেই। নিজের দেশে এই ছবি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত।

০২ ১৯

পাকিস্তানে ১৮ নভেম্বর ‘জয়ল্যান্ড’ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মুক্তির কয়েক দিন আগেই দেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ছবিটি পাকিস্তানের ১১টি রাজ্যে নিষিদ্ধ।

ছবি: সংগৃহীত।

Advertisement
০৩ ১৯

গত ৬ অক্টোবর পাকিস্তানে এই ছবির বিশেষ প্রদর্শনী হয়। তার আগে কান চলচ্চিত্র উৎসবেও ছবিটি প্রদর্শিত হয়েছিল। বস্তুত, এই ছবির হাত ধরেই কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাকিস্তানের অভিষেক হয়।

ছবি: সংগৃহীত।

০৪ ১৯

২০২৩ সালের অস্কারের মঞ্চেও আনুষ্ঠানিক ভাবে পাকিস্তান পা রাখছে ‘জয়ল্যান্ড’-এর হাত ধরে। ২০২৩ অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডে মনোনয়ন পেয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্যের এই ছবি।

ছবি: সংগৃহীত।

০৫ ১৯

আন্তর্জাতিক স্তরে সইম সাদিকের ‘জয়ল্যান্ড’ যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন বিতর্কের কেন্দ্রে এই ছবি? ঠিক কী কারণে পাকিস্তানের ১১টি রাজ্যে ‘জয়ল্যান্ড’ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল?

ছবি: সংগৃহীত।

০৬ ১৯

সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, পাকিস্তান সরকার গত ১৭ অগস্ট ‘জয়ল্যান্ড’ ছবিটিকে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক কালে ছবির বিষয়বস্তু নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। নতুন করে কোনও অশান্তি যাতে তৈরি না হয়, তাই আগেভাগে ছবিটি নিষিদ্ধ করে দিয়েছে সরকার।

ছবি: সংগৃহীত।

০৭ ১৯

পাকিস্তান সরকারের বিবৃতি অনুযায়ী, ছবিটির বিষয়বস্তু ‘অত্যন্ত আপত্তিকর’। মূলত এই ছবিতে পিতৃতান্ত্রিক সমাজকে আক্রমণ করা হয়েছে। বেআব্রু করে দেওয়া হয়েছে সমাজে পিতৃতন্ত্রের জুলুম। তা নিয়েই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বিতর্ক।

ছবি: সংগৃহীত।

০৮ ১৯

‘জয়ল্যান্ড’ ছবিতে রয়েছে একটি সাধারণ পরিবারের কাহিনি, পিতৃতন্ত্রই যেখানে শেষ কথা। সে পরিবারের কর্তা এবং বাকি সদস্যরা পুত্রসন্তানের জন্মের জন্য হাপিত্যেশ করে বসে থাকেন। কিন্তু তাঁদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হওয়ার আগেই পরিবারে নেমে আসে অন্য ‘বিপর্যয়’।

ছবি: সংগৃহীত।

০৯ ১৯

লাহোর নিবাসী পরিবারটির কর্তা হুইলচেয়ারে চলাফেরা করেন। নিজের দুই ছেলে এবং পুত্রবধূদের কড়া শাসনে রাখেন তিনি। পুত্রসন্তান চেয়ে ছেলেদের চাপও দেন নিয়মিত। গোটা পরিবারে তিনিই শেষ কথা। তাঁর শাসনে বাকিরা এক প্রকার থরহরিকম্প।

ছবি: সংগৃহীত।

১০ ১৯

এ হেন পরিবারের ছোট ছেলে হায়দার। তাঁকে নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত। তিনিই এই ছবির নায়ক। তিনি হঠাৎ এক রূপান্তরকামীর প্রেমে পড়েন। হায়দার এবং সেই রূপান্তরকামী বিবার সম্পর্কের সূত্র ধরে ক্রমশ এগোতে থাকে কাহিনি।

ছবি: সংগৃহীত।

১১ ১৯

রূপান্তরকামী বিবা নৃত্যশিল্পী। তাঁর সঙ্গে নেপথ্যশিল্পী হিসাবে নাচতেন হায়দার। সেই সূত্রেই দু’জনের আলাপ। বিবার সঙ্গে থাকতে থাকতে তাঁর প্রেমে পড়ে যান হায়দার।

ছবি: সংগৃহীত।

১২ ১৯

হায়দারের এই প্রেমের খবরে তাঁর আদ্যোপান্ত কট্টরপন্থী পরিবারে যেন বাজ পড়ে। বাবার চোখরাঙানি, পরিবারের বাকি সদস্যদের কটাক্ষ পাশ কাটিয়ে হায়দার আর বিবার প্রেম কি পূর্ণতা পাবে? সেই গল্পই বলে ‘জয়ল্যান্ড’।

ছবি: সংগৃহীত।

১৩ ১৯

এই ছবিতে প্রধান চরিত্রে হায়দারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আলি জুনেজো। তাঁর বিপরীতে বিবার ভূমিকায় রয়েছেন আলিনা খান। দু’জনেই পাকিস্তানের চলচ্চিত্র জগতের জনপ্রিয় তারকা।

ছবি: সংগৃহীত।

১৪ ১৯

এ ছাড়া এই ছবিতে রয়েছেন রাস্তি ফারুক, সরওয়াত গিলানি, সলমন পীরজ়াদা, সোহেল সমীর এবং সনিয়া সইদের মতো পাকিস্তানি তারকা। ছবির এই চরিত্রায়ন ‘জয়ল্যান্ড’-কে অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

ছবি: সংগৃহীত।

১৫ ১৯

প্রত্যেক শিল্পীই ছবিতে নজরকাড়া অভিনয় করেছেন বলে দাবি। তাঁদের অভিনয় দক্ষতায় আরও মূর্ত হয়েছে ছবির বিষয়বস্তু।

ছবি: সংগৃহীত।

১৬ ১৯

পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবিতে এটাই পরিচালক হিসাবে সইম সাদিকের অভিষেক। এর আগে ২০১৯ সালে সইম একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি বানিয়েছিলেন। সেই ছবি ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছিল। এ বার তাঁর পূর্ণদৈর্ঘ্যের প্রথম ছবি পাড়ি দিয়েছে অস্কারের মঞ্চে।

ছবি: সংগৃহীত।

১৭ ১৯

কিন্তু ছবিটি ঘিরে বিতর্ক থামছে না। ১১ নভেম্বর পাকিস্তান সরকারের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘এই ছবির বিষয়বস্তু অত্যন্ত আপত্তিকর। তা আমাদের সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। ১৯৭৯ সালের মোশন পিকচার অর্ডিন্যান্সের ৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী শালীনতা এবং নৈতিকতার স্বাভাবিক নিয়মেরও পরিপন্থী এই ছবি।’’

ছবি: সংগৃহীত।

১৮ ১৯

সাদিকের ছবির বিরুদ্ধে মূলত সরব হয়েছেন পাকিস্তানের ধর্মীয় কট্টরপন্থী, বুদ্ধিজীবী এবং সাধারণ জনগণের একাংশ। তাঁদের দাবি, ছবিটি ইসলাম-বিরোধী। পাকিস্তান একটি ইসলাম ধর্মাবলম্বী দেশ, তাই এখানে ইসলামের বিরুদ্ধে কোনও কিছুকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।

ছবি: সংগৃহীত।

১৯ ১৯

তবে ছবিটিকে নিষিদ্ধ করার পর সরকারের সমালোচনায় শামিল হয়েছেন পাকিস্তানের বহু অভিনেতা, চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞ। ফেসবুক-টুইটারেও পাক সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা চলছে। ছবির কলাকুশলীরা এর জন্য যে পরিশ্রম করেছেন, তা যেন মাটি না করা হয়, বলছেন সমালোচকরা।

ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement